অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দেক নগরীর ভেড়ীপাড়া মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পর তাকে আরএমপি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে, শুক্রবার পুঠিয়ার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেন চাঁদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘আর ২৭ দফা বা ১০ দফা নয়। শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে হবে।’
অনলাইন ডেস্ক :
‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্ক ফোর্স’কে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল ডিভাইস নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করছে। এর সুফল পেতে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।
আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্ক ফোর্স’-এর প্রথম বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের সামনে নতুন দ্বার উন্মোচন করছে এবং সেজন্য আমাদের উপযুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তারা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন তার জন্য দেশের নাগরিকদের প্রস্তুত থাকতে হবে, যেখানে সকল মানুষ ডিজিটাল ডিভাইস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে জানবে। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি যথাযথ পরিকল্পনার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের উচিত মানুষের সৃজনশীলতা, তাদের চিন্তাভাবনা এবং এগিয়ে যাওয়ার ধারণার বিকাশের সুযোগ তৈরি করা। আমাদের উচিত শিক্ষাসহ সব খাতে এগুলো ব্যবহার করা।’
নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা ও প্রযুক্তি দিয়ে গড়ে তুলতে হবে।
দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা স্মার্ট বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুত হতে হবে এবং ধাপে ধাপে কী করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের জনশক্তি আমাদের বড় শক্তি, এবং সেই অনুযায়ী আমাদের জনশক্তি প্রস্তুত করতে হবে।’
তিনি বিভিন্ন দেশের ভাষা শেখা, শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং বিষয়ভিত্তিক অধ্যয়নের পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নের ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না, যেখানে মানুষ উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবনযাপন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।’
দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতা গ্রহণ করি, তখন সারা বিশ্বে ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার ব্যবহার করা হচ্ছিল, কিন্তু আমরা তাদের পেছনে ছিলাম। এতেই বোঝা যায় যে আমরা কতটা পিছিয়ে ছিলাম তখন।’
এরপর তিনি বলেন, ‘সেই জায়গা থেকে, আমরা আজ এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি এবং এখন অনেক উন্নত দেশও আমাদের চেয়ে পিছিয়ে আছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের আদর্শ জীবন গড়ে এমন দেশ গড়ে তুলতে হবে যে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা পড়াশোনা করে একটি সুন্দর জীবন গড়ে তুলব; কিন্তু সুন্দর জীবন গড়ার যে মৌলিক উপাদানগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রধান উপাদান হচ্ছে মনুষ্যত্ববোধ।’
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে রাজধানীর ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষা সপ্তাহ ও ক্লাব ফেস্টিভাল-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এই সময়টা হচ্ছে জীবনের ভিত্তি তৈরি করার সময়।
একটি ভবন তৈরি করতে হলে যে কাজটুকু আগে করতে হয় তা হলো একটি মজবুত ভিত্তি, তারপর কিন্তু বড় দালান তৈরি হয়। তেমনি করে যারা শিক্ষার্থী তাদের এই সময়টা হচ্ছে জীবনের উৎকৃষ্ট সময়। এখানে আমরা জীবনকে যেভাবে গড়ে তুলব ঠিক সেভাবে পরবর্তী জীবনটাকে পার করতে পারব।’
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পুঁথিগত বিদ্যা, আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও ভালো ফলাফলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না।
বিশ্ব সম্পর্কে জানতে হবে ও নিজেদের কাজগুলো সুন্দরভাবে করতে হবে। পরিবার ও শিক্ষকমণ্ডলীর প্রদর্শিত আদর্শ পথকে অনুসরণ করে এমন একটি জীবনের ভিত্তি তৈরি করতে হবে, যে জীবনটা আমরা পরবর্তীতে আমাদের দেশের জন্য, নিজেদের জন্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উপহার দিতে পারি।’
অনুষ্ঠানে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী, ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম, শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
নতুন বছরের (২০২৩) প্রথম মাস জানুয়ারি থেকে ভূমিসেবা কাস্টমার কেয়ার সেন্টার চালু হবে। কাস্টমার কেয়ার সেন্টারটি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবনে স্থাপন করা হয়েছে। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আইসিটি বিভাগের আওতাভুক্ত অ্যাসপায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. জাহিদ হোসেন পনির এবং এটুআই প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর সমঝোতা স্মারকে সই করেন। সচিব বলেন, ১৬১২২ কিংবা ৩৩৩ এ কল করে ভূমিসেবা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকরা ইচ্ছে করলে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে সরাসরি এসে আইনি পরামর্শ এবং বিভিন্ন ধরনের ভূমিসেবা (যেমন ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর ইত্যাদি) নিতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে নয়জন কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস প্রোভাইডারের মাধ্যমে এ সেবা দেওয়া হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজকের সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে জাতীয় কলসেন্টার ৩৩৩ এবং ভূমিসেবা কলসেন্টার ১৬১২২-এর মধ্যে আন্তঃসংযোগ হবে। এ আন্তঃসংযোগের ফলে ৩৩৩ কলসেন্টার থেকে প্রাপ্ত ভূমিসেবা সংক্রান্ত কল ১৬১২২ হেল্পলাইনে রেফার করা হবে এবং ১৬১২২ হেল্পলাইনে রেফার করা কলের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন ৩৩৩ হেল্পলাইনের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। এ দুটি সিস্টেমের মধ্যে উপাত্ত তথ্য বিশ্লেষণ বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হওয়াতে ভূমিসেবা আরও দক্ষ হবে।
হেল্পলাইন ১৬১২২ ভূমিসংক্রান্ত সেবা দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা কাজ করে থাকে। দেশের যেকোনো নাগরিক যেকোনো সময় ১৬১২২ নম্বরে এবং প্রবাসীরা ০৯৬১২৩১৬১২২ নম্বরে কল করে ভূমিসংক্রান্ত সেবা নিতে পারেন কিংবা ভূমিসংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে পারেন।
