চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওরবেষ্টিত উপজেলা নাসিরনগর থেকে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দিতে মোট ২ হাজার ৫১ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিল। এর মধ্যে এসএসসির জন্য ১ হাজার ৬৯৯ জন, ৩২১ জন দাখিল ও ৩১০ জন ভোকেশনাল পরীক্ষা দিতে ফরম পূরণ করে। এই শিক্ষার্থীদের ৭০৬ জন ছেলে ও ১ হাজার ৩৪৫ জন মেয়ে। কিন্তু গত ৩০ এপ্রিল শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৯ জন ছেলে ও ৪২ জন মেয়ে অংশগ্রহণ করেনি। কেন এই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি, তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেসব মেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি, তাদের অধিকাংশই বাল্যবিয়ের শিকার। যাদের বেশিরভাগের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
প্রতিষ্ঠান প্রধান ও পরীক্ষা-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী মেয়েদের ১৮ বছরের কম বয়সে বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু বাল্যবিয়ে দিতে অনেক অভিভাবকই ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করেন। এরপর কাজিকে ম্যানেজ করে কর্তৃপক্ষের চোখ এড়িয়ে কৌশলে অল্প বয়সেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেন।
জানা গেছে, এ বছর সবচেয়ে বেশি নারী পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতির সংখ্যা উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের সৈয়দ কামরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই স্কুল থেকে ১৫ জন মেয়ে শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি, যাদের সবাই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সানাউল আমিন ভূঁইয়া বলেন, আমাদের না জানিয়ে এসএসসির ১৫ জন মেয়ে পরীক্ষার্থীকে বিয়ে দিয়েছেন তাদের অভিভাবকরা। এ ছাড়াও ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়া ১০ থেকে ১৫ জন মেয়েকেও এ বছরই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন বাধা দিলেও ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় কাজিকে ম্যানেজ করে ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করে এসব বিয়ে হচ্ছে। আমরা প্রতিষ্ঠান থেকে বাধা দিলেও তাঁরা উপেক্ষা করেন।
ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত আমাদের দু’জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড নেয়নি। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি মেয়েগুলোর বিয়ে হয়ে গেছে। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে পরীক্ষার আগের রাতে।
মোবাইল ফোনে কথা হয় পরীক্ষা শুরুর আগের রাতে বিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীর বাবা আনু মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভালো আলিম (মাওলানা) জামাই পাইছি; বিয়া দিছি। এত পড়ালেখা কইরা কী করব? পড়ালেখা কইরা সেই জামাইর ভাতই রান্ধা লাগব।’
নাসিরনগর মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ১৩টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব আছে। এসব ক্লাবের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হচ্ছে। ১৮ বছরের নিচে যেন কেউ বিয়েতে রাজি না হয়, সে বিষয়ে কিশোর-কিশোরীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অভিভাবকদের সচেতন করতে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সবাইকে।
নাসিরনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল হক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের বিয়ের বিষয়ে জানতে পেরেছি।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, জানতে পেরেছি এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি অভিভাবকদের সচেতন করতে। পরীক্ষার আগে বেশ কয়েকটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছি। কিন্তু আমরা চলে আসার পর আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে অনেক অভিভাবক কাবিন ছাড়া বিয়ে দিচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে বিএনপির চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা ও হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি) প্রতীক নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
আজ ৩১ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে নাসিরনগরে তার বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাঁর ১১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেন।
নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নাসিরনগর কলেজ মোড় থেকে গোকর্ণ-পূর্বভাগ-মাধবপুর সড়ক সম্প্রসারণ ও পুনঃনির্মান, নাসিরনগরে জল রাশিকে পর্যটন শিল্পে রূপান্তর, অসম্প্রদায়িক, প্রযুক্তি নির্ভর, বেকারমুক্ত, সুশিক্ষিত ও বৈষম্যহীন নাসিরনগর প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেন।
সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি মাধ্যমিক ও মাদরাসাসহ অন্যান্য শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিতকরন, নাসিরনগর কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুর পাশাপাশি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন। জাতীয় নীতি মেনে সকল ইউনিয়নে নির্দিষ্ট দূরুত্বে প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা।
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরের পাশপাশি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও চিকিৎসার সরঞ্জাম নিশ্চিত করে গরীব রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
শিক্ষিত যুবসমাজ ও বেকারদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে একটি বেকারমুক্ত নাসিরনগর উপহা দেয়া। কৃষক, শ্রমিক ও জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর ও বাস্তবমুখী কর্মসূচী গ্রহন। কৃষিতে সরকারি ভর্তুকির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা ও অনগ্রসর ব্যক্তি ও পরিবারকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান।
জনগণকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে মুক্তি দেয়া, উপজেলা সদরের সাথে উপজেলার সকল ইউনিয়ন বিশেষ করে ভাটি অঞ্চলের সাথে উপজেলা সদরের সহজ যোগাযোগের ব্যবস্থা করা, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাজার, রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় নতুন রাস্তা নির্মান, নদী ভাঙন রোধ ও নদীর গতি প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা, উপজেলার চাতলপাড় বাজারকে আধুনিকনদী বন্দরে রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ।
উপজেলায় একটি আধুনিক ক্রিকেট ও ফুটবল ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি সকল ইউনিয়নে খেলার মাঠের ব্যবস্থা করা।
নাসিরনগরের সকল মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, মাদকের বিস্তাররোধ ও মাদক নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি ও রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
নাসিরনগরের সকল নদী ও জলাশয় জেলে সম্প্রদায়ের জন্য উম্মুক্ত রেখে জেলে সমিতির মাধ্যমে মাছ ধরার ব্যবস্থা করা, মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও বরাদ্দ প্রদান, পরিবেশ ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করার জন্য ক্ষুদ্র, কারিগরি, মৎস্য ও কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তোলা। নারী সমাজকে স্বাবলম্বী তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। নাসিরনগরে শিল্প কারখানা গড়ে ৫০ হাজার যুবক-যুবতীর চাকরির ব্যবস্থা করা।
স্থানীয় সরকারের সকল বিভাগের সাথে নেটওয়ার্ক স্থাপন করে নাসিরনগরকে একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তর, শতভাগ স্যানিটেশন, সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, সকল ইউনিয়নে কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ ও সংস্কারের ব্যবস্থা করা ও নাসিরনগরের জলরাশিকে পর্যটন শিল্পে রূপান্তরের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশী উদ্যোক্তাদেরকে আগ্রহী করতে উদ্যোগ গ্রহণ।
ইশতেহার ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান বলেন, বিগত সময়ে আওয়ামীলীগ বিএনপির বিরুদ্ধে আবার বিএনপি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যারা ক্ষমতায় আছে তারা এসব মামলা করছে। এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা। এসব মামলা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে চাই।
নির্বাচনী মাঠে পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধামকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অনেক সময় বলি জ্বালো, জ্বালো আগুন জ্বালো। আসলে এটা আগুন জ্বালানোর জন্য নয় নয়। তবে কেউ যদি প্যাসিফিক কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেন সেটা অন্য বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত তিন নেতা বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া, তাঁর স্ত্রী নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আদেশ চন্দ্র দেবসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানগণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন পূ্জামণ্ডপ পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান।
৫ অক্টোবর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে নাসিরনগর উপজেলা দত্তবাড়ি পূ্জামণ্ডপ এবং আন্দ্রাবহর পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শকালে পুলিশ সুপার মন্দির কমিটি ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী সাথে আলোচনা করেন এবং দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।
এসময় নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে নাইট শর্ট সার্কেল ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় “মাদকমুক্ত নাসিরনগর বিনির্মাণে” নাসিরনগর সদর বন্ধু মহল আয়োজিত স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
নাসিরনগর সদর বন্ধু মহলের সভাপতি খোকন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া খেলার উদ্বোধন করেন। ধারা ভাষ্যকার মনির হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় নাসিরনগর সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি হাজ্বী অলি মিয়া, গ্রামীণফোন চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী ডিস্ট্রিবিউশন শরীফুজ্জামান চৌধুরী সুমন, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া,মনিরুল ইসলাম,আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ইনকাম ট্যাক্স অফিসার মো: ইলিয়াছ মিয়া, মঈন চৌধুরী,জিয়া চৌধুরীসহ নাসিরনগর সদর বন্ধু মহলের সদস্যরা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন নাসিরনগর সদর বন্ধু মহলের সাধারণ সম্পাদক রাকিব চৌধুরী। উদ্বোধনী খেলায় নুরপুর একাদশ নির্ধারিত ১০ ওভারে ৫ ইউকেটে ৫০ রান করে অল আউট হয়। জবাবে খেলায় নাসিরনগর সদর একাদশ ৬ ওভার ৩ বলে ৮ ইউকেটে জয় লাভ করতে সক্ষম হয়। খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন হৃদয় দেব। আম্পায়ার ছিলেন সুমন মিয়া,রুহুল আমিন। স্কোরার ছিলেন মাসুম মৃধা।
উল্লেখ্য, নাইট শর্ট সার্কেল ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে মোট ৩২টি ক্রিকেট টিম অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী ম্যাচে নাসিরনগর সদর একাদশ বনাম নুরপুর একাদশ দিয়ে টুর্ণামেন্ট শুরু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ফ্রিজ-টিভি কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার গোকর্ণ ফুটবল একাডেমি’র আয়োজনে গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় গোকর্ণ কিংসকে ২-১ গোলে পরাজিত করে গোকর্ণ মটর সমিতি চ্যাম্পিয়ন হয়।
খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন।
গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক সভাপতি বসির উদ্দিন বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরীফ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরনী সভায় জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম মোঃ কামরুজ্জামান খান, নিয়াজ মুহাম্মদ খান হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মোহাম্মদ তফছির, গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন চৌধুরী শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ নোমান, গোকর্ণ ফুটবল একাডেমির সভাপতি সাকিন চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ ও ফুটবলপ্রেমি সংখ্যক দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে আশার সদস্যদের মাঝে বীমা দাবি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২৩ অক্টোবর বুধবার বিকালে নাসিরনগর আশার আঞ্চলিক কার্যালয়ে এই বীমা দাবি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়। বীমা দাবি ও চিকিৎসা সহায়তা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আশার হবিগঞ্জ সিনিয়র এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মোঃ জালাল উদ্দিন।
আশার নাসিরনগর অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মো: দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া।
আশা নাসিরনগর সদর ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক মো: আশরাফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আশা ফান্দাউক ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক মাসুদ পারভেজ, আশা ভলাকুট ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক আরিফুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আশার হতদরিদ্র মমতা রানীকে ৩ হাজার টাকা ও জেসমিন বেগমকে ৩ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়। এছাড়াও বীমা নিস্পত্তি দাবি হিসেবে মরনোত্তর নিজাম উদ্দিনকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা, রোকসানাকে ১৭ হাজার ৭৭২ টাকা ও মমতা রানী ১ লাখ ৫৪৯১ টাকা ঋণ মওকুফ করা হয়। এ সময় এবিএম, লোন অফিসারসহ আশা ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি আশার হবিগঞ্জ সিনিয়র এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, আশার নিজস্ব আয় থেকে নানাবিধ সামাজিক সেবামূলক কাজকর্মের একটি হল এই চিকিৎসা সহায়তা প্রদান। আশা সারাদেশে ঋণ কার্যক্রমের পাশাপাশি আশার বন্যা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ও খাদ্য সামগ্রী, সুদ মুক্ত ঋণ বিতরণ,শীত বস্ত্র বিতরণ, বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির, ফিজিওথেরাপী ক্যাম্প, প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালী করণ কর্মসূচীসহ সামাজিক কার্যক্রম চালু রয়েছে।