চলারপথে রিপোর্ট :
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন করার অপরাধে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফ আফজাল রাজনের নেতৃত্বে দুই ঘন্টার এ অভিযান চালানো হয়।
জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম জানান, পাঁচবিবি বিভিন্ন এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি,পাউরুটি ও বিস্কুট উৎপাদন এবং বিপনন হচ্ছে এমন খবর আসে র্যাবের কাছে। এমন খবরে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময়
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে স্মৃতি বেকারীর মালিক মোজাফরকে ৫ হাজার টাকা, আনছারী বেকারীর মালিক খলিল আনছারীকে ৮ হাজার টাকা,রাখি বেকারীর মালিক জীবন কৃঞ্চ সরকারকে ৫ হাজার, হিমালয় আইসক্রিমের মালিক মনিরুজ্জামান শান্তকে ৩ হাজার টাকা করে সর্বমোট ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ভেজাল মিষ্টি,পাউরুটি ও বিস্কুট তৈরীর উপাদান ধ্বংস করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
তিনি জানান, ২৯ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
সূত্র জানায়, প্রার্থীদের আবেদনে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে। আগামী ২৯ মার্চের অনুষ্ঠাতব্য তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য প্রার্থীরা ২৩ মার্চ থেকে admit.dpe.gov.bd-ওয়েবসাইটে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে অথবা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাশের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, দুর্নীতির তথ্য তামাদি হয় না। সংসদ নির্বাচন শেষে প্রার্থীদের হলফনামায় অস্বাভাবিক সম্পদের তথ্য যাচাই করা যাবে।
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় মিলনায়তনে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক) অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দুদক কমিশনার জহুরুল হক, আছিয়া খাতুন ও দুদক সচিব মাহবুব হোসেন। সভাপতিত্ব করেন র্যাক সভাপতি আহম্মদ ফয়েজ।
অনুষ্ঠান শেষে দুদক চেয়ারম্যানের হাত থেকে র্যাক পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রিন্ট, অনলাইন পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার নির্বাচিত তিন সাংবাদিক। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন প্রিন্ট ক্যাটেগরিতে দৈনিক বাংলার বিশেষ প্রতিবেদক নুরুজ্জামান লাবু, অনলাইন ক্যাটেগরিতে ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এফ এম আবদুর রহমান মাসুম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটেগরিতে মাই টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মাহবুব সৈকত। প্রত্যেককে পুরস্কারের ক্রেস্ট ও এক লাখ টাকা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সাংবাদিকদের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান ফরমায়েশি কোনো প্রতিবেদন তৈরি না করে দুর্নীতির তথ্যবহুল প্রতিবেদন তৈরির আহ্বান জানান।
কমিশনার জহুরুল হক বলেন, যে পরিমাণ টাকা প্রতিবছর পাচার হয়, সে টাকায় দশটা পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যাবে। দুর্নীতির সেসব তথ্য সাংবাদিকদের প্রকাশ করার পরামর্শ দেন তিনি।
কমিশনার আছিয়া খাতুন দুর্নীতির আরও গভীরে প্রবেশ করে তা তুলে ধরার আহ্বান জানান। একই আহ্বান জানিয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন কমিশনের সহযোদ্ধা হিসেবে র্যাহক অন্তর্ভুক্ত সাংবাদিকরা কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আইনের খসড়া তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আইন করার জন্য আমাদের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানেরও প্রয়োজন। এ আইনের খসড়া করার জন্য আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে খসড়ায় কি কি থাকবে, সেটা নিয়ে আজকে আমরা আউটলাইনটা আলাপ করেছি। সেই আউটলাইন অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।
আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই যেভাবে পৃথিবী বদলে দিচ্ছে, সেটার ব্যাপারে একটা আইন যেরকম সারা পৃথিবীতে চিন্তা করা হচ্ছে বাংলাদেশেও চিন্তা করা উচিত। সেই চিন্তা করার জন্যই আমরা আজকে প্রাথমিকভাবে বসেছিলাম। আজকে আইনের একটা আউটলাইন আমরা করলাম। এ বিষয়টা এত ব্যাপক এক দিনের আলোচনায় শেষ হবে না। এ আইনের মধ্যে যে জিনিসগুলো থাকা উচিত, মনুষ্যত্বের দিক থেকে যে বিষয়গুলো রক্ষা করা উচিত- সেগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেছি। সেই আলোচনা শুরু হলো এবং আলোচনা চলবে।
