চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের উদ্যোগে র্যালি ও পথসভা হয়েছে।
“প্রকৃতি বাঁচাও, প্রাণবিক ধরিত্রী গড়ো’ সবাই মিলে করি পণ বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ ৫ জুন সোমবার সকালে পৌর শহরের কলেজ পাড়া থেকে একটি র্যালীটি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সড়ক বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে পথসভা করে।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের উপদেষ্টা, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. আকছির এম. চৌধুরী, ক্লাবের আহবায়ক সাংবাদিক রুবেল আহমেদ, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম, পরিবেশ ক্লাবের সদস্য সচিব রকিব উদ্দিন প্রমুখ।
পথসভায় বক্তারা বলেন, খননের অভাব, ময়লা আবর্জনা আর প্লাস্টিকের বর্জ্য আখাউড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদী, হাওড়া নদী, কালন্দি খালসহ বিভিন্ন জলাশয় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খাল খনন করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃতিকে স্বাভাবিক রাখতে হলে মাটি, পানি এবং বায়ু এই তিনটি উপাদানকে সঠিক ভাবে পরিচর্যা করতে হবে।
পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব সবার। তাই প্লাস্টিক বর্জ্যের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। সবাই মিলে পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য উপযোগী করে গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় এক শিক্ষকের আকষ্মিক মৃত্যুতে লাশ কাঁধে নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিতার বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উত্তেজিত ছাত্র-জনতা লাশবাহী খাটিয়া নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে সেখানে অবস্থান পালন করেন। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ওই শিক্ষকের মৃত্যুতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অভিযুক্ত করে বিচার দাবি করা হয়। নিহত ওই শিক্ষক হলেন উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক (ইংরেজি) এরফানুল ইসলাম শরীফ। সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত লাশ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ছিল। পরে সেনাবাহিনী এসে ছাত্র ও নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলেন তাদেরকে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বস্ত করেন। পরে স্বজনরা লাশ নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
নিহত শিক্ষকের ছোট ভাই মোঃ আওলাদ হোসেন অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি’র মানসিক নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আওলাদ হোসেন বলেন, শহরের রাধানগরে তাদের বাড়ি। বাড়ির পূর্ব সীমানা ঘেঁষে উপজেলা পরিষদের একটি পুকুর আছে। পুকুর পাড়ে একটি ছোট গেইট আছে। এটি দিয়ে তারা মাঝে মধ্যে উপজেলা পরিষদের মসজিদে নামাজ পড়তে যান।
বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও শিক্ষক শরীফের বাসায় গিয়ে তাকে খোঁজ করেন। তাকে না পেয়ে পুকুরের পাড়ে গেট রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। গেট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চলে যান। পরে দুপুরে ইউএনও শরীফের কর্মস্থল হীরাপুর স্কুলে গিয়ে তার ভাই শিক্ষক শরীফের সাথে খারাপ আচরণ করে মানসিক নির্যাতন করেন। ইউএনওর নির্যাতনে তার ভাই মারা গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ইউএনও’র বিচার দাবি করেন।
বিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, বেলা পোনে ১২টার দিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে সাথে নিয়ে স্কুলে যান। এক পর্যায়ে ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি অফিস কক্ষে এরফানুল ইসলাম শরীফের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। এ সময় অন্য শিক্ষকদেরকে অফিস কক্ষ থেকে বের করে দেন। প্রায় ২০ মিনিট কথা বলার পর ইউএনও বিদ্যালয় থেকে চলে যান। ইউএনও চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর শিক্ষক শরীফ বুকে ব্যাথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন অন্যান্য শিক্ষকরা তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসিজি করে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন ইউএনও মেডাম শিক্ষক শরীফের সাথে একান্তে কথা বলেছেন। আমাদেরকে বের হয়ে যেতে বলেন। তাই দুজনের মধ্যে কি কথা হয়েছে বলতো পারবো না।
জানতে চাইলে ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি বলেন, আমি তাকে নির্যাতন করিনি। আমি ওই স্কুলের সভাপতি সেজন্য স্কুলে গিয়ে তার বেতনভাতা সংক্রান্ত বিষয়ে একান্তে কথা বলেছি। উপজেলা পরিষদের পুকুরের পাশে তাদের বাড়ির গেইট থাকায় সেটি দেখার জন্য তার বাড়িতে গিয়েছিলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিল আখাউড়া উপজেলা। ওই দিন সড়ক বাজারের পোস্ট অফিসের সামনে উড়ানো হয়েছিল স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশের লাল সবুজের পতাকা। আখাউড়া মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে শত্রুমুক্ত হতে শুরু করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে দুইদিন ব্যাপি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এবং উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। আজ বুধবার সকালে উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আনন্দ র্যালি বের করা হবে। র্যালি শেষে পোস্ট অফিসের সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হবে।
আখাউড়ার বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ৩০ ডিসেম্বর ও ১ ডিসেম্বর উপজেলার আজমপুর ও রাজাপুর এলাকায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়। ৩ ডিসেম্বরের যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর ১১ সদস্য নিহত ও মুক্তিবাহিনীর দুইজন শহীদ হন। ৪ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী মিলে আখাউড়ায় আক্রমন শুরু করে। ওই দিন আজমপুরে শহীদ হন লেফটেন্যান্ট ইবনে ফজল বদিউজ্জামান। ৫ ডিসেম্বর দিন ও রাতের যুদ্ধে শত্রুমুক্ত হয় আখাউড়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রায় ৫০ ফুট উঁচু সিঁড়ি। মাঝখাতে দুটি ধাপ। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে অত্যাধিক উঁচু সিঁড়িতে লাগানো হচ্ছে টাইলস্। জনবহুল এ ষ্টেশনের সিঁড়িতে উঠা-নামার সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ট্রেন যাত্রীরা। তাছাড়া, পানি জমে বা কলার খোসা পরে সিঁড়ি পিচ্ছিল হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তবে, রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের দাবি, টাইলস্-এ কোন সমস্যা হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আখাউড়া-লাকসাম রুটে ডাবল ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। প্রতিটি রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আধুনিকায়ন আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের পারাপারের জন্য বিশাল একটি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এই ওভার ব্রিজের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৯০ ফুট এবং উচ্চতা ৩০ ফুট। ওই ওভার ব্রিজে উঠা-নামার জন্য দুই পাশে ৩টি করে ৬টি সিঁড়ি করা হয়েছে। তবে কোনো র্যাম্প বা সমতল সিঁড়ি রাখা হয়নি। এসব সিঁড়ি প্রায় ৫০ ফুট লম্বা। অত্যাধিক উঁচু এসব সিঁড়িতে টাইলস্ ফিটিং করা হচ্ছে। ব্যস্ততম জংশন ষ্টেশনে এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ট্রেন যাত্রীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সিঁড়িতে অফ হোয়াইট কালারের টাইল্স ফিটিং করা হচ্ছে। টাইলসের সামনের দিকে কয়েকটি খাঁজ কাটা রয়েছে।
কাউছার আহমেদ ভূঁইয়া নামে এক যাত্রী বলেন, টাইলস দিয়ে এমনিতে সতর্কভাবে হাঁটতে হয়। তাছাড়া পানি পড়ে টাইল্স পিচ্ছিল হয়ে যেতে পারে। কলার খোসা পড়ে থাকতে পারে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলী কাজী মাহমুদুল হাসান খাদেম বলেন, এরকম জায়গায় এই ধরনের টাইল্স ব্যবহার বিপজ্জনক। পাবলিক ওভার পাসে সাধারণত রাবার ফ্লোরিং করা হয়। এটা শিশু, প্রতিবন্ধি এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করে। শীতের পরিস্থিতিতে ঠান্ডা হয়ে ভিজে যায় না।
জানতে চাইলে, আখাউড়া-লাকসাম ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ার্কস) মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, আখাউড়া-লাকসাম সেকশনে কুমিল্লাসহ ১০টি ষ্টেশনে ওভারব্রীজে টাইলস্ ফিটিং করা হয়েছে। প্রায় ২ বছর হয়েছে এখনও কোন দুর্ঘটনা ঘটে। আখাউড়া ষ্টেশনেও সমস্যা হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, আখাউড়া-লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছর জুলাইয়ে কাজটি শেষ হবার কথা ছিল। কিন্তু ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ১হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ মিন্টু মিয়া (৫৫) নামক এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার উপজেলার নূরপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মিন্টু মিয়া নূরপুর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০ টার মিন্টু মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বসতঘর তল্লাশী চালিয়ে ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, মিন্টু পেশাদার মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য, কসবা-আখাউড়া আসনের বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী কবির আহমেদ ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, সাবেক অবৈধ আইন মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক ও তার দোসররা আখাউড়ায় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। মামলা-হামলা দিয়ে বহু নেতাকর্মীকে হয়রানি করেছে। আনিসুল হক ও তার দোসরদের বাঁধার কারণে বিএনপির সম্মেলন করতে পারিনি। রক্তপাত এড়ানোর স্বার্থে আমরা তখন সম্মেলন থেকে সরে আসি। ৫ আগষ্টের পর স্বাধীন রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি আখাউড়ার ইতিহাসে একটি নজির বিহীন সফল সম্মেলন করতে পারবো। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সম্মেলনের প্রস্তুতি পরিদর্শন করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও কেন্দ্র ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর বুধবার (২৭ নভেম্বর) আখাউড়ায় উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিগত ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসের ২৯তারিখ সর্বশেষ আখাউড়ায় বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকএর ৪টি পদে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী হলেন বর্তমান আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলেন বর্তমান সদস্য সচিব মোঃ খোরশেদ আলম ভূইয়া, পৌর বিএনপির সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া ও সদস্য সচিব প্রার্থী মোঃ আক্তার খান। সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে উপজেলার ৫ ইউনিয়ন ও পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করাহয়েছে। সম্মেলনেপ্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী-সমর্থক উপস্থিত থাকবে বলে আশা করছে দলটির নেতারা। পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সভাপতি প্রার্থী মোঃ সেলিম ভূইয়া বলেন, বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বত:স্ফূর্ত ভাবে সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করবে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর সম্মেলন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ডাঃ খোরশেদ আলম ভূইয়া বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতনের পর কসবা-আখাউড়ার গণমানুষের নেতা জেলা বিএনপির সদস্য কবির আহমেদ ভূইয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে উৎসব মুখর পরিবেশে বিএনপির সম্মেলন করতে যাচ্ছি। একটি সেরা সম্মেলন করতে পারবো।