চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় এক গৃহবধূর গোসল করার ভিডিও ধারণ করে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়ার ঘটনায় মোল্লা দেলোয়ার হোসেন জিন্নাহ (২৯) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় উপজেলার আড়াইবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মোল্লা দেলোয়ার হোসেন জিন্নাহ উপজেলার আকসিনা গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে। সে কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, দেলোয়ার হোসেন উপজেলার আড়াইবাড়ি এলাকার এক গৃহবধূর গোসল করার ভিডিও গোপনে মোবাইল ফোনের ধারণ করে। পরে ওই গৃহবধূর কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভিডিওটি ফেসবুক, ইউটিউসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় ও তার মোবাইল ফোনে থাকা সেই ভিডিওটি পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে আগে অস্ত্র, মাদক ও চুরিসহ তিনটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কসবা থানায় একটি মাদক, একটি অস্ত্র আইনে ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় একটি চুরির মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের খেউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইসরাফিল (১৮) খেউড়া গ্রামে গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে।
আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ঘাতক ফুফাতো ভাই বাবু মিয়া (৩৫) পলাতক রয়েছেন। তিনি একই গ্রামের মজলু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসরাফিলের অটো গ্যারাজে তার ফুফাতো ভাই বাবু মিয়াকে বিভিন্ন সময় অটোরিক্সা মেরামতের কাজ করাতেন। ইসরাফিল মেরামত কাজের ৫শ টাকা বাবুর কাছে পাওনা ছিল। কিন্তু তা পরিশোধ না করায় তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার ঘাতক বাবু স্থানীয় গ্রাম্য মেলা উপলক্ষে ইসরাফিলের গ্যারাজের সামনে দোকান বসায়। এ নিয়ে বাগ-বিতণ্ডার একপর্যায়ে বাবু ইসরাফিলকে মারধর করেন। পরে ইসরাফিল তার বাবাকে নিয়ে মারধরের বিষয়টি জানাতে ফুফুর বাড়িতে গেলে তাকে দেখে ক্ষুব্ধ হন বাবু। একপর্যায়ে বাবু কাঠ দিয়ে ইসরাফিলের বুকে আঘাত এবং বেদম মারধর করেন। এতে ইসরাফিল গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘাতক বাবু মিয়াকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় নিজ ঘরের খাটের ওপর পড়ে থাকা অবস্থা থেকে ছাইমা আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যৌতুকের দাবিতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ ছাইমার পরিবারের। এ ঘটনার পর থেকে ছাইমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
গতকাল ৮ মে বুধবার রাতে কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের কেয়াইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইসমাইল মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে কসবা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
নিহতের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে তার ছোট বোন ছাইমা আক্তারের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী কেয়াইর গ্রামের মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে কবির হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ছাইমার ওপর নির্যাতন শুরু করেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিয়ের একমাস পর তার স্বামী কবির হোসেন প্রবাসে চলে যান।
এদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায় সময় তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন। বোনের সুখের জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। গত প্রায় ৪ মাস আগে প্রবাস থেকে ছাইমার স্বামী কবির হোসেন বাড়িতে এসে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতেন।
তিনি বলেন, বুধবার রাত ৭ টার দিকে বোনের জামাই কবির আমাকে ফোন করে জানান, আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। খবর শুনে বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই বাড়িতে কেউ নেই। তাদের ঘরের খাটের ওপর ছাইমার মরদেহ পড়ে আছে। মূলত তাকে হত্যা করে ওই পরিবারের লোকজন পালিয়েছেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহাম্মদ জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গৃহবধূর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া বলেছেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফসল অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলীয় নেতাকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে এই সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো ছেলেখেলা চলবে না। যেহেতু আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তাই নির্বাচন প্রতিহত হবে না। এখন নির্বাচনের পরিবেশ আছে। দ্রুত আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।
আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার তিনলাখ পীর এলাকায় আয়োজিত উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির সহযোগিতা পেয়ে এ সরকার যদি মনে করে গদি নরম, তাহলে গদি শক্ত হতে বেশি সময় লাগবে না। উপদেষ্টারা একেক সময় একেক রকম কথা বলছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, উপদেষ্টারা সুশীল সমাজের ব্যক্তি। তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা বহু ত্যাগ ও আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে। আর তারা এসি রুমে বসে দেশ চালাচ্ছে। এ অবস্থায় কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করলে বিএনপি বরদাস্ত করবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে বসে নানা ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনা যদি সেদিন পালিয়ে না যেত তাহলে তাকে পাথর নিক্ষেপ করে রাস্তায় মারা হতো। কারণ শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও এদেশে থাকবে না।
কসবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এম এ মান্নান, সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নূরে আলম সিদ্দিকী, বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, শরীফুল ইসলাম স্বপন, ইকলিল আজম, আসাদুজ্জামান শাহীন কামাল উদ্দিন, শাহীনূর রহমান, সমীর চক্রবর্তী, এডভোকেট ইসমত আরা সুলতানা, শামীমা বাছির স্মৃতি প্রমুখ।
উল্লেখ, দীর্ঘ ১৫ বছর পর কসবা উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড থেকে বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২২ ডিসেম্বর রবিবার কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিডিসি স্কুলের প্রধান সমন্বয়কারী তাসলিমা আক্তার কাকলি জানান, চিলডেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় কসবা উপজেলার ৪ টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল এবং ১৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯৮ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেছে। চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় পর্যবেক্ষণ করেন।