অনলাইন ডেস্ক :
নাইজেরিয়ার নাগরিক চার্লস ইফেন্ডে উদজুয় ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে আসেন ২০১৯ সালে। কিছুদিন পর একটি মাদক মামলায় তার পাসপোর্ট জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর পলাতক অবস্থায় কাপড় কিনে নাইজেরিয়ায় রপ্তানি করে আসছিলেন তিনি। ব্যবসার আড়ালে একটি প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। ২০২১ সালে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে এসে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করা নাইজেরিয়ার আরেক নাগরিক ফ্র্যাংক কোকো ওবিরক্স ছিলেন তার প্রধান সহযোগী।
ওই দুই নাইজেরীয়সহ এ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধরা আবাসিক ও কদমতলীর শামীমবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নিজেদের একটি উন্নত দেশের ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী ও উচ্চবিত্তদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াত চক্রটি। এরপর ভুক্তভোগীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও সম্পর্ক গভীর করতে নাটক সাজাত তারা। পরে তারাই কাস্টমস কর্মকর্তা সেজে ভুক্তভোগীকে ফোন করে পার্সেল গ্রহণের জন্য ধাপে ধাপে টাকা নিয়ে আত্মগোপন করত।
তিনি আরো জানান, গত ১৭ মে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে এক নারীর ঠিকানায় একটি পার্সেল পাঠায় চক্রটি। পরদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয়ে এক নারী জানায়, তার নামে একটি মূল্যবান পার্সেল বিমানবন্দরে এসেছে। পার্সেল ডেলিভারি করতে কাস্টমস চার্জ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরপর ওই নারীর কাছ থেকে তিন ধাপে ৭৩ হাজার ৩২০ টাকা নেয় চক্রটি। পরে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে ওই নারী থানায় অভিযোগ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের (ব্রি) অধীনে পরিচালিত ’যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ (SFMRA) প্রকল্পের অর্থায়নে উন্নয়নকৃত ব্রি হেড-ফিড কম্বাইন হারভেস্টারের প্রথম প্রটোটাইপের মাঠ পরীক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সিলেটের খাদিমনগরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কৃষি খামারে সোমবার এই মাঠ পরীক্ষণ সম্পন্ন হয়। মাঠ পরীক্ষণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া এবং অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মো: মাহবুবুল হক পাটোয়োরী এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।
ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে আলীম ইন্ডাস্ট্রিজের কারিগরী সহযোগিতায় দেশে এই প্রথম আন্তর্জাতিকমানের দেশীয় উপযোগী ব্রি হেড ফিড কম্বাইন হারভেস্টারটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এই যন্ত্রটি উন্নয়ন/উদ্ভাবন গ্রুপের প্রধান গবেষক ছিলেন এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও ব্রি’র খামার যন্ত্রপাতি ও ফলনোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম, সহযোগী গবেষক ছিলেন একই বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান পিন্টু ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরাফাত উল্লাহ খান।
এই কৃষিযন্ত্রটি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের কৃষকরা একই সাথে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দী করতে সক্ষম হবেন। প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে এই যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তারা তাদের সময়, শ্রম ও অর্থ সাশ্রয় করতে পারবেন। হেড ফিড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটলে খড়ের কোন ক্ষতি হবে না, খড় আস্ত থাকবে। আমাদের দেশের কৃষকরা যারা পশুপালন করেন তাদের কাছে পশুর খাদ্য হিসেবে খড়ের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যেসব অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পশুপালন করা হয় সেখানে শুকনো খড়ের রয়েছে বিশেষ চাহিদা। তাছাড়া কৃষকরা জ্বালানী, কাঁচা ঘরের ছই দেয়া, বীজ জাগ দেয়াসহ নানা কাজে খড় ব্যবহার করেন। তাই ধানের খড় সংরক্ষণ করাও অত্যন্ত জরুরি যা এই যন্ত্রের একটি বাড়তি সুবিধা বলে বিবেচিত হবে।
মাঠ পরীক্ষণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ও এই যন্ত্রের মূখ্য গবেষক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলীমুল এহছান চৌধুরী, প্রোডাকশন ম্যানেজার মাহবুব হাছান, ব্রি’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরাফাত উল্লাহ খান, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গবেষণা কর্মকর্তা শ্যামল দেবনাথ ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করণ, আন্তঃনগর বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি ও বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ শহরের লোডশেডিং ও যানজট সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য-এর সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সুধী সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, দৈনিক সমকাল এর স্টাফ রিপোর্টার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আওলাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মৃধা, কমরেড নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, সাংবাদিক মোশারফ হোসেন বেলাল।
আবরণী নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ-এর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ ওয়াকার, সাফির উদ্দিন চৌধুরী রনি, আরমান উদ্দিন পলাশ, সমাজকর্মী আশিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বক্তাগণ বলেন, জেলা নাগরিক ফোরাম দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল দুর্দশা লাগাবে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নাগরিক ফোরামের গণদাবি দাবিগুলো পূরণ করবেন বলে নানা সময়ে আশ্বাস প্রদান করলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ফলে লক্ষ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা-চট্টগ্রাম সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
বক্তাগণ এই সমস্ত ভোগান্তি থেকে লাঘবে অতি দ্রুত ট্রেন সমস্যার সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
বক্তাগণ এসময় জেলা শহরে সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র যানজট ও লোডশেডিং সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
চলারপথে ডেস্ক :
বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে। এর আওতায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাইপূর্বক ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে ১ মার্চ বুধবার।
তিনটি সেবার মধ্যে রয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটিং, টিকিট চেকিং ব্যবস্থায় পস (পয়েন্ট অব সেলস) মেশিনের প্রবর্তন এবং অনলাইনের মাধ্যমে কেনা টিকিট অনলাইনেই ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা।
রেল কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এতে কমবে টিকিট কালোবাজারি এবং যাত্রীদের ভোগান্তি। রেলওয়ে সূত্র বলছে, যাত্রীসেবা বাড়াতে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ শীর্ষক স্লোগানকে সামনে রেখে ও বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে টিকিটিং ব্যবস্থায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে।
১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং ব্যবস্থায় সাতটি শর্ত জুড়ে যাচ্ছে।
১। ১২-১৮ বছর বয়সী যাত্রীরা পিতা বা মাতার নাম ও এনআইডি দ্বারা নিবন্ধনকৃত রেলওয়ে অ্যাকাউন্ট অথবা জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে এবং জন্মনিবন্ধন সনদ আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধনকৃত অ্যাকাউন্ট দিয়ে পৃথক/এককভাবে টিকিট কিনতে পারবে। এরূপ ক্ষেত্রে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত নামের সঙ্গে যাত্রীর সম্পর্ক যাচাইয়ের জন্য ভ্রমণকালে বাধ্যতামূলকভাবে জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে।
২। বিদেশি নাগরিকেরা পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে এবং পাসপোর্টের ছবি আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।
৩। সফলভাবে এনআইডি/ পাসপোর্ট/ জন্মনিবন্ধন যাচাইপূর্বক নিবন্ধন ব্যতিত কোনো যাত্রী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন না।
৪। ভ্রমণকালে যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট/ ছবি সম্বলিত আইডি কার্ড সাথে রাখতে হবে।
৫। পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত যাত্রীর তথ্য না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৬। যাত্রীরা ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন/ পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের সিস্টেমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
৭। দেশের বিভাগীয় শহরের রেলস্টেশন ও আন্তঃনগর ট্রেনের প্রারম্ভিক স্টেশনসমূহে সর্বসাধারণের নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য একটি করে হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হবে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রেলভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মো: আব্দুর রাজ্জাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
অনলাইন ডেস্ক :
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। আজ ৬ জুন মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরমধ্যে দিয়ে এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো।
মামলায় অন্য তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
মঙ্গলবার সকালে শ্রম আদালতে হাজির হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন বিচারক।
পরে ড. ইউনূস উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ বলেন, মামলার পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এখন পর্যন্ত তারিখ পাওয়া যায়নি। এটা পরে জানানো হবে।
তিনি বলেন, এ মামলায় ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আমরা আদেশ পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
একই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল করা হলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছর ১৭ আগস্ট সেই রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর ড. ইউনূস আপিল আবেদন করেন। গত ৮ মে ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।