চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে ২০১৪ সালে শশুর হত্যা মামলার প্রধান আসামী দীর্ঘ ৮ বছর পরে বিজয়নগর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন এর স্ত্রী মোছাঃ শিপু বেগম (৪৫)। তাঁকে আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার ভোর সকালে তার বাবার বাড়ি উপজেলার খাদুরাইল গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত দায়রা জজ এর প্রথম আদালতে শশুর হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং দায়রা ১৩০/১৫। উক্ত মামলার ২০/১১/২০১৯ তারিখে আদালতে মোছাঃ শিপু বেগম এর যাবত জীবন সাজার রায় ঘোষণা করা হয়।
পারিবারিক কলহের জেরে পাইকপাড়া গ্রামের মোঃ জসিম উদ্দিন এর পিতা ও যাবত জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছাঃ শিপু বেগম এর শশুর কাঁছা মালাকে গত ২৫/৯/২০১৪ সালে শ্বাসরুদ্ধ করে শশুরকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা হলে সে গোপনে বিদেশে চলে যায়। দীর্ঘ ৮ বছর বিদেশে কাটিয়ে গোপনে গত সপ্তাহে দেশে আসলে বিজয়নগর থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাতক আসামী প্রবাস থেকে দেশে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিলে বিজয়নগর থানার একটি চৌকস ঠিম তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনায় বাড়ির উঠানে ফেলে পুত্রবধূ ও শাশুড়িকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় প্রধান আসামীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের আতকাপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন আতকাপাড়ার ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া (৪০) ও নান্নু মিয়া (৪৫)।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আতকাপাড়ার আবদুল আলীর ছেলে নাসির মিয়া ইটভাটায় কাজ করার সুবাদে চট্টগ্রামে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। গত দুই মাস আগে নিজের গ্রামে বাড়ি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
বাড়িতে নাসির মিয়া, তার স্ত্রী, স্কুল পড়–য়া মেয়ে এক ৬ মাস আগে বিয়ে হওয়া পুত্রবধূ থাকেন। নাসির মিয়ার বাড়ির সামনে একটি নালায় ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া ও সিরাজ মিয়ার ছেলে মানিক এবং সবুজ অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিলো।
গত শনিবার তাদের জালের বাঁধের বাঁশ কে বা কারা নিয়ে যায়। এনিয়ে নাসির মিয়ার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া, মানিক এবং সবুজ নাসিরের বাড়িতে গিয়ে নাসিরের স্ত্রী শিউলি বেগম, তার পুত্রবধূ শারমিন (২০) কে উঠানে ফেলে বেদড়ক মারধোর করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় নাসির মিয়া ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার প্রধান আসামী বাক্কু মিয়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিকদের সম্মিলিত প্রয়াস নিয়ে গঠিত বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর উদ্যোগে ভেজাল বিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ২৪ মার্চ শুক্রবার পহেলা রমজানের বিকাল বেলায় উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের নিদারাবাদ বাজারের উক্ত কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ।
এসময় তিনি উক্ত সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন দোকানের মালিক ও উপস্থিত বিভিন্ন ক্রেতার মাঝে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। এবং মানুষকে ভেজাল খাদ্যের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরে তা পরিহার করার জন্য সচেতন করেন।
এসময় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ খান, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল হাসান শান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু হানিফ, কার্তিক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলাল উদ্দিন, মোঃ মাহমুদুল হাসান হেলন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মাহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম সুজন, মোঃ হাবিব, নাহিদ খাঁন, কাজী সাগরসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
