অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩-২৪ প্রস্তাবিত অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি কসমেটিকস আমদানিতে রেগুলেটরি ডিউটি (শুল্ক কর) বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন সাজতে গেলে বেশি টাকা গুনতে হবে।
আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট বক্তব্যে তিনি জানান, কসমেটিকস আমদানিতে শুল্ক কর আরও ১৭ শতাংশ বাড়িয়ে অর্থাৎ ২০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশি কসমেটিকস আমদানিতে আগে শুল্ক কর ছিল ৩ শতাংশ। এখন থেকে তা হবে ২০ শতাংশ।
এতে অর্গানিক সার্ফেস অ্যাকটিভ উপকরণ, বার কেক ও বিভিন্ন সাবান তৈরির উপকরণ, ওয়াশিং ক্রিম, লিকুইড ক্রিম ও বিয়ের উপকরণের দাম বাড়বে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশি সাবান, লিকুইড সাবান ও ডিটারজেন্টের শুল্ক কর ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
দেশীয় বাজারে বিদেশি কসমেটিকস জাতীয় পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি। অধিকাংশ সময়ই লাগেজ পার্টির মাধ্যমে কিংবা অবৈধ উপায়ে বিদেশি কসমেটিকস আমদানির অভিযোগ রয়েছে। সেজন্য বিদেশি উপকরণসহ কসমেটিকস শুল্ক কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর আগে জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদের ১৫তম বাজেট এটি।
নতুন অর্থবছরের এ বাজেট প্রস্তাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, চারটি মূল স্তম্ভের ওপর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট অর্থনীতি।
অনলাইন ডেস্ক :
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের নজিরপুর-মহজমপুর সড়কের মাঝখানে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই দ্রুত রাস্তা থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, ঘনবসতিপূর্ণ মহজমপুর এলাকার প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষের উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটিই।
এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ভ্যান, রিকশা, সিএনজি, অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। যখন রাস্তাটি কাঁচা ছিল তখন খুঁটির স্থানে রাস্তাটি সেলিম উদ্দিনের উঠানের দিকে চেপে ছিল, ফলে খুঁটি রাস্তার পাশে ছিল না। কিন্তু এক বছর আগে ইটের সলিং দিয়ে রাস্তা করার সময় জমি মাপতে গিয়ে খুঁটিটি রাস্তার একেবারে মাঝ বরাবর পড়ে। এলাকাবাসী তখন খুঁটিটি স্থানান্তর করতে বললেও কাজ হয়নি।
কিন্তু ওই খুঁটিটি এখন চলাচলকারীদের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মহজমপুর গ্রামের বাসিন্দা ময়েন উদ্দিন বলেন, রাতের অন্ধকারে তিনি ওই রাস্তা দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় খুঁটির সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। তার মতো গ্রামের অনেকেই এ রকম ঘটনার শিকার হয়েছেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, নিজস্ব ছোট পিকআপ তিনি নিজেই চালান।
ফলে ওই রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে তিনি নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। খুঁটিটি সরানোর জন্য উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ঘুরেও সমাধান হয়নি।
ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আকবর হোসেন বলেন, মাঝে খুঁটি রেখে রাস্তার কাজ করার সময় তিনি নিজেও বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। পরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করেও কাজ হয়নি।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর বাগাতিপাড়া সাব-জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, যখন ওই স্থানে বিদ্যুতের খুঁটিটি বসানো হয় তখন সেখানে রাস্তা ছিল না। পরে রাস্তাটি করা হয়েছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী যে দপ্তর রাস্তাটি করেছে তারা বিদ্যুৎ বিভাগে খুঁটি স্থানান্তরের নির্ধারিত ফি জমা করলেই সেটি সরানো হবে।
বাগাতিপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মঞ্জুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা স্থানান্তরের ফি পরিশোধ করলেই খুঁটিটি সরানো হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক বলেন, ‘আমি এই উপজেলায় যোগদানের পূর্বে রাস্তার কাজটি করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএমের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। ফি পরিশোধ করলে খুঁটিটি সরানো হবে বলে তিনি জানান।’
অনলাইন ডেস্ক :
প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল ফের কক্সবাজারে পৌঁছেছে। আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে ১৪ সদস্যর প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ আসেন। এ সময় অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছু দৌজাসহ সরকারি কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির মিনিস্ট্রি অব সোস্যাল অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ।
আরআরআরসি সামছু দৌজা বলেন, সম্ভব্য প্রত্যাবাসনকে সামনে রেখে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছেন। ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের দুজন সদস্যও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রয়েছেন। তারা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন।
রোহিঙ্গা নেতা খিন মং বলেন, ক্যাম্পে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা এসেছেন। অনেক রোহিঙ্গা দাবি তুলছেন, নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের। আমরা নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন চাই।
এর আগে, ১৫ মার্চ মিয়ানমার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। সে সময় প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে মিয়ানমার ফিরে যায় দলটি। পরে ৫ মে বাংলাদেশ সরকার ও রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল রাখাইন সফর করে।
বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বর্ষপূর্তি উৎসবে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে স্কুলের মাঠ। একে অপরের সাথে গল্প ও কুশল বিনিময়ে সময় কাটান সাবেক শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পরে দেখা হওয়ায় সহপাঠিদের জড়িয়ে ধরে কান্নাও করেছেন অনেকে। পুনর্মিলনীর এই আয়োজন সব মিলিয়ে এক আবেগাপ্লুত মিলনমেলায় পরিনত হয় প্রতিষ্ঠানটির ৭৫ বছর পূর্তি।
প্রাক্তন ছাত্র পুনর্মিলনী উপলক্ষে আজ ২১ জানুয়ারি শনিবার সকালে বিদ্যালয়লের একাডেমিক ভবনের সামনে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে অ্যাসামম্বলি অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাসামম্বলি শেষে প্রায় সহস্রাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করেন। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয় মাঠে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেণির নাম এবং সাবেক শিক্ষার্থীরা এসএসসি পাশের বর্ষ লেখা প্লাকার্ড নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
দুপুরে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব অজিয়ার রহমান, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুল হক, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ডা. মোশারফ হোসেনসহ আরও অনেকে। আলোচনা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রাক্তন শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া সারাদিনই সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরেছিল বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। হৈ চৈ, নাচ গান ও ছাত্রদের মিলনে মুখরিত ছিল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। খোলামেলা পরিবেশে ক্যাম্পাসটি সেজেছিল নতুনের বার্তা নিয়ে।
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপের পর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এজন্য দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৪) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
‘গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।’
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশবাসীকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত চক্র) সরকারকে ব্যর্থ করতে নেমেছে। তারা কীভাবে সরকারকে পতন করবে? গোপন হামলার মাধ্যমে? চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে সরকারের পতন করা সম্ভব হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বিকেলে এখানে নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার (জিপিইউএফএফ) উদ্বোধন উপলক্ষে মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
সমাবেশ শুরুর আগে নরসিংদীবাসীর জন্য উপহার উল্লেখ করে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন তিনি।
তাঁর সরকার সাক্ষরতার হার ৪৪ ভাগ থেকে ৭৬ দশমিক ৬ ভাগে ভাগে উন্নীত করেছে এবং খালেদা জিয়াসহ জিয়া পরিবারের ব্যক্তিগত শিক্ষা-দীক্ষার ইতিবৃত্ত তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওরা চায় না যে মানুষ শিক্ষিত হোক। ওরা চায় না আমাদের ছেলে-মেযেরা লেখাপড়া শিখুক। তাই, আজকে এই নভেম্বর মাস, সামনে ইলেকশন। আগেভাগে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। সে ব্যবস্থা যখন নেওয়া হচ্ছে বিএনপি দিচ্ছে অবরোধ, হরতাল আর পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে। সামনে আসার সাহস নাই। অলি-গলি থেকে বের হয়ে বাসের ভেতর, স্কুটারে, অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিচ্ছে। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করছে, এমনকি অন্তস্বত্তা মহিলা যে অ্যাম্বুলেন্সে সেটাও পুড়িয়ে দিচ্ছে।
পুলিশের ওপর হামলা ও পিটিয়ে পুলিশ হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা এবং পুলিশ, হাসপাতালে হামলা ও অগ্নিসংযোগকে তিনি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে তিনি একে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসন এবং নিরীহ নারী ও শিশু হত্যার সঙ্গে তুলনা করেন।
তিনি বলেন, এই বিএনপি’র সন্ত্রাসি কর্মকান্ড আপনারা যুগ যুগ ধরে দেখেছেন, কিভাবে মানুষের ওপর তারা অত্যাচার করে। ২০১৩ ও ১৪ সালে করেছে নির্বাচন বানচালের জন্য এখন আবার একই উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে। মানুষ জন হাট বাজার দোকান পাট যানবাহন ব্যক্তিগত সম্পত্তি কোনকিছুই রেহাই পাচ্ছে না।
তিনি অগ্নিসন্ত্রাসিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এ অগ্নিসন্ত্রাসি যাকে যেখানে পাবেন তাকে আগে ধরেন। কেউ যদি অগ্নিসন্ত্রাস করতে যায়, বাসে আগুন দিতে যায় ঐগুলোকে ধরে ঐ আগুনেই ফেলে দেবেন। তাহলে যদি ওদের শিক্ষা হয়, তাছাড়া ওদের শিক্ষা হবে না।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা বন্ধ করা ছাড়া তারা এই অবরোধ করে আর কি করতে পারবে? সরকার হঠাবে! কিভাবে হটাবে? এই চোরাগুপ্তা হামলা করে সরকার হঠানো যায় না। মানুষ সাথে না থাকলে আন্দোলন হয় না।
‘২/৪টা চোরাগুপ্তা হামলা করে আর মানুষ মেরে ওরা এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারবে না,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসি দল আর জামায়াত হচ্ছে যুদ্ধাপরাদীদের দল। তাদের কথা এদেশের মানুষ শোনে না।
এক সময় এদের কথায় কিছু লোক আস্ফালন করে বেড়ালেও বিএনপি’র নেতৃত্ব শূন্যতার দিকে ইঙ্গিত করে তাদের নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টার কারণও সামনে আনেন তিনি।
তিনি বলেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এতিমের অর্থ আত্মস্যাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে। যাকে তিনি পরিবারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে দয়া করে নিজস্ব ক্ষমতাবলে বাড়িতে থেকে চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছেন। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক জিয়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা এবং মানি লন্ডারিং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আর রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
তিনি আগামী নির্বাচনে যাকে প্রার্থী করা হবে তার পক্ষে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট প্রত্যাশা করেন। এ সময় উপস্থিত লাখো জনতা দুই হাত তুলে সমস্বরে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দেয়।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান প্রমুখ।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী। সূত্র : বাসস