অনলাইন ডেস্ক :
কাতার অর্থনৈতিক ফোরাম (কিউইএফ) ২০২৩-এ যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ২৫ মে সকালে দেশে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ভোর ০৫:৫৮ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে ফ্লাইটটি হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় রাত ১০:২৫ টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ০১:২৫ টায়) ছেড়ে আসে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির আমন্ত্রণে তৃতীয় কাতার অর্থনৈতিক ফোরামে (কিউইএফ) যোগ দিতে গত ২২ মে শেখ হাসিনা তিন দিনের সরকারী সফরে দোহায় পৌঁছান।
সফরকারী শেখ হাসিনা কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগদান ছাড়াও আমিরি দিওয়ানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির সঙ্গে সাক্ষাত, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল সানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়াও, কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি এবং সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহ ও সৌদি অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
শেখ হাসিনা কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশেও ভাষণ দেন এবং দোহায় কাতার ফাউন্ডেশনের অধীনে পরিচালিত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য বিশেষায়িত স্কুল আওসাজ একাডেমি পরিদর্শন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাল্যবিবাহ আইন ও তাদের দায়িত্ব নিয়ে বিবাহ নিবন্ধন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জনপ্রতিনিধি, কাজী, ইমাম, পুরোহিতসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড কনসার্ন ইপজিয়া প্রকল্প এর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. বাবুল মিয়া। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মো.ফজলুল হক সুমন, মো. হামিদুর রহমান, ইমাম-কাজী মাওলানা জাহাঙ্গীর, পুরোহিত শৈলেন চক্রবর্তী, ধর্মীয়নেতা এলবার্ট শোভন বিশ্বাস প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদে কয়লাভর্তি একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে নদের ভাটপাড়া খেয়াঘাটে এমভি পূর্বাঞ্চল-৭ নামের জাহাজটির তলা ফেটে পানি প্রবেশ করে। জাহাজে ৭০০ মেট্রিক টন কয়লা ছিল।
জাহাজটির মাস্টার মো. এনায়েত জানান, ৬ জানুয়ারি মংলা থেকে ৭০০ টন কয়লা নিয়ে লাইটার জাহাজটি নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। পরদিন সন্ধ্যায় জাহাজটি নওয়াপাড়া বন্দরে পৌঁছালেও সিরিয়াল পায়নি। ফলে সেটি সরিয়ে ভাটপাড়া খেয়াঘাটের অদূরে নোঙ্গর করে রাখা হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টারদিকে জাহাজটি ডুবতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে আমরা কয়লা খালাসের চেষ্টা চালিয়েছি।
নওয়াপাড়া নৌবন্দরের উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজ জানান, লাইটার জাহাজটিতে জেএইচএম গ্রুপের আমদানিকৃত কয়লা ছিল। ঘাটে সিরিয়াল না পাওয়ায় সেটি নদের ভেতর নোঙ্গর করে রাখা হয়েছিল। আমরা দুপুরে সেটি ডুবতে শুরু করার খবর পাই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জাহাজের কয়লা আনলোড করে জাহাজটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। স্বাভাবিক আছে নৌ চলাচল। তবে কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত করা হচ্ছে।
জেএইচএম’র নওয়াপাড়া অফিসের কর্মকর্তা জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় সাধারণ ডায়েরির প্রক্রিয়া চলছে। ডুবে যাওয়া জাহাজের কয়লা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিকুল ইসলাম বলেন, ভৈরব নদের ভাটপাড়া খেয়াঘাটে একটি জাহাজটির তলা ফেটে পানি প্রবেশের খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে ছাত্র-জনতা একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছে।
আজ সেপ্টেম্বর ২৭ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণে এ কথা বলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূস।
ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ আমি বিশ্বসম্প্রদায়ের এ মহান সংসদে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাদের গণমানুষের, বিশেষ করে তরুণ সমাজের অফুরান শক্তি আমাদের বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। আমাদের ছাত্র ও যুব সমাজের আন্দোলন প্রথমদিকে মূলত ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। পর্যায়ক্রমে তা গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এরপর সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখেছে কীভাবে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ একনায়কতন্ত্র, নিপীড়ন, বৈষম্য, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, আমাদের ছাত্রজনতা তাদের অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছে। তাদের এই সম্মিলিত সংকল্পের মধ্যেই আমাদের দেশের ভবিষ্যত নিহিত, যা এ দেশটিকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি দায়িত্বশীল জাতির মর্যাদায় উন্নীত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই গণআন্দোলন রাজনৈতিক অধিকার ও উন্নয়নের সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশীদারত্ব চেয়েছিল। আমাদের জনগণ একটি ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, যার জন্য আমাদের নতুন প্রজন্ম জীবন উৎসর্গ করেছিল। আমাদের এই তরুণরা যে প্রজ্ঞা, সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের অভিভূত করেছে।
