চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে সোনারামপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে (১৯) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বখাটেরা। এছাড়া ধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখানোর অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ দুলারামপুর গ্রামের লবিশ মিয়ার ছেলে মনু মিয়া (২০), হবি মিয়ার ছেলে আলমগীর (২০) ও দুলাল মিয়ার ছেলে আরিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর নানি বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে তিনজনকে আসামি করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোনারামপুর ইউনিয়নে নানার বাড়িতে থাকতেন এই নারী। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে ওতপেতে থাকা এলাকার বখাটে মনু মিয়া, আলমগীর, আরিফ তাকে জোর করে মুখ চেপে ধরে পাশের জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই নারীকে। এ সময় তারা ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে রাখে।
ঘটনার পর নারী বিষয়টি চেপে গেলেও আসামিরা বিভিন্ন নম্বর থেকে ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে ওই নারীকে তাদের সঙ্গে পুনরায় দেখা করতে বলে। দেখা না করলে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। নারী বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে মঙ্গলবার রাতে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি নুরে আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে রাতে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে প্রেরণ করেছি। তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে আলমগীর ও আরিফ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। হতদরিদ্র মানুষদের ভূমিসহ বসতবাড়ি নির্মাণ করে প্রমাণ করছে আওয়ামী লীগ গণমানুষের সরকার। এই প্রথম ভূমিহীন ঘরহীন লোকগুলো সামনের ঈদটিতে নিজ ভূমি ও ঘরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করবে। বাংলার সাধারণ মানুষের আশার এবং ভরসার শেষ আশ্রয় হিসেবে শেখ হাসিনাকেই পাশে পায়।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক আয়োজিত স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সহকারি কমিশনার কাজী আতিকুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি স্মাট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদস সদস্য ক্যাপ্টেন(অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনকল্যাণ ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের ভালোবাসা নিয়ে দেশ ও দশের কল্যাণ সাধন করা। আওয়ামী লীগ রাজপথে জন অধিকার আধায়ের সংগ্রামী একটি রাজনৈতিক দল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে অদ্যাবধি দেশ ও দলের অধিকার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তারই বাস্তব প্রমাণ আজকেই সুজলা-সুফলা এই সোনার বাংলা।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরি করতে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে নিয়ে যেতে তার কোনো বিকল্প নেই। সামনের নির্বাচনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান একেএম শহিদুল হক বাবুল, পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবিএম মাহবুবুর রহমান উজ্জল, দরিকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ শফিকুল ইসলাম স্বপন, সোনারামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমূদুল হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা শ্রমিকলীগ আহ্বায়ক সৈয়দ আ. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
এছাড়াও তেজখালী, দরিয়াদৌলত, সোনারামপুর ইউনিয়নে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতি বার্তা পৌঁছে দিতে পৃথক পৃথক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় এক হাজার ২০০ মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিনব্যাপী বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রোটারি ক্লাব অব বারিধারা সানরাইজ ও বসুন্ধরা আই হসপিটাল এবং ভিশন কেয়ারের যৌথ উদ্যোগে এই সেবা দেওয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নানা বয়সী লোকজন এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্টনি এলবার্ট, ডা. আকতার ফেরদৌসী জাহান ও অপটোমেট্রিস্ট রুবেল রানাসহ ১২ জনের একটি দল চিকিৎসাসেবা দেয়।
বসুন্ধরা আই হসপিটালের ক্যাম্প অর্গানাইজার মো. আবু তোয়াব জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ১২০০ রোগী দেখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে চোখ পরীক্ষা করে চশমা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। যাদের চোখে ছানি ছাড়াও অন্যান্য সমস্যা রয়েছে তাদের বিনামূল্যে অপরেশনের জন্য ঢাকার বসুন্ধরা আই হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হবে।
চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধা রেজিয়া বেগম বলেন, স্বামী মারা গেছে চার বছর হয়েছে। আমার ছেলে সন্তান নেই। শুধু পাঁচটা মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার। ডান পাশের একটি চোখ একেবারে অন্ধ হয়ে গেছে। বাম চোখে ঝাপসা দেখি। এত টাকাও নেই যে, শহরে গিয়ে চিকিৎসা করাবো। আজকে আমাদের গ্রামে চোখের ফ্রি চিকিৎসা পাওয়াতে আমার অনেক উপকার হইছে। তাদের নিজ খরচে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বসুন্ধরা হসপিটালে চোখের ছানির ফ্রি অপারেশন করে দিবে। এমন না হলে আমার চোখের চিকিৎসাই হইতো না।
নিখরচে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুর রহমান বলেন, দিনমুজরের কাজ করে সংসার চালাই। দিন দিন বয়সও বাড়ছে। এখন চোখে তেমন দেখি না। জেলার বাইরে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই। এখানে চক্ষু ক্যাম্পে চোখের পরীক্ষা করেছে। প্রয়োজনীয় সব ওষুধ দিয়েছে ফ্রিতে।
চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন বলছেন, মেঘনা নদীর পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত বাঞ্ছারামপুরের সাধারণ মানুষ নিজেদের হাতের নাগালে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। ঘরে বসে সেবা পাওয়ার পাশাপাশি ঢাকায় গিয়ে বিনামূল্যে অপারেশনের আশ্বাসে তারা মহাখুশি।
রোটারি ক্লাব অব বারিধারা সানরাইজের যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ মোমিন বলেন, বাঞ্ছারামপুরের প্রান্তিক যেসব মানুষ অর্থাভাবে শহরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন না, তাদের দোরগোড়ায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল। তারা এই কার্যক্রম অব্যহত রাখলে আমরা ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবছরই গ্রামের মানুষকে সেবা দিয়ে যাবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আবদুল আহম্মদ ওরফে রুবেল (২৬) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের লিল মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আবদুল আহম্মদের মা আমেনা বেগম। ডাকযোগে পাঠানো অভিযোগটি ২২ মার্চ বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে৷
অভিযুক্তরা হলেন, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আল-আমিন মানিক ও উপজেলার দুর্গাপুরের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা রবি উল্লাহ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রবি উল্লাহ সঙ্গে আবদুল আহম্মদ ওরফে রুবেলের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে আবদুল আহম্মদের পরিবার রবি উল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছে। মামলাটি চলমান। এরই জেরে রবি উল্লাহর সঙ্গে আহম্মদের বিরোধ আরো প্রকট হয়। রবি উল্লাহ ক্ষিপ্ত হয়ে আহম্মদ ও তার পরিবারের লোকজনের ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মার্চ বিকেলে রবি উল্লাহর প্ররোচনায় ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অন্যায়ভাবে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এএসআই আল আমিনসহ চারজন সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য আবদুল আহাম্মদকে তার বাড়ি থেকে আটক করেন। থানায় নিয়ে রবি উল্লাহর কথা মতো পরিদর্শক তরুণ কান্তি দে ও এএসআই আল-আমিন দফায় দফায় লাঠি দিয়ে আবদুল আহাম্মদকে মারধর করেন। মারধরের কারণে আহাম্মদের পুরো শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়।
আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আব্দুলকে আদালতে না পাঠিয়ে থানায় শারীরিকভাবে নির্যাতন অব্যাহত রাখলে তার মা সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নেন। বিষয়টি জেনে তড়িঘড়ি করে আটকের একদিন পর ১৬ মার্চ দুপুরের দিকে আবদুলকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
সেখানে আব্দুলের শরীরের জখম দেখে আদালতের পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রহণ না করে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। সেসময় আদালত থেকে আবদুলকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পুনরায় আদালতে নেওয়া হয়। পরে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই ঘটনায় গত ১৯ মার্চ রবিবার নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে তাদের তিনজনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আহাম্মদের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে অভিযোগ দেন। পরদিন ২০ মার্চ সোমবার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার মামলাটি খারিজ করে দিয়ে এ বিষয়ে পুলিশ সুপারকে জানানোর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে কিছু নির্দেশনা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহম্মদের মা।
আবদুল আহম্মদের স্ত্রী মায়া মনি বলেন, আমার স্বামীকে আটকের পর পুলিশ হেফাজতে রেখে নির্যাতন করে। ১৪ মার্চ তাকে আটক করলেও ১৬ মার্চ তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতের পাঠায়।
তিনি আরো বলেন, আবদুলকে প্রচুর নির্যাতন করে আদালতে পাঠালে কোর্ট পুলিশ আহতাবস্থায় তাকে গ্রহণ করেনি। আদালত থেকে চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে মিলবে। পুলিশের ভয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য তাইয়ান আহমেদ ফাহাদ (২৬) মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আজ ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে নিহত হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৩ টায় জেলার রাধিকা-নবীনগর সড়কের নবীনগর ব্রাহ্মণহাতা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় মোটর সাইকেলে থাকা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব লিটন সরকারসহ দুই জন আহত হয়েছে। নিহত তাইয়ান আহমেদ ফাহাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের হুমায়ূন কবীরের ছেলে।
জানা গেছে, দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহন করার জন্য জেলার বাঞ্ছারামপুর থেকে বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মোটর সাইকেল যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পথে ব্রাহ্মণহাতা নামক স্থানে একটি অটোরিক্সার সাথে ধাক্কা লেগে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসময়ে দুজন আহত হলে তাদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হয়। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিতুল তাইয়ান আহমেদ ফাহাদকে মৃত ঘোষণা করে। অন্য আহতদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্র্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণহাতা এলাকাবাসী অটোরিকসার চালককে আটক করে।