অনলাইন ডেস্ক :
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিটন চন্দ্র দে’র বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি ৩০ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত দিয়েছেন।
তাঁর ভাষ্য, ২৫ মে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপনির্বাচন চলার সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ৩০০০ টাকার জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক লিটন চন্দ্র দে। কিন্তু তাঁর হাতে দেওয়া রসিদে ৫০০ টাকা লেখা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় তাঁকে গালাগালি করেন ওই বিচারক। একই সঙ্গে ছয় মাসের জন্য কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেন।
আবুল কাশেম উপজেলার ঠাকুরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। ২৫ মে বিকেলে এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে যাচ্ছিলেন তিনি। সোয়া চারটার দিকে চন্দনপুর ইউনিয়নের তুলাতুলি কাচারীকান্দি গ্রামে পৌঁছান। ওই গ্রামের পূর্বপাশের সড়কে যাওয়ার পর সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি চালক বলেন, ‘স্যার আপনাকে ডাকেন।’ কাশেমকে সেখান দিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চান ওই কর্মকর্তা। তিনি রোগী দেখতে যাওয়ার কথা জানালে লিটন চন্দ্র দে বলেন, এখন যাওয়া যাবে না। তখন কাশেম বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা জানালেও ছাড়তে রাজি হননি। বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কাশেমের ভাষ্য, ‘সেখানে গাড়ি থামতে বললে আমি এসিল্যান্ড স্যারের কাছে যাই। তিনি আমাকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছি জানিয়ে ৩০০০ টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু রসিদে ৫০০ টাকা লেখা ছিল। বিষয়টি জানতে চাওয়ায় তিনি (এসিল্যান্ড) আমার সঙ্গে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন ও ছয় মাসের জেল দেওয়ার ভয় দেখান।’ এর প্রতিকার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
তবে এমন অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘মিথ্যাচার’ বলে দাবি করেন লিটন চন্দ্র দে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৩০০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। সেখানে পুলিশ ও আনসারের অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আমি তাঁকে বলেছি, ৫০০ টাকা জরিমানা না দিলে তিন দিনের সাজা দেওয়া হবে।’
মেঘনার ইউএনও রাবেয়া আক্তার বলেন, এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। তাঁর হাতে এ-সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আসেনি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার অভিযোগটি শুনেছেন জানিয়ে বলেন, ‘এমন যদি হয়ে থাকে, অবশ্যই তা খুবই দুঃখজনক। এসিল্যান্ড সাহেবের ব্যাপারে (জমিজমার) খারিজ নিয়েও নানা অভিযোগ আমার কাছে আসছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
দেশজুড়ে নাগরিক সেবা গ্রহণের পদ্ধতিকে সহজ করতে চালু হতে যাচ্ছে নতুন এক সেবা আউটলেট- ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, সংক্ষেপে ‘নাগরিক সেবা’।
আজ ৩০ এপ্রিল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এমন তথ্য জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে আসছে নতুন সেবা আউটলেট “নাগরিক সেবা বাংলাদেশ”! সংক্ষেপে “নাগরিক সেবা”। বাংলাদেশের সব শহরে, সব গ্রামে, সব ওয়ার্ডে। সেবাদাতা হিসেবে উদ্যোক্তারা আবেদন করতে পারবেন আগামীকাল থেকেই।
পোস্টে তিনি আরো উল্লেখ করেন, আগামীকাল (১ মে) শুক্রবার থেকে সেবা আউটলেট পরিচালনার জন্য উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। আগ্রহীরা নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে সেবাদাতা হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ‘এক ঠিকানায় সকল সেবা’ শ্লোগানে যাত্রা শুরু করতে যাওয়া এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি শহর, গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নাগরিকরা একই স্থান থেকে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে নাগরিকদের সময়, অর্থ এবং ভোগান্তি—সবকিছুই কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তেলাপোকা মারার ওষুধের ‘বিষক্রিয়ায়’ দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় ৫ জুন মামলা হয়। মামলায় ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেড কোম্পানির চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান এবং কোম্পানিটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফরহাদুল আমিনকে গ্রেফতার করে লালবাগ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ভাটারা থানা পুলিশের সহযোগিতায় দুই আসামির ভ্রাম্যমাণ অবস্থান শনাক্ত করে আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর-রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পেয়ে দুজনই তাদের নিজস্ব গাড়িতে টাঙ্গাইল, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে থাকেন। এ কারণে তাদের ধরা সম্ভব হচ্ছিল না।