বন্দুকের গুলি উপেক্ষা করেও তরুণরা বুক পেতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রবলভাবে সোচ্চার হয়েছিলেন আমাদের তরুণীরা। স্কুলপড়ুয়া কিশোর-কিশোরীরা নিঃশঙ্ক চিত্তে উৎসর্গ করেছিল তাদের জীবন। শত শত মানুষ চিরতরে হারিয়েছে তাদের দৃষ্টিশক্তি। আমাদের মায়েরা, দিনমজুরেরা ও শহরের অগণিত মানুষ তাদের সন্তানদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমেছিলেন রাজপথে। তপ্ত রোদ, বৃষ্টি, মৃত্যুভয় তোয়াক্কা না করে তারা সত্য ও ন্যায়সঙ্গত আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিচালনা করার অশুভ ষড়যন্ত্র পরাভূত করেছিল। জনগণের এই আন্দোলনে আমাদের জানা মতে আট শতাধিক জীবন আমরা হারিয়েছি স্বৈরাচারী শক্তির হাতে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের দিন এবং তার আগে ও পরে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং ২৭৬ লক্ষ্মীপুর-৩ শূন্য আসনে নির্বাচন হবে। এ ধরনের নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন এবং তার আগে ও পরে বিশেষ কয়েকটি নৌযান যথা- লঞ্চ, স্পিড বোট, ইঞ্জিনচালিত যে কোনো ধরনের নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। একইভাবে ৪ নভেম্বর রাত ১২টা থেকে ৫ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত এসব নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্র নৌযান এবং ভোটারদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ক্ষুদ্র নৌযান এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এছাড়া রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য।
সেই সঙ্গে নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া প্রধান প্রধান নৌপথে বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে ভোটার ও জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সব নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে ও দূর পাল্লার নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এ অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ডেস্ক রিপোর্ট :
বিচারপ্রার্থীরা যাতে দ্রুত ন্যায় বিচার পায়, সে লক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, বিচারিক কর্মকাণ্ডে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার মামলা নিষ্পত্তিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। আমি আশা করব, এখন থেকে ‘জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনায়েড’ প্রবাদটি আমাদের বিচার বিভাগে উদাহরণ হিসেবে আর ব্যবহৃত হবে না।
আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস’ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি মামলা নিষ্পত্তির পর রায়ের কপির জন্য যেন বিচারালয়ের বারান্দায় ঘুরতে না হয়, সে ব্যাপারেও সবাইকে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রপতি আশা করেন, সুপ্রিম কোর্ট ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে ও জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহিদের রক্তে লেখা সংবিধানের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করবেন। অমর শহিদের রক্তে লেখা এই সংবিধান রাষ্ট্র পরিচালনা ও বাঙালির অধিকার আদায়ের যেমন অনন্য দলিল, তেমনি বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়ও অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে মুক্তির পথ দেখাবে।
আইনজীবীদের বিচার ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এই আইনজীবী বলেন, আইনজীবীদের সহায়তা ছাড়া বিচারের কাজ কিছুতেই অগ্রসর হতে পারে না। বিচার কাজে বেঞ্চ ও বারের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা খুবই জরুরি। আইন, নির্বাহী ও বিচার- রাষ্ট্রের এই ৩ অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা রাষ্ট্র পরিচালনায় খুবই অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অতীত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের রক্ষক এবং চূড়ান্ত ব্যাখ্যা প্রদানকারী। সুপ্রিম কোর্টের জুডিসিয়াল রিভিউ’র ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এই গুরুদায়িত্ব পালন অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টই রায়ের মাধ্যেম অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে বিচার বিভাগের গুরুদায়িত্ব হচ্ছে, দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত মামলাজট নিরসন করা। এই জট নিরসন করতে পারলে বিচারপ্রার্থী মানুষকে যেমন দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদান করা সম্ভব হবে, তেমনি বঙ্গবন্ধুর সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যও সফল হবে। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়িত হবে।
তিনি আরও বলেন, বিচারের বাণী এখন আর নিভৃতে কাঁদে না। সে ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার করে দিয়েছে। আইনগত সহায়তা দিয়ে দরিদ্র-অসহায় মানুষদেরও তিনি ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
সভাপতির বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, দুর্নীতি নির্মূল, বিচার ব্যবস্থায় গতিশীলতা আনয়ন, গবেষণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত মানোন্নয়ন এবং প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন নানা পদক্ষেপ জোরদার করেছে।
তিনি বিপুল সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তিতে বিচার বিভাগের সক্ষমতা সংকুচিত হওয়া এবং এ সমস্যা সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত বিচারক নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি বড় ধরনের আইনি সংস্কারের গুরুত্বের কথা ব্যক্ত করেন। উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতে বিচারক সংকটের কথা তুল ধরে প্রধান বিচারপতি পর্যাপ্ত বিচারক নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট জাজেস কমিটির সভাপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এদিকে ‘সুপ্রিম কোর্ট দিবস ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি দিবস’ পালন করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্ত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনয়াতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন সমিতির সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল।