অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় নির্মিত এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের (১৩২০ মেগাওয়াট) এক নম্বর ইউনিটে উৎপাদিত ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টা থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এদিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ২১০ মেগাওয়াট (নেট) বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট সুত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের এক নম্বর ইউনিট থেকে ১ মেগাওয়াট দিয়ে সরবরাহ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ তা ১০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। এবং রাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেয় জাতীয় গ্রিড সঞ্চালন কর্তৃপক্ষ তথা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ- পিজিসিবি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ ইউনিট জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের এনএল ডিসির নির্দেশ ও চাহিদা অনুসারে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এ ছাড়া উক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিটের কমিশনিং কার্যক্রম চলমান আছে। এদিকে শীঘ্রই দুই নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। এদিকে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি দুপুর ১টা ৫৬ মিনিটে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি জাতীয় গ্রিডের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
এ বিষয়ে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল) প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান বলেন, ‘বুধবার দুপুর ২টা থেকে পিজিসিবি জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ নেওয়া শুরু করে। ১ মেগাওয়াট দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও ধীরে ধীরে উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়তে থাকে। রাতে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেবে পিজিসিবি। যদিও ১ নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ।’
এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক ফারুক আহমদ বলেন, ‘এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কারণে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা নেই। এই প্রযুক্তিতে কম কয়লা পুড়িয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। বাংলাদেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও এসএস পাওয়ারের মধ্যে চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বলা হয়, ২৫ বছর ধরে পিডিবি এই কেন্দ্রে উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ কিনবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২.৫০৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ঋণের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১.৭৮২ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ইকুইটির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৭২৪.৬৭৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এস আলম গ্রুপের (৭০%) এবং চীনের সেপকো থ্রি’র (৩০%) যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে দুই তরুণ-তরুণীর বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক, তারপর ঘর বাঁধার স্বপ্ন। তবে তাদের মধ্যে বাধা ছিল অনেক। দুই দেশ, ভিন্ন সংস্কৃতি। শেষ পর্যন্ত ভালোবাসারই জয় হয়েছে। তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে সংসার শুরু করেছেন। এ দম্পতি হলেন পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পিয়ারখালী মহল্লার আসাদুজ্জামান রিজু (২৭) ও মার্কিন তরুণী হারলি এবেগেল আইরিন ডেভিডসন (২০)। রিজু কম্পিউটার মেরামত ও ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেন। ডেভিডসনের বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের জর্জটাউন শহরে। সম্প্রতি ঢাকায় আসেন ডেভিডসন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রিজুর পরিবারের সদস্যরা। রিজুর বাড়িতে মুসলিম রীতিতে বিয়ে হয়েছে।
রিজুর বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। ডেভিডসনের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে- জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন, ২০২২ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে ডেভিডসনের সঙ্গে পরিচয়। তখনো জানতাম না তার বাড়ি কোথায়? বছরখানেক ধরে চেনাপরিচয়, বন্ধুত্ব। তারপর ধীরে ধীরে ভালোলাগা, প্রেমের সম্পর্ক। দুজনই তাদের পরিবারের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করেন। দুই পরিবারই সম্মতি দেয়। কিন্তু বাধা ছিল দূরত্ব। ডেভিডসন বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের পর পিয়ারখালী এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন তারা। ভিন্ন পরিবেশে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিচ্ছেন ডেভিডসন। এ সম্পর্কে রিজু বলেন, ডেভিডসন ভালোবেসে বাংলাদেশে এসেছেন। এজন্য তিনি গর্বিত। এ দেশে তার খাবার নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু বাংলা শিখেছেন। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। বাংলাদেশে আসার আগে কিছুটা শঙ্কা ছিল ডেভিডসনের মনে। তিনি বলেন, এ দেশ সম্পর্কে অনেকে খারাপ ধারণা দিয়েছিলেন। এখন দেখি সেসব সত্য নয়। এ দেশ ভালো লাগছে। রিজু ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি খুবই খুশি। বিদেশি হলেও পুত্রবধূকে পেয়ে খুবই খুশি রিজুর বাবা আবদুল লতিফ। তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষ তাদের দেখতে আসছেন। এটা দেখে ভালো লাগছে। ছেলের শ্বশুরবাড়ি দেখার ইচ্ছা হচ্ছে। কিন্তু আদৌ তা সম্ভব হবে কি না জানি না। ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহাক আলী মালিথা বলেন, ‘ওই ছেলেটির বাড়ি পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডে। আমি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম সাবুকে খোঁজখবর নিতে বলি। একই সঙ্গে সব নিরাপত্তার জন্য থানার সঙ্গে কথা বলার নির্দেশও দিই।’ কাউন্সিলর মনিরুল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটি মেয়ের সঙ্গে এলাকার একটি ছেলের বিয়ে হয়েছে খবর পেয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। তাদের ভালোবাসার গল্প শুনে ভালো লাগল। ওই তরুণীর যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণের জন্যই বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো বিষাক্ত নয়, বরং বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণের জন্যই বিরামহীনভাবে কাজ করে আসছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাস্যকর ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে ওবায়দুল কাদের আজ ৫ মে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী নিষ্ঠুর স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্র কাঠামোকে বিষাক্ত করে গেছে এবং তার প্রতিক্রিয়া ও ক্ষত এখনও সমাজ-রাষ্ট্র বয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতির নামে রাষ্ট্র কাঠামোর সর্বত্রই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী আদর্শ এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিষ্ঠিত ও লালন-পালন করেছে। সময়ের সাথে সাথে বিএনপি একটি বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সেই বিষবৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন করে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ নিরাপদ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ এই জনপদের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপ্রদর্শক। সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার পর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন শুধু নয়, এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য যে সরকার আইনগত বৈধতা ও স্বীকৃতি অর্জন করে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার বন্দরে পৌঁছে দিয়েছিল, সেই সরকার ছিল ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের জনপ্রনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত সরকার তথা আওয়ামী লীগ সরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের সংগঠন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার হিসাব তুলতে গিয়ে নিজের স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানকেই সুস্পষ্ট করেছেন। ব্যক্তি স্বার্থে ও ক্ষমতার লোভে আদর্শচ্যুত কতিপয় দালাল, খুনি ও স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠীকে নিয়ে গঠিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের আওয়ামী লীগ সম্পর্কে এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য তাদের স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন যে স্বাধীনতা, তার ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস; মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস; এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে যদি কেউ আওয়ামী লীগকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় তাহলে তারাই এ দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের প্রতি শতভাগ নিষ্ঠা রেখে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণই আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বিভেদের কথা বলছেন! এতে আমাদের আফসোস হয়। জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলার হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ যুদ্ধ করে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। জাতির পিতাকে হত্যার পর খুনি-ঘাতকচক্র স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পবিত্র চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রাজনৈতিক বৈধতা দিয়ে বিভেদের গোড়াপত্তন করেছিল সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতা বিরোধী, বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র, ভুঁইফোঁড়, দালাল রাজনীতিবিদ ও কালোবাজারীদের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম হিসেবে সৃষ্টি হয় বিএনপি। তখন এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা তখন নিজেদের পরিচয় দিতেও ভয় পেত। তথাকথিত সেনা অভ্যুত্থানের মিথ্যা অভিযোগে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর শত শত মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসার এবং শত শত মুক্তিযোদ্ধা সৈনিককে ফাঁসি দিয়ে ও ফায়ারিং স্কোয়াডে নৃসংশভাবে হত্যা করে জিয়াউর রহমান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপির মুখম-লে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতনের কলঙ্কের কালিমা রয়েছে। সেই কলঙ্কের কালিমা এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সঙ্গে তাদের সহ-অবস্থানের ঘটনা আড়াল করতেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন।
সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
সাভারের আশুলিয়ায় ডাকাতের গুলিতে একটি কারখানার এক সিকিউরিটি গার্ড নিহত হয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের মারধরে আহত হয়েছেন আরো একজন। নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম আব্দুল কাদের (৫৮)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বাসিন্দা।
আজ ১৪ জানুয়ারি রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়ার কুটুরিয়া উত্তরপাড়া এলাকার আমির দেওয়ানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
কুটুরিয়া এলাকার একটি কারখানায় নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তারা মাথা ও গলাসহ বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় ফারুক দেওয়ান বলেন, মজিবর দেওয়ানের ভাই আমির দেওয়ানের বাড়ির পেছনের গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাত দলের তিন সদস্য। পরে আমির দেওয়ান ও ডাকাতের মধ্যে ধস্তা ধস্তি হয়। এ সময় আমিরের ভাই মজিবর বুঝতে পেরে চিৎকার করলে তার ছেলে জানালা দিয়ে ডাকাতদের দেখতে পায়। এ সময় শটগান দিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে মজিবরের ছেলে। ডাকাতরাও গুলি ছোড়ে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হলে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে চিৎকার দিয়ে ও বাড়ির দিকে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, যাওয়ার সময় মামুন দেওয়ানের বাড়ির সামনে ওই নিরাপত্তাকর্মীকে দেখে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। এ সময় নিরাপত্তাকর্মী আহত হলে তাকে সাভার এনাম মেডিক্যালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিলে তিনি মারা যান।
আশুলিয়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বাড়িওয়ালা ও ডাকাতের মধ্যে ধস্তাধস্তির পর গুলি বিনিময় হয়। ডাকাতির বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে আশুলিয়ার থানা পুলিশ।
আশুলিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ১৫ মার্চ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ জ্বালানি, ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী’।
১৯৬২ সালের ১৫ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির উদ্যোগে মার্কিন কংগ্রেসে ক্রেতা-ভোক্তার স্বার্থে চারটি অধিকার স্বীকৃতি লাভ করে। মার্কিন কংগ্রেসে ক্রেতা-ভোক্তা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির ঐতিহাসিক দিনটি স্মরণে প্রতিবছর ১৫ মার্চ পালিত হয় বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস।
১৯৮৫ সালে জাতিসংঘের মাধ্যমে জাতিসংঘ ভোক্তা অধিকার রক্ষার নীতিমালায় কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরো আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করা হয়।
বিশ্বজুড়ে ১১৫টি দেশে ২২০টি ভোক্তা অধিকার সংগঠন দিবসটি পালন করে থাকে।
রংপুর প্রতিনিধি :
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মোঃ আবু সাঈদকে মৃত্যুদন্ডসহ অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোঃ আলী আহমেদ এ রায় দেন। আসামি সাঈদ জামিনে মুক্ত থাকার পর বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলার আজিমুদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদের সাথে বিয়ে হয় একই উপজেলার অনন্তরামপুর গ্রামের তাজিম উদ্দিনের মেয়ে তানজিনা খাতুনের। তানজিনা ছিল আবু সাঈদের ১৭ নম্বর স্ত্রী। বিয়ের পর থেকে তানজিনার কাছে সাঈদ যৌতুকের টাকা দাবী করে আসছিল। এরই মধ্যে সাঈদ ১৮তম স্ত্রী হিসেবে তাছকিরা বেগমকে বিয়ে করে। ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ১৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে সাঈদ তার নব-বিবাহিত স্ত্রী তাছকিরা বেগমের সহযোগিতা তানজিনাকে পিটিয়ে হত্যা করে এবং লাশ পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে।
এ ঘটনার পরদিন ৯ তানজিনার বাবা তাজিম বাদী হয় পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ১৩ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। এরই মধ্যে আবু সাঈদ জামিন পেলে ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে পলাতক রয়েছে। সাঈদের ১৮তম স্ত্রী তাছকিরাও জামিনে মুক্ত হওয়ার পর ২০১৪ সালের ১৮ মে থেকে পলাতক রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিচার কার্যক্রম শেষে আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার আবু সাঈদকে মৃত্যুদন্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন। অর্থদন্ড পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরও এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এ হত্যার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় মামলার অপর আসামী তাছকিরা বেগমকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আদালতের পিপি তাজিবুর রহমান লাইজু বলেন, আদালতে রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা ন্যায়বিচার পেয়েছে।