চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুল ইসলাম খোকন (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
৩ জুন শনিবার রাতে উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কুড্ডা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত খাইরুল ইসলাম খোকন কুড্ডা গ্রামের কুড়াবাড়ির আবু সাইদ মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার বাসুদেব গ্রামের মলাই মিয়ার কাছে একই এলাকার শাহ আলম ১ হাজার ৯০০ টাকা পেতেন। এর মধ্যে মলাই মিয়া কিছু দিন আগে শাহ আলমকে ৫০০ টাকা ফেরত দেন। বাকি ১ হাজার ৪০০ টাকা নিয়ে শাহ আলমের সঙ্গে মলাই মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য শনিবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কুড্ডা গ্রামের মেহের আলী শা মাজারের সামনে সালিশ বসে। সালিশে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মলাই মিয়া গ্রুপের লোকজন শাহ আলম গ্রুপের লোকদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে খায়রুল ইসলাম খোকনের গলায় বল্লম (দেশীয় অস্ত্র) বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে। পরে রাত ১২টায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
যুব ও ক্রীড় মন্ত্রনালয়ের অধীনে ক্রীড়া পরিদপ্তর বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় খেলাধূলার মান উন্নয়নে এবং নিয়মিত পরিচর্চার জন্য তৃর্ণমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের উদ্দেশ্যে জেলা ক্রীড়া অফিস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবস্থাপনায় আজ ২৭ এপ্রিল রবিবার সদর উপজেলার সিও অফিস পুকুরে (অনুর্ধ্ব-১৪) বালক বালিকাদের মাসব্যাপী সাতাঁর প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তার।
এসময় প্রশিক্ষক ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আলীয়া মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক আতাউর রহমান পলাশ, নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুর রহিম সাগর প্রমুখ।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আলীয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৬জন বালক ও বালিকা সাঁতারে অংশ গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অভিযানে কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭০ লাখ টাকার ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার চশমা জব্দ করেছে। আজ ৩০ এপ্রিল বুধবার ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর একটি টহল দল নামক স্থানে চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালিয়ে এই চশমাগুলো জব্দ করে।
বিকালে ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নোয়াহাটী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় এসব চশমা জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত মালামালের মোট সিজার মূল্য ৭০ লাখ ৩৭ হাজার ৪০০ টাকা। জব্দকৃত চশমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৩,৩৩৬ পিস ভারতীয় বেবি চশমা, ১,৫৭৫ পিস ডানম্যাক লাক্সারি চশমা, ১,৬৯১ পিস জিরো বয়েজ চশমা, ৯৬০ পিস লন্ডন চশমা, ৮৪০ পিস কিং চশমা।
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান রোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই সফল অভিযান পরিচালিত হয়। ভবিষ্যতেও মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সদ্য অনুষ্ঠিত সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১৯ মার্চ রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত প্রাঙনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম.এ. মান্নানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম রুমার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহাম্মদ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন প্রমুখ ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ভোট চুরি হয় নাই। বাকি ছিল সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। সুপ্রীম কোর্টের ৫০ বছরের ইতিহাসে যা হয়নি এবার তা হয়েছে । বক্তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পুণরায় নির্বাচন দাবি করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বরাবরের মতো এবারো এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এ এগিয়ে রয়েছে জেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া জেলা শহরের দুটি প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৫ হাজার ২২৯ শিক্ষার্থী। পাস করেছে ২০ হাজার ২৯৪ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৭১৪ শিক্ষার্থী।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল থেকে মোট ৩০ হাজার ৯০৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৪ হাজার ৯৭৩ জন পরীক্ষার্থী। পাসের হর ৮১ দশমিক ৪৫। এসএসি, দাখিল ও ভোকেশনাল মিলিয়ে জেলা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৬১।
এবছর জেলা থেকে মাদরাসার ১ হাজার ৩৬২ পরীক্ষার্থী এসএসসির দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাস করেছে ১ হাজার ১০৩ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮০ দশমিক ৯৮। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬জন।
এবছর জেলা থেকে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ হাজার ৩১২ পরীক্ষার্থী এসএসসির ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাস করেছে ৩ হাজার ৫৭৬ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০১জন।
বিভিন্ন বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিপিএ-৫ এ- এগিয়ে রয়েছে জেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ বছর অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ৩২১জন অংশ নিয়ে পাস করে ৩১৯জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮০জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
জেলার গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ২০১জন অংশ নিয়ে পাস করে ১৯৬জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮২জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫১ শতাংশ।
জেলার সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ৩৩২জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩২১জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭জন। পাসের হার ৯৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ১৯৪ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৮৬জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬২জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
এছাড়া জেলা শহরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে পাসের হার শতভাগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৬৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭জন। বিয়াম ল্যাবরেটরি থেকে ৭জন অংশ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন বছরের প্রথম দিনেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্য বই তুলে দেয়া হয়েছে।
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার সকালে শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস.এম শান্তুনু চৌধুরীর সভাপতিত্বে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামছুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, সুখী, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে মানসম্মত শিক্ষার প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী সমৃদ্ধদেশ গড়া। আজকের শিশুরা আগামী দিনে দেশ গড়ার কারিগর। যদি শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা দেয়া না হয়, তাহলে ২০৪১ সাললের মধ্যে সুখী, সমৃদ্ধ দেশ গড়া সম্ভব হবে না। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে মানসম্মত শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান।
এদিকে নতুন বছরের প্রথম দিনেই কাঙ্ক্ষিত বই পেয়ে শিক্ষার্থীরাও খুশী। নতুন বই পেয়ে স্থানীয় আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী অন্বেষা পাল বলেন, নতুন বই পাওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। বই পেয়ে আমি খুব খুশী হয়েছি।
একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানিয়া রহমান বলেন বছরের প্রথম দিনেই বই পেয়ে আমরা বেশ উচ্ছসিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ২শ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৪ লাখ ১২ হাজার ১০৫টি বিতরন করা হবে।
আর মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩৪৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ ৪৫ হাজার ২৪৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮ লাখ ১ হাজার ২৫০টি বই বিতরন করা হবে।