চলারপথে রিপোর্ট :
মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। গত ২৯ মে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয়) আদালতের বিচারক আসমা জাহান নিপা মামলাটি খারিজ করে দেন। পাশাপাশি মামলার বাদী এবং বাদীপক্ষের আইনজীবীকে মামলাটির জন্য তিরস্কার করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের মো. দলিলুর রহমানের ছেলে মো. আশিকুর রহমান ( ৪১) তার মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন। পরবর্তীতে বিচারক অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করে- যা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চক্রটি প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চক্রান্তের আশ্রয় নিয়েছে। উক্ত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে মোবাইল ফোন হারান আশিকুর রহমান। এ বিষয়ে তিনি আশুগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই মোবাইল ফোনটিতে ইউএনওর নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম ব্যবহৃত হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় আল-আমিন (৩৫) নামে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ইকরতলী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আল-আমীন বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ইকরতলী এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর সময় আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, আল-আমিন একটি মাদক মামলার যাবজ্জীবনদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে থানায় ১০ টি মামলা রয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিলেট থেকে পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সিলেটমুখী একটি অ্যাম্বুলেন্স মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার নিহত হন।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা বাসস্ট্যান্ডের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মুসলিমপাড়ার মো. তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল খালেক (৩২)।
খাতিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি অকুল চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনার সততা নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। ট্রাকের ড্রাইভার পলাতক রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে শেখ রাসেল মিনি ফুটবল স্টেডিয়ামে হৃদয় নামে এক শিশু বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে ঐ স্টেডিয়ামের ছাদ থেকে ফুটবল আনতে গিয়ে সে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায়। মৃত হৃদয় (১৪) উপজেলার ক্ষুদে হারিয়া গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে।
চম্পকনগর পুলিশ ক্যাম্পের এসআই ইব্রাহিম জানান, ঐ শিশুটি কয়েকজনকে নিয়ে মাঠে ফুটবল নিয়ে খেলা করছিলো। এ সময় তাদের ফুটবলটি ছাদে আটকে যায়। ছাদ থেকে ফুটবল আনতে গিয়ে সেখানে থাকা বিদ্যুতের তারে আটকে হৃদয় মারা যায়।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ফাইটার দীন ইসলাম জানান, স্টেডিয়ামের একটি ভবনের ওপর বিদ্যুতের তার ছিলো। তারটি বেশ নিচু। ধারণা করা হচ্ছে- হৃদয় ঐ তার পেরিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে যায়। ছাদে পানিও ছিলো। যে কারণে সে সহজেই বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে একটি মিলে অভিযান চালিয়ে ভেজাল মসলা তৈরির মালামাল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের সাতবর্গ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে কৃত্রিম রং, ধানের কুঁড়া ও কেমিক্যাল জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ।
এ সময় ভেজাল মসলা তৈরির অপরাধে মো. আনোয়ার হোসেন (৪১) নামের এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, গোপন সংবাদ পাওয়া যায় যে, ওই মিলটিতে মাদক রয়েছে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দলসহ মিলটিতে আমরা অভিযান চালাই। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মিলের সামনে মরিচসহ বিভিন্ন প্রকার মসলা সাজানো রয়েছে। মিলের ভেতরে ঢুকে দেখা যায় কৃত্রিম রং, ধানের কুঁড়া ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে মরিচ, ধনিয়া, হলুদের ভেজাল মসলা উৎপাদন করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় একজনকে আটক করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমার অবশেষে খোঁজ মিলেছে।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানী ঢাকার নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। খবর দেয়া হয় বিজয়নগর থানা পুলিশকে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, পুলিশ নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় থেকে উদ্ধার করেছে। বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে আনতে নারাগঞ্জের কাঁচপুরে গিয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনা হবে।
ওসি আরো বলেন, প্রীতি খন্দকারকে দুইজন নারী তাকে পান খাইয়েছিল এরপর তার কিছু মনে নেই বলে জানায়। তবে সে নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছেন। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলে আসছিলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছে। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান। মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগীয় নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় যায় প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচারণা চালানোর পর থেকে প্রীতির কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় তিনি দাবী করেন প্রীতি খন্দকারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তার স্ত্রীকে গুম করেছে। এ বিষয়ে তিনি সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করার পাশাপাশি থানায় একটি জিডি করেন।