কলসেন্টার ৩৩৩ সরকারের কেন্দ্রীয় তথ্য, সেবা ও অভিযোগ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের যেকোনো নাগরিক যেকোনো সময় ৩৩৩ নম্বরে এবং প্রবাসীরা ০৯৬৬৬৭৮৯৩৩৩ নম্বরে কল করে সরকারি সেবার তথ্যাদি, সেবাপ্রাপ্তির পদ্ধতি, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ তথ্য, সামাজিক সমস্যার প্রতিকার ইত্যাদি সেবা পাচ্ছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ের বাইরে গুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ ১১ আগস্ট রবিবার সকালে এ ঘটনার সময় ২০১৭ সালের আগে ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এর পরে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন গুলিতে। গুরুতর একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০১৭ সালের পর নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে আজ রবিবার সকালে পুরোনো কর্মীরা ঘোষণা দেন। ওই বছরের পরে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ কর্মীই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার, সে কারণে তাঁরা পটিয়ার কর্মকর্তা–কর্মচারী হিসেবে পরিচিত। পুরোনো কর্মীদের ঘোষণার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পটিয়ার কর্মীরা আশপাশে জড়ো হয়ে ব্যাংকের দিকে রওনা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এরপর পুরোনো কর্মীরা পটিয়ার কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলি ছোড়া হলে কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ইসলামী ব্যাংকের পুরোনো কর্মীরা গুলি ছোড়ার জন্য পটিয়ার কর্মকর্তা–কর্মচারীদের দায়ী করেন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন শফিউল্লাহ, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুর রহমান ও বাকিবিল্লাহ। দুই জনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তাঁরা বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই ইসলামী ব্যাংকে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সরকারের পতনের পরের দিনই ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে, যেখানে ঘোষণা করা হয়েছিল যে ২০১৭ সালের পর নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ব্যাংকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সে সময় প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত মুজিব কর্নারও ভাঙচুর করা হয়।
ওই ঘটনার পর ব্যাংকের সিবিএ নেতা আনিসুর রহমান জানান, ২০১৭ সালের পরে যত নির্বাহী এসেছেন, তাঁরা আর ব্যাংকে ঢুকতে পারবেন না। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের পর থেকে পরীক্ষা ছাড়া অনিয়মের মাধ্যমে যেসব নিয়োগ হয়েছে, সেসব নিয়োগ বাতিল করা হবে। একই সাথে ওই সময়ের পরে যাঁদের চাকরি অবৈধভাবে বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের চাকরি পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া গত সাত বছরে যাঁরা পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের যথাযথভাবে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ। এরপর ব্যাংকে প্রায় ১৪ হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়, যাঁদের বেশির ভাগই পটিয়া উপজেলার বলে জানা গেছে। এস আলম গ্রুপের মালিকদের আদি বাস ওই একই অঞ্চলে। ২০১৭ সালের আগে ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা–কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় আট হাজার।
ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনের পর এস আলম গ্রুপ ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বের করে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এই অর্থ ব্যাংকে ফেরত না আসার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসাবে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষ ব্যবস্থায় টাকা ধার দিয়ে ব্যাংকটির দৈনন্দিন কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের এসইভিপি শওকত আলী বলেন, ‘গতকাল জানতে পারি এস আলমের বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা–কর্মচারী, যারা ব্যাংকটিকে লুটপাট করেছে, তারা তাদের লোকদের ব্যাংকে বসাবে। এ তথ্য পেয়ে আমরা ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিই, যাতে তারা ব্যাংকে ঢুকতে না পারে। একপর্যায়ে এস আলমের লোকজন সিটি সেন্টারে অবস্থান নেয়।’
‘বৈষম্যবিরোধী ব্যাংকাররা’ সে সময় প্রতিরোধ করলে এস আলমের পক্ষের লোকজন পালিয়ে যান বলে জানান ইসলামী ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।
এদিকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনিরুল মওলা ব্যাংকে যাননি। পুরোনো কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, মুনিরুল মওলা ব্যাংকে ঢুকতে চাইলে তাঁকেও বাধা দেওয়া হবে।
কর্মকর্তারা ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ‘লুটেরাদের’ বের করে দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি তাঁরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনিরুল মওলা, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আলী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকিজ উদ্দিন, মিফতাহ উদ্দিনসহ এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের দাবি জানান।
দুপুর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। প্রধান কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ব্যাংকের কর্মচারীরা মিছিল করছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পদ থেকে মো. নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে মো. মাহফুজ আলমকে, যিনি এতদিন সরকারের দপ্তরবিহীন উপদেষ্টা ছিলেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে মাহফুজ আলমের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর এই দুই মন্ত্রণালয়, বিশেষ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কে আসছেন, তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল। মাহফুজ আলম এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন বলে জোর গুঞ্জন ছিল। মাহফুজ আলম গত বছরের ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। তবে তিনি কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২০ দিনের মাথায় ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক করেছেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মাহফুজ আলম। আন্দোলনে তিনি রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগীর দায়িত্বে ছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের পরে ছাত্র, নাগরিক ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য গঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন তিনি।