অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের অস্থায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। আজ ৫ জুন সোমবার মনোনয়ন জমাদানের শেষ তারিখে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা হয়।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অস্থায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন-২০২৩ এর রিটার্নিং অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরীর পরামর্শে এ তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। গত ৩১ মে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ জুন জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান প্যানেল এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তফসিলে ৪ জুন মনোনয়ন বিক্রয়ের শেষ তারিখ এবং ৫ জুন বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল।
মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে প্যানেল চেয়ারম্যান পদে জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া, আবুল কালাম আজাদ ও বিউটি কানিজ মনোনয়ন জমা দেন। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অনিবার্য কারণবশত ঘোষিত তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি সকল জেলা পরিষদ সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী শীঘ্রই নতুন তফসিল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল মিয়া জানান, আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে জানতে পেরেছি মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক সময়ের জন্য আমাদের নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করা হয়েছে। তবে আমরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ছিল জমা দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ের জলাশয়ে অবৈধভাবে বালু ভরাট করায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
আজ ৭ মে রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড় হরন এলাকার স্থানীয় শতাধিক এলাকাবাসী এই মানববন্ধন করেন।
মাবনবন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয়রা জানান, আশিকুল ইসলাম ও উম্মেদ গংসহ এলাকার কিছু ভূমিদস্যূ রেল লাইনের জলাশয়ের জায়গা লিজ নেওয়ার কথা বলে প্রকাশ্যেই ভেকু মেশিন দিয়ে বালু ফেলে ভরাট করছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তারা আরো জানান, সরকারি রেলওয়ের জায়গা লিজ নেওয়ার নাম করে ভূমিদস্যূরা যেন জলাশয় ভরাট করতে না পারে। সে বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তারা।
মানবন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এলেম খা, স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল মিয়া, আমেনা বেগম, শাহনূর, শাহ আলম, মাইনউদ্দিন, দারু মিয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মোঃ আঃ কুদদূস এর কাব্যগন্থ মঞ্জুকেশিনী’র মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে হেমন্ত বই পার্বণ শিরোনামে একটি নান্দনিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ২৫ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬.০০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মডেল গার্লস স্কুল প্রাঙ্গণে-সৃজনশীল সাহিত্যচর্চার পাঠশালা নির্ঝর এর উদ্যোগে হেমন্ত বই পার্বণ শিরোনামে এক অনুষ্ঠানের আযোজন করা হয়।
এতে দেশবরেণ্য কবি-লেখকগণ অংশগ্রহন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির ছিলেন এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। স্বাগত বক্তব্যে দেশবরেণ্য বাচিকশিল্পী কবি ও সাংবাদিক মো. মনির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার আঃ কুদদূস এর বিগত দুই বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় তাঁর গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মযজ্ঞ তুলে ধরেন।
অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান. সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, সাবেক সাবেক যুগ্ম সচিব মো. সানাউল হক, কবি জয়দুল হোসেন, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারি, পৌর পরিষদের কাউন্সিলর, সুশীল সমাজ. কবি-লেখক, সাংবাদিক, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
তিতাস সাহিত্য সংগঠণের পরিচালক বাছির দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দ্বৈত আবৃত্তি পরিবেশন করেন হাবিবুর রহমান পারভেজ ও শারমিন সুলতানা। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আসিফ ইকবাল খানের নেতৃত্বাধীন আনন্দলোক এর শিল্পীবৃন্দ।
শিশির স্নাত সন্ধ্যায়, হেমন্তের চাঁদনী রাতে খেজুর গুড়ের শীতের পিঠা, পায়েস আর চায়ের আড্ডার সাথে গান কথা কবিতার এই মিলনমেলা মনে রাখার মতো স্মৃতির সরোবরে স্থান করে নিয়েছে।
প্রসঙ্গত: ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার আঃ কুদদূস এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধান নির্বার্হী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের গতকাল ২৫ নভেম্বর ছিলো দুই বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে মোশরাফ হোসেন বেলাল ও মোজাম্মেল হক।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও পরিচিতি সভা ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল কুমারশীল মোড়স্থ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির আয়োজনে উক্ত ‘অভিষেক অনুষ্ঠান ও পরিচিতি সভার’ উদ্বোধন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশের ট্রাস্টি, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এআইজি, বীরমুক্তিযোদ্ধা মালিক খসরু (পিপিএম)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, কবি ও গীতিকার মফিজ উদ্দীন আহমেদ ফরিদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন পিপিএম, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জয়দুল হোসেন, নবীনগর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, সোহাগপুর ইসলামিয়া পাঠাগারের সভাপতি, প্রফেসর মোঃ আলমগীর, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম লিমন, আয়োজক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোক্তা ও প্রধান সমন্বয়ক মোঃ ইমাম হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ এখলাছউর রহমান, সমন্বয়ক শিবচরণ বিশ্বাস।
