চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজার থেকে টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাতে অপহরণের শিকার হন তিন বন্ধু। অভিযোগ উঠে, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় পাহাড়ি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করেছে। এরপর অপহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তিন বন্ধুকে হত্যা করা হয়। আজ ২৪ মে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় তিন বন্ধুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব ও পুলিশ।
নিহতরা হলেন- কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়ার মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান।
আজ বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব বিভিন্ন পাহাড়ে যৌথ অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে বাহারছড়ায় পাহাড় থেকে সন্ধ্যায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, টেকনাফ থেকে তিন বন্ধু নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বুধবার বিকেলে টেকনাফ দমদমিয়াসংলগ্ন গহীন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আমাদের অভিযান চলমান।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল তিন বন্ধু কক্সবাজার থেকে টেকনাফে পাত্রী দেখার উদ্দেশ্যে রওয়া দেন। তাদের টেকনাফে সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুর বিল এলাকার রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ শফির ছেলে হেলালের বাড়িতে যাওয়ার দেখার কথা ছিল। টেকনাফে পৌঁছানোর সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি থামিয়ে একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর দুদিন পর তাদের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার একটি ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তাদের হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
নিহত ইমরানের বাবা ইব্রাহিম বলেন, গত ২৫ দিন আগে আমার ছেলেসহ তিন বন্ধু টেকনাফে বেড়াতে এসে অপহরণের শিকার হয়। ঘটনাটি শুনে টেকনাফ থানায় জানাই। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, আজ পাহাড় থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও ছেলের মুখ দেখিনি।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, আমি এখনও পাহাড়ে অবস্থান করছি। র্যাবসহ আমরা বাহারছড়া গহীন পাহাড় থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। কিন্তু উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো কঙ্কাল হয়ে গেছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন একটি সমাজ গঠন করতে চাই যেখানে বিচারপ্রার্থীকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি শিকার হতে হবে না। কোনো বিচারক তার আসনে বসে আল্লাহকে ছাড়া কোনো রাষ্ট্রশক্তিকে পরোয়া করবে না। রাষ্ট্রের আইন এবং বিবেক শক্তি দিয়ে বিচার কাজ পরিচালনা করবে। আমরা শুনতে চাই না বিচারকের আসনে বসে বিচারকরা ঘুস খায়।
আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ট্যাংকেরপাড় পৌর মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সভায় তিনি এ কথা বলেন। ডা. শফিকুর বলেন, মিডিয়া বের করে নিয়ে আসে উনি অমুক জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, তার পাঁচটি গাড়ি রয়েছে, ১০টি বাড়ি রয়েছে। এসব কলঙ্কজনক কথা বিচারকদের ব্যাপারে শুনতে চাই না। আমরা এমন একটি বিচার ব্যবস্থা চাই, যে ব্যবস্থা উঁচু-নিচু কাউকে ভাববে না। বিচারপ্রার্থীকে বিচার প্রার্থী হিসেবে দেখবে। কোনো বিচারপ্রার্থী যদি মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়, তাহলে মিথ্যার অভিযোগের দণ্ডও তাকে পেতে হবে। আবার যদি কেউ সঠিক অভিযোগ নিয়ে আসে তাহলে ন্যায় বিচার থেকে যেন বঞ্চিত না হয়। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্য ১০টি দেশ যেমন মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে বিশ্বের বুকে দাঁড়ায়, বাংলাদেশও ইনশাআল্লাহ তার শির উঁচু করে দাঁড়াবে। বিদেশে আমাদের বন্ধু থাকবে কিন্তু কোনো প্রভু মেনে নেব না। কেউ আমাদের সঙ্গে প্রভুত্ব দেখাতে আসলে জাতির কাছে তার সঠিক জবাব বুঝিয়ে দেবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ মুবারক হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরা সদস্য ও কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চল অঞ্চল টিম সদস্য মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাবেক আমির কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, সৈয়দ গোলাম সারোয়ার, সাবেক নায়েবে আমির কাজী মো. ইয়াকুব আলী, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি ব্যক্তিগত সফরে কানাডা এবং জাপানের উদ্দেশে এক রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন।
