চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো ভয় নেই, ভয় আছে বিএনপি-জামায়াতের, যারা সন্ত্রাস করবে তাদের। তারেক রহমান যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় আছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য ও এক সুতোয় গাঁথা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব থেকেই বোঝা গেছে তিনি মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। তিনি পাকিস্তানের অন্যায়, অবিচার, জুলুমসহ ধ্বংসাত্মক সকল কার্যক্রম বাঙালি জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জীবনভর আন্দোলন করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সকল অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনভর সংগ্রাম করে গেছেন। বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থান বঙ্গন্ধুরই স্বপ্ন ছিল।
এই সোনার বাংলা বিনির্মাণে তারই সুযোগ্য কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
বিশ্বশান্তি কামনায় ১৯৭৩ সালে ২৩ মে বিশ্বনেতারা জুলিও কুরি পদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তুলে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী আতিকুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল আজিজ, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন সায়েদুল ইসলাম ভূইয়া বকুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন জলি আক্তার, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র মো. তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজানচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম রানা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক স্যামুয়েল আহম্মেদ, কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম এমপি অন্য একটি অনুষ্ঠানে ৬১টি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের হাতে একটি করে ল্যাপটপ তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অটোরিকশাচালক হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ১০ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শারমীন নিগার এই রায় প্রদান করেন। এছাড়াও এই মামলায় দুজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত৷
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জয়কালিপুরের মতিন মিয়ার ছেলে মো. কবির হোসেন (২২), একই এলাকার শাহ আলম শেখের ছেলে সজিব মিয়া প্রকাশ সজিব শেখ (২৫) ও লিটন মিয়ার ছেলে মো. মনির হোসেন (২৫)। এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন আব্দুল আওয়াল ও রুবেল নামের দুইজন আসামি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ মার্চ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা এরশাদ মিয়ার ছেলে অটোরিকশা (বিভাটেক) চালক মো. শরীফুল ইসলামকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার অটোরিকশাটিও নিয়ে যায় তারা। এই ঘটনায় নিহতের বাবা এরশাদ মিয়া অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতার আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় পৃথক পৃথক জবানবন্দি প্রদান করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্তের পর ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার স্বাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালতে সকল আসামির উপস্থিতিতে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২ জনকে খালাস প্রদান করে রায় দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরকীয়ার জেরে বাচ্চু মিয়া হত্যা মামলায় ভায়রা ভাইকে মৃত্যুদণ্ড ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা দায়রা জজ শারমিন নিগার এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাড়াইলচর গ্রামের তুজু মিয়া মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগমকে। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ের ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়। রিনা বেগমকে ফের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বড়াইলচর গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে পেঁয়াজ, রসুন ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার লাশ খল্লা গ্রামের কলাবাগানে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বাচ্চু মিয়ার ভাই আলমগীর মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার তদন্ত করে।
তদন্ত শেষে আদালতে দায়ের করা অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) উল্লেখ করা হয়, রফিকুল ইসলাম এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বাচ্চু মিয়াকে একটি মোটরসাইকেলে করে নির্জনস্থানে নিয়ে প্রথমে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ও পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাচ্চু মিয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। মূলত বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগমের সঙ্গে রফিকুল ইসলামের পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। রফিকুল ইসলাম রীনা বেগমের খালাতো বোনের জামাই।
