চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে রুপা আক্তার সামিয়া (১০) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর ইটেরপুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় তার মা ওই অটোরিক্সায় ছিলেন।
এ ঘটনায় অটোরিক্সা চালক মানিক হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সামিয়া সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়নের কামানখোলা এলাকার ফল ব্যবসায়ী মো. সোহেলের মেয়ে। সে স্থানীয় কামানখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মেয়ের মৃত্যুতে মা আমেনা বেগম অচেতন হয়ে পড়েছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি।
পরিবার সূত্র জানায়, সামিয়াকে নিয়ে তার মা আমেনা কামানখোলা এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকেন। ঘটনার সময় সামিয়ার বড় বোন স্বর্ণা আক্তার লামিয়া শ্বশুরবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এতে সামিয়া ও তার মাসহ তাদের এগিয়ে দেওয়ার জন্য অটোরিক্সায় করে ইটেরপুল এলাকায় যাচ্ছিলেন। ইটেরপুল এলাকার পৌঁছার আগে সামিয়ার ওড়না অটোরিকশার মোটরের সঙ্গে পেঁচিয়ে যায়। এতে সামিয়ার গলায় ফাঁস লাগে। সামিয়াকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সামিয়ার বোন স্বর্ণা আক্তার লামিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য মা ও সামিয়া অটোরিকশাতে উঠে। কিন্তু পথেই অটোরিক্সার মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লেগে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে আমার মা অচেতন হয়ে পড়েছেন। আমার পুরো শরীর কাঁপছে। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার এসআই বেলায়েত হোসেন বলেন, শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অটোরিক্সা চালককে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির মা ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রহিমা ওয়াদুদের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ ৭ মে রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় মরহুমার মেয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ছেলে ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, পানিসম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদসহ পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, তার প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকর্মীসহ অন্যান্যরা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে বিভিন্ন স্তরের মানুষের পক্ষ থেকে মরহুমার কফিনে ফুলের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
রহিমা ওয়াদুদের ছেলে ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু বলেন, আমার মা সব সময় দেশের কথা ভেবেছেন, দেশের জন্য কাজ করেছেন। তিনি অত্যন্ত দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ছিলেন। আমি আপনাদের কাছে তার জন্য দোয়া প্রার্থী।
উল্লেখ্য, ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদের সহধর্মিণী ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির মা রহিমা ওয়াদুদ। তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান, সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক। শিক্ষকতার জীবনে তিনি বহু শিক্ষার্থীর মানস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদের মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে শুরু করে সব মুক্তির আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন রহিমা ওয়াদুদ। তার মৃত্যুতে জাতি একজন নির্লোভ, দেশপ্রেমিক ও একনিষ্ঠ শিক্ষককে হারাল বলে মন্তব্য বিশিষ্টজনদের।
এর আগে ৬ মে শনিবার দুপুর ১১টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন রহিমা ওয়াদুদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি ছেলে ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু ও মেয়ে ডা. দীপু মনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় ইমরুল হোসেন (১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৭ জুলাই শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা-সৈয়দাবাদ সড়কের পৌর শহরের কদমতলী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ইমরুল পৌর শহরের আড়াইবাড়ী গ্রামের ইমতিয়াজ হোসেনের ছেলে। পুলিশ ট্রাক্টরটি জব্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে সাইকেল চালিয়ে এসে পৌর শহরের কদমতলী মোড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলো। এসময় সৈয়দাবাদের দিক থেকে আসা মাটিবাহী ট্রাক্টর শিশু ইমরুলকে চাপা দেয়। চাকায় পিষ্ট হয়ে মস্তিস্ক বের হয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই শিশু ইমরুলের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। নিহত শিশু ইমরুলদেও পরিবার কসবার আড়াইবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। তাদেও বাড়ি পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাড়ানী গ্রামে। ইমরুলের বাবা একজন অটোরিক্সা চালক। ইমরুল পৌরশহরের আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, ট্রাক্টরটিকে জব্দ করা হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমান্ত দিয়ে যেন অবৈধ অস্ত্র দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সতর্ক রয়েছে বিজিবির জোয়ানরা। এছাড়া মাদক ও চোরাচালান বন্ধে আগের থেকেও বেশি সক্রিয় আমাদের বাহিনীর সদস্যরা।’
আজ ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার কুমিল্লা বিবিরবাজার সীমান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিবিরবাজার সীমান্ত পরিদর্শনে গেলে ভারতের বিএসএফ গোকুলনগর সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার রাজেশ সিং কানওয়ার তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। বিএসএফের পক্ষে থেকে বিজিবি মহাপরিচালককে মিষ্টি উপহার দেওয়া হয়।
এর আগে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান কুমিল্লা বিজিবির সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন ইউনিটের অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
ডেস্ক রিপোর্ট :
অবৈধভাবে পণ্য মজুতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হচ্ছে। খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২২-এর খসড়ায় এ বিধান যুক্ত করা হয়েছে। অন্য সব অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
সম্প্রতি নতুন আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত খসড়া আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধের বিশেষ আদালতে বিচার হবে।
গত বছরের ১৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়। খসড়াটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সবার মতামত নেওয়া হচ্ছে। এরপর এটি আবার মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে তা সংসদে যাবে। এ আইন পাশ হলে ‘ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ ও ‘দ্য ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯’ বাতিল হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বছরের বিভিন্ন সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এরপর ওইসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিপুল অঙ্কের মুনাফা লুটে নেয়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত চক্রটি এ কাজ করলেও সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এ কারণে নতুন আইন করা হচ্ছে।
নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়- কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুত সংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে শর্ত থাকে যে, এ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন তাহলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
উৎপাদন বা বিপণন সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ডের বিষয়ে বলা হয়েছে- যদি কোনো ব্যক্তি কোনো অনুমোদিত জাতের খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে ওই ধরনের জাতের উপজাত পণ্য হিসাবে উল্লেখ না করে ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বিপণন করেন, খাদ্যদ্রব্যের মধ্য থেকে কোনো স্বাভাবিক উপাদান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অপসারণ করে বা পরিবর্তন করে উৎপাদন বা বিপণন করেন বা খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম উপাদান মিশিয়ে উৎপাদন বা বিপণন করেন- তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- সরকার খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহকালে সরকারি গুদামে রাখা পণ্য বৈধ বা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে, দেশে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের পরিবর্তে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য বা সরকারি গুদামের পুরোনো বা বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে এমন চিহ্নযুক্ত খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ সরকারি গুদামে সরবরাহ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি খাদ্য অধিদপ্তরের বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে- এমন চিহ্নযুক্ত সিল ছাড়া সরকারি গুদামের খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ বিতরণ, স্থানান্তর, কেনাবেচা করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন সম্পর্কিত কোনো মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি তৈরি, মুদ্রণ, প্রকাশ, প্রচার বা বিতরণ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।
খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- অপরাধের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আদালত থাকবে, যার নাম হবে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত হিসাবে নির্ধারণ করতে পারবে। একাধিক আদালত নির্ধারণ করা হলে প্রতিটি আদালতের জন্য স্থানীয় অধিক্ষেত্র নির্দিষ্ট করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রংপুরে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় হাফেজদের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ রংপুর বিভাগের আটটি জেলার প্রতিযোগীদের নিয়ে বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার সকালে নগরীর সিও বাজার মাদরাসাতুল হুফফাজ, কেল্লাবন্দ আদর্শ বহুমুখী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে কুরআনের নূরের এ বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠান চলবে বাচাই পর্বের শেষ পর্যন্ত।
কুরআনের পাখিদের ভিড়ে মিলনমেলায় পরিণত হয় মাদরাসা মাঠের অনুষ্ঠানস্থল।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে খুদে হাফেজরা ছুটে আসে রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে খুদে হাফেজরা ছুটে আসে রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন বিষয়ক মেগারিয়ালিটি শো ও প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’-এর প্রথম বাছাই পর্ব আসর শুরু হয় সকালে। এবার এ প্রতিযোগিতা জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও পরিচালিত হবে।
প্রতিযোগিতায় হাফেজ ও মাওলানাসহ প্রায় ৬০০ উপস্থিত হয়েছে। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করে প্রায় সাড়ে ৩০০ জন হাফেজ। তাদের মধ্য থেকে ১০ জনকে বাছাই করা হয়। এই ১০ জন প্রতিযোগী ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবে।
জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীরা অংশ নেবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় এ আয়োজনে দেশসেরা অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সী পবিত্র কুরআনের হাফেজদের সম্মাননা ও পুরস্কার দেওয়া হবে। জাতীয় পর্যায়ে পুরো দেশের অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সী ৩০ পারা কুরআনের হাফেজরা অংশ নিতে পারবে।
প্রতিটি জোন থেকে মূল্যায়িত সেরা হাফেজরা ইয়েস কার্ড প্রাপ্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেবে। এরপর তাদের নিয়ে শুরু হবে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।
দেশবরেণ্য ইসলামিক স্কলার ও অভিজ্ঞ হাফেজদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলী তাদের মধ্য থেকে আটজন হাফেজকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করবেন।
এবারের কুরআনের নূর প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে সাত লাখ টাকা ও সম্মাননা। তৃতীয় পুরস্কার পাঁচ লাখ টাকা ও সম্মাননা। চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার দুই লাখ টাকা করে এবং সম্মাননা। এ ছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম স্থান অর্জনকারী বাকি তিনজন পাবে এক লাখ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার ও সম্মাননা। এবারও জাতীয় পর্যায়ের আট বিজয়ী, তাদের পরিবার ও ওস্তাদকে ওমরাহ পালন করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৪-এর প্রথম বিজয়ী পাবে ১৫ লাখ টাকা ও সম্মাননা। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা এবং তৃতীয় বিজয়ী পাবে পাঁচ লাখ টাকা ও সম্মাননা।
কুরআনের শ্রেষ্ঠ হাফেজদের সম্মাননা ও আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করবে বসুন্ধরা গ্রুপ।
এ অনুষ্ঠানে প্রথম পর্যায়ে স্থানীয় বিচারক হিসেবে হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান, হাফেজ মাওলানা ক্বারী ইউনুস, মাওলানা শাহজাহান আলী, হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে নিবেদন করা হচ্ছে ‘কুরআনের নূর’। এই আয়োজনের মাধ্যমে কুরআনের শ্রেষ্ঠ হাফেজদের সম্মাননা ও আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করবে বসুন্ধরা গ্রুপ। বরাবরই আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের কুরআনে হাফেজদের পাশে থেকেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
এই অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিচারক ছিলেন হাফেজ মাওলানা কারী নুরুদ্দিন আহমেদ, হাফেজ মাওলানা কারী মিজানুর রহমান, হাফেজ মাওলানা কারী শাহাদাত হোসাইন, হাফেজ মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান।
আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র পেস ইমাম বায়তুল মোকাররমের মুক্তি মিজানুর রহমান ও নাজমুল হুদা সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদ মসুল্লি কমিটি।