আজ ১৮ মে শনিবার সকালে তিনি কানাডার ভ্যানকুভারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। ভ্যানকুভার যাওয়ার পথে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে তার যাত্রাবিরতি করার কথা রয়েছে।
গণপূর্তমন্ত্রী আগামী ২৫ মে টোকিওর উদ্দেশে ভ্যানকুভার ত্যাগ করবেন এবং ২৬ মে টোকিও পৌঁছাবেন। ২৭ মে তিনি টোকিও থেকে নাগাসাকি পৌঁছাবেন।
২৮ মে নাগাসাকিতে অবস্থিত পিস মেমোরিয়াল প্রাঙ্গণে তার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাপানের প্রতি উপহারস্বরপ প্রদত্ত পিস মনুমেন্ট উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
সফর শেষে আগামী ৩১ মে শুক্রবার র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের কাছে মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি না চাওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন প্রণয়ন করে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান আনলেও মাঠ কর্মকর্তারা তা না মানায় এমন নির্দেশনা দিল সংস্থাটি।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি সকল রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান করা হয়েছে। অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের পর কোনো কোনো জেলা/উপজেলা হতে মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি প্রার্থীর নিকট হতে চাওয়া হচ্ছে, যা বিধি বহির্ভূত। উক্তরূপ বিধি বহির্ভূত প্রিন্ট কপি প্রদানে বাধ্য না করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
তবে বিধি অনুযায়ী বাছাইয়ের সময় হলফনামার মূল কপি অথবা কোনো তথ্য বা কাগজপত্র অপূর্ণ থাকলে তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে অবহিত করা যেতে পারে।
বিধি ১৭ অনুযায়ী বাছাইয়ের সময় প্রার্থী বা প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারী অথবা প্রার্থী কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপস্থিতির সুযোগ থাকলেও বাধ্যতামূলক নয়।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।
দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।
চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
আজমিরীগঞ্জে নদীর তীরে পরিত্যক্ত অবস্থায় কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক কন্যা শিশুর পরিচয় গত পাঁচ দিনেও না পাওয়ায় সিলেটের ছোট মনি নিবাসে প্রেরন করেছে উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ড হয়েছে।
শিশুটির ভবিষ্যৎ সুরক্ষা বিবেচনা করে ভরনপোষণের দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক এমন দম্পতির নিকট হবিগঞ্জের পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে আইনি পক্রিয়ার নতুন অভিবাবকের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানান উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন, আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও হাসপালের নার্সের মাধ্যমে এম্বুলেন্সের মাধ্যমে সিলেটের বাগবাড়ি ছোট মনি নিবাসে প্রেরন করা হয়।
এদিখে ভরনপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য দুইজন নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি জুয়েল ভৌমিকের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন।
পরিত্যক্ত অবস্থায় নবজাতক কন্যা শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া নারী সুরুজ আলীর স্ত্রী আলফিনা বেগম বলেন, গত ১০ বছর ধরে তিনি নিঃসন্তান সোমবার বছিরা নদীর তীরে নবজাতক শিশুটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ওই নবজাতককে আমার জিম্মায় দিয়েছিল মনে করেছিলাম আমার সন্তানের আকাঙ্খা শেষ হলো। ওইদিনই থেকে আজ পর্যন্ত শিশুটিকে পরিচর্যা করেছি। এমনি তার ভাসুরের স্ত্রী নবজাতক শিশুটিকে বুকের দুধ পানও করান। কিন্তু ওই শিশুটিকে সিলেটে নিয়ে যাচ্ছে বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি শিশুটির ভরণপোষণের দায়িত্ব দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও শিশু কল্যান বোর্ডের সভাপতি জুয়েল ভৌমিক বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নবজাতকটি সিলেটের সোনামনি নিবাসে প্রেরন করা হয়েছে। আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত সারে ৯ টায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আব্দুল আওয়াল মিয়ার স্ত্রী তমা (১০) আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইওসি ভবনে প্রসব ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১১টায় তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন এবং নরমাল ডেলিভারীর ঘন্টাখানেক পর হাসপাতাল থেকে চলে যান।
