চলারপথে রিপোর্ট :
আগামীতে দায়িত্ব পেলে উন্নয়নের পাশপাশি উপজেলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবো। আমার পাঁচ বছর আমলে সারা উপজেলায় মেঘা মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে উপজেলাকে উন্নয়নের রোল মডেল তৈয়ার করেছি।এখনো আমার অনেক প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে।আমি আবার এম.পি’র দায়িত্ব পেলে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে উপজেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আমি ১৩ শত কোটি টাকার কাজ করেছি।আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনাদেরকে আমার পাশে চাই।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী আহাম্মদপুর এ এইচ এস উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল এসব কথা বলেন ।এর আগে তিনি ফতেহপুর বাজার ও বাশারুক মোড়ে পৃথক দু’টি পথসভা করেন।
এ সময় এ এইচ এস উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বশির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জাকির হোসেন মাষ্টারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান, ডাক্তার মিজানুর রহমান, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, জহির উদ্দিন চৌধুরী সিদ্দিক টিটু, আব্দুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম কন্টেকক্টার, নাজমুল আলম মঞ্জু মাষ্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধ সুবেদার জাহের মিয়া, নুরুল আমীন সরকার, সাবেক মেম্বার মাহাবুব আলম, মুতিউর রহমান কানন, বর্তমান মেম্বার মামুন চানমনি সরকার, গিয়াস উদ্দিন, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ইয়ার হোসেন মাষ্টার, ইঞ্জিনিয়ার নাছির উদ্দিন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামার শিল্পীদের ব্যস্থতা। পশু কুরবানিতে ধারালো দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি তৈরি করছে হরদম। তাই যেন দম ফেলার ও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন কামাররা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলে ও কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েক গুণ ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কামারদের। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছে কামার পট্টিতে। বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। কামার শিল্পীরা জানান- পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০-২০০, দা ২০০-৩৫০ টাকা, বটি ২৫০-৫০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ – ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৫০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কামার শিল্পীরা বলেন- কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে। তবে ক্রেতাদের বলেন- ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। ক্রেতা আব্দুল রহিম বলেন- আমি একটি চাপাতি ৫০০ টাকায় কিনেছি। এ ছাড়া ছুরি, দা, জবাই করার ছুরিসহ ৪টি জিনিস রিপেয়ারিং করার জন্য এসেছি। কামার শিল্পীদের কাছে বটি ক্রয় করতে আসা আনোয়ার হোসেন জানান- কুরবানির ঈদের সময় কসাই পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই একটা নতুন বটি কিনেছি, আর পুরনো চাপতি, দা শাণ দিয়ে নিচ্ছি নিজেরাই কাজে লেগে যাব। তিনি বলেন- গেল বছরের চেয়ে এ বছর পুরনো জিনিষ শাণ দিতে মানভেদে ২০-৫০ টাকা বেশি নি”্ছ।ে ঈদ যতই এগিয়ে আসছে দা/ছুরি কিনতে গ্রাহকদের আনাগোনাও বাড়ছে। কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- কুরবানির ঈদ উপলক্ষে তাদের বেচাকেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তবে ঈদের দুদিন আগে বেশী বেচাকেনা হবে। কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও শ্রমিকের মূল্য বেড়ে গেছে। দুই মাস আগেও প্রতি বস্তা কয়লার দাম ছিল ৪শ- ৪৫০ টাকা। সেই কয়লা এখন ৮শ-৮৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই তারা চাপাতি, ছুরি ও দা’র দাম একটু বেশি নিচ্ছেন। ভোলাচং, সোহাতা,শ্যামগ্রাম ,কাদৈর, শ্রীঘরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও কামার পাড়া ঘুরে দেখা যায়- লাল আগুনের লোহায় পিটুনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে কামার পল্লী/দোকান গুলো। টুংটাং শব্দের ছন্দে তালমিলিয়ে চলছে হাতুড়ি আর ছেনির কলাকৌশল। ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি আছে, তাই কামার পল্লী গুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রত্যন্ত আঞ্চলে কামার পল্লীগুলো ও ব্যস্থ সময় পাড় করছে। ঈদের বিপুল চাহিদার জোগান দিতে মাস খানেক আগে থেকেই তারা কাজ শুরু হয়েছে। একই ধরনের কথা জানান- উপজেলার তপন ও সুনিল কামার । তারা আরো বলেন- কাজের ব্যস্থতায় নিশ্বাস ফেলার সময় নেই। তারা পুরোদমে ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন হয়নি। স্বাধীনতার মূল মন্ত্র ছিল ‘কেউ খাবে, কেউ খাবে না-তা হবে না।’ সমাজতন্ত্র কায়েমের জন্যই দেশ স্বাধীন করেছিলাম। দেশ স্বাধীনের জন্য যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ। তাদের সেই ত্যাগের সুফল ভোগ করছে পুঁজিবাদী একটি শ্রেণি।’
