চলারপথে রিপোর্ট :
ঝিনাইদহে স্কুল ও কলেজে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেওয়ায় ২৪ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। আজ ৪ জুন রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, শহরে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে বিপথগামী হতে না পারে সে জন্য স্কুল টাইম কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। সেই কর্মসূচির আওতায় শহরের বিভিন্ন স্থান ও পার্কে অভিযান চালানো হয়। সেসময় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ২৪ শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে অভিভাবকদের ডেকে তাদের জিম্মায় দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১ জুন ঝিনাইদহের বিভিন্ন পার্কে আড্ডা ও গলিতে দেওয়ায় প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১১ দিনের ব্যবধানে
স্টাফ রিপোর্টার:
ইতালিতে গত ১১ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন কারণে সাত বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বা কারও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আবার কেউ হার্ট অ্যাটাকেও প্রাণ হারিয়েছেন। পরবাসে এমন অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের আবহ বিরাজ করছে। সাত বাংলাদেশীর মধ্যে একজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক রোমের অদূরে সিভিতা ভেক্কিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। গত ৫ ডিসেম্বর রেদুয়ানুর রহমান নামে বাংলাদেশিকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পাওয়া যায়, তার বাড়ি ঢাকা। পুলিশ মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্তাধীন। একই দিনে কাতানিয়া সিসিলিতে মো. শাহ আলম নামে এক বাংলাদেশি যুবক হার্টঅ্যাটাকে মারা যান। ৬ ডিসেম্বর মো. বারেক সারেং নামে আরেক বাংলাদেশি হার্টঅ্যাটাকে দক্ষিণ ইতালির নাপোলির হাসপাতালে মারা যায়। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। একই দিনে রোমে হার্টঅ্যাটাকে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মো. ফয়সাল খান। ইমরান দরবারি নামে আরেক বাংলাদেশি ইতালির আনকোনা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। বাংলাদেশি আরেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোহাম্মদ আজিম গত ৭ ডিসেম্বর ইতালির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। তিনি ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন।
চলতি মাসে কয়েক দিনের ব্যবধানে সাত বাংলাদেশির মৃত্যুতে ইতালিতে অনেক প্রবাসী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, মৃতদের বেশিরভাগ বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের অকাল মৃত্যুতে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ায় পৃথক স্থানে ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাকেল চালক নিহত হয়েছেন। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার বগুড়া সদর ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিন সকার ১০টায় বগুড়া সদরের নওদাপাড়ার ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাক-রংপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় নিহত হন মোস্তফা হায়দার (৪০)। তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের পূর্নগোপীনাথপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। একই পথে মোস্তফা হায়দার মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে সদরের ফিলিং স্টেশনের সামনে ট্রাকটিকে অতিক্রম করতে যান মোটরসাইকেল চালক। এসময় ট্রাকটি বেপরোয়া গতিতে ছিল। অসাবধানতাবশত ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন মোটরসাইকেল চালক।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ট্রাক জব্দ হলেও চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। নিহতের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে সকাল ৯টায় কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ট্রাকচাপায় নিহত হন জাকারিয়া হোসেন (২০)। দুপচাঁচিয়ার বার মাইল এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জাকারিয়া জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদপুর বারাইল গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, জাকারিয়া হোসেন তার কর্মস্থল কাহালুর জোগারপাড়া টাইলস মিলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়। মোটরসাইকেলটি নিয়ে দুপচাঁচিয়া থানা বাসষ্টান্ড পার হয়ে বার মাইল এলাকায় গার্ডেন ভিউয়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক যাওয়ার সময় তাকে ধাক্কা দেয়। এসময় জাকারিয়া মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পরে গুরুতরভাবে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ১৬ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২৯ মার্চ বুধবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহত ১৮ বাংলাদেশি হলেন-
১। রুকু মিয়া, পিতা: কালা মিয়া, থানা/উপজেলা: কসবা, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া;
২। মো. ইমাম হোসাইন রনি, পিতা: মো. আব্দুল লতিফ, থানা/উপজেলা: টঙ্গী, জেলা: গাজীপুর;
৩। খাইরুল ইসলাম;
৪। মো. রাসেল মোল্লা;
৫। মো. নজরুল ইসলাম, পিতা: কাউসার মিয়া, থানা: কোতয়ালী, জেলা: যশোর;
৬। রুহুল আমিন;
৭। সবুজ হোসাইন, পিতা:মো. হারুন, উপজেলা: রায়পুর, জেলা: লক্ষ্মীপুর;