সংগঠনের নব নির্বাচিত জেলা কমিটির সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাদৈর মৈত্রী পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা, উদীচী জেলা সংসদের সভাপতি, লোকো গবেষক জহিরুল ইসলাম স্বপন, কবি ও গীতিকার আব্দুর রহিম, বজলুর রহমান পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন নাহার, মাতৃভাষা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, কবি আনিস মুহাম্মদ, তরী পাঠাগারের সদস্য, কবি ও গল্পকার শিরিন আক্তার, এএম টিভি নিউজ বাংলার বার্তা সম্পাদক কবি রুদ্র মুহাম্মদ ইদ্রিস, পথিক টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কবি লিটন হোসাইন জিহাদ প্রমুখ।
সংগঠনের নবনির্বাচিত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ-এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক, সরাইল সফেরা বেগম স্মৃতি গণপাঠাগারের সভাপতি মোঃ শরিফ উদ্দিন। কোরআন তেলওয়াত করেন মাতৃভাষা একাডেমির সদস্য মাওলানা আমানুল্লাহ মুর্তাজা, গীতা পাঠ করেন নাসিরনগর হরিশচন্দ্র স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক তাপসী রায়।
সভায় উদ্বোধক বীর মুক্তিযোদ্ধা মালিক খসরু তাঁর বক্তব্যে বলেন- বর্তমান যুগে ডিজিটালাইজেশনের যুগে তরুণ প্রজন্ম মোবাইল আসক্তিতে মাতারা হয়ে থাকে। মাত্রারিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কুফলে তরুণ প্রজন্ম যেভাবে জ্ঞানহীনভাবে বেড়ে উঠছে, সেই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে একমাত্র পাঠাগার আন্দোলনই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। দেশব্যাপী পাঠাগার আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি পাঠাগার আন্দোলনে সকলকে সক্রিয় হতে উদাত্ত আহ্বান জানান।
সভায় প্রধান অতিথি মফিজ উদ্দীন আহমেদ ফরিদ তার বক্তব্যে বলেন- আমার ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে ছোট একটি পাঠাগার দেখেছি। সাধারণ বাঁশের তাকে বাবার বানানো সেই পাঠাগারই আমাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আমি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতে পারছি এবং লেখালেখির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারছি। তিনি বলেন- বিভিন্ন পাঠাগারে যে বইগুলো থাকে এগুলোই মূলত পাঠ্যবই। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যা পড়ানো হয় তাকে আমরা পাঠ্য বই ভেবে ভুল করি। আর আমরা যাকে আউট বই মনে করি সেই আউট বই তথা পাঠাগারের বই-ই আসল বই। এই বই পড়ার মাধ্যমে আমরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে পারি।
সভায় কবি জয়দুল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন- বর্তমানে যেভাবে ঘরে ঘরে মোবাইল পৌঁছে গিয়েছে, সেভাবেই প্রতিটি ঘরে ঘরে ছোট করে হলেও একটি করে পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। বক্তব্যে সরকারের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সফলতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন- সরকারকে ‘একটি বাড়ি-একটি পাঠাগার’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় প্রধান সমন্বয়ক মোঃ ইমাম হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন- দেশের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসংখ্য পাঠাগার গড়ে উঠলেও আর্থিক সংকট, নানা অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনা এবং সরকারের তদারকি না থাকায় দেশের অসংখ্য পাঠাগারের কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এসব পাঠাগারকে পুনরায় চালু করতে হবে এবং নতুন নতুন পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে পাঠাগারমুখী করতে সরকারি ব্যবস্থাপনাসহ সমাজের সর্বস্তরের ব্যক্তিদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুৎ হওয়ার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আজ ১০ মে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ৯ মে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পৈরতলা লেভেলক্রসিং এলাকায় মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়। উদ্ধার কার্যক্রমে শেষে আজ ভোর ৫টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু এক ঘণ্টা পর একই স্থানে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুৎ হয়। বগিটি উদ্ধারের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুই দফায় প্রায় ১০ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। শুক্রবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ৬০৩ নম্বর মালবাহী ট্রেনের একটি বগি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে পৈরতলা রেল ক্রসিংয়ের সামনে লাইনচ্যুত হয়। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে দুর্ঘটনাকবলিত বগিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে। ভোরে পৌনে ৫টার দিকে বগিটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দুর্ঘটনার কারণে তুর্ণা, নিশিথা, উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম মেইলসহ বিভিন্ন ট্রেন আটকা পড়ে। এতে যাত্রীদেরকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। তবে ভৈরব ও আশুগঞ্জ স্টেশনে যাত্রীদেরকে শুকনো খাবার এবং পানি দিয়ে আপ্যায়ন করে রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, লাইনচ্যুৎ হওয়া মালবাহী ট্রেনের বগি উদ্ধারের পর একই স্থানে আবারও আজ ভোর ছয়টার দিকে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। এতে ডাউনলাইনে চট্টগ্রাম ও সিলেটের সাথে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকাল সাড়ে আটটার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন আসার পর আজ ভোরে মালবাহী ট্রেনের বগি উদ্ধার করে। এর এক ঘণ্টা পর একই স্থানে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। উদ্ধারকারী ট্রেন আগে থেকে ঘটনাস্থলে থাকায় বগিটি দ্রুততম সময়ে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সকাল ৭টায় আপলাইনে এবং সাড়ে ৮টায় ডাউনলাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৯৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৯৩৮ জন পরীক্ষার্থী এস.এস.এসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯২জন শিক্ষার্থী। ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে।
