চলারপথে রিপোর্ট :
তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট করারোপ, এমআরপি তে সিগারেট বিড়ি বিক্রি নিশ্চিত করা এবং তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ভিডিসি) এর উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল ৩১ মে বুধবার সকালে তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়ক ও ভিডিসি’র নির্বাহী পরিচালক এসএম শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অগ্রগামী সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র এর নির্বাহী পরিচালক এ.কে.এম. বাবুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষানবীশ আইনজীবী লোকমান হোসেন ও শিপনুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুর রাহিম, এসএম মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তাগণ তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে আরো বলেন, তামাকমুক্ত সমাজ গড়তে তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। বিকল্প শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করে উক্ত ভূমিতে অধিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য ফলাতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিয়াল্লিশ্বর গ্রামের একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শরীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশ্বর মীরবাড়ির মৃত আব্দুল কাইয়ুম মীরের ছেলে৷ তিনি স্থানীয়ভাবে একজন পরিচিত ব্যবসায়ী এবং কান্দিপাড়ার সিরাজিয়া ট্রেইলার্সের মালিক ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন আগে রাতে তিনি নিজ ভাড়া বাসায় প্রবেশ করার পর আর বাইরে বের হননি। এদিকে তার স্ত্রী সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি থাকায় ফ্ল্যাটে তিনি একাই ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ির মালিককে অবগত করেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, তিনি হৃদরোগ বা অন্য কোনো শারীরিক জটিলতায় মারা যেতে পারেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জানান, আমরা ফ্ল্যাট থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আজ শনিবার নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় গৃহায়ণ ও গনপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপিকে গণসংবর্ধনা দিবে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ।
শনিবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে গৃহায়ণ ও গনপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে এবং একই সময়ে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপিকে গণসংবর্ধনা দেয়া হবে।
সন্ধ্যায় গণপূর্তমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গান গাইবেন রক তারকা জেমস ও আইনমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গান গাইবেন আঁখি আলমগীর।
এদিকে দুই মন্ত্রীর সংবর্ধনাকে ঘিরে জেলায় অন্তত দুই শতাধিকের বেশি তোরণ নির্মাণ ও অসংখ্য ব্যানার- পোস্টার সাঁটিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।
মহান স্বাধীনতার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন। নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে তাঁকে গণসংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।
অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৪-(কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তৃতীয়বারের মতো আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন আনিসুল হক। তিনি কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
নতুন সরকারের এই দুই মন্ত্রী শনিবার নিজ নিজ এলাকায় সংবর্ধিত হচ্ছেন। শনিবারের দুই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। তবে সংবর্ধনার অনুষ্ঠানের আকর্ষণ হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেমসের আগমনের বিষয়টি ব্যাপক হারে প্রচাল হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির আগমনকে কেন্দ্র করে আশুগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কের পাশে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও দলের নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়েছেন।
মহান স্বাধীনতার পর স্বাধীন বাংলাদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন। এর আগে পাকিস্তান আমলে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের রামরাইল গ্রামের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউট গ্রামের আবদুর রহমান খান। সেই হিসেবে প্রায় ৭০ বছর পর র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ায় চলছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস
শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জেলার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে মোকতাদির চৌধুরী এমপির গণসংবর্ধণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১-(নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২- (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত মঈন উদ্দিন এমপি, ব্র্র্রাহ্মণবাড়িয়া -৫-(নবীনগর) আসনে আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত ফয়জুর রহমান এমপি।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মোকতাদির চৌধুরীকে সংবর্ধণা জানাবেন। এরপর সন্ধ্যায় রক তারকা ব্যান্ড নগরবাউলের জেমস, ব্যান্ড আবাস ও সঙ্গীত শিল্পি লায়লা।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী জানান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে এবারই প্রথম কাউকে মন্ত্রী পরিষদে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে রাখা হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। শনিবার গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। তিনি বলেন, মন্ত্রীকে বরণ করতে নেতাকর্মীরা শতাধিক তোরণ নির্মাণ করেছে। তিনজন সংসদ সদস্যসহ জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে ৫০ হাজার লোকের সমাগম ঘটবে।
এদিকে শনিবার একই সময়ে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের মাঠে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গণসংবর্ধণা দেয়া হবে। উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শুক্রবার সকালে দুই দিনের সফরে এলাকায় পৌঁছেছেন। শনিবার বিকাল তিনটায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬- (বাঞ্ছারামপুর) আসন থেকে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান। সন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করবেন আঁখি আলমগীর পুলক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা বলেন, মন্ত্রী মহোদয়কে সংবর্ধনার পাশাপাশি চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুরো আখাউড়া শহরসহ উপজেলায় অসংখ্য তোরণ নির্মাণের পাশাপাশি নেতাকর্মীরা ফেস্টুন ও ব্যানার সাটিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিটের যুব সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সেফার এক্সেস বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ৩ দিন ব্যাপী (০৬-০৯ ডিসেম্বর ২০২৪) সেফার এক্সেস বিষয়ক কর্মশালা এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব প্রধান ইফতেয়ার উদ্দিন রিফাতের সভাপতিত্বে কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের ”ইউনিট লেভেল অফিসার ইমরান হোসেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট ইউনিট এর সাবেক যুব প্রধান সালাহ উদ্দিন ভূইয়া, সাবেক যুব প্রধান ও প্রশিক্ষক ফয়সাল উদ্দিন ভূইয়া, সাবেক যুব প্রধান ও প্রশিক্ষক শাহিদুল ইসলাম অপু, ইউনিটের উপ যুব প্রধান-১ ফাহিম মুনতাসির।
ইউনিটের প্রশিক্ষন বিভাগের প্রধান সাব্বির ভূইয়ার সঞ্চালনায় ৩দিনের সেফার এক্সেস কর্মশালা পরিচালনা করেন ফেসিলিটেটর মো: ফয়সাল আহমেদ ও সোনিয়া আক্তার।
ইউনিটের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মনির হোসেনের সার্বিক সম্মনয়ে ৩০ জন যুব সদস্য কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত এই ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠোনে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আশরাফ স্বাস্থ্য, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সমাজসেবা, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্ঠা সালাউদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার চক্রবর্তী, শিক্ষা বিভাগের মনির হোসেন, নজরুল ইসলাম সড়ক জনপথ, আবু নাছের যুব উন্নয়ন, শামীম মাদকদ্রব্য নি: অধিদপ্তর লোমান শিক্ষা, দিদার হেলথ, শেখ মনির সমাজসেবা অধিদপ্তর, আসিফা সমাজসেবা অধিদপ্তর, মনির হোসেন স্বাস্থ্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রুবেল মিয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী আব্দুল মতিন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী হিরন খান, আবু নাসের নাসু আব্দুল্লা জনস্বাস্থ্য, ইয়াসির আরাফাত বরকত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জাকির হোসেন চৌধুরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মো: ইসমাইল মিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, উত্তম কুমার দাস সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে ৪০তম ঐতিহাসিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস্তবায়ন দিবস-২০২৪খ্রি. পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে বাংলা ব্যাকরণ স্রষ্টা জেলা সদরের পূর্ব পাইকপাড়ার প্রয়াত অধ্যাপক হরলাল রায় রোডস্থ সংগঠণের অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভা, দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রস্তাবিত বাউল বাড়ি রিসোর্ট এন্ড কমপ্লেক্স এর স্বত্ত্বাধিকারী সারোয়ার লিটন।
আলোচনা সভায় আজ হতে ৪০ বছর পূর্বে ১৯৮৩ সালে মহকুমা হতে জেলা দাবীতে ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলন, চূড়ান্ত পর্বে ২৭ নভেম্বর হরতালের দিন রেলওয়ে ষ্টেশনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র উবায়দুর রউফ পলু’র শাহাদাৎ বরণের প্রেক্ষিতে ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে প্রায় লাখ মানুষের সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ ঐ সময়ের ১৯টি মহকুমাকে আনুষ্ঠানিক জেলায় বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়ার স্মৃতিচারণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি তফাজ্জল হোসেন জীবন, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, শামসুল আলম বাবু, এজাজ আহমেদ মনির, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী, সদর উপজেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি প্রভাষক মোঃ মোশাররফ হোসেন, মহিলা সম্পাদক রুমানা আক্তার শ্যামলী, কার্যনির্বাহী সদস্য শরীফ আহমেদ খান, এড. শেখ জাহাঙ্গীর, সাংগঠণিক সম্পাদক কামরুল হাসান নান্টু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী মাকসুদুল আলম দেলোয়ার, আমির হোসেন ফারুক। উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সম্পাদক বশির আহমেদ, প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, আনিসুর রহমান রুহেল, হারিছা খাতুন, মোঃ নজরুল আলম।
সর্বশেষে জেলা আন্দোলনে শহীদ উবায়দুর রউফ পলু, জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হাসনাত অপু’র মাতা মরহুমা শামসুন্নাহার খানম, গত বুধবার সদ্য প্রয়াত যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস এর ভাবী বীর মুক্তিযোদ্ধা সেহেলী মাসুদ এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।