অর্থের লোভে কোম্পানির মালিক-কর্মচারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয় উপলব্ধি না করে এবং পরিবারের সদস্যদের যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার উপদেশ না দিয়েই কর্মচারীদের দিয়ে কীটনাশক স্প্রে করে; যার ফলশ্রুতিতে দুটি শিশু মারা যায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিবারের অন্যরা।
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, অ্যালুমিনিয়াম ফসফেট সমৃদ্ধ ওই কীটনাশক বড় গার্মেন্টস, বীজ গুদাম, অনাবাসিক স্থান ছাড়া ঘর-গৃহস্থে ব্যবহার করা যায় না। ঘরবাড়িতে এগুলো ব্যবহার করলে ৭২ থেকে ৯৬ ঘণ্টা প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ওই বিষাক্ত উপাদান কোথা থেকে কিভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে, এর অনুমোদন ছিল কিনা, এর অনুপাত সঠিক ছিল কিনা, মানবদেহের জন্য এগুলো কতটা ক্ষতিকর তা যাচাই-বাছাই করা হবে।
ভিডিও কলে মারা যাওয়া দুই শিশুর বাবা মোবারক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ফুটফুটে দুই শিশুর এভাবে মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি সুষ্ঠু বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
পুলিশ জানায়, গত ২ জুন বসুন্ধরার আই ব্লকের একটি নতুন বাসায় পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের কর্মীরা তেলাপোকা মারার বিষ স্প্রে করেন। এর দুদিন পর ভুক্তভোগী পরিবারটি ওই বাসায় ওঠে।
বাসায় ঢুকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রবিবার ভোরে ৯ বছর বয়সি শাহিল মোবারত জায়ান এবং একই দিন রাত ১০টার দিকে ১৫ বছর বয়সি শায়েন মোবারত জাহিন মারা যায়।
ডেস্ক রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতীক পাওয়া মাত্রই প্রাথীরা তাদের প্রচারণা শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের মানতে হবে ইসির নির্দেশনা। সেখানে সেখানে পোস্টার, সভা-সমাবেশ করা, যখন-তখন মাইক ব্যবহারসহ নানা ধরনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে প্রার্থী ও ভোটারদের।
এসব নিয়ম মানাতে নির্বাচন কমিশন জারি করেছে বিধিনিষেধ।
প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ ও এর সংশোধনী (২০১৩) মেনে চলার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে পাঠানো ওই নির্দেশনা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল করা যাবে না।
কিংবা কোনো শোডাউন করা যাবে না; মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ও মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না। সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় অবস্থিত দালান, বিল্ডিং, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটিতে বা যানবাহনে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না; তবে দেশের যেকোনো স্থানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল রশিতে ঝুলিয়ে টাঙানো যাবে।
আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না; মাইকে নির্বাচনী প্রচারণা দুপুর ২টা হতে রাত ৮টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে; নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রার্থীর ছবি বা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণামূলক কোনো বক্তব্য বা কোনো শার্ট, জ্যাকেট, ফতুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না; নির্বাচনী ক্যাম্পে কোনো কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা কোনো উপঢৌকন প্রদান করাও যাবে না।
বিধিমালায় আরো বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানে চাঁদা বা অনুদান দেওয়া যাবে না; সরকারি ডাকবাংলো, রেস্টহাউস, সার্কিট হাউস বা কোনো সরকারি কার্যালয়কে কোনো দল বা প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচারের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না; নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচনও করা যাবে না।
নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো গেট বা তোরণ নির্মাণ করা যাবে না কিংবা চলাচলের পথে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না; নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ৪০০ বর্গফুটের বেশি স্থান নিয়ে কোনো প্যান্ডেল তৈরি করা যাবে না; নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না; কোনো সড়ক কিংবা জনগণের চলাচলের স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প করা যাবে না।
বিধিমালায় পোস্টার ঝুলিয়ে লাগানোর কথা বলা হলেও নির্বাচনের সময় দেয়াল লিখনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু দেয়াল নয়, কোনো দালান, থাম, বাড়ি বা ঘরের ছাদ, সেতু, সড়কদ্বীপ, রোড ডিভাইডার, যানবাহন বা অন্য কোনো স্থাপনায়ও প্রচারণামূলক কোনো লিখন বা অঙ্কন করা যাবে না।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার ও ব্যানার সাদাকালো হতে হবে; পোস্টারের সাইজ অনধিক ৬০ বাই ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার অনধিক ৩ বাই ১ মিটার হতে হবে। পোস্টার বা ব্যানারে প্রার্থীর নিজের প্রতীক ও ছবি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক প্রকাশ করা যাবে না বলেও বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রার্থীকে আইনে নির্ধারিত ব্যয়সীমার মধ্যে থেকে প্রচারে নির্বাচনী ব্যয় করতে হবে। এবার ভোটারপ্রতি ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ১০ টাকা। তবে কোনো আসনে ভোটার সংখ্যা যাই- হোক না কেন সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা। এই ব্যয় একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব থেকে বহন করতে হবে। সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রতিদিনের ব্যয় ভাউচারসহ সংরক্ষণ করে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।
প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, আমাদের বার্তা একটিই। প্রত্যেক প্রার্থী যেন নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা করেন। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে নির্বাচন মনিটারিংয়ে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে প্রার্থী ও তাঁদের অনুসারীদের।’ এ ক্ষেত্রে প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে বলে তিনি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চায়ের বহুমুখী উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বিশেষ করে অ্যারোমা চা তৈরি করতে হবে। বিদেশে এসব চায়ের অনেক চাহিদা রয়েছে। শুধু চা পাতা বাল্কে বিক্রি না করে সেটাকে ভ্যালু অ্যাডেড করে আমরা রফতানি করবো। তাতে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন হবে, যারা ব্যবসা করেন তাদেরও ভালো উপার্জন হবে।
আজ ৪ জুন মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন কিন্তু মানুষের রুচি বদলে গেছে। এখন শুধু চা পাতার চা নয়, বিভিন্ন ধরনের চা পাওয়া যায়। হারবাল চা, মশলা চা, তুলশী পাতা-ওষুধি পাতার ব্যবহার, বিভিন্ন ধরনের ফুল যেমন জেসমিন চা-ও বাজারে খুব চলে।
সরকার প্রধান বলেন, বিভিন্ন ধরন ও ফ্লেভারের চা করা যেতে পারে। তুলশী, আদা, তেজপাতা, এলাচ, লং, দারুচিনি আমরা তো বিভিন্ন কিছু দিয়েই চা বানাই। এই চাগুলোও কিন্তু প্যাকেটজাত করা যায়।
পাট পাতা থেকে তৈরি চা নিয়ে আরও পরীক্ষা এবং গবেষণা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সীমিত আকারে পাট পাতার চা তৈরি হচ্ছে। এটা একটু বেশি তিতা, এ চা ডায়বেটিসের জন্য নাকি ভালো। এটা নিয়ে আরও গবেষণা দরকার।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চা শ্রমিক, মালিক, রফতানিকারকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিটিএবি) সভাপতি শাহ মঈনুদ্দীন হাসান, বাংলাদেশের চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ এবং বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কামরান টি. রহমান ও পুরস্কার প্রাপ্ত চা শ্রমিক উপলব্ধি ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম। এ সময় বাংলাদেশের চা শিল্প নিয়ে একটি তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পর শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩-১০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন বা স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা, মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীগুলোর এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে। সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে।
সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে; এ ছাড়া সীমান্তবর্তী ৪৭ উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চার উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯ উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।