৮। মো. হেলাল উদ্দিন, নোয়াখালী;
৯। মোহাম্মদ আসিফ, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার;
১০। শাফাতুল ইসলাম, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার;
১১। শাহিদুল ইসলাম, পিতা: মো. শরিয়ত উল্লাহ, উপজেলা: সেনবাগ, জেলা: নোয়াখালী;
১২। তুষার মজুমদার;
১৩। মামুন মিয়া, পিতা: আব্দুল আউয়াল, উপজেলা: মুরাদনগর, জেলা: কুমিল্লা;
১৪। মিরাজ হোসাইন;
১৫। গিয়াস, পিতা: হামিদ, উপজেলা: দেবিদ্বার, জেলা: কুমিল্লা;
১৬। মো. হোসাইন, পিতা: কাদের হোসাইন, উপজেলা: রামু, জেলা: কক্সবাজার;
১৭। সাকিব, পিতা: আব্দুল আউয়াল;
১৮। রানা মিয়া।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বুধবার রাতে জানিয়েছেন, সৌদি আরবে যেই বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, তাতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৪ জন। বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ১৬ বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সূত্র জানায়, সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ওমরাহ যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন। গত ২৭ মার্চ ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটি একটি সেতুর ওপরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একপর্যায়ে বাসটি উল্টে আগুন ধরে যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আসির প্রদেশ ও আভা শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী ওই সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারানোয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নামাপাড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শাহরিয়ার শ্রাবণ (২০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ফারুক হোসেন (৪০) নামের আরো একজন। আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিকেলে ঘটনা ঘটে। শ্রাবণ মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
মৃতের বড় ভাই আদিত্য ইসলাম দিপু জানান, তারা পুরাতন এসি কেনা-বেচা ও মেরামতের কাজ করেন। ধোলাইখাল এলাকায় তাদের দোকান রয়েছে। পূর্ব নামাপাড়া এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানের পুরাতন এসি খুলে নামানোর সময় পাশে থাকা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের তারের সঙ্গে এসির পাইপ স্পর্শ লেগে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তারা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি বলেন, মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। অপরজন চিকিৎসাধীন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশে ৯ বছর বয়সী এক ছেলেকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। ছেলেটির বাবা একটি গাড়ি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ গুলি চালালে ছেলেটি মারা যায়। ইরানি কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
শুশতার কাউন্টির পুলিশ প্রধান রুহুল্লাহ বিগডেলি পুলিশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানান, বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ‘চুরি যাওয়া গাড়িটিকে গুলি করে’ থামানোর চেষ্টা করেছিলেন।
এতে ঘটনাস্থলেই ছেলেটির মৃত্যু হয়।
পুলিশ দাবি করছে, তারা গুলি শুরু করার আগে লোকটিকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছিল। গাড়ি চুরি এবং মাদক চোরাচালানসহ ওই ব্যক্তির অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ দাবি করেছে, তারা একটি গাড়ি চুরি সম্পর্কে অভিযোগ পেয়েছিল, যা এই পরিবারের গাড়ির সঙ্গে মিলে যায়।
কর্মকর্তাদের সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা গুলি শুরু করার আগে লোকটিকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছিল। কিন্তু চালক তা না মেনে দ্রুত চলে যান। ফলে পুলিশ গুলি চালায়।
ইরানি নিউজ ওয়েবসাইট জামারান ছেলেটিকে ৯ বছর বয়সী মোর্তেজা দেলফ জারেগানি বলে শনাক্ত করেছে। তারা ওই ছেলের বাবার সঙ্গেও কথা বলেছে। গুলি করার আগে পুলিশ তাকে সতর্ক করেনি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
মোর্তেজার বাবা বলেছেন, পুলিশ কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই এবং গাড়ি চুরির মিথ্যা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শুশতার শহরে তাদের গাড়িতে গুলি চালানো শুরু করে।
মোর্তেজার চাচার মতে, তারা তাদের পেছনে পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে থামতে চেয়েছিল, কিন্তু কোনো সতর্কতা ছাড়াই পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই মোর্তেজা মারা যায়।
এদিকে মোর্তেজার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। লোকেরা তার মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
মোর্তেজার ঘটনাটি কিয়ান পিরফালাকের কথাও মনে করিয়ে দেয়। নভেম্বরে ৯ বছর বয়সী কিয়ান পিরফালাক গুলিতে নিহত হয়েছিল। তার মা ওই ঘটনার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়ী করেছিলেন। দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়েছিল। এরপর দেশব্যাপী বিক্ষোভ চলাকালীন খুজেস্তান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজেহ শহরের একটি রাস্তায় পিরফালাককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সে ওই রাস্তা দিয়ে তার মা-বাবার সঙ্গে যাচ্ছিল।
সূত্র : দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, ইরান ইন্টারন্যাশনাল