চলারপথে রিপোর্ট :
মো: আব্দুর রাজ্জাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছেন।
ফারুকের মৃত্যুতে বুধবার সংসদে শোকপ্রস্তাবের আলোচনায় যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ফারুক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের সময় থেকেই তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। প্রতিটি সংগ্রাম ও আন্দোলনে তিনি যথার্থ সাহসিকতার সঙ্গে অবদান রেখেছেন। ছয় দফা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা কখনই ভোলার নয়। তার মৃত্যু আমাদের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি।
তিনি বলেন, ফারুক শুধু রাজনীতিবিদ হিসেবেই অবদান রাখেননি, তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও অবদান রেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সাংস্কৃতিক কর্মীরা আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়েছেন এবং এর নেতাকর্মীদের সাহস জুগিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলা হচ্ছিল এবং সবাই তার নাম উচ্চারণ করতে সাহস পাচ্ছিল না, তখন সংস্কৃতিকর্মীরা এগিয়ে আসেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (ফারুক) বঙ্গবন্ধুর নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গঠন ও দেশাত্মবোধক গানকে সামনে নিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত করতে ভূমিকা রেখেছিলেন। সুতরাং তিনি এ দেশের জন্য বিরাট অবদান রেখেছেন।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনের (বাজেট অধিবেশন) শুরুতে সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এ নিয়ে আলোচনা শেষে বুধবার সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আসাদুজ্জামান নূর, মেহের আফরোজ ও হাবিব হাসান, বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আলোচনায় যোগ দেন।
আকবর হোসেন পাঠান গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান।
এছাড়া সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির সংসদ সদস্য কবির হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্য-ন্যাপের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, প্রখ্যাত লেখক ও ঔপন্যাসিক সমরেশ মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রোকিয়া আফজাল রহমান, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির মা রহিমা ওয়াদুদ ও বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে সংসদে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে এবং দেশ-বিদেশে দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
পরে এক মিনিট নীরবতা পালন ও রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাফিজ রুহুল আমিন মাদানী।
প্রথা অনুযায়ী, বর্তমান সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠানের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবটি গৃহীত হলে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সংসদের দিনের কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ সেপ্টেম্বর ‘সুরসম্রাট’ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনিই প্রথম বাঙালি, যিনি সর্বপ্রথম পাশ্চাত্যে উপমহাদেশের রাগসঙ্গীতকে পরিচিত করান।
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন খ্যাতনামা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ও সরোদবিশারদ। বাবা সঙ্গীতজ্ঞ সবদর হোসেন খাঁ ওরফে সদু খাঁ, মা সুন্দরী বেগম। ছোটবেলায় তার বড় ভাই ফকির (তাপস) আফতাব উদ্দিন খাঁর কাছে সঙ্গীতের হাতেখড়ি। সুরের সন্ধানে মাত্র ১০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এক যাত্রাদলে যোগ দিয়ে ঘুরে বেড়ান গ্রামে গ্রামে। ওই সময় তিনি জারি-সারি, বাউল, ভাটিয়ালি, কীর্তন, পাঁচালি প্রভৃতি গানের সাথে পরিচিত হন। পরে কলকাতায় গিয়ে প্রখ্যাত সঙ্গীত সাধক গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য ওরফে নুলো গোপালের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। বাঁশি, পিকলু, সেতার, ম্যান্ডোলিন, বেঞ্জো ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখেন সঙ্গীত পরিচালক অমৃত লাল দত্ত ওরফে হাবু দত্তের কাছে। সেই সাথে তিনি লবো সাহেব নামে এক গোয়ানিজ ব্যান্ডমাস্টারের কাছে পাশ্চাত্য রীতিতে এবং বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ অমর দাসের কাছে দেশীয় পদ্ধতিতে বেহালা শেখেন। এ ছাড়া হাজারী ওস্তাদের কাছে শেখেন মৃদঙ্গ ও তবলা। ১৯১৮ সালের পর তিনি ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘খাঁ সাহেব’ উপাধিতে ভূষিত করে। আলাউদ্দিন খাঁ ১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের মাইহারে মদিনা ভবনে মারা যান। রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্ম কিংবা মৃত্যু কোনো দিবসই পালন করা হয় না। অপর দিকে তার স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে নামে-বেনামে বেদখল হয়ে যাচ্ছে জমিজমা, বাড়িঘর, নিজ হাতে তৈরি করা মসজিদের জায়গা ও পুকুর। সবমিলিয়ে নিজ জন্মভূমিতেই অবহেলিত উপমহাদেশের সঙ্গীতজগতের কিংবদন্তি ‘সুরসম্রাট’ খ্যাত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সময়টা খুব ভালো নয়। এখানে অসুরের আস্ফালন হচ্ছে। এখানে দুষ্টের সংখ্যা বেড়ে গেছে। সৃষ্টকে পালন করতে হবে। এখানে অশান্তির হুমকি আছে। শ্রী কৃষ্ণের উপদেশ মতো শান্তি যাতে বজায় থাকে, সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে এটা প্রমাণ হয়েছে, শাসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে রাজনীতিতে সনাতন ধর্মের মানুষের আপন অন্তত নেই। আওয়ামী লীগ থাকাকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইবোনরা নিরাপদে ছিলেন।
সবাইকে দূর্গাপুজার সময় সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, অশুভ শক্তি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন কোনো ঘটনা যদি ঘটায়, যা হিন্দুদের সঙ্গে বা ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে। সুতরাং আমাদের আরো সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আপনাদের বাড়ি ঘরে কোনো অশুভ শক্তি যেন ক্ষতি না করতে পারে, আমি সবাইকে আহ্বান করব, আপনাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। নিরাপত্তা দিতে হবে। বাসা বাড়ির নিরাপত্তা, মন্দিরের নিরাপত্তা, মন্ডপের নিরাপত্তা। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সতর্ক আছে। আমাদের জনগণকেও সতর্ক থাকতে হবে।
সকল আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ইস্যু করে বিএনপি এবার অশুভ খেলা খেলতে চায়।
তিনি বলেন, ‘সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে অশুভ শক্তি তৎপর। গতবার ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে তারা তান্ডব চালিয়েছিল। এবার তারা ড. ইউনূসকে ইস্যু করে অশুভ খেলা খেলতে চায়। তারা আবার ওয়ান-ইলেভেনের মতো দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদের এ আশা পূরণ হবে না।
ওবায়দুল কাদের আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে রাজধানীর পলাশি চৌরাস্তায় কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা পূর্বক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে ওবায়দুল কাদের ও শেখ ফজলে নূর তাপস জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক
ট্রাফিক পুলিশের হেনস্থা ও হয়রানির প্রতিবাদে রাজধানীর গাবতলীতে মহাসড়ক অবরোধ করে পরিবহন শ্রমিক। অবরোধের কারণে বন্ধ রয়েছে মিরপুর সড়কে যান চলাচল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
রাজধানীর প্রবেশ মুখে অবরোধের কারণে গাবতলীর উভয় পাশে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। তা বিস্তৃত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সাভারের আমিনবাজার থেকে বলিয়ারপুর পর্যন্ত। চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন অফিস মুখো যাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে আশিক মিয়া নামের এক পিকআপ চালকের গাড়ির কাগজপত্র চেক করার বিষয় নিয়ে প্রথমে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
তাদের অভিযোগ, ফিটনেস,রুট পারমিটসহ সকল কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ওই পিকআপ ভ্যানের লুকিং গ্লাস ভাঙ্গা থাকায় ২০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
এ সময় চালক ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ট্রাফিক সার্জেন্ট জহিরসহ দুই পুলিশ তাকে মারধর করেন।
এর প্রতিবাদে পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা গাবতলীতে সড়ক অবরোধ করলে সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয়। সূত্র : যায়যায়দিন
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ ৬ অক্টোবর রোববার সেনাবাহিনী সদরদপ্তরে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। পদোন্নতি পর্ষদের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সবাইকে স্বাগত জানান। এসময় জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি আরো স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহীদসহ সকল বীর সেনানীদের, যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
ড. ইউনূস বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সদর ইউনিয়নে এক বাড়িতে ধুমধাম করে চলছিলো পনেরো বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ের অনুষ্ঠান। হঠাৎ হাজির হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী মোর্শেদ। ওই কিশোরীর বয়স প্রমানের কাগজপত্র চাইলে পরিবারের লোকজন তা দেখাতে ব্যর্থ হয়। পরে তিনি এ বিয়ে বন্ধ করে দেন।
ওই কিশোরীর পারিবারীক সূত্রে জানা যায়, সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। তার বিয়ে হচ্ছিলো চর বিঞ্চুপুর ইউনিয়নের কাজীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব মোল্যার ছেলে সৌদী প্রবাসী রায়হান মোল্যা (২৮) এর সাথে। ইউএনও এর উপস্থিতি ও বিয়ে বন্ধের খবর পেয়ে তারা আর মেয়ের বাড়িতে আসেননি।
ইউএনও বলেন, বাল্য বিয়ের বিষয়ে খবর পেয়ে তিনি তথ্য যাচাই করে এর সত্যতা জানতে পেরে ওই বাড়িতে আসেন এবং বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে ওই কিশোরীর মায়ের কাছ হতে মূচলেকা গ্রহণ করেন।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান, ইউপি সদস্য সরোয়ার মৃধা, এখলাস হোসেন প্রমুখ।