আউটলাইনে কি কি থাকছে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সেটা আমরা বলতে চাই না। কারণ এটাও পরিবর্তনশীল। বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করার জন্য এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য, অন্যান্য জায়গায় কি আইন হচ্ছে সেটা একটু পরীক্ষা করার জন্য এই সময়টুকু নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এই সময়ের মধ্যে আমরা এই আইনটা তৈরি করতে পারব।
এই আইনের ফলে কি হবে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এটি আমাদের কাছেও জিজ্ঞাস্য। এর কারণ হচ্ছে আমরা কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করবো। এই জিনিসটুকু আমি বলতে পারি- মানুষের অধিকার সংরক্ষণের জন্য, সর্বক্ষেত্রে সেটা সংরক্ষণের জন্য, মানুষের সুবিধার জন্য এআইকে যাতে ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টাই আমরা করব।
এরপর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত আইনমন্ত্রী মহোদয় গ্রহণ করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি আমাকে নির্দেশনা দেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা কি ভাবছি ও আইন প্রণয়নের ব্যাপারে আমরা কতটা প্রস্তুত। উনার নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করি এবং যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট অর্থনীতি করতে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বাইপাস করে কিছু করতে পারবো না।
তিনি বলেন, এখন বড় একটা চ্যালেঞ্জ ও বড় একটা বিতর্ক হচ্ছে, আমরা কতটুকু উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবো কতটুকু অপপ্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ করবো। এ বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আইনমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে এসেছিলাম। আইনমন্ত্রী মহোদয়ও বললেন একটা আউটলাইন আমরা দাঁড় করিয়েছি। আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিবর্তনটা কত দ্রুত হচ্ছে, এর ব্যবহারটা কতটুকু আমরা আমাদের অর্থনীতির সমৃদ্ধি আনার জন্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য করতে পারি। বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য এটার কি কি ব্যবহার হতে পারে যেটা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে, উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, একই সঙ্গে বর্তমান বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে ভয়ানক পরিণতি আশঙ্কা করা হচ্ছে যা বিভিন্ন গবেষক এবং উদ্ভাবক বলছেন, সেটাকে মাথায় রেখে আইনমন্ত্রী মহোদয় আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। একদিকে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করা এবং এটার যে অপপ্রয়োগ সেটার প্রতিরোধ করা। আমাদের জনগণ, জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিশ্ব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কোনো অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা আইনটা প্রণয়ন করব। সেটার জন্য আমরা একটা সময় চেয়েছি। আইনমন্ত্রী আমাদেরকে যথেষ্ট সময় দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন দেখেছি, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিকিউটিভ অর্ডার দেখেছি, দক্ষিণ কোরিয়াসহ যেসব দেশ গত ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন পলিসি, গাইডলাইন, আইন করেছে সেগুলো স্টাডি করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের মেধাবী ছেলে-মেয়ে যারা পড়াশোনা করেছে এবং জানে বোঝে তাদের মতামত নিয়ে এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে মন্ত্রীর কাছে আবার আসবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে ডিও লেটার (আধাসরকারি পত্র) দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গত ৩ আগস্ট এ পত্রটি দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের পথ সুগম হলো বলে মনে করা হচ্ছে। শীঘ্রই এর অনুমোদন মিলবে বলেও আশা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুধী সমাজ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে স্মারকলিপি, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
অর্থ উপদেষ্টা তার দেওয়া পত্রে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন জনপদ। এ জেলায় রয়েছে নয়টি উপজেলা এবং জনসংখ্যা ২৮ লাখ ৪০ হাজার ৪৯৮ জন। অতি প্রাচীন কাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিক্ষা, সংস্কৃতি, কারুশিল্প, কুটিরশিল্প, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশে সুপরিচিত। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নেই। ফলে জেলার দরিদ্র ও অসহায় জনসাধারণ বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। জেলা সদরে স্থাপিত সদর হাসপাতালে ডাক্তার স্বল্পতাসহ আধুনিক চিকিৎসার তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা নেই। এলাকার জনসাধারণকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকা শহরে আসতে হয়। কিন্তু দরিদ্র জনসাধারণ বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চমূল্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম নয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপিত হলে দরিদ্র জনসাধারণ বিনামূল্যে/স্বল্পমূল্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ পাবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপিত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাড়াও কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিকটবর্তী উপজেলা সমূহের জনসাধারণ নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্য সেবা পাবে।
অর্থ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অবস্থান ঢাকা শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে। জেলার ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উভয়প্রান্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর অবস্থিত। সড়ক দুর্ঘটনাসহ অন্যান্য গুরুতর রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য ঢাকা শহর ছাড়া নিকটবর্তী কোন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। দরিদ্র জনসাধারণের পক্ষে যাতায়াত খরচসহ ঢাকা শহরে অবস্থান করে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা দুরূহ।
তিনি আরো লিখেন, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে চাকরির ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দ্বিতীয়। এ জেলা থেকে লাখ লাখ দক্ষ, অদক্ষ এবং অন্যান্য পেশাজীবী মানুষ মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকরি করছে। তাদের প্রেরিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রায় বাংলাদেশ সরকারের আমদানি ব্যয় অনেকাংশে মিটানো হয়। বাংলাদেশের বৃহত্তম তিতাস গ্যাসফিল্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং আমদানি বিকল্প দেশীয় গ্যাস উৎপাদনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় অর্থনীতিতে এক বিরাট অবদান রেখেছে। বর্ণিত অবস্থায়, উপযুক্ত তথ্যাদির গুরুত্ব এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৌশলগত অবস্থান, ঘন জনবসতি, ঐতিহ্য এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অবদান ইত্যাদি বিষয়াদি সক্রিয় ভাবে বিবেচনা পূর্বক ব্রাহ্মণবাড়িয় জেলা সদরে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে সর্নিবন্ধ অনুরোধ জানানো হয়। এ সংক্রান্ত পত্রটি শুক্রবার বিকেলে এ প্রতিবেদকের হাতে আসে।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর বলেন, আমাদের জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি, প্রাণের দাবি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে অর্থ উপদেষ্টার দেওয়া পত্রের বিষয়টি জেনে ভালো লাগলো। অতি দ্রুত এর বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাবো।
ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনেতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনে আমরা কাজ করছি। অর্থ উপদেষ্টার চিঠির বিষয়টি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি চাকরি থেকে অবসরে গেলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।
আজ ৩০ জুলাই মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখা থেকে উপ-সচিব মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদারকে ১৯ জুলাই, ২০২৪ তারিখ হিসেবে ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ অনুযায়ী সরকারি চাকরি হতে অবসর দেওয়া হলো। তার অনুকূলে ১৮ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ লাম্পগ্রান্টসহ ২০ জুলাই, ২০২৪ থেকে ১৯ জুলাই, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত এক বছরের অবসর-উত্তর ছুটি (পি.আর.এল) মঞ্জুর করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী অবসর ও অবসরোত্তর ছুটিকালীন সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
বনজ কুমার মজুমদারকে ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি দেয় সরকার।
গত আট বছর ধরে পিবিআইয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বনজ কুমার মজুমদার। খুব অল্প সময়ে আলোচিত ও ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদ্ধার করে আলোচনায় আসেন তিনি। মামলার তদন্তেও আনেন নতুন ধারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) আদলে তৈরি পিবিআই বনজ কুমারের নেতৃত্বে চাঞ্চল্যকর নুসরাত হত্যা মামলা, নায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা, সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা ও মোনায়েম হত্যার রহস্য উদঘাটন করে প্রশংসিত হয়েছে।