অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় নির্মিত এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের (১৩২০ মেগাওয়াট) এক নম্বর ইউনিটে উৎপাদিত ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টা থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এদিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ২১০ মেগাওয়াট (নেট) বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট সুত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের এক নম্বর ইউনিট থেকে ১ মেগাওয়াট দিয়ে সরবরাহ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ তা ১০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। এবং রাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেয় জাতীয় গ্রিড সঞ্চালন কর্তৃপক্ষ তথা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ- পিজিসিবি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ ইউনিট জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের এনএল ডিসির নির্দেশ ও চাহিদা অনুসারে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এ ছাড়া উক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিটের কমিশনিং কার্যক্রম চলমান আছে। এদিকে শীঘ্রই দুই নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। এদিকে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি দুপুর ১টা ৫৬ মিনিটে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি জাতীয় গ্রিডের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
এ বিষয়ে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল) প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান বলেন, ‘বুধবার দুপুর ২টা থেকে পিজিসিবি জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ নেওয়া শুরু করে। ১ মেগাওয়াট দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও ধীরে ধীরে উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়তে থাকে। রাতে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেবে পিজিসিবি। যদিও ১ নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ।’
এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক ফারুক আহমদ বলেন, ‘এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কারণে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা নেই। এই প্রযুক্তিতে কম কয়লা পুড়িয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। বাংলাদেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও এসএস পাওয়ারের মধ্যে চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বলা হয়, ২৫ বছর ধরে পিডিবি এই কেন্দ্রে উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ কিনবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২.৫০৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ঋণের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১.৭৮২ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ইকুইটির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৭২৪.৬৭৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এস আলম গ্রুপের (৭০%) এবং চীনের সেপকো থ্রি’র (৩০%) যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের কুর্নফুলী গ্যাস লাইনের পাইপ লাইনের কর্মরত ৩ শ্রমিক লরি চাপায় নিহত হয়েছেন। এতে আরেকজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে।
আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মিরসরাই সদর ইউনিয়নের বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, পাবনা জেলার সুজানগর থানার সৌখেতু পাড়ার আবুল কালামের ছেলে মো. আলম (৫০), একই থানার রায়পুর এলাকার মালেক বেপারির ছেলে মো. শফিক (৪৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার আন্দিদিল এলাকার হুমায়ন কবিরের ছেলে মাসুদ মিয়া ( ৩৫)। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন মো. মাজেদ (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীর পাইপ লাইনে কর্মরত শ্রমিক মো. সোহেল রানা জানান, তারা সবাই নাস্তা করে কাজে জাইতেছিলো। নিহতরা মহাসড়কে তাদের থেকে কিছুদূরে ছিলো। পেছন থেকে একটি লরি গাড়ি এসে ধাক্কা দিলে সড়কে তাদের ৩ জনের মৃত্যু হয়। আরেকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গাড়ির চালক গুমে ছিলো। না হলে এমন দূর্ঘটনা হতো না বলে তিনি জানান।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, আমরা লরি গাড়িটি আটক করেছে। নিহতদের লাশ থানা আছে। আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে ওসি জানান।
চলারপথে ডেস্ক :
সব প্রকার বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমতা ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না, নর-নারী-শিশু হত্যা আমাদের তীব্রভাবে ব্যথিত করে। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই শান্তি বিরাজমান থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শান্তির নীতি অনুসরণ করি।’
তিনি সব প্রকার বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমতা ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।
২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করে। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তিনি স্মরণ করেন একাত্তরের ২৫ মার্চের কালরাতে আত্মোৎসর্গকারী সব শহিদদের, যাদের তাজা রক্তের শপথ বীর বাঙালিদের অস্ত্রধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছর ধরে শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার প্রয়াসে সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন। সেই থেকে ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর একুশ দফা, ’৬২-এর আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সব আন্দোলন সংগ্রামে অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন।
তিনি ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এদেশটির নাম হবে পূর্ব-পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশ’। তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছিলেন এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পুরো জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ’৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাক-সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে। বৈঠকের মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে তারা নিরস্ত্র বাঙালি নিধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন; ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন এবং ১৫ মার্চ থেকে ৩৫ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ সারা পূর্ব-বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সব প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তার আদিষ্ট পথেই পরিচালিত হতে থাকে। বাংলাদেশে ইয়াহিয়ার শাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। ইয়াহিয়া-ভুট্টো বারবার সমঝোতার প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অটল থাকেন। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সারা দেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাংক নিয়ে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিচালনা করে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, বাঙালি পুলিশ ও সামরিক সদস্যদের হত্যা করতে থাকে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে। এর অব্যবহিত পূর্বেই জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান- ‘ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন-চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও’। যা প্রথমে ইপিআর’র ওয়্যারলেসের মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে এই বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানিরা বন্দি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়; এমনকি তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। ১৩ জুন সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যুক্তরাজ্যের একটি পত্রিকার প্রথম পাতায় বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম বর্বরতার বাস্তব চিত্র নির্ভর একটি বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করলে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি ত্বরান্বিত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হয়, ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারায় এবং গোটা দেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর আমরা জাতিসংঘের গণহত্যা বিরোধী কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করি। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শান্তির সংস্কৃতির ওপর রেজুলুশন গ্রহণের প্রস্তাব করি, যা ১৯৯৯ সালে গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তির সংস্কৃতির বর্ষ’ এবং ২০০১-২০১০ সময়কে ‘শান্তির সংস্কৃতি এবং অহিংস দশক’ ঘোষণা করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০০৮ সাল থেকে সব নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে গত ১৪ বছরের বেশি সময় একটানা তাদের ভাগ্যোন্ননের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে।’
তিনি বলেন, আমরা ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছি। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা এড়াতে ভীত-সন্ত্রস্ত ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছি। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমরা ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি: ভবিষ্যত প্রজন্ম এই পরিকল্পনাকে সময়োপযোগী করে বাস্তবায়ন করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
গত এক বছরে একজনও কালো টাকা সাদা করেনি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ ২ জুন শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা জানতে চান, গত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলেও এবারের বাজেটে এ ধরনের কোনো সুযোগ কেন রাখা হয়নি। পরে এ কথা জানান মন্ত্রী।
মুস্তফা কামাল বলেন, গত বছরের বাজেটে বলেছিলাম, কেউ যদি অপ্রত্যাশিত টাকা দেশে নিয়ে আসে, তাহলে সেই টাকার কোনো কর দিতে হবে না। গত বাজেটে এ সুযোগটি দেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রত্যাশিত টাকা বাংলাদেশে আসেনি। তাই এবারের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি।
গত অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, কেউ যদি বিদেশ থেকে অর্থ আনেন, তাহলে ৭ শতাংশ কর দিলেই হবে। আর বিদেশে থাকা স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে না আনলে ওই সম্পদের মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ এবং বিদেশে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে না আনলে এর ওপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে। গত বছরের ১ জুলাই থেকে চলতি মাসের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ এক বছরের জন্য এ সুবিধা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছিল।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব ফাতেমা ইয়াসমিন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।
এর আগে ১ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
পরিমাপে তেল কম দেয়ায় বগুড়া জেলা শহরের স্টেশন রোডের মিতালী ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বগুড়া শহরের স্টেশন রোড এলাকায় গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব মিয়া। তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যায় মিতালী ফিলিং স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দেখা যায় তারা ডিজেল ওজনে কম দিচ্ছেন। ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানকে ২০ হজার টাকা জরিমানা করা হয়। গ্রাহকদের সঙ্গে তারা প্রতারণা করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের ঠকিয়ে আসছেন। প্রতি ১০ লিটারে ০.৩৪ লিটার থেকে ৩৪০ মিলি ডিজেল কম দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে যেন ওজনে কম না দেয়া হয় সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই বগুড়ার পরিদর্শক শাহ আলম পলাশ ও জেলা পুলিশের সদস্যরা।
ডেস্ক রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামীকাল ১৭ ডিসেম্বর রবিবার। এদিন অফিস চলাকালীন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে ইচ্ছুকরা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি। বৈধ প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৮৫ জন।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, ৩৫টি আপিল দায়ের হয়েছিল রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে। আর বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছিল ৫২৫টি। মোট ৫৬০টি আপিল দায়ের হয়েছিল।
গত ছয়দিনে (১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর) আপিল শুনানিতে বাতিল আপিলের বিরুদ্ধে ২৮০টি আবেদন কমিশন মঞ্জুর করেছেন। অর্থাৎ ২৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৩৫টি গ্রহণ আপিল আবেদনের মধ্যে পাঁচটি মঞ্জুর বা পাঁচজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। দুটি আপিল আবেদন খারিজ করা হয়েছে, ২৮টি নামঞ্জুর করা হয়েছে। এই হিসেবে ইসিতে আপিল শুনানি শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৬০জন। তবে এটিই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে হাইকোর্টে দুটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সেখানে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। এতে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে।
তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। এদিন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেও মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমবে। ১৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়েই প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।