চলারপথে রিপোর্ট :
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ও হাজার হাজার উৎসুক জনতার উপস্থিতে রাউজানের নোয়াজিশপুর ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী ‘নদিমপুর বলিখেলা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে নদিমপুর-নোয়াজিশপুর এলাকাবাসীর উদ্যোগে নদিমপুর তেঁতুলতলা এলাকায় বিশাল মাঠে এ বলিখেলার আয়োজন করা হয়। বলিখেলায় খ্যতনামা বলিসহ চট্টগ্রামের শতাধিক বলি অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ফটিকছড়ির মাসুদ রানাকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন কক্সবাজারের মুহাম্মদ হোসেন।
বলিখেলা দেখতে রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়িসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে যান বলিখেলাপ্রেমীরা। বলিখেলার উদ্ধার ও ফাইনাল রাউন্ড শেষে প্রধান অতিথি থেকে বলিখেলার উদ্বোধন ও পুরস্কার প্রদান করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নোয়াজিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন এম সরোয়ার্দী সিকদার।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বখতিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রয়েল কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার নারায়ণ চন্দ্রনাথ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী, নেছারুল হক, জমিরুল হক, আলফাজ হোসেন চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন দোস্ত মোহাম্মদ মেম্বার, শফিউল বশর মেম্বার, রাশেদ চৌধুরী, ইউপি সদস্য কাজী জিয়াউর রহমান, শওকত ওসমান চৌধুরী, রাকেশ রায় চৌধুরী, সৈয়দুল হক, আকতার হোসেন চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আলাউদ্দিন আলম, শফিউল ইসলাম, তাজউদ্দিন খান সোলেমান, কুতুব উদ্দিন সিকদার, তসলিম উদ্দিন সুজন, আবদুল্লাহ আল হারুন, নাহিদুল করিম চৌধুরী, আবদুুল মোতালেব, ফাহিম, রবিউল হোসেন রবিন প্রমুখ।
বলিখেলা উপলক্ষে গ্রামীণ মেলা বসানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় এক দুর্ধর্ষ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
এয়ারপোর্টে বিভিন্ন সময় শিকারের আশায় যাত্রীবেশে ঘুরে বেড়ানো অবস্থায় মো কামাল মিয়া নামে এই অভিযুক্তকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
এয়ারপোর্ট এপিবিএন সূত্রে জানা যায়, ৩১ আগস্ট ও ৭ সেপ্টেম্বর অজ্ঞান পার্টির দুইটি অভিযোগ পাওয়া যায়। দুইটি অভিযোগেই একই ধরনের প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়। ৩০ আগস্ট ওমান থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন সুরুজ আলী। এরপর ২ নম্বর ক্যানোপি দিয়ে বের হওয়ার সময় যাত্রীবেশী কামালের পরিচয় হয়।
কৌশলে প্রতারক সুরুজের গন্তব্য জেনে নেয় কামাল। এর পর নিজেও একই দিকে যাবেন বলে এক সাথে যাওয়ার প্রস্তাব দেন অভিযুক্ত কামাল। এরপর সুরুজকে বিভিন্ন কথা বলে বহুতল কার পার্কিং এলাকায় নিয়ে গিয়ে গল্প করেন এবং আস্থা অর্জন করে যাত্রী সুরুজকে কামাল কৌশলে জ্যুস পান করান এবং ভুক্তভোগী জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সকল মালামাল হারিয়েছেন।
৭ সেপ্টেম্বর আরো এক প্রবাসীর অভিযোগ পায় এয়ারপোর্ট এপিবিএন। যাত্রী রিপন হোসেন সৌদি থেকে ৬ সেপ্টেম্বর শাহাজালাল বিমানবন্দরে আসেন। ঢাকা ফেরার পর অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন। তিনিও সাথে থাকা ৩ হাজার সৌদি রিয়াল, মোবাইলসহ সবকিছু হারান।
এ সকল অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন। তদন্তে প্রতারক কামালকে অজ্ঞান পার্টির সদস্য হিসেবে শনাক্ত করে এপিবিএনের অপারেশন টিম। এর পর জাল বিছিয়ে অপেক্ষা করা হচ্ছিল কামালের। গতকাল মধ্যরাতে অভিযুক্ত কামালকে আবারো যাত্রী বেশেই বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরো জানান, আটক হওয়ার সময় নিজেকে যাত্রী দাবী করছিলেন কামাল। এ সময় যাত্রীর মত ব্যাগ বহন করতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয় কামাল। উপরে আলোচিত দুই যাত্রী রিপন ও সুরুজ দুইজনকেই সে নিজে অজ্ঞান করে মালামাল নিয়ে সটকে পড়েছে বলে স্বীকার করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ। শিক্ষকদের বলা হয় জাতি গঠনের গারিগর। একজন মানুষের জীবনে মা-বাবার পরেই জীবন গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে তার শিক্ষক। শিক্ষকদেরকে স্মরণ করা এবং তাঁদেরকে সম্মান জানানোর জন্য ইউনেস্কো কর্তৃক ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতি বছর অক্টোবরের ৫ তারিখে বিশ্বব্যাপী উদযাপন করা হয় বিশ্ব শিক্ষক দিবস।
বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগে পালিত হয় দিবসটি। এ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে র্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও থাকে শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদানের আয়োজন।
এবছরের শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার জন্য শিক্ষক: শিক্ষক স্বল্পতা পূরণ বৈশ্বিক অপরিহার্যতা’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এদিন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা এবং শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীসহ সবার শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সচেতনতা তৈরিতে প্রাক্তন ও বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সবার আংশগ্রহনে র্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে সেটা খোলার আর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ১ অক্টােবর রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের ৪০১ ধারার কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সেই নিষ্পত্তি করা দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আর আইনে থাকে না। ঠিক সেই ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারার উপধারা ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ব্যাখ্যা করে আমরা আমাদের মতামত পাঠিয়ে দিয়েছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখানে আমরা মতামত দিয়েছি, ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে সেটা পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ ট্রানজেকশন, এটা খোলার আর কোনো উপায় নেই।
খালেদা জিয়ার পরিবার যদি এর পরও তাকে বিদেশ পাঠাতে চায় তাহলে কী প্রক্রিয়ায় যেতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাকে এখন যে আদেশ বলে ৪০১ ধারায় দুটি শর্তে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটা বাতিল করে পুনরায় বিবেচনা করার সুযোগ থাকলে সেটা করা হবে।
তাহলে আবার আদালতে যেতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতে যাওয়ার বিষয়টি সবসময় আছে। তবে বিষয়টি আরো স্পষ্ট করে বলছি আমাদের এই উপমহাদেশে ৪০১ ধারার ক্ষমতা যখন সরকার প্রয়োগ করে তখন সেটাকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না বলে সিদ্ধান্ত আছে। সেক্ষেত্রে তারা হয়তো যদি প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটা হলো এরকম, এখন যে আদেশ আছে সেটা যদি বাতিল করা হয়, বাতিল করে তাকে যদি আবার কারাগারে নেওয়া হয় তাহলে তিনি আদালতে যেতে পারবেন।
এই অবস্থায় তিনি আদালতে যেতে পারবেন এমন কোনো সুযোগ নেই। তাহলে কি আদেশ বাতিল করা হবে? জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, বাতিল করা অমানবিক হবে। বাতিল করব না।
২৪ সেপ্টেম্বর আদেশ জারি করলেন তার কয়েকদিন না যেতে আবার এবিষয়টি নিয়ে তারা আবেদন করলো, এটা নিয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো আলাপ আলোচনা হয়নি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইনি মতামতের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার ভাইয়ের যে সর্বশেষ দরখাস্তটা, সেখানে বলা হয়েছে তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দেওয়ার জন্য এবং তাকে বিদেশ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া। সে বিষয়ে আইনি মতামতের জন্য আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
আপনাদের প্রশ্ন হলো, প্রথম কথা হলো প্রথম যে দরখাস্তটা ছিলো ২০২০ সালের মার্চ মাসে নিষ্পত্তি হয়। সেখানে বলা হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছিল। সেই দরখাস্তের ওপর আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেটা হলো দুটি শর্তসাপেক্ষে তার দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিলো। এটা ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারার উপধারা ১ এর ক্ষমতা বলে। সেখানে যে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- প্রথমত তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। দ্বিতীয়ত তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। সেই শর্ত মেনে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হন এবং বাসায় যান। সেভাবেই দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়।
তিনি বলেন, নিষ্পত্তি করার পর দরখাস্তের মধ্যে এইটুকু জিনিস উন্মুক্ত ছিল সেটা হলো, তাকে দেওয়া হয়েছিল ছয়মাসের জন্য এবং প্রত্যেক ছয় মাসে বাড়ানো যাবে কি না সে ব্যাপার ছিল। প্রত্যেক ছয় মাসে এটা বাড়িয়ে ছিল, আটবার বাড়ানো হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার কোন দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়। সেই নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আইনে থাকে না।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে চিঠি দেন। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী করতে বৃক্ষ রোপন অন্যতম হাতিয়ার। দেশে এক সময় গাছ কাটার শাসনতন্ত্র ছিল কিন্তু গাছ লাগানো হতো না। আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের প্রাণ রক্ষায় গাছ লাগায়।
আজ ৯ জুলাই মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০দিন ব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ অয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, এই পৃথিবীতে অক্সিজেনের সোর্স কমে গেলে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী করতে বৃক্ষ রোপন অন্যতম হাতিয়ার। বৃক্ষায়নের জায়গা রেখে নতুন বাড়ি বা ভবন করতে হবে অন্যথায় বাড়ি করার অনুমতি দেয়া হবেনা। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৃক্ষায়ন কর্মসূচি সফলে সবাইকে গাছ লাগানোর জন্য আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবির, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান।
মেলায় দেশী বিদেশী বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ভেষজ প্রকৃতির বিভিন্ন গাছের ২৬টি স্টল প্রদর্শিত হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা পদত্যাগ করেছেন। আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ২০১৮ সালে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রীর উপেদষ্টারা পদত্যাগ করেননি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সাতজন উপদেষ্টাকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়েছিল।
এরপর আজ বিকেলে তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।
বর্তমানে সরকারের মন্ত্রিপরিষদে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কাজ করছে। ২০১৮ সালেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার জন্য চিঠি দিয়েছিল।
এবারও তারা কাজ করছে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের এক যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে শুনেছি। তবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কি না, সেটা জানি না।’
মন্ত্রীসভার যেসব সদস্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত নন তাঁদের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী বলা হয়।