চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেললাইন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
গতকাল শুক্রবার সকালে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ এবং আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ রেললাইন প্রকল্পের সর্বশেষ পরিস্থিতি পরিদর্শন করে তিনি এ কথা বলেন।
হুমায়ুন কবীর বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মাঝে কিছু সময় বিলম্বিত হলেও এখন কিন্তু খুব দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সব কিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশ-ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বরে এ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
এ সময় সচিব আখাউড়া-লাকসাম ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের শেষ সময়ের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে জানিয়ে বলেন, চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।
পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব গ্যাংকারযোগে লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশনের উদ্দেশে আখাউড়া ছেড়ে যান।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) শহীদুল হক, আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ প্রকল্প পরিচালক সুবক্তগীনসহ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ একমাস পর ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় গেলেন সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ।
আজ ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তিনি ভারত যান। এর আগে ২ ডিসেম্বর ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনারের কার্যালয়ে হামলা চালায় উগ্রবাদী গোষ্ঠী। এরপরই সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়।
৮ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সহকারী হাই কমিশনার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা নাগাদ সময়ের মধ্যে আগরতলায় যান। এসময় তিনি একাই ছিলেন।
আরিফ মোহাম্মদও তার যাওয়ার বিষয়টি স্থলবন্দর এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন। তবে কবে নাগাদ সেখানকার কার্যক্রম চালু হতে পারে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার ভারতীয় অফিসিয়াল নম্বরে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল পালিয়ে গেছেন। কোথায় গেছেন তা জানা নেই কারও।
আওয়ামী লীগ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। গত সোমবার দুপুরে তার বাড়িতে হামলার পর পাশের পুকুরে লাফিয়ে পড়ে সাঁতরে পালিয়ে যান তিনি। পুকুরে সাঁতরে তার পালানোর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে বলছেন, পুকুর থেকে উঠে বোরকা পরে তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে পালিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বাড়িতে হামলার সময় তার বাড়ির ছাদ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে একাধিক বিক্ষোভকারী আহত হলে উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরই বিক্ষুব্ধ লোকজন মেয়রের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বাড়ির সব কিছু লুট হয়। মেয়রের অনুপস্থিতিতে প্যানেল মেয়র মিলি আক্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মঙ্গলবার সকাল থেকে মেয়রের কক্ষে বসে কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
স্থানীয় লোকজন গণমাধ্যমকে জানায়, গত মঙ্গলবার সকালেও মেয়রের বাড়িতে লুটপাট চলতে থাকে। বাড়ির দালান ভবনের রড, ইটও খুলে নিতে থাকে লোকজন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে বিএনপি নেতারা লুটপাটকারীদেরকে সরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির সামনে রশি টানিয়ে দেন। বিএনপি নেতারা চলে গেলে আবার লুটপাট শুরু হয়। আবার ছুটে এসে লুটপাটকারীদেরকে শাসিয়ে সরিয়ে দেন। এ সময় উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু, সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলমসহ মো. বাহার মিয়া, মো. সেলিম ভূঁইয়া, জিয়াউল হাসান সানি, মো. ইমরান মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় খড়মপুর কেল্লা শাহ মাজারের পুকুরের পানিতে ডুবে মরিয়ম আক্তার (১০) এক শিশুর মৃত্যু আছে। শিশুটি তার পরিবারের সাথে মাজারে এসেছিল। মৃত মরিয়ম আক্তার জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার মন মিয়ার মেয়ে।