পরকীয়া চলা অবস্থায় রিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রফিকুল। তখন রিনা জানান বাচ্চুকে খুন করতে পারলে তাকে বিয়ে করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রফিকুল এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় এবং ঘটনার পর অন্যদের মতো বাচ্চু মিয়াকে খুঁজতে থাকে। এলাকার লোকজন সন্দেহবশত ওই দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, চলতি শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ থেকে এককালীন বৃত্তি প্রদান কর্মসূচি জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার্জনে উৎসাহিত ও উজ্জীবিত করবে। তিনি এই প্রসংশনীয় উদ্যোগের জন্য জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি আজ ৩ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ আয়োজিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন বৃত্তি প্রদান কর্মসূচিতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত অত্র উপজেলাধীন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই কথা বলেন।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্তৃক উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, জেলাপরিষদ সদস্য সনি আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রহিমকে তথ্য গোপনসহ সরকারি আদেশ অমান্য করে উত্তোলন করা দুই মাসের বেতন ফেরত দিতে চিঠি দিয়েছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বাঞ্ছারামপুর শাখার ব্যবস্থাপক গতকাল মঙ্গলবার জনতা ব্যাংক বাঞ্ছারামপুর সদর শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আরিফ হোসেন অধ্যক্ষকে বেতন ফেরতের এই চিঠি দেন।
২০১৯ সালের ৩০ জুলাই মাউশির সহকারি পরিচালক ফারহান আক্তার স্বাক্ষরিত চিঠি সূত্রে জানা গেছে, আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের তথ্য গোপন এবং সরকারি বিধি লঙ্ঘণ করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ মাউশির তদন্তে প্রমানিত হয়েছে। মাউশির তদন্তে অধ্যক্ষ আবদুর রহিম বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পদে আবেদন ও যোগদানের সময় পূর্ববর্তী কলেজে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ও মামলা চলমান থাকার তথ্য গোপন রেখেছিল বলে তদন্তে প্রমানিত হয়। বিধি অনুযায়ি তিনি পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র প্রদান করেননি।
এছাড়া বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আাদায়ের অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হয়। জনবল কাঠামো ২০১৮ এর ১৮.১ (খ) ধারা অনুযায়ী তার এমপিও কেন বাতিল করা হবে না এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আবদুর রহিমকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে কলেজের শিক্ষকদের এমপিওতে (মাসিক বেতন প্রদান আদেশে) আবদুর রহিমের বেতন বন্ধ করে।
পাশাপাশি ঈদুল ফিতরের ভাতা এমপিওতে এবং বৈশাখী ভাতার এমপিওতে রহিমের নাম বাতিল করে দেয় মাউশি।
কিন্তু অধ্যক্ষ আবদুর রহিম মাউশির এমপিও (মাসিক বেতন প্রদান আদেশ) বাতিলের তথ্য গোপন রেখে কলেজের সভাপতির স্বাক্ষর নিয়ে বেতন বিল তৈরি করে জনতা ব্যাংকে বিল জমা দিয়ে গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের যথাক্রমে ৫৬ হাজার ২৬০টাকা এবং ৬৫ হাজার ২৬০ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান। পরে বৈশাখী ও ঈদুল ফিতরের ভাতার বিল জমা দেয়ার সময় বিষয়টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কাছে ধরা পড়ে। পরে ব্যাংক ব্যবস্থাপক বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
তথ্য গোপনসহ সরকারি আদেশ অমান্য করে জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলিত করা গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বেতন ফেরত দিতে গত মঙ্গলবার জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অধ্যক্ষ আবদুর রহিমকে চিঠি দেয়।
জনতা ব্যাংক বাঞ্ছারামপুর সদর শাখার ব্যবস্থাপক আরিফ হোসেন জানান, অধ্যক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরে দিলে আমরা তাদের বেতন-ভাতা দিয়ে থাকি গত পরে বৈশাখী ও ঈদুল ফিতরের বোনাসের জন্য বিল জমা দিলে আমার সন্দেহ হলে আমি বিষয়টি খবর নিয়ে জানতে পারি ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের তার বেতন বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি আমি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। উত্তোলিত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বেতনের টাকা আগামী তিন দিনের মধ্যে ফেরত দিতে অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছি।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রহিম জানান, এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বেতন বন্ধ হতে পারে। জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আমি জবাব দিলে আবার বেতন চালু হবে। বিষয়টি আমিও জানতাম না। আমি কোনো তথ্য গোপন করিনি।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের আর্থিক বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একি মিত্র চাকমা জানান, বেতন বন্ধের চিঠি কলেজে আসে। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। ব্যবস্থাপক তিনদিনের মধ্যে উত্তোলিত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বেতন ফেরত দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ জনতাকে বুকে আগলে রেখেছ জননেত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের বটবৃক্ষ শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি জনগণের ভালোবাসা। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সুশাসন দেশের মানুষের নজর কেড়েছে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ মতপ্রার্থক্য ভুলে সবাই এক হয়ে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে কাজ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ফলজ ও ভেষজ চারা বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী আতিকুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. নূরে আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আমিনুল ইসলাম তুষার, উজানচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া প্রমুখ।