চলারপথে রিপোর্ট :
জন্ম নিবন্ধনের কাগজে সই আনতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে সংরক্ষিত নারী সদস্য ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী বিয়ের জন্য চাপ দিলে চেয়ারম্যান প্রথমে রাজি হলেও পরে অস্বীকার করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত চেয়াম্যানের নাম মো. সোলাইমান মিয়া। তিনি তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। অন্যদিকে ভুক্তভোগী একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য।
ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় সাত মাস আগে একটি জন্ম নিবন্ধনে স্বাক্ষর নিতে তিনি চেয়ারম্যান সোলাইমান মিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে একা পেয়ে চেয়ারম্যান তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারী ঘটনা প্রকাশ করে দিতে চাইলে, সোলাইমান মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে তার কাছে মাফ চান এবং তাকে বিয়ে করবেন বলে কথা দেন। পরে ওই নারী সদস্যকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রায় ৭ মাস ধরে ঢাকার ঈশা খাঁ হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন।
দুই মাস আগেও তিনি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানান। পরে চেয়ারম্যানের কথায় সেই বাচ্চাও নষ্ট করে ফেলেন ভুক্তভোগী।
এখন ইউপি চেয়ারম্যান সোলাইমান মিয়া তাকে বিয়ে না করলে ভুক্তভোগী ওই নারী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। পাশাপাশি তাকে বিষের বোতল হাতে নিয়ে ঘুরতেও দেখা গেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এদিকে এসব ঘটনা ওই নারীর স্বামী জেনে ফেলেন এবং এর জেরে গত ২৫ মে তাকে তালাক দেন।
অন্যদিকে গত ২৯ মে রাতে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ৬ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি জোরপূর্বক আপস মীমাংসা করে দিয়েছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
এ বিষয়ে তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোলমান মিয়া বলেন, এ ধরনের অভিযোগের কথা আমি শুনেছি। তবে এখনো মূল কারণ সম্পর্কে অবগত হইনি। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
চলারপথে রিপোর্ট :
হাজার হাজার মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র কলার ছড়ি প্রতীকের প্রার্থী মঈন উদ্দিন মঈন।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলা থেকে দিনভর সাধারণ মানুষ, সুশীল সমাজ ও নেতাকর্মীরা স্বত:স্ফূর্তভাবে উপস্থিত হয়ে প্রিয় নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় নবনির্বাচিত এমপি মঈন উদ্দিন মঈনকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিবেদন করেন।
গত রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই এই আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ভোটের ফলাফল আসতে থাকলে বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত মানুষ বিজয় মিছিল করে জননেতা মঈন উদ্দিন মঈনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্ব, বিনয়, সততা, স্পষ্টবাদিতা ও জনপ্রিয়তা এবং প্রার্থীর প্রতি তরুণ-যুবসমাজ আকৃষ্ট হওয়া ইত্যাদি কারণে মঈন উদ্দিন জয়ী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, মঈন উদ্দিন মঈন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহিরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। স্কুলজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি। ১৯৯০ সালের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের আলম-কামরুল-মেহেদী পরিষদে ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ৬৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি নোহা মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
আজ ১৯ মে রবিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ছত্রিশ গ্রামের মোঃ ছানু মিয়ার ছেলে গাড়ি চালক রুমন আহম্মদ শরীফ (৩৪) ও একই উপজেলার শেরপুর গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে মোঃ বিল্লাল আহমদ(২৬)।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাহিদ আহাম্মেদ জানান, রবিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায় গাড়িতে তল্লাশী চালানো হয়। অভিযানকালে একটি নোহা মাইক্রোবাসে তল্লাশী চালিয়ে ৬৯৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
এসময় গাড়ির চালকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। আটক মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রজু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ৭২ কেজি গাঁজা ও ৩৭৫টি ইয়াবাসহ মো. কানু মিয়া (৩১) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪ এর সদস্যরা।
আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প।
আটক কানু মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা আলাদাউদপুর গ্রামের মো. আব্দুর রহমান কাদের মিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার চরচারতলা ইউনিয়নের মহরম পাড়ায় অভিযান চালিয়ে কানু মিয়াকে আটক করা হয়। সে সময় তার কাছ থেকে ৭২ কেজি গাঁজা ও ৩৭৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। জব্দ করা হয় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাও। এ ঘটনায় কানুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফরিদ মিয়া (৬০) নামের এক কৃষককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ৭ মার্চ শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ তারুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ফরিদ মিয়া শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া সফরের বাড়ির মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আহত ফরিদ মিয়ার চাচা আব্দুল আলীমের নামে ৬৭ শতাংশ ভূমির জায়গা নামজারি খতিয়ান করলে ফরিদ মিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশুগঞ্জে উক্ত নামজারি খতিয়ান বাতিল করান। সেই বাতিল নামজারি খতিয়ান দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন ও আব্দুল আলীম যোগসাজশ করে চেয়ারম্যারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির নামে দলিল করেন। এই দলিল দিয়ে চেয়ারম্যান জোর করে জায়গা দখলে নিবে অথবা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিলে এই জায়গা থেকে সরে যাবে বলে জানায় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফ উদ্দিন চৌধুরী।
আহতের ছেলে রাকিব বলেন, শুক্রবার বিকেলে চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন ও তার ভাই ইমান উদ্দিন-আলাউদ্দিন পূর্বের দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ফরিদ মিয়াকে মারধোর করে রক্তাক্ত করেন। পরে স্থানীয়রা ফরিদ মিয়াকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল হোসেন জানান, মারধোরের ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থেকে চুরি হওয়া আরএফএল কোম্পানির প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের দুটি কাভার্ড ভ্যানসহ ১৮ টন অ্যালুমিনিয়াম ইনগট উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ১২ নভেম্বর রবিবার দুপুরে আশুগঞ্জ থানার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১ নভেম্বর সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা সংলগ্ন ফেরীঘাট এলাকা থেকে অ্যালুমিনিয়াম ইনগটসহ দুটি কাভার্ড ভ্যান চুরি হয়।
পরে আরএফএল কোম্পানির প্রতিনিধি জুলফিকার হোসেন খান বাদী হয়ে মিরাজ মিয়া (৩৯) ও হৃদয়সহ (১৯) অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহযোগিতায় মালামালসহ (অ্যালুমিনিয়াম ইনগট) দু’টি কাভার্ড ভ্যান চুরি করে নিয়ে গেছে উল্লেখ করে আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৩১ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে যশোর বেনাপোল থেকে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের আমদানি করা ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ২০ টন অ্যালুমিনিয়াম ইনগট দুটি কাভার্ড ভ্যানে লোড করে চালক তুহিন (৩৫), ইয়াছিন (৩৩) ও হেলপার জিসান হোসেন (২৫) হবিগঞ্জ প্রাণ আরএফএলের ফ্যক্টরিতে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করে।
পরদিন ১ নভেম্বর ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে তারা কাভার্ড ভ্যান নিয়ে আশুগঞ্জে পৌঁছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের টোলপ্লাজা সংলগ্ন ফেরীঘাট এলাকায় যাত্রাবিরতি করে। চালকরা গাড়ি থেকে নেমে বিশ্রাম করার ফাঁকে চোর চক্র মালামালসহ কাভার্ড ভ্যান দুটি চুরি করে নিয়ে যায়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ জানান, গত দু-তিনদিনে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আবু ইউছুফ প্রকাশ হৃদয় (২৩), আমির হোসেন (২৩) ও বাবুল হোসেন (৫০) নামে পুলিশ চোর চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে।
তাদের দেওয়া তথ্যমতে কুমিল্লা থেকে একটি এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে আরো একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করে। উদ্ধার করা কাভার্ড ভ্যান দুটিতে মোট ১৮ টন অ্যালুমিনিয়াম ইনগট পাওয়া যায়। কাভার্ড ভ্যানসহ উদ্ধার করা মালামালের আনুমানিক মূল্য ৯৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা হবে বলে তিনি জানান।