অনলাইন ডেস্ক :
অনলাইনে প্রেম, এরপর প্রেমিকার সাথে দেখা করতে অবৈধভাবে বাংলাদেশে এসে ধরা পড়ে ৩ বছর কারাভোগ। প্রেমের জন্য এমন ইতিহাস এ কালের। কারাভোগ শেষে আফফান শেখকে ২৫ মে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার একটি মেয়ের সাথে মোবাইলে আনলাইনে প্রেম হয় ভারতের পম্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলংঙ্গি থানার কলেজ ছাত্র আফফান শেখ্রে। এরপর প্রেমিকার সাথে দেখা করতে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসে আফফান শেখ। ফিরে যাবার সময় ধরা পড়ে বিজিবির হাতে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৩ মাসের জেল হয় তার। এরপর বন্দি ফেরত প্রক্রিয়ার আইনি জটিলতায় ৩ বছর জেলে থাকতে হয় তার।
আফফান শেখ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলংঙ্গি থানার সরকার পাড়া গ্রামের ইসমাইল শেখের ছেলে।
এ সময় আফফান শেখ বলেন, ‘আসলে অনলাইন প্রেম একটি আবেগ আর প্রতারনা। আমার জীবন থেকে ৩টি বছর ঝরে গেল। আমি আমার প্রেমিকার সাথে দেখা করে ফিরে যাবার সময় তার ভাইয়েরা আমাকে বিজিবির হাতে ধরিয়ে দেয়। আমার মতো কেউ যেন এভাবে ফাঁদে না পড়ে আর অবৈধভাবে কেউ যেন বাংলাদেশে না আসে।’
আফফান শেখের বাবা ঈসমাঈল শেখ বলেন, ‘আমি ফার্নিচার মিস্ত্রী। ফার্নিচারের নকশা কাটি। ছেলে আমার কলেজে বিএ পড়তো। আমাকে হাতের কাজে সাহায্যও করতো। হঠাৎ একদিন বাংলাদেশে চলে আসে। ধরা পড়ে বিজিবির হাতে। বিজিবি আমাকে ফোন দিয়ে জানায়। এরপর অনেক চেষ্টা করে হাই কমিশনে দৌঁড়াদৌড়ি করে আজকে ছেলেকে ফেরত পেলাম। আমার বুকের ধন বুকে ফিরে এসেছে।কি যে ভাল লাগছে বোঝাতে পারব না।’
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ আবু নাঈম জানান, ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার কারণে বিজিবি তাকে আটক করে দৌলতপুর থানায় সোপর্দ করেন। দৌলতপুর থানা পুলিশ মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠালে আদালত আফফান শেখকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে সাজা ভোগ শেষে দর্শনা সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)’র পতাকা বৈঠকের পর তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দর্শনা আইসিপি বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল ও গেদে বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার এসি মহেশ পোদ্দারের নের্তৃত্বে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা দর্শনা ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু নাঈম, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ গোপাল চন্দ্র , গেঁেদ কাস্টমস ইনচার্জ সুব্রত মন্ডল, দর্শনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার, কৃষ্ণগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন কুমার ঘোষ, ডিএসবি কামাল হোসেন, এনজিও কর্মী চিত্ত রঞ্জনসহ আফফান শেখের পরিবারের লোকজন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১০ মামলার আসামি মো. শাহাব উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এসময় তার দেওয়া তথ্যমতে ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় তৈরি দুটি বন্দুক, তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ, তিনটি কিরিচ ও দুটি দা।
রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড নতুন ঘোনা এলাকা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। শাহাব উদ্দিন ওই এলাকার আবদুল করিমের ছেলে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, গ্রেফতার শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। সে এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন মুখ খুলতে সাহস পায় না।
তাকে একটি মারামারি মামলায় গ্রেফতার করতে গিয়ে তার ঘরের খাটের নিচ থেকে বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ ৩১ জুলাই সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম আহত হয়েছেন। আজ ৫ ফেব্রুয়ার বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটিশ কাউন্সিলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে।
হাসপাতালে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশে হলের শিক্ষার্থী শুভ হাওলাদার বলেন, সারজিস আলম ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে গাড়ি নিয়ে বাংলামোটর কেন্দ্রীয় অফিসে যাচ্ছিলেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের সামনে আসলে একটি শিশু গাড়ির সামনে দিয়ে দৌড় দেয়। তখন প্রাইভেট কার সজোরে ব্রেক করলে আইল্যান্ডের সাথে ধাক্কা লেগে আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশে হলের শিক্ষার্থী শুভ হাওলাদার বলেন, সংবাদ পেয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সামনে থেকে সারজিস আলমকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। তার বাঁ চোখের পাশে কেটে গেছে। এ ছাড়া মাথায় আঘাত লেগেছে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, তবে চোখে ও মাথায় গুরুতর কোনো সমস্যা নেই। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় নেয়া হয়েছে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, আহত সারজিস আলম ঢামেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, তার অবস্থা গুরুতর নয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৭ জুন শনিবার পবিত্র ঈদুল আযহা। বাঙালি সমাজে কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত মুসলমানদের এই অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর করে আসছে।
ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। ঈদুল আযহার সাথে পবিত্র হজের সম্পর্ক রয়েছে। গতকাল শুক্রবার মক্কার অদূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় হজ পালন করবে। স্থানীয় হিজরি মাস গণনা অনুযায়ী ৬ জুন শুক্রবার সৌদি আরবে ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। সকালে মুজদালিফা থেকে ফিরে হাজীরা মিনায় অবস্থান করে পশু কোরবানিসহ হজের অন্য কার্যাদি সম্পাদন করবেন।
ঈদুল আযহা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইলের (আ.) সঙ্গে সম্পর্কিত। হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল হজরত ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা। তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইসলামে বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে ভেবে যখন জবেহ সম্পন্ন করেন তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে।
সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই হজরত ইব্রাহিমের (আ.) সুন্নত হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামী শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব।
ইসলামে কোরবানি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে সুরা কাউসারে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, ‘অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন।’ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ঈদুল আযহার দিন কোরবানির চেয়ে আর কোনো কাজ আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয় নয়।’ গরু, মহিষ, উট, ভেড়া, ছাগল, দুম্বাসহ যে কোনো হালাল পশু দিয়ে কোরবানি দেয়া যায়।
শনিবার সকালে মুসল্লিরা নিকটস্থ ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনি-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমার অবশেষে খোঁজ মিলেছে।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানী ঢাকার নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। খবর দেয়া হয় বিজয়নগর থানা পুলিশকে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, পুলিশ নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় থেকে উদ্ধার করেছে। বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে আনতে নারাগঞ্জের কাঁচপুরে গিয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনা হবে।
ওসি আরো বলেন, প্রীতি খন্দকারকে দুইজন নারী তাকে পান খাইয়েছিল এরপর তার কিছু মনে নেই বলে জানায়। তবে সে নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছেন। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলে আসছিলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছে। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান। মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগীয় নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় যায় প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচারণা চালানোর পর থেকে প্রীতির কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় তিনি দাবী করেন প্রীতি খন্দকারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তার স্ত্রীকে গুম করেছে। এ বিষয়ে তিনি সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করার পাশাপাশি থানায় একটি জিডি করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা তদন্তের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে এবং সেখানেই এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
আজ ১৮ জুন রবিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের এক কর্মশালা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, এই হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে। অপরাধীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী।