চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাগবিতণ্ডার জেরে ইকরাম মিয়া (৩০) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ ২৪ মে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের মুন্সেফপাড়ায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য রেদোয়ান আনসারী রিমোর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইকরাম মিয়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শহরের মুন্সেফপাড়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেদোয়ান আনসারী রিমোর বাসায় আসা যাওয়া ছিল ইকরাম মিয়ার। আজ সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে মোটর সাইকেলের চাবি নিয়ে রিমোর মামাতো ভাই রায়হানের সঙ্গে ইকরামের বাগবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে রায়হান ছুরিকাঘাত করেন ইকরামকে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে জেলা বিএনপির সম্মেলন করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে একাংশের নেতাকর্মীরা। ত্যাগী ও নির্যাতিত এবং বিএনপির মূল ধারার নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সম্মেলন করতে দেয়া হবে না। ২৬ জানুয়ারি রোববার রাতে সম্মেলনের প্রতিবাদে আয়োজিত মশাল মিছিল থেকে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। মশাল মিছিলটি শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকা থেকে বের হয়ে কালিবাড়ি মোড়, টিএরোড, কোর্ট রোড, কুমারশীল মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে লোকনাথ টেংকের পাড় মাঠ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবিএম মমিনুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ আলী আজম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধক্ষ্য জসীম উদ্দিন রিপন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বিএনপি নেতা মোঃ নিয়ামুল হক, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি রাশেদ কবির আকন্দ প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দেলন সংগ্রামে যারা কারা নির্যাতিত হয়ে পরিবার পরিজন হারিয়েছে, শত ত্যাগ তিতিক্ষা শিকার করেছে তাদের বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি প্রহসনের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মূলত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিএনপির লেবাসধারী কবির আহমেদ ভূইয়ার কুট কৌশলে একটি মহল এ সম্মেলনের আয়োজন করতে চাচ্ছে। বক্তারা বলেন, বিএনপির মূলধারাকে পাশ কাটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে সম্মেলন করতে দেয়া হবে না। সম্মেলন স্থগিত না করা পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে সম্মেলন প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
মশাল মিছিলে জেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা ছাড়াও জেলা যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর ও ১৮ জানুয়ারি জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একপক্ষ সম্মেলন সকলের প্রস্তুতি নিলেও অপর পক্ষের বিরোধিতার জন্য দুটি তারিখই পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
চলারপথে রিপোর্ট :
খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাজীপাড়া দরগা মহল্লা (পশ্চিমপাড়া) ঘরোয়া লীগ ফুটবল খেলা উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৮ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ১ যুগ পুর্তি উপলক্ষে জেলা ঈদগাহ মাঠে খেলাটি আয়োজন করেন কাজীপাড়া শৈশব গ্রুপ।
এতে কাজীপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোঃ কিতাব আলী সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাজীপাড়া ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাংবাদিক মীর মোঃ শাহীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কাজীপাড়া বিশিষ্ট সরদার শেখ জামাল, সরদার আফরোজ শাহ প্রমুখ।
খেলাটি সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মোঃ মোস্তাক মিয়া। উদ্বোধনীয় খেলায় শৈশব সাদা দল বনাম শৈশব নীল দল অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাগেজ থেকে উদ্ধার মাথা ও দুই পা বিহীন তরুণীর মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়নি গত দুদিনেও। মরদেহটি উদ্ধারের পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলাতে পারেনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সিআইডির পৃথক দুটি দল। মরদেহের পরিচয়, খণ্ডিত মাথা ও দুই পা উদ্ধার এবং হত্যাকারীকে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা পুলিশের সবকটি ইউনিট।
এদিকে, ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্ধার হওয়া মরদেহটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গের হিমাগারে রাখা হয়েছে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দীপঙ্কর ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মরদেহের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হয়েছে। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হতে ভেজাইনাল সোয়াব সংগ্রহ করে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহ খণ্ডিত করতে প্রথমে দা ও পরে ধারালো মেশিন জাতীয় কিছু ব্যবহৃত হয়েছে। কারণ একটি পা কাটা অংশের হাড় কিছুটা আঁকাবাঁকা আছে। তবে আরেকটি পা এবং গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা অংশের হাড় সমান, নিখুঁতভাবে কাটা।’
লাল একটি লাগেজে মাথা ও দুই পা বিহীন মরদেহটি উদ্ধারের পর থেকেই জেলাজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের আগে এক যুবককে লাল লাগেজ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে ওই যুবককে কেউ চিনতে পারেননি।
গত শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত খণ্ডিত মরদেহটির পরিচয় মেলেনি। এর খণ্ডিত মাথা ও দুই পা উদ্ধার করা যায়নি। লাল লাগেজ নিয়ে ঘোরাঘুরি করা ছেলেটিকে খোঁজা হচ্ছে।
এর আগে ৩১ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের পুকুরপাড় থেকে একটি লাল লাগেজে মাথা-দুই পা বিহীন একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাতনামা (৮৫) এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাসপাতাল ও পুলিশের তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি নজরুল নামের একব্যক্তি অজ্ঞাত বৃদ্ধকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। প্রায়ই ১০ দিন চিকিৎসার পর ওই অজ্ঞাত বৃদ্ধ বুধবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত বৃদ্ধ মারা গেছে। বৃদ্ধের পরিবারের কোনো খোঁজখবর মেলেনি।
তিনি আরো জানান, ওই বৃদ্ধের লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে। অজ্ঞাত বৃদ্ধের পরিচয় শনাক্ত না হলে লাশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর দাফন করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক সেবন করে সড়কে অশ্লীল আচরণ ও মাতলামি করার অপরাধে সাত যুবককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২৪ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের দারমা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাদের এ সাজা দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন।
অভিযানে ছোট বাকাইল গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে রুবেলকে একমাস, মজলিশপুরের সুরুজ আলীর ছেলে নুরুল ইসলামকে তিনমাস, দারমা গ্রামের শনি মিয়ার ছেলে শামসু মিয়াকে একমাস, একই গ্রামের আবুল ফারুকের ছেলে দুলাল মিয়াকে ১৫ দিন, আব্দুল মালেকের ছেলে হেফিল মিয়াকে তিনমাস, রফিকুল ইসলামের ছেলে মনিরকে দুইমাস ও সোহরাব মিয়া নামের একজনকে একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন বলেন, সম্প্রতি মজলিশপুর গ্রামে মাদকসেবীদের উৎপাত বেড়েছে। এর প্রভাবে চুরিসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। মাদক সেবন করে মাতলামি ও অশ্লীল আচরণ করায় সাতজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।