খুবই নিস্তব্ধ ও সুনসান নীরব দুলালপুর গ্রামটি। লালমাটির ওপর তৈরি পাঁকা সড়ক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেই দুই পাশে দেখা যায় হরেক রকমের বাগান। আর সেখানেই স্থানীয় আলমগীর ভূঞা গড়ে তুলেছেন চায়না থ্রি জাতের কমলার বাগান। বাগানজুড়ে ধরে আছে অনেক রঙিন কমলা। গত বছরও এ বাগানে প্রচুর কমলা ধরেছিল। দ্বিতীয়বারের মতো বাগানে কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম দুলালপুর। ২০১৯ সালে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নে চায়না জাতের কমলা বাগানের যাত্রা শুরু হয়। প্রবাসফেরত আলমগীর ভূঞা এই এলাকায় সর্বপ্রথম চায়না থ্রি জাতের কমলার বাগান চাষের উদ্যোগ নেন। পরীক্ষামূলক চাষেই তিনি লাভবান হয়েছেন। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে দুলালপুরের এই কমলা বাগান। বিভিন্ন হণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে আলমগীর ভূঞা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করেছিলেন। কমলা বাগানে কর্মরত মো. রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, এ বছর আলমগীর ভূঞা দুই বিঘা জমিতে চায়না থ্রি জাতের কমলার চাষ করছেন। বিশাল এই বাগানে রয়েছে ১৭৫টি গাছ। তবে বাগানে পরিচর্যা ও যত্নে দিতে হয় অক্লান্ত শ্রম ও অর্থ। দুই বিঘা জমির কমলা চাষে খরচ পড়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। গত বছরের তুলনায় যত্ন ভালো হওয়ায় ও স্থানীয় কৃষি অফিসারের সঠিক পরামর্শে ১৬ খেকে ১৭ লাখ টাকার কমলা বিক্রি হবে বলে আশা রাসেলের। জানা যায়, আলমগীর মিয়ার চাষ দেখে অনেকেই এখন কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে বিষ্ণপুর গ্রামে এখন পাঁচজন কমলাচাষ করছেন। তারা হলেন—ছতুরপুর গ্রামের খোকন মিয়া, মহেশপুর গ্রামের নুরুজ্জামান, কালু মিয়া, ইগরতলির তৈয়বুর রহমান।
কথা হয় আরেক কমলা চাষি মহেশপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রবাস থেকে ফিরেছেন চার বছর আগে। এলাকায় ফিরেই চাষাবাদ শুরু করেন। গত মৌসুমে আলমগীর মিয়াকে দেখেই নতুন উদ্যোক্তা হয়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ করে তিন বিঘা জমিতে চায়না থ্রি জাতের রঙিন কমলা চাষ করেন। নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে ভালো মুনাফা হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন নুরুজ্জামান।
বাগানে প্রবেশ করলেই বাশের বেড়া দিয়ে বানানো হয়েছে একটি ছোট ঘর। তার পাশেই টেবিল চেয়ার ও মাপ নির্ধারণের জন্য ডিজিটাল মেশিন নিয়ে বসে রয়েছেন বাগানের কর্মরত লোকজন। পাশেই একটি বিশাল ঝুড়িতে রাখা আছে কমলা। বাগানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী অথবা কমলা নিতে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতেই ঝুড়িতে কমলাগুলো বাছাই করে রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ী অথবা দর্শনার্থী সবার কাছ থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় রঙিন কমলা। তবে অনেকেই আবার ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। সেই কমলাগুলো পাকাপোক্ত হওয়ার আগেই এমন দরে বিক্রি করছে। বাগানের ভেতর ঢুকতেই দেখা মিলে মনোমুগ্ধকর অপূর্ব দৃশ্য। বাগানজুড়ে ধরে আছে অনেক কমলা। প্রতিটি গাছের থোকায় থোকায় সবুজ পাতার ফাঁকে যেন রঙিন কমলাগুলো উঁকি দিচ্ছে।
বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল উদুদ জানান, বিজয়নগর কৃষিতে সম্ভাবনাময় একটি উপজেলা। এ উপজেলায় নানা সবজি ও ফলমূল আবাদ হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের লিচুর খ্যাতি পুরো দেশজুড়ে। কাঁঠাল, পেয়ারা, ড্রাগন, আম, আনারস, বড়ই, গ্রিন মাল্টা চাষ হচ্ছে। এরই মধ্যে চায়না কমলা চাষ শুরু হয়। বাণিজ্যিকভাবে নতুন করে কমলা চাষে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৯ বিঘা জমিতে চায়না কমলা আবাদ করেছেন পাঁচজন কৃষক। এ বছর বিষ্ণপুর ইউনিয়নের এই পাঁচ বাগানে ২৫ লাখ টাকার কমলা বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে আশা করি সেটি ছাড়িয়ে যাবে এবং সামনে কমলার বাগান আরও বাড়বে বলে কৃষি বিভাগ মনে করেন।
এদিকে কমলা বাগানগুলো এখন ভ্রমণের স্থান হিসেবে রূপ নিয়েছে। রঙিন কমলার স্বাদ নিতে ভ্রমণপিপাসুরা আসছেন প্রতিনিয়ত। বাগান পরিদর্শন শেষে টাটকা কমলা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ি। কমলা বাগানের এমন দৃশ্য দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।
বাগানে ঘুরতে আসা এক দম্পতি জানান, ফেসবুকের ছবি দেখে বাগানে এসেছেন নিজের চার বছরের ছেলেকে নিয়ে। কমলা বাগান দেখে অনেকটাই মুগ্ধ হয়েছেন। এই বাগানের কমলা খেতে নাকি বেশ সুস্বাদু বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ভিন্ন কৌশলে ভারতে শিশু পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদের দিন বেলা ১১টায় দেওয়ান বাজারে আইসক্রিম আনতে গেলে দুই শিশুকে অটোরিক্সা দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে যায় পাচারকারী চক্র। দুই শিশুর নাম সুবর্ণা আক্তার (৯) ও মাফিয়া আক্তার (৮)।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের নিদারাবাদ গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ে সুবর্ণা ও মামুন মিয়ার মেয়ে মাফিয়া। সুবিধাজনক স্থানে শিশু দুটিকে পানিতে ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে পাহাড়পুর ইউনিয়নের মনিপুর এলাকায় ভারতীয় সীমান্তে পাচার করার উদ্দেশ্যে নেয়। সেখানে একটি কুঁড়ে ঘরে তাদের আটকে রাখে। পরে জ্ঞান ফিরলে ভয়ভীতি দেখায়, যাতে চিৎকার না করে।
এদিকে দুই শিশুর বাবা-মা তাদেরকে খুঁজে না পেয়ে তাৎক্ষণিক বিজয়নগর থানায় জানান এবং এলাকায় মাইকিং ও স্যোশাল মিডিয়ায় শিশুদের ছবিসহ প্রচার করেন।
পাচারকারীর চক্র জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন শিশু দুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। দুই শিশুর বর্ণনা অনুযায়ী অটোরিক্সাকে পাশের সোনামোড়া গ্রামের একটি অটোগ্যারেজে খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে চালককে খোঁজ করলে তিনি দৌড়ে পালান এবং লোকজন তাকে চিনতে পারেন।
এ নিয়ে শনিবার ১ জুলাই বিজয়নগর থানায় সুবর্ণা আক্তারের বাবা মো. রিপন মিয়া বাদী হয়ে ওই অটোরিক্সা চালক উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বামুটিয়া গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে তকদির হোসেন প্রকাশ তছর আলীর (৪৮) নামে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজু আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে রোগীদের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠছে।
উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার পূর্বে রোগী দেখতেন ডাঃ সুব্রত সাহা নামের একজন ডাক্তার। কিন্তু উক্ত ডাক্তার গত এক মাস যাবত পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে না আসলেও তাহার নামে নিয়মিত মাইকিং, হেনবিল বিতরণসহ মার্কেটিং করে যাচ্ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। তাদের এই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বিজয়নগর উপজেলানহ আশেপাশের এলাকা থেকে বহু রোগী চিকিৎসা গ্রহন করতে এসে ডাঃ সুব্রত সাহা মনে করে বেনামি ডাঃ তপন দেবনাথ নামের এক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করে যাচ্ছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মাছুম ১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সশরীরে উপস্থিত হন।
উপস্থিত হয়ে তিনি অভিযুক্ত ডাক্তার এর কাগজপত্র ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর সাথে কথা বলে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কে বিস্তারিত অবগত করেন।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, বিজয়নগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মাছুম এর খবর পেয়ে উপজেলার আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ গিয়ে বিস্তারিত জেনে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৪ ও ৪৫ দ্বারায় হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অভিযুক্ত ডাঃ তপন দেবনাথ এর কাছ থেকে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে কখনো আর চেম্বার করবে না এবং এমন অনিয়মের সাথে কখনো জড়িত হবে না মর্মে লিখিত অঙ্গিকার নামা গ্রহন করেন।