চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এডিপি ও রাজস্ব খাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ ১ম পর্যায়ে ২৯১টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ১১ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার আজ ২ জুন শুক্রবার তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় এই তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, গৃহীত প্রকল্পের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, শহীদ সমাধি, গণকবর, বধ্যভূমি সংরক্ষণ এবং খেতাবপ্রাপ্ত মুিক্তযোদ্ধাসহ সংগঠকদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এবং ওয়ার মেমোরী স্থাপনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, কবরস্থান ও শ্মশান এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান উন্নয়নসহ গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে এসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে সহসাই প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
তিনি আরো জানান, জেলার মাননীয় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিশেষ বরাদ্দসহ ২য় পর্যায়ে প্রায় ৫ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ব্যয় আরো ১৩৫টি প্রকল্পের শীঘ্রই মন্ত্রণালয় থেকে প্রশাসনিক অনুমোদনের পর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়াই শক্তি, ক্রীড়াই বল সুস্থ দেহ সুন্দর মন, ক্রীড়া পরিদপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৪-২৫ এর কাবাডি ও দাবা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খেলাধূলার মান উন্নয়নে এবং নিয়মিত পরিচর্চার জন্য তৃণমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের উদ্দেশ্যে এ প্রতিযোগিত অনুষ্ঠিত হয়।
কাবাডি এবং দাবা প্রতিযোগিতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করেন।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজনিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তার।
অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুস সাকির ছোটন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, সুস্থ দেহ সুন্দর মন সঠিক রাখতে হলে খেলাধূলার বিকল্প নেই। তিনি বলেন নিয়মিত খেলাধূলা করলে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ থেকে দূরে থাকা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “নলেজ শেয়ারিং অন ফ্যাক্ট-চেকিং” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ ১২ আগস্ট শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ও ইন্টারনিউজের সহযোগিতায় সিসিডি বাংলাদেশের আয়োজনে শনিবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।
কর্মশালা পরিচালনা ও ফ্যাক্ট-চেকিং বিষয়ে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন দৈনিক একুশে আলোর ও দীপ্ত টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মোঃ সেলিম পারভেজ। দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ নেন জেলা বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত ১০জন সাংবাদিক।
এরা হলেন, ডেইলি পোস্টের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন বেলাল, দি এশিয়ান এইজ ও ঢাকা মেইল’র জেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান মিঠু, দৈনিক চলার পথের নির্বাহী সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপন, দৈনিক ফ্র্রনটিয়ারের প্রধান বার্তা সম্পাদক হাফেজ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, দৈনিক দেশকালের জেলা প্রতিনিধি আরিফুর রহমান আরিফ, প্রতিদিনের বাংলাদেশ’র জেলা প্রতিনিধি ইফতেয়ার উদ্দিন রিফাত, ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি বাহাদুর আলম, ডেইলি অবজারভার’র জেলা প্রতিনিধি লিজা আহমেদ ও দৈনিক দেশকাল’র আশুগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি জহির শিকদার।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাংবাদিকরা সঠিক সংবাদ প্রকাশে আরো দায়িত্বশীল হবেন। তিনি সবধরণের প্রশিক্ষণে সাংবাদিকদের মনোযোগী হয়ে প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান কাজে লাগানোর আহবান জানান ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সকলকে আরো সর্তক হওয়ার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি চক্র অনেক রকম ভুল তথ্য, অপতথ্য, মিথ্যা তথ্য ও গুজব এবং প্রোপাগান্ডা ছড়াতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে সাংবাদিকদের সর্তক করার জন্য এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার মূল বিষয় ছিল- কিভাবে সন্দেহজনক তথ্য, ছবি কিংবা ভিডিও ডিজিটালের মাধ্যমে যাচাই করা যায় এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফ্যাক্ট চেক করে কীভাবে সত্য সংবাদ প্রচার করা যায়। সিসিডি বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যেই দেশের প্রতিটি জেলায় এই কর্মশালার আয়োজন করে আসছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে আকস্মিক আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যার পর তিনি প্রেসক্লাবে পৌঁছে আড্ডায় মেতে উঠেন।
তাকে স্বাগত জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসীম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, কালো টাকার আধিপত্য আগেও ছিলো এখনো আছে। ভবিষ্যতে সমাজ যতো উন্নত হবে কালো টাকার দাপট কমে যাবে।
তিনি আরো বলেন, মানুষ তাকেই তাদের প্রতিনিধি বানাবে যাদের সমাজের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা আছে। সেটা অবকাঠামোগতও হতে পাওে, বুদ্ধিভিত্তিকও হতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জনগণের সহায়তায় আগামী দিনে নির্বাচিত হয়ে একবছরের মধ্যে সাংবাদিকদের আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওবিজ্ঞ পিপি অ্যাড. মাহাবুল আলম খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. মহসিন, জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি বিল ইজারা নিয়ে মাটি কাটার অভিযোগে মাসুদ হায়দার (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৫ মে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশাররফ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত মাসুদ হায়দার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের আহরন্দ গ্রামের মৃত আবু নাসেরের ছেলে। এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত গত ২৬ মার্চ একই অভিযোগে মাসুদ হায়দারকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান, সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের উজানিসার গ্রামের সরকারি চামাউড়া বিল (জলাশয়) মাছ চাষের জন্যে জোনাকি মৎস্যজীবী সমিতিকে ইজারা দেয় প্রশাসন। শুকনো মৌসুমে এই বিলের জমিতে কৃষি কাজ করা হয়। কিন্তু সমিতির সভাপতি মাসুদ হায়দার শুকনো মৌসুরেম দীর্ঘদিন ধরে বিলের মাটি অবৈধ ভাবে ইটভাটায় সরবরাহ করে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে গত ২৬ মার্চ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাসুদ হায়দারকে আটক করে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও সে আর মাটি কাটবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করে।
এ ঘটনার পর মাসুদ হায়দার আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। বিলের কৃষি জমি ও পাশ্ববর্তী সরকারি খাল থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি অব্যাহত রাখে।
বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার উজানিসার এলাকায় বিলের কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলনের সময় মাসুদ হায়দারকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত তার ভেকুটি জব্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনপ্রিয় গান দিয়ে দর্শক মাতালেন জেমস ও তার দল নগর বাউল। গণপূর্ত মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর গণসংবর্ধনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ২৭ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে এই লাইভ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে স্বাধীনতার পর এই প্রথম পূর্ণ মন্ত্রী পাওয়ায় জেলাবাসীকে আনন্দ দিতে কনসার্টটি আয়োজন করে জেলা ছাত্রলীগ। আর এই জেমসের কনসার্টকে কেন্দ্র করে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তরুণ-তরুণী নয়, পার্শ্ববর্তী জেলার ভৈরব, মৌলভীবাজার ও দেবিদ্বারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নানান যানে করে ছুটে আসে জেমস ভক্তরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া কনসার্টে সর্বপ্রথম গান পরিবেশন করে স্থানীয় সংগীত শিল্পীরা। তারপর রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে গান পরিবেশন করে জনপ্রিয় শিল্পী তুহিনের ব্যান্ড ‘আভেস’। তবে দর্শকদের আগ্রহে ছিলো নগর বাউল জেমসকে নিয়ে। প্রতিটা প্রহর গুণছিলেন কবে আসবে তাদের গানের গুরু। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাত সাড়ে ৯টায় মঞ্চে এসে কনসার্টের প্রাণ ফিরিয়ে দেয় নগর বাউল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন বলেন, মন্ত্রী সংবর্ধনাকে ঘিরে কনসার্টের আয়োজন। আর জেমস ভাইয়ের ক্রেজ সবার কাছেই পছন্দের। উনি স্টেজে উঠে যেন আচ্ছন্ন করে ফেললেন পুরো স্টেডিয়ামকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই রাত কখনও ভোলার মত নয়। এত তরুণ-তরুণীর সমাগমে উপস্থিতি অভাবনীয়।