চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ২৪ মে বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তর হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ফ্রিজে কাঁচা এবং রান্না করা খাবার একসাথে রাখাসহ নানা অভিযোগে ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা জানান, মিরপুর বাজারে অভিযানকালে ফ্রিজে রান্না করা এবং কাঁচা খাবার একসাথে রাখা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সরবরাহের অভিযোগে যমুনা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার, খাবারে রং মিশ্রণের অপরাধে লোকনাথ সুইটমিটকে ৫ হাজার, বিশ্বজিৎ চা ক্যান্টিনকে ৪ হাজার, মূল্য তালিকা না থাকায় মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়কে ৩ হাজার ও আলমগীর পোল্ট্রিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন বাহুবল মডেল থানার একদল পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃত ডাকাতরা রাজশাহী ও রংপুরের আলোচিত একটি ডাকাতির সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতাররা হচ্ছেন, বাগেরহোট সদর উপজেলার পাতিলাখালী এলাকার নূর মোহাম্মাদের ছেলে জালাল শেখ (৫৭), একই এলাকার আবুল কালাম শেখের ছেলে কাদের শেখ (২৮), যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধনিরগাতী এলাকার মোতালেবের ছেলে কামরুল ইসলাম (৪০), একই জেলার কোতায়ালী উপজেলার হামিদপুর এলাকার মোকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইকতিয়ার বিশ্বাস (৪২), ও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুন্দসী এলাকার ধলা গাজীর ছেলে জাকির গাজী (২৮)।
আজ ১২ আগস্ট শনিবার দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপার আরিফুল হক প্রেস বিফিংএ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল, গুলিসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম এবং পূর্বে ডাকাতি করে আনা মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গত ২৫ জুলাই রাজশাহীতে স্টোর ভেঙে ডাকাতি ও রংপুরের একটি আলোচিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে রাজশাহী ও রংপুরে ডাকাতি ছাড়াও অন্য কোথায় কোথায় ডাকাতি করেছে তা জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আমি যতদুুর এই মামলার কাগজপত্র দেখেছি। সেখান থেকে আমি বলতে পারবো বিচারিক আদালতে সুষ্ঠুভাবে আইনের যে ধারা আছে সে ধারা অনুযায়ী বিচার হয়েছে। আমি এর থেকে কিছু বলবো না। তার কারণ হচ্ছে, যিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি নিশ্চয় আপিল করবেন। সেখানে কোন প্রভাব করুক সেটা আমি চাই না। ড. মোহাম্মদের ইউনুছের মামলায় আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে, ১২ জন মার্কিন সিনেটরদের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন। আজ ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয় আনার ব্যাপারে সরকার বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যারা বাংলাদেশের আদালত দ্বারা সাজাপ্রাপ্ত এবং অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ করে যারা সাজাপ্রাপ্ত তাদের সকলকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিব। উদ্যোগ যেটা আছে সেটাকে আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করবো।
সরকার পরিকল্পিত ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আনিসুল হক বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই সংসদের অধিবেশনেই শ্রম আইন পাশ হবে বলে তিনি জানান।
নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক গণসংবর্ধনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২দিনের সফরে সকালে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এসময় আওয়ামীলী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকমী আখাউডড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে মন্ত্রীকে স্বাগত জানায়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. রাসেদুল কাওছার জীবন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কসবা-আখাউড়া সংসদীয় এলাকা থেকে টানা তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এবং টানা তিন বার আইনমন্ত্রী হওয়ায় শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে গণ সংবর্ধনা দিবে উপজেলা আওয়ামীলীগ। এর আগে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে আনিসুল হক এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছোট একটি চায়ের দোকানের মাসিক বিদ্যুৎ বিল হঠাৎই দাঁড়াল ৩ লাখ ১ হাজার ৭৪৬ টাকা! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুর বাজারে। দোকান মালিক অপূর্ব কুন্ডু এ বিল হাতে পেয়ে হতবাক হয়ে পড়েন। অপূর্ব কুন্ডু জানান, বহু বছর ধরে লখপুর বাজারে ছোট এই চায়ের দোকান চালাচ্ছেন তিনি। দোকানে রয়েছে মাত্র দুইটি বাল্ব, একটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ। আগে নিয়মিত মাসে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিল আসত। গত মাসে অতিরিক্ত ১ হাজার ৮৭৬ টাকা বিল এসেছিল, যা ফকিরহাট জোনাল অফিস সংশোধন করে ৩১৬ টাকা করে দেয়। কিন্তু চলতি মাসে বিল হাতে পেয়ে দেখা যায় অবিশ্বাস্যভাবে ৩ লাখ ১ হাজার ৭৪৬ টাকা করা হয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা এসে বিলটি নিয়ে যান।
ফকিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহা ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনন্দ কুমার কুন্ডু বলেন, বিলিং সহকারীর ভুলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে ভুল সংশোধন করে অপূর্ব কুন্ডুর কাছে ৩১০ টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিলিং সহকারীকে শোকজ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে একইভাবে বাগেরহাট সদর উপজেলার বৈটপুর গ্রামের চা দোকানি তাইজুল ইসলাম-এর নামে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকার বিল করা হয়েছিল। অথচ তার প্রকৃত বিল ছিল মাত্র ১৬২ টাকা।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী বছর হজে যেতে সরকারিভাবে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত সাশ্রয়ী প্যাকেজ অনুযায়ী খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৪২ টাকা। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর চলতি বছরের চেয়ে এক লাখ ৫৯৮ টাকা কম খরচ হবে। অন্য প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার /৬৮০ টাকা। এবার সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ হয়েছিল। বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ছিল ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। এবার বিশেষ প্যাকেজ থাকছে না।
আজ ৩০ অক্টোবর বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘হজ প্যাকেজ-২০২৫’ ঘোষণা করেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, সাধারণ হজ প্যাকেজ ১ এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। সাধারণ হজ প্যাকেজ ২ এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। গতবারের তুলনায় ১ লাখ ৯ হাজার ১৪৫ টাকা কমে সরকারিভাবে সাধারণ হজ প্যাকেজের ১ এর মূল্য ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২শ ৪২ টাকা নির্ধারণ। হজ ব্যববস্থাপনায় যুক্ত নয় এমন কাউকে সরকারি টাকায় হজে নেয়া হবে না। হজের দুটি প্যাকেজের একটি পবিত্র কাবা শরিফ থেকে এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে যারা থাকবেন তাদের জন্য, আরেকটি কাবা শরিফের আড়াই থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে যারা থাকবেন তাদের জন্য। দুটি প্যাকেজেই গত বছরের চেয়ে খরচ কমেছে। ধর্মমন্ত্রণালয় জানায়, মক্কার হারাম শরিফ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে আজিজিয়া নামক স্থানের সঙ্গে মিল রেখে প্যাকেজের নাম ‘আজিজিয়া’ রাখা হচ্ছে। ২০২০ সালে তৎকালীন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত শেখ মো. আবদুল্লাহ এ প্যাকেজ চালুর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু করোনার কারণে তা আটকে যায়। দুবছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে পুনরায় হজ চালু হলে এটি নিয়ে আর তেমন আলোচনা হয়নি। কিন্তু ২০২৩ সালে হজের খরচ দেড় লাখ টাকা বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে এ প্যাকেজ চালুর উদ্যোগ নেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। কিন্তু নানা কারণে সে বছর এটি বাস্তবায়িত হয়নি। এবার সেই প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। উল্লেখ্য, আগামী বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। সএর আগে ২০২৪ সালের সাধারণ প্যাকেজের জন্য খরচ নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা, আর বিশেষ প্যাকেজের জন্য ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বিমানের ভাড়া ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা, এটি সরকারি ব্যবস্থাপনার চেয়ে ১০ হাজার ৯৬০ টাকা বেশি। ৩০ থেকে ৪৮ দিনের হজ প্যাকেজের আওতায় মদিনায় ৫-৮ দিন অবস্থান করেছিলেন হজযাত্রীরা।
২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের কোটা থাকলেও হজে গিয়েছেন মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী। চলতি বছরে ৬৫ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে; যার মধ্যে পুরুষ ৫২ এবং মহিলা ১৩ জন। মক্কায় ৫১, মদিনায় ৫, মিনায় ৭, জেদ্দায় দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৭ জুন শনিবার পবিত্র ঈদুল আযহা। বাঙালি সমাজে কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত মুসলমানদের এই অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর করে আসছে।
ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। ঈদুল আযহার সাথে পবিত্র হজের সম্পর্ক রয়েছে। গতকাল শুক্রবার মক্কার অদূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় হজ পালন করবে। স্থানীয় হিজরি মাস গণনা অনুযায়ী ৬ জুন শুক্রবার সৌদি আরবে ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। সকালে মুজদালিফা থেকে ফিরে হাজীরা মিনায় অবস্থান করে পশু কোরবানিসহ হজের অন্য কার্যাদি সম্পাদন করবেন।
ঈদুল আযহা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইলের (আ.) সঙ্গে সম্পর্কিত। হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল হজরত ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা। তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইসলামে বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে ভেবে যখন জবেহ সম্পন্ন করেন তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে।
সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই হজরত ইব্রাহিমের (আ.) সুন্নত হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামী শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব।
ইসলামে কোরবানি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে সুরা কাউসারে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, ‘অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন।’ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ঈদুল আযহার দিন কোরবানির চেয়ে আর কোনো কাজ আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয় নয়।’ গরু, মহিষ, উট, ভেড়া, ছাগল, দুম্বাসহ যে কোনো হালাল পশু দিয়ে কোরবানি দেয়া যায়।
শনিবার সকালে মুসল্লিরা নিকটস্থ ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনি-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।