সদর উপজেলার ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৪৪টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১০টি দাখিল মাদরাসা ও ১টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার ৪৪টি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৬২৬ জন শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৪৫৬০জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭৪জন পরীক্ষার্থী।
উপজেলার ১০টি দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৫৪২ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২৩০ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১জন।
সদর উপজেলার একমাত্র টেকনিক্যাল স্কুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে থেকে ২২৬ জন পরীক্ষার্থী এস.এস.সি টেকনিক্যাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৪৮জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭জন শিক্ষার্থী।
ফলাফল ঘেঁটে দেখা যায় সদর উপজেলার উইজডম স্কুল এন্ড কলেজ ও বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে। উইজডম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৭৮জন শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৭৮জনই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০জন শিক্ষার্থী।
বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল থেকে ৫জন শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৫জনই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন শিক্ষার্থী।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় জিপিএ-৫-এর দিক থেকে বরাবরের মতো এবারো তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে।
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৫৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৩৪৯জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭৪জন শিক্ষার্থী।
সাবেরা সোবহান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৩৭জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৩২৮জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৬ জন শিক্ষার্থী।
গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল থেকে ২০৪জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২০০জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭ জন শিক্ষার্থী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২১৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৯৪জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫জন শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২৯২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২৭৮জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন শিক্ষার্থী।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৫৬জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৪২৭জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ জন শিক্ষার্থী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৭০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৬৯জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০জন শিক্ষার্থী।
চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৭৪ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন শিক্ষার্থী।
আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১১৭জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১০২জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন শিক্ষার্থী।
অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১২১জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৭৮জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন শিক্ষার্থী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৮৭জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৪১জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী।
আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৬০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২১৯জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী।
বুধল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪৫জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১০১জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী।
রামকানাই হাই একাডেমি থেকে ৪৯জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৩২জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন শিক্ষার্থী।
লায়ন ফিরোজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৬৪জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ শিক্ষার্থী।
অন্বেষা বিদ্যাপীঠ (স্কুল এন্ড কলেজ) থেকে ২২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২০জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য বলেন, এ বছর আমাদের রেজাল্ট আশানুরুপ হয়নি। জেলায় জিপিএ-৫-এর দিক থেকে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভালো করেছে। আগামীতে যাতে ফলাফল সন্তোষজনক হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখবো।