চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় সড়কের ওপর পড়ে থাকা একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা তল্লাশি করে ২০০ বোতল বিদেশি মদ (ভারতীয়) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল ২৪ মে বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে পৌর এলাকার মা মনোয়ারা হাসপাতালের সামনের সড়ক থেকে এ মদ উদ্ধার করে কসবা থানা পুলিশ।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, রাতে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। এর মধ্যে খবর আসে উপজেলা হাসপাতালে বিপরীত পাশে মা মনোয়ারা হাসপাতালের সামনের সড়কে একটি অটোরিক্সা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পুলিশ গিয়ে অটোরিক্সাটি উদ্ধার করে। তবে সেখানে এর চালক বা কোনো যাত্রী পাওয়া যায়নি। পরে এটি তল্লাশি করে এর ভেতরে থাকা কয়েকটি বাক্সে ২০০ বোতল বিদেশি মদ পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, মদসহ অটোরিক্সাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অটোরিক্সার মালিক কে এবং এ মাদক পরিবহনের সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে বের করা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অপহরণের ঘটনায় জড়িত স্কুল শিক্ষক ইকবাল হোসেনকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়েছে।
৩ ডিসেম্বর রবিবার চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানার কাঠগড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত ইকবাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নিবড়া এলাকার আরু মিয়ার ছেলে। তিনি ওই এলাকার একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক। তারই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন ইকবাল। তার উত্ত্যক্তের কারণে একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
গত ২৮ নভেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বাড়ির পাশ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান ইকবাল। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে কসবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেন। এতে ইকবালকে একমাত্র আসামি করা হয়।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে রবিবার গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কসবা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষতি হয় বর্তমান সরকার এমন কিছু করেনি বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেছেন, এই আইন সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হরণের জন্য নয়। সাইবার ক্রাইমকে আইনের আওতায় আনার জন্য করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গতকাল শুক্রবার দুপুরে কসবা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন আনিসুল হক। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন।
আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের সংবিধানে বিশ্বাসী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। আমরা স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আমরা কখনো চাইনা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার স্বাধীনতা খর্ব হোক। জামিনের বিষয়ে সরকার নিম্ন আদালতে হস্তক্ষেপ করেছে, বিরোধী দলগুলোর এমন অভিযোগ সাংবাদিকেরা আইনমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা ঠিক নয়। সরকার আদালতে হস্তক্ষেপ করে না। নিম্ন আদালতে বেল (জামিন) না পেলে মহানগর দায়রা আদালতে যাবে। তা ছাড়া ওখানে না হলে হাইকোর্টে যাবে, এটাই নিয়ম।
তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করে যাচ্ছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। কিন্তু আইনমন্ত্রীর সাফ কথা, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সংবিধান অনুযায়ী যে সময় উল্লেখ আছে, সেই সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানে যা নাই, তা হবে না। কেয়ারটেকার সংবিধান নেই, তা অবৈধ। সবাই নির্বাচনে আসেন। জনগণ যাকে চায়, তাকে ভোট দেবে। নেত্রী শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, পরিষ্কার পানি ঘোলা করবেন না।
কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওছার ভূঁইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানী, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ, কসবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূঁইয়া, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, কসবা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আফজাল হোসেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
খালেদা জিয়াকে আগের মতো কারাদণ্ড স্থগিত রেখে আবারও শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় এক সভায় তিনি এ কথা জানান।
আনিসুল হক বলেন, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার জামিনের ছয় মাসের মেয়াদ শেষ হবে। তাকে আগের মতো কারাদণ্ড স্থগিত রেখে আবারও শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি না নিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সরকারের পদে থেকে সরকার সম্পর্কে মিথ্যাচার করেছেন। সর্বশেষ তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলকে না জানিয়ে অপবাদ দিয়েছেন। সেই দোষে তিনি দোষী। আমরা তিন দিন অপেক্ষা করেছি, তিনি পদত্যাগ করেননি। সেজন্য তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে খুনিচক্র বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল, আওয়ামী লীগকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এখনো আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই।
আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা বিচার শুরু করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের উন্নতি করেছেন। শেখ হাসিনা দেশের টাকায় পদ্মা সেতু করেছেন। অথচ এই খালেদা জিয়া বলেছিলেন- পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চলবে না, সেতু ভেঙ্গে পড়বে। শেখ হাসিনা মানুষের জন্য কাজ করেন। মানুষের টাকা মানুষকে দিয়ে দেন। সেই জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশটাকে উদ্ধার করেছেন। তিনি বহু কষ্ট করে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। বাংলাদেশকে এখন পৃথিবীর সব দেশ মর্যাদার সঙ্গে দেখে।
আনিসুল হক বলেন, এক সময় অতীতের সরকারগুলো বাজেট ঘোষণার আগে দেশের অর্থমন্ত্রী ব্রিফকেস নিয়ে দেশে দেশে ঘুরে ভিক্ষা করে টাকা এনে বাজেট ঘোষণা করতো। বিদেশিরা বাংলাদেশকে ভিক্ষুক হিসেবে জানতো। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলতো। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
বায়েক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার করিম শাহরিয়ার ভুইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এম.জি হাক্কানী, জেলা পরিষদের সদস্য এ এম আজিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৮২ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ হয়েছে। কসবা উপজেলার মন্দবাগ এলাকা থেকে জব্দ করা এসব পণ্য আখাউড়া কাস্টমসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আজ ৭ মে বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল জিয়াউর রহমান।
তিনি জানান, জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে- এক লাখ ১৮ হাজার ২৩০ পিস বাজি, মেহেদী, গোল্ড বিচ ক্রিম, হার্ডন ব্লু ক্যাপসুল।
তিনি আরো জানান, সীমান্তে সর্বদা নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দ করা হয়।