১৮ অক্টোবর বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশু মরিয়ম আক্তার তার পরিবারের লোকজনের সাথে মাজারে জিয়ারত করতে এসেছিল। হঠাৎ মাজারের পেছনের পুকুরের পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। পরে স্বজনরা খোঁজাখুজি করে পুকুরে তার মরদেহ ভাসতে দেখে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আধুনিক সাংবাদিকতায় যুগান্তরের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেছেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা।
যুগান্তরের দুই যুগে পদার্পণ উপলক্ষে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক তথ্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় দৈনিক যুগান্তর আজ দেশের সেরা সংবাদপত্র। যা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল থেকে স্বীকৃতপ্রাপ্ত। যুগান্তর ভালোকে ভালো ও মন্দকে মন্দ বলতে দ্বিধান্বিত করেনা। এদিকে আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাংলা টিভির প্রতিনিধি এবং জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলামের উদ্যোগে উপজেলা ডাকবাংলো মিলনায়তনে যুগান্তর স্বজনদের কেক ও মিষ্টি মুখে তুলে দেয়া হয়েছে। এসময় ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ভাতশালা ফ্রেন্ডশীপ ক্লাবের সভাপতি যোবায়ের আহমেদের পক্ষে সংগঠনের সদস্য ইফতি।
যুগান্তরের আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম, রেলওয়ে থানার ওসি আলীম হোসেন শিকদার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সিআই আবু সুফিয়ান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মুসলিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হেসেন বাবুল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম, উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান, যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল পারভেজ, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মিয়া মালদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহ্, ত্রিপুরার দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি দুলাল ঘোষ, যায়যায়দিন প্রতিনিধি হান্নান খাদেম, ইত্তেফাক প্রতিনিধি ফজলে রাব্বি, বিজয় টিভির আশরাফুল মামুন, দেশ রূপান্তর প্রতিনিধি জালাল হোসেন মামুন, আরটিভি সৌদি আরব জেদ্দা প্রতিনিধি হানিছ সরকার উজ্জল, আজকের পত্রিকার সাদ্দাম হোসেন, বাংলাদেশ বুলেটিন প্রতিনিধি রুবেল আহমেদ, এশিয়ান টিভির মোহাম্মদ আবির, প্রতিদিনের সংবাদের মোহাম্মদ শরীফ, আমাদের নতুন সময় প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ পারভেজ, দৈনিক আমাদের বাংলা ও দৈনিক কুরুলিয়ায়’র আখাউড়া প্রতিনিধি মোঃ ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ সমাচারের অমিত হাসান অপু সাংবাদিক শেখ মনির হেসেন নিজাম ও রিফাত অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যুগান্তরের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপজেলা পরিষদ এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের উৎসবে পরিণত হয়।
অন্যদিকে যুগান্তর পত্রিকা সাহসী অভিযাত্রায় দুই যুগে পদার্পণে আখাউড়া উপজেলার অজস্র পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, হকারসহ সর্বস্তরের শুভানুধ্যায়ীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সকাল থেকে পিকআপ যোগে উপজেলাজুড়ে মাইক ও ঢাকঢোল বাজিয়ে আনন্দ উদযাপন করেন স্বজন সমাবেশের সদস্য এবং স্থানীয় প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশু।
অনুষ্ঠানে যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের অসামান্য অবদান নিয়ে আলোচনা এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় অপহরণের কয়েক ঘন্টার মধ্যে অপহৃত এক কিশোরীকে উদ্ধারসহ এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ।
আজ ৭ ফেব্র“য়ারি শুক্রবার পুলিশ ও মিডিয়া উইংসের দেওয়া এক তথ্য মতে জানা যায়, গতকাল বৃহ¯পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার নূরপুর গ্রাম থেকে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী অপহরণের ঘটনায় আখাউড়া থানায় একটি মামলা হয়।
থানায় মামলা হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর রাত সাড়ে দশটার দিকে পুলিশ আখাউড়া পৌরশহরে অভিযান চালিয়ে অপহৃত কিশোরীকে গ্রেফতার করে এবং কিশোরী অপহরণে জড়িত অপহরণকারী সামিরুল ইসলাম আরিফ (২০)কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সামিরুল ইসলাম আরিফ উপজেলার কুড়ি পাইকা গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন জানান, অপহরণে জড়িত আটককৃত আসামিকে বিচারিক কার্যক্রমের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত কিশোরীকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে।