চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার খলাপাড়ায় ভাঙন দেখা দেওয়া হাওড়া নদীর বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধের পাশে মাটি ভর্তি ব্যাগ দিয়ে মেরামত কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভাঙন কবলিত স্থানটি মেরামত হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। অন্যদিকে ওই এলাকার প্রায় ২ হাজার বিঘা ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেও রক্ষা পাবে। সড়কটি দিয়ে ওই এলাকার অন্তত ১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে।
জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির খলাপাড়া কবরস্থানের সামনে পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি পরিদর্শন করে বাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করে। এরই প্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধটি মেরামত কাজ শুরু করে।
ওই এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম মিয়া বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে আমাদের চলাফেরায় অসুবিধা হয়েছে। অন্যদিকে চিন্তায় ছিলাম পানিতে জমি তলিয়ে গেলে জমিতে আবাদ করতে পারব না। এখন বাঁধটি মেরামত করার কারণে চলাচলের সুবিধাও হবে। আর ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার চিন্তাও থাকবে না। অটোচালক কাইয়ুম মিয়া বলেন, রাস্তাটি ভাঙ্গা থাকায় এতদিন গাড়ি চালাতে ভয় করত। এখন আর সে ভয় থাকবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বাঁধটি ভঙেনের খবর পেয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষকে অবগত করি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আপাতত বস্তায় মাটি ভরে বাঁধ মেরামত করছি।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে নিয়ে জায়গাটি পরিদর্শন করি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানাই। ব্লক নির্মাণ করা সময় সাপেক্ষ হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রাথমিকভাবে বস্তায় মাটি ভরে বাঁধটি মেরামত করছে। বিষয়টি আমি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগীতা পেলে সীমান্ত অপরাধ সম্পূর্ণভাবে প্রতিহত করা সম্ভব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ছয়গড়িয়া স্কুল মাঠে আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে আয়োজিত সীমান্তে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা, চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে বিশেষ জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মানব পাচার একটি ঘৃন্য অপরাধ যা জাতি ও সমাজকে কলুসিত করে। তাই তিনি সীমান্ত এলাকাসহ সকল এলাকায় মানব পাচারের সাথে জড়িত অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে বিজিবিকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, আখাউড়া সীমান্ত ব্যবহার করে যাতে চোরাকারবারীরা ভারতীয় মাদক ও মালামাল চোরাচালান করতে না পারে সে জন্য সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
৬০ বিজিবি অধিনায়ক বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, সীমান্ত শূন্য রেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশী নাগরিক যাতে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ না করে সে বিষয়ে বিজিবি কঠোর নজরদারী করছে। বিজিবি সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণকে তথ্য দিয়ে বিজিবিকে সহায়তা করার আহবানও জানান তিনি। সন্ধ্যার পর সীমান্ত এলাকায় গমনাগমন না করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য সকল প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।
এই জনসচেতনতামূলক সভায় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক এ এইচ মামুন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাকিবুল ইসলাম, আখাউড়া বিওপি কমান্ডার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং জনসাধারণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিয়ে, গায়ে হলুদ, পুজা, খেলা-ধুলা বা মিছিলে বাদ্য বাজানোর জন্য ডাক পরে তাদের। কাঁধে ঢোল ঝুলিয়ে দু’হাতে ঢাকে কাঠির বারি দিয়ে ছন্দের আওয়াজ তুলেন। সেই ছন্দে মানুষ নেচে গেয়ে আনন্দ করে। মানুষকে আনন্দ দিয়েই চলে ঢুলিদের সংসার। পুজা এলেই কদর বাড়ে তাদের। ঢাকের বাদ্য ছাড়া পুজার আনন্দ যেন অসম্পূর্ণ। তাই আসছে দুর্গাপুজায় বাদ্য বাজানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের করুয়াতলী ঋষিদাস পাড়ার ঢুলিরা। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপুজা।
সোমবার দুপুরে ঋষি পাড়ায় ঢুকতেই কানে আসে ঢোলের আওয়াজ টেম-টে টেটেম..টেম.। সেই আওয়াজের ছন্দে শিহরণ জাগায়। মনে করিয়ে দেয় পুজা আসছে। উঠানে গিয়ে দেখা যায় বাদ্যযন্ত্র পরখ করে নিচ্ছেন ঢুলিরা। কেউ বা আঙ্গুলের আলতো ঁেছায়ায় ঢোলে তাল তুলছেন। তাদের চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক।
ঢুলিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিক ঐতিহ্য ঢাক-ঢোল বাদ্য-বাজনার পেশা ধরে রেখেছে ঋষিদাস পাড়ার ৫/৬টি পরিবার। বিয়ে-গায়ে হলুদ, পুজাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঢাক বাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তারা। তাছাড়া ঢাক-ঢোল মেরামত আর মাঝে মধ্যে বাদ্যযন্ত্র বিক্রি করেও কিছু আয় হয়। তা দিয়েই চলে সংসার। তবে তাদের ভাষ্য, দিন দিন আয় রোজগার কমে যাচ্ছে। তবু বাপ-দাদার পেশা বলে আকড়ে ধরে রেখেছেন।
ঢুলির সর্দার বিশাম্বর ঋসি প্রায় ৫০ বছর ধরে ঢাক-ডোল বাজাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমার বাবা ঢুলি ছিলেন। ১০/১২ বছর বয়স থেকে বাবার সাথে ঢোল বাজাতে বিভিন্ন জায়গায় যেতাম। এভাবেই ঢোল বাজানো শিখি। শখ থেকেই ঢোল বাজানো পেশা হয়ে গেছে। বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমি বাবার পেশা ধরে রেখেছি। প্রায় ৫০ বছর ধরে ঢাক-ঢোল বাজানোর সাথে জড়িত আছি। ২ মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। তিন ছেলে আছে তারাও আমার সাথে বাজনা বাজায়।
তিনি আরও বলেন, বছরের অন্য সময় বিয়ে-গায়ে হলুদ, মিছিলে বাদ্য বাজনার ডাক পরে। বছরের ২০/২৫টি অনুষ্ঠান করতে পারি। তবে পুজার সময় কাজের চাপ বাড়ে। এবার দুর্গাপুজায় ৪টি মন্ডপে কাজ পেয়েছি। একটি মন্ডপে ১০/১২ হাজার টাকা পাওয়া যায়। লোকজনকে দিয়ে নিজের কিছু থাকে। বাপ-দাদা এ পেশায় ছিল। আমিও করছি। আমার ছেলেরাও করবে। তিনি বলেন আয় রোজগারের পাশাপাশি, ভক্ত-বৃন্দ আনন্দ পায় এটাই আমাদের আনন্দ।
কথা হয় রাখাল ঋসির সাথে। তিনি বলেন, ৬৫ বছর বয়স হয়েছে। ছোট বেলা থেকেই ঢাক-ডোল বাজাই। পুজার সময় রোজগার বেশি হয়। তাই সারা বছর পুজার জন্য অপেক্ষা করি। ঢাক বাজাতে বিভিন্ন জেলাতে চলে যাই। পুজাতে ঢাক বাজিয়ে বেশি আনন্দ পাই। তিনি আরও বলেন, বিয়ে-গায়ে হলুদ, মিছিলে ২/৩ হাজার টাকা পাওয়া যাই। এভাবেই আমাদের সংসার চলে। বয়স হয়েছে। জানি না আর কত দিন ঢোল বাজানোর কাজ করতে পারবো। আখাউড়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক বিশ^জিত পাল বাবু বলেন, পুজার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ বাদ্য যন্ত্রের ব্যবহার। এটি আদিকাল থেকেই ছিল। এখনও আছে। তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে আয়ের স্বল্পতার কারণে অনেকেই এ পেশা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ঋষিদাস পাড়ার কয়েকটি পরিবার পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রেখে কোন রকমে টিকে আছে। আশা করি, সরকারসহ স্থানীয়রা তাদের প্রতি নজর দিবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ, গুজব, অপপ্রচার ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার আখাউড়া উপজেলা রেখা কাউন্সিলরের বাড়ি, দক্ষিণপাড়া, দেবগ্রাম, নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতিমধ্যে সরকার মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতামূলক কাজটি করে যাচ্ছে।
জেলা তথ্য অফিসার মো: আসাদুজ্জামান কাউছার এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে অতিথিবৃন্দদের মধ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি জাতি তখনই উন্নত হবে যখন এ জাতির নতুন প্রজন্ম সুশিক্ষায় শতভাগ উন্নীত হবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সমবায় অফিসার মো: নেওয়াজ শরীফ মজুমদার।
আরো বক্তব্য রাখেন আখাউড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেখা আক্তার।
স্টাফ রিপোর্টার:
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে শুনানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আগামী ৮-৯ জানুয়ারি রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ একে এম শামসুল হক খান অডিটরিয়ামে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি বিইআরসি সচিব ব্যারিস্টার খলিলুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিদ্যুৎ বিতরণ (খুচরা) ট্যারিফ প্রবিধানমালা, ২০১৬ অনুযায়ী বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) এবং নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) বিদ্যুতের খুচরা ট্যারিফ পুনর্র্নিধারণের জন্য কমিশনে প্রস্তাব/আবেদন দাখিল করেছে। ওই প্রস্তাব/আবেদনসমূহ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিশনের মাধ্যমে গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ইতোমধ্যে কমিশন গ্রহণ করেছে। শুনানিতে আগ্রহী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে শুনানি-পূর্ব লিখিত বক্তব্য/মতামত কমিশনে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য কমিশনে নাম তালিকাভুক্তির জন্যও অনুরোধ করেছে বিইআরসি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা উল্লিখিত তারিখে অনুষ্ঠেয় শুনানিতে অংশগ্রহণপূর্বক বাবিউবো, বাপবিবো, ডিপিডিসি, ডেসকো, ওজোপাডিকো এবং নেসকোর বিদ্যুতের খুচরা ট্যারিফ পুনর্র্নিধারণের প্রস্তাব/আবেদন বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য-উপাত্ত ও সংশ্লিষ্ট দলিলাদি উপস্থাপন করতে পারবেন।
গত ২১ নভেম্বর পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩ পয়সা বাড়ানোর ঘোষণার ফলে বিতরণ কোম্পানিগুলোর খরচ বেড়ে গেছে। এর পরই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর জন্য আবেদন করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসা জাতীয়করণ, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনের পদে পদায়ন বন্ধ রাখা এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে আখাউড়ায় মানববন্ধন করা হয়েছে। বেসরকারি স্কুল ও মাদরাসা শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার প্রধান, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ সহকারি শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরে লিখিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহির নিকট হস্তান্তর করেন শিক্ষকরা। উপজেলায় ১৬ মাধ্যমিক স্কুল ও ৫টি দাখিল মাদরাসা রয়েছে।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমোদাবাদ শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ তারেক, কর্মকমঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, নুরপুর রুটি আব্দুল হক ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন ভূইয়া, কল্লা শহীদ দাখিল মাদরাসার সুপার মুফতি কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদি, তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোজাম্মেল হক, আখাউড়া টেকনিক্যাল ইসলামিয়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রাকিবুল ইসলাম প্রমখ।
বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এক নতুন অধ্যায়ে পদার্পণ করেছে। এসময় শিক্ষায় বৈষম্য থাকা কাম্য নয়। সরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং বেসরকারি শিক্ষকরা একই কাজ করি। কিন্তু আমাদের অনেক সুযোগ সুবিধার অভাব রয়েছে। তাছাড়া, সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে পদায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি স্কুলেও অনেক যোগ্য শিক্ষক আছে। আমাদেরকে সরকারিকরণ করা হলে সকল শিক্ষক থেকে যোগ্য শিক্ষককে পদায়ন করা হতো। সরকারি কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদেরকে প্রশাসনিক পদে আনার কারণে বৈষম্য হচ্ছে। বক্তারা, বেসরকারি শিক্ষকদেরকে জাতীয়করণ করার জন্য বর্তমান সরকারের নিকট দাবি জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া টেকনিক্যাল ইসলামিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওঃ নাসির উদ্দিন, টনকী সাদেকুল উলুম ডিগ্রী মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মুজিবুর রহমান, রানীখার সৈয়দ আব্দুল হান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান, হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাত হোসেন, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মুখলেছুর রহমান প্রমুখ।