পরদিন সোমবার ভোর সকালে উপজেলা কাকাইলছেও ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের দক্ষিণ দিখে বছিরা নদীর তীরে শিশুটির কান্না শোনে স্থানীয় নারী-পুরুষ সেখানে গিয়ে একটি নবজাতককে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানিয় দয়াল মিয়ার কন্যা আলফিনা বেগমের জিম্মায় দেয়া হয়।
ডেলিভারিতে থাকা এক নার্স জানান, শিশুটি জন্মের পর তাঁর স্বজনরা একবারের জন্যও কোলে নেননি। তিনি ঘন্টাখানেক কুলে নিয়ে সেবা যত্ন করেছেন। তাঁর সাথে সেলফিও তুলেছেন। তিনি আরও জানান, ওই প্রসূতির সাথে তার শাশুড়ি এবং ভাসুর পরিচয় দিয়ে একজন পুরুষ এসেছিল।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, রাতে ওই প্রসূতিকে প্রসব ব্যাথা অবস্থায় মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রয়োজনী কিছু ওষুধপত্র হাসপাতালের সামনে তারেক ফার্মেসী থেকে ক্রয় করেন উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের ঘরদাই গ্রামের ওমর আলী নামে এক ব্যাক্তি।
ওইদিন সন্ধ্যায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী শেখ মাসুদুর রহমান নবজাতকটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
চলারপথে ডেস্ক :
ডিজিটাল বাংলাদেশ কল্যাণের জন্য করা হয়েছে, অকল্যাণের জন্য নয়- জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশবিরোধী একটি শক্তি আছে, যত কাজই হোক সেটা তাদের চোখে পড়ে না। আর একটা শ্রেণি আছে যারা বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বদনাম করে। এর বিনিময়ে আর্থিক সুবিধাও পায়। বাংলাদেশের উন্নতি তাদের চোখেই পড়ে না। এ সময় তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করেন।
পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী র্যাবের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিছু লোক উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান জানিয়েছেন, র্যাবের ওপর যখন নিষেধাজ্ঞা আসে তখন অনেকেই ঘাবড়ে গিয়েছিল, তবে তিনি বলেছেন, ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
আজ ১৯ মার্চ রবিবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দফতরে র্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দরবারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০৪ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। তবে পবিত্র রমজান মাসের কারণে এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ১৯ মার্চ এগিয়ে আনা হয়েছে। সংস্থাটির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে আজ। র্যাবের এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান হলো- ‘নিরাপত্তা রক্ষায় গণমানুষের আস্থায়’।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি দেশ র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। অনেকে তখন ঘাবড়ে গিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্রথমে সবাই বোধহয় মন খারাপ করেছিল। তবে এখন আর চিন্তা নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অপপ্রচার চালিয়ে একটি বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। কোন উদ্দেশে তারা এটা করেছে সেটাও বের করতে হবে।’
র্যাবের কেউ অপরাধ করে পার পাবে না জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি যেহেতু সরকারে আছি কে ভালো করছে, কে মন্দ করছে সেটা আমি দেখব। কেউ অপরাধ করলে অবশ্যই শাস্তি পাবে। পরের কথা শুনে কেউ মন খারাপ করবেন না। আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে।’
র্যাবকে শান্তি, নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস নির্মূলসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই র্যাবের বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে।
বিএনপি দেশকে জঙ্গিবাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে র্যাব বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজান ছাড়া জঙ্গিরা তেমন কোনো ঘটনা ঘটাতে পারেনি। এক্ষেত্রে র্যাবের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তিনি।
কিশোর গ্যাং দমনে র্যাবকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া মাদক নির্মূলে র্যাবের ভূমিকাও উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, মাদকাসক্তি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ধনিক শ্রেণি থেকে শুরু করে দরিদ্র পর্যন্ত সবখানে এর প্রভাব। একটা পরিবারে একজন মাদকাসক্ত থাকলে অশান্তির কোনো সীমা থাকে না। র্যাব মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালাচ্ছে তাকে সামাজিক আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। সবাইকে মাদক নির্মূলে আরও সক্রিয় হতে হবে।
এ সময় তিনি ভেজালবিরোধী অভিযানে র্যাবের সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, রমজান মাস এলেই যেন কিছু মানুষের মুনাফার অভিলাস জাগে। অথচ এই মাস হলো কৃচ্ছ্বতার মাস। আরেকটি হলো খাদ্যে ভেজাল দেওয়া। এই বিষয়গুলো প্রতিরোধেও র্যাব ভূমিকা রাখছে।