নবীনগর উপজেলা কমিউনিস্ট নেতা প্রদীপ সাহার স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পৌর সদর বড়বাজার প্রাঙ্গণে এ সভা হয়।
ডাকসুর প্রথম ভিপি সেলিম বলেন, ‘মাথাপিছু আয়ের হিসাব ধরা হয়েছে ৩ লাখ টাকা। সেই পরিমাণ টাকা কি আমারা পাচ্ছি? দেশ আজ ঋণগ্রস্ত, মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১ লাখ টাকা। আজ দেশের অর্থ এক শ্রেণির হাতে জিম্মি। ১৬ বছরে দেশ থেকে ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে, যা ফেরত আনার কোনো সুযোগ নেই।’
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যে নীতিতে দেশ চালাচ্ছে, তার আগে বিএনপি, এরশাদসহ সব সরকাই একই নীতিতে দেশ চালিয়েছে। তারা দেশকে আজ দেওলিয়াপনার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
প্রদীপ সাহার স্মৃতিচারণ করে তাঁর নামে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে একটি সড়ক নামকরণের দাবি জানান মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
সিপিবির নবীনগর উপজেলা শাখার সভাপতি ইসহাকের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান তারিখ চৌধুরী, সিপিবির জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ মো. জামাল, সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, প্রয়াত নেতার সহধর্মিণী সবিতা রানী সাহা প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস ও অবরোধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা হয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর আবু আব্বাস ভুঁইয়ার নেতৃত্বে আজ ১৫ নভেম্বর বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বীর আবু আব্বাস ভুঁইয়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারা নির্যাতিত সাবেক ছাত্রনেতা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য।
নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে থানার সমানে এসে পথসভায় মিলিত হয়।
পথসভায় রাখা বক্তব্যে বীর আবু আব্বাস ভুঁইয়া বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের লোকেরা নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য অবরোধের নামে নিরীহ জনগণের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তারা বোমা হামলা ও অগ্নি সন্ত্রাস করে দেশকে ধ্বংস করার পাশাপাশি পাকিস্তান বানাতে চায়। অচিরেই বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে মেয়াদোত্তীর্ন লাইসেন্স ও ডিপ্লোমা বিহীন ল্যাব টেকনিশিয়ান দিয়ে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একটি প্রাইভেট হাসপাতালকে অর্থদন্ড করা হয়েছে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার এ অভিযান পরিচালনা করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম। এসময় এই অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান।
জানা যায়, উপজেলার পৌরশহরে অবস্থিত মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদ বিগত দুই বছর পূর্বে শেষ হয়ে যাওয়া সহ ল্যাব টেকনিশিয়ান ডিপ্লোমা বিহীন এস এস সি পাস স্টাফ দিয়ে ল্যাব পরিচালনা করার দায়ে মেডিকেল প্র্যাক্টিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, মেয়াদোত্তীর্ন লাইসেন্স ও এস এস সি পাস ল্যাব টেকনিশিয়ান দিয়ে ল্যাব পরিচালনা করার দায়ে অর্থদন্ড করা হয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা সুনিশ্চিত করতে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় পরিবারের লোকজনের হাতে মার খেয়ে আহত বাকপ্রতিবন্ধী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আজ ২৩ জুন শুক্রবার রাতে প্রতিবন্ধী হেদায়েত উল্লার বাবা মজিদ মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাকপ্রতিবন্ধী হেদায়েত উল্লাহ।
জানা যায়, কয়েক মাস আগে হেদায়েত উল্লাহর বাবা-ভাই মিলে তার স্ত্রী রাকিবা আক্তারকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। স্ত্রী রাকিবা আক্তারকে বাড়িতে আনার জন্য পরিবারের লোকজনের কাছে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করলেও তারা তার স্ত্রীকে আনতে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ জুন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তর্কবিতর্ক করে হেদায়েত উল্লাহ। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হেদায়েত উল্লাকে মারধর করে বাবা-ভাইসহ পরিবারের লোকজন। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা অবনতি হলে পরবর্তীতে তাকে ঢাকা নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
তার স্ত্রী রাকিবা আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে পরিবারের লোকজন নির্মমভাবে মারধর করে হত্যা করেছে। আমার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এখন আমি কি করব? আমি এর সঠিক বিচার চাই।
নবীনগর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, রাতেই আমরা অভিযুক্ত মজিদ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পরদিন প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাকিবা আক্তার বাদী হয়ে মজিদ মোল্লা, তার স্ত্রী ও ছেলের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন।