নেত্রকোনায় হঠাৎ ঝড়ে ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড, নিহত ১

জাতীয়, 2 June 2023, 1232 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হঠাৎ ঝড়ের তান্ডবে ঘরবাড়ি, গাছপালা, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছ-পালা। এদিকে বিরিশিরি সড়কের ঘোড়াইত নামক স্থানে চলন্ত অটোরিক্সায় গাছ পড়ে গুরুতর আহত আদম আলী ফকির (৫০) নামের এক ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

banner

আজ ২ জুন শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। নিহত আদম আলী ফকির উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বন্দসাংসা গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে।

এর আগে ১ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। এতে অর্ধশতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।

জানা গেছে, হঠাৎ করে ঝড়ে দুর্গাপুর পৌর শহরের দশাল গ্রামের রুবিনা বেগম, আবু রায়হান, হক মিয়া, এমদাদুলসহ আরো অনেকেরই বসতঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অর্ধশতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড় ও তুমুল বৃষ্টিতে মৌসুমি ফল আম, লিচু, কলাসহ বিভিন্ন ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বেগে বয়ে চলা বাতাসে উড়ে গেছে সদর ইউনিয়নের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাল।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পৌর শহরের দশাল এলাকার হক মিয়ার স্ত্রী দোলনা বেগম বলেন, ‘আমার একটি মাত্র টিনের ঘর। হঠাৎ করেই ঝড় চলে আসে, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরো ঘর ভেঙে গেছে।
পোলাপাইনগুলারে নিয়ে এই ঝড়ের মধ্যেই অন্য বাড়িতে গিয়ে উঠছি। স্বামী ঢাকায় কাজ করেন। ৪ সন্তান নিয়ে এই ঘরেই থাকতাম।’

একই এলাকার আবু রায়হান বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড রোদ আজো রোদ থাকলেও হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের শুরুতেই প্রথমে আমার ঘরের বারান্দা উড়িয়ে নিয়ে যায় এরপর মুহূর্তেই ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ঘরের ভিতরে থাকা সবাইরে নিয়ে অন্যস্থানে আশ্রয় নিতে পেরেছিলাম তাই কারো ক্ষতি হয় নাই।’

পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মানির হোসাইন মানিক বলেন, ‘ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে গিয়ে আমি সবার খোঁজ নিচ্ছি।’

সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে অনেক ঘরবাড়ি ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, ‘ঝড়ে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়া হবে।

Leave a Reply

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষরের পক্ষে ইইউ

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, 27 January 2025, 686 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বাংলাদেশের সাথে চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অংশীদারিত্ব বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অংশীদারিত্ব বাড়ানোর জন্য নতুন দিক অন্বেষণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

banner

চিঠিতে উরসুলা উল্লেখ করেন, বিস্তৃত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির মধ্যে দিয়ে তারা অংশীদারিত্ব বাড়ানোর পক্ষে।
সূত্র : বাসস

বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শর্ত পুনর্বহাল

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, 13 April 2025, 420 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ বা ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনরায় বহাল করা হয়েছে। গত ৭ এপ্রিল তারিখে উপসচিব নীলিমা আফরোজের সই করা একটি প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

banner

আজ ১৩ এপ্রিল রোববার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নীলিমা আফরোজ।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে পূর্বের ন্যায় বাংলাদেশি পাসপোর্টে “ইসরায়েল ব্যতীত” শর্ত পুনর্বহালের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

বাংলাদেশের পাসপোর্টে আগে লেখা থাকতো- ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সেপ্ট ইসরায়েল।’ অর্থাৎ এই পাসপোর্ট ইসরায়েল ব্যতীত পৃথিবীর সব দেশের জন্য বৈধ বা এই পাসপোর্ট নিয়ে ইসরায়েল ছাড়া পৃথিবীর যেকোনও দেশে যাওয়া যাবে।

কিন্তু ২০২০ সালে দেশে নতুন ই-পাসপোর্টে এই বাক্যটি পরিবর্তন করে লেখা হয়: ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিস অব দ্য ওয়ার্ল্ড।’ অর্থাৎ ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০ সালে দেশে নতুন ই-পাসপোর্ট চালু করলে সেই পাসপোর্টগুলো থেকে এই লেখা বাদ দেয়। এমনকি এ বিষয়ে কোনো ঘোষণাও দেওয়া হয়নি।

হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ

জাতীয়, 6 December 2024, 416 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল হবিগঞ্জ জেলা শহর। ১৯৭১ সালের একইদিনে মুক্ত হয়েছিল নবীগঞ্জ, চুনারুঘাট, বাহুবল, মাধবপুর, বানিয়াচং ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাও। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌর প্রসাদ রায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সফিকুর রহমান।

banner

হবিগঞ্জ : ১৯৭১ সালের এইদিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে হবিগঞ্জ শহরসহ তার আশপাশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ৩ নম্বর সেক্টরে দায়িত্বরত তৎকালীন মেজর শফিউল্লাহর নেতৃত্বে হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে পাকিস্তানিদের সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধারা জেলা শহরের কাছাকাছি এসে পৌঁছায় এবং শহরে প্রবেশের তিন দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রমণ করেন। ৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে এবং ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকিস্তানি সেনাসহ রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করে।

চুনারুঘাট: ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে চুনারুঘাটের সীমান্ত এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তোরাব আলী খন্দকার, শামছুল হুদা, আব্দুল গফফারের নেতৃত্বে কয়েক শ মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা শহরে পাকিস্তানি ক্যাম্পে আক্রমণ করে। ৬ ডিসেম্বর ভোরে পাকিস্তানিদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে আস্তানা গুঁটিয়ে নেয় এবং পাকসেনারা শ্রীমঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর সকালে তৎকালীন সিও অফিসের সামনে স্বাধীনতার লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করা হয়।

নবীগঞ্জ : একাত্তরের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নবীগঞ্জ উপজেলাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করেছিল। ৪ ডিসেম্বর ভোরে অর্ধশতাধিক সহযোদ্ধা রাজনগরসংলগ্ন নবীগঞ্জ-বানিয়াচঙ্গ সড়কের পাশে অবস্থান নেয়। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ধ্রুব নামে এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়। ফটিক মিয়া, আব্দুল আহাদ ও ছাবু মিয়া নামে তিন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। এক পর্যায়ে পাকবাহিনীর রসদ ও গোলাবারুদ শেষ হয়ে গেলে তারা ৬ ডিসেম্বর ভোরে পালিয়ে যায়। ওইদিন দুপুরে জনতা থানা প্রাঙ্গণে জড়িত হয়। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের সাবসেক্টর কমান্ডার মাহবুবুর রব সাদী পতাকা উত্তোলন করে নবীগঞ্জকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন।

শায়েস্তাগঞ্জ: ১৯৭১ এর ৬ ডিসেম্বর সিলেটের সর্বত্র যুদ্ধে হেরে পাকবাহিনী সড়ক ও রেলপথে শায়েস্তাগঞ্জ হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে পালাতে থাকে। একই সঙ্গে শায়েস্তাগঞ্জ থেকেও ছটকে পড়ে কুখ্যাত হায়েনার দল। দীর্ঘ নয় মাস পর এলাকার সর্বস্তরের মানুষ বিজয় পতাকা হাতে বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। গগণ বিদারী শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শায়েস্তাগঞ্জ শহর।

বাহুবল: ৫ ডিসেম্বর বাহুবলের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবুল হাসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে ২৪জন ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করেন।

ওই দুইজনের নেতৃত্বে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবলের সীমান্তবর্তী কটিয়াদী বাজারে অভিযান চালানো হয়। পরে অভিযান হয় বাহুবলের ধনিয়াখালীতে। সর্বশেষ ৬ ডিসেম্বর তারা বাহুবল থানায় আক্রমণ করেন। এতে ৪ রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। সবাই মিলে থানায় বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন। উদ্ধার হয় অস্ত্র ও গোলারারুদ। পরে এসব গোলা ও অস্ত্র ভারতের অমপিনগর ক্যাম্পে জামা দেওয়া হয়।

একইভাবে ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় মাধবপুর ও বানিয়াচং উপজেলা শহর। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় পতাকা উড়িয়ে উল্লাস করেন।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার অসংখ্য মানুষ হানাদারদের নিষ্ঠুরতার শিকার হন। অনেকই শহীদ হয়েছেন। শহীদদের স্মৃতিরক্ষায় জন্য হবিগঞ্জ শহরে মুক্তিযোদ্ধা অফিসের কাছে, মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে, বাহুবলের ফয়জাবাদ, লাখাইর কৃষ্ণপুর, চুনারুঘাটের নলুয়া চা-বাগান, বানিয়াচঙ্গের বদলপুর, মাকালকান্দির বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত রয়েছে।

প্রাইজবন্ডের ১১৩তম ‘ড্র’, প্রথম পুরস্কার বিজয়ী ০৮৫৮৭১৯

জাতীয়, 31 October 2023, 931 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৩তম ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ছয় লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার বিজয়ী সিরিজের নম্বর হলো- ০৮৫৮৭১৯।

banner

তিন লাখ ২৫ হাজার টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী নম্বর ০৭২৬২০১। আর তৃতীয় পুরস্কার এক লাখ টাকা ক‌রে দু‌টি হ‌লো, ০৭২৪৪৯১ ও ০৭৬৬৯০৪। ৫০ হাজার টাকা বিজয়ী চতুর্থ পুরস্কার নম্বর দুটি হলো ০৬২৮১৪৫ ও ০৭৬৭৪৩৯।

আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলামের -এর সভাপতিত্বে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাইজবন্ডের ১১২তম ‘ড্র’, প্রথম পুরস্কার বিজয়ী ০৭৯৮৮৯০

১১১তম প্রাইজবন্ডের ড্র, ছয় লাখ টাকা বিজয়ী ০৬৪০৮৬৪

১১০তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, ছয় লাখ টাকা বিজয়ী ০০৮৮৭০৮

প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের মোট ৭৫টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যা এবারে পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। একক সাধারণ পদ্ধতিতে (অর্থাৎ প্রত্যেক সিরিজের জন্য একই নম্বর) এ ‘ড্র’ পরিচালিত হয়। এগুলো হলো: কক, কখ, কগ, কঘ, কঙ, কচ, কছ, কজ, কঝ, কঞ, কট, কঠ, কড, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খখ, খগ, খঘ, খঙ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ, খট, খঠ, খড, খঢ, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খষ, খস, খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গঙ, গচ, গছ, গজ, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড, গঢ, গথ, গদ, গন, গফ, গব, গম, গল, গষ এবং গপ এই ‘ড্র’-এর আওতাভুক্ত।

এছাড়া পঞ্চম পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন ৪০ জন। তাদের নম্বরগুলো হলো: ০০৩৫৮৮৬, ০১৯৪৭৮৭, ০৪৫০৩৫৬, ০৬৩৬০৫৩, ০৮০৭৬২৯, ০০৩৬৩৬৯, ০২৩৭৩৯৬, ০৪৬৩৭৪৮, ০৬৫৮৩৮২, ০৮৩৯৫৪১, ০০৫২০৪২, ০২৬৮২৭৩, ০৫৩৭২৩৯, ০৬৮০২১৭, ০৮৬০৫৮১, ০০৯০৬৪৯, ০২৭০৬৪১, ০৫৬৭২০০, ০৭১৩৬৬৩, ০৯০৮৮৬২, ০১১৯২১২, ০২৮৩২১০, ০৬০৯৩৪৪, ০৭৩২৭৮৩, ০৯৪৮৫১৯, ০১২০৮৫৯, ০৩৪১৮৭৩, ০৬১৩৯৯০, ০৭৪৩০৯১, ০৯৭৮১৯৯, ০১৬২৫৩৪, ০৩৪৩৪২০, ০৬১৪৬৬৯, ০৭৪৪৫৩৩, ০৯৮৯৪৮০,০১৬৯৬৯৩, ০৪৪২৪৭৫, ০৬৩১২৪৭, ০৭৭২৬৩৯ এবং ০৯৯১৭১২ ।

আইনজীবীদের আরো তিনদিনের কর্মবিরতি ঘোষনা

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 9 January 2023, 2850 Views,

বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ চরমে ॥ এক আইনজীবীকে বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকের অপসারণ ও জেলা জজ কোর্টের প্রধান নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি আরো তিনদিন বাড়ানো। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে তাদের এই কর্মবিরতি। গতকাল সোমবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সাধারণসভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে নতুন এই কর্মসূচী ঘোষণা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

এদিকে কর্মবিরতির মধ্যেই আদালতে মামলার শুনানিতে অংশ নেয়ায় আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল ইসলামকে আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

গত বুধবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চার দিনে আইনজীবীদের কর্মবিরতির কারণে আদালতে বিচারিক কার্যক্রম হয়নি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার বিচার প্রার্থী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার, শনিবার ও সোমবার আইনজীবী সমিতি তিন কার্যদিনের কর্মবিরতি পালন করেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় সোমবার বিকেল তিনটার দিকে জেলা তারা আরো তিনদিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করে।

সোমবার বিকেলে আইনজীবী সমিতির ভবনের দ্বিতীয় তলায় আইনজীবীদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই গত রোববার একটি মামলার শুনানিতে অংশ নেয়ায় আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল ইসলামকে আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রোববার আইনজীবীদের কর্মবিরতি মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী জজ (সরাইল) আদালতে একটি মামলায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী জজ (সরাইল) আদালতে বাদী বোরহান উদ্দিনের পক্ষে একটি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলার শুনানীতে অংশ নেন আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। আদালতের বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ সাহেদুল ইসলাম বাদীকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় আইনজীবী কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি রোববার সংবাদিকদের জানিয়েছিলেন তিনি ওই মামলার শুনানীতে অংশ নেননি। তার পক্ষে মুহুরী আদালতে মামলা জমা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আমরা আরো তিনদিনের কর্মবিরতির কর্মসূচী দিয়েছি। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, আমাদের দাবি জেলা জজ শারমিন নিগার মহোদয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের -১ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণসহ নাজির মুমিনুল ইসলামের (বর্তমানে প্রেষণে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের সেরেস্তাদার) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। আমাদের দাবি এখনো আদায় হয়নি তাই আমরা আমাদের কর্মসূচী আরো তিনদিন বাড়িয়েছি। আমরা আশা করি জেলা জজ মহোদয় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাত শতাধিক আইনজীবীর ভবিষ্যত ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল বিচার প্রার্থী মানুষের কথা চিন্তা করে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সরে যাবেন। আমারা এই সমস্যা নিরসণের জন্য মাননীয় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোটে আনিসুল হক ও আইন সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।