চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার গতকাল রবিবার সরাইল উপজেলার প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার সহ শিক্ষক মন্ডলী তাঁকে স্বাগত জানান।
এ সময় শিক্ষকবৃন্দ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঙ্কট সহ শিক্ষকদের স্টাফ বাথরুম নির্মাণের অপরিহার্যতা ও জাতির পিতার মুর্যাল স্থাপন সহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে তাঁকে অবহিত করেন যে, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৭শত শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১৭টি সহকারী শিক্ষকের পদ থাকা সত্তেও, মাত্র ৭জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
জেলার প্রাচীনতম বিদ্যালয়টির এই দূর্দশা শুনে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘‘শিক্ষা খাতকে’’ সর্বাধিক গুরুত্ব ও বাজেট বরাদ্দ দিয়ে আসছেন। তাই উপজেলা সদরের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠের এই সঙ্কট থাকার কথা নয়। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঙ্কট দূরীকরণ সহ অন্যান্য সমস্যা দূরীকরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। স্টাফদের বাথরুম নির্মাণ ও জাতির পিতার মুর্যাল স্থাপনে শীঘ্রই জেলাপরিষদ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে মর্মে তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আশ^্যস্থ করেন।
চলাপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে তীব্র তাপদাহে স্বস্তির বৃষ্টিসহ মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার সকাল ৮ টায় সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুট্টাপাড়া বাঙ্গালপাড়া খেলার মাঠে (প্রস্তাবিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম) উক্ত নামাজ আদায় করা হয়।
আনসারিয়া ঈদগাহ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত উক্ত ইসতিসকার নামাজে ঈমামতি করেন সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আল হুদা।
নামায শেষে বিশেষ মোনাজাতে উপস্থিত সকল মুসল্লিগণ কান্নাজড়িত কন্ঠে মানুষের পাপাচার কৃতকর্মের জন্য মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি তীব্র তাপদাহের মত সকল আযাব ও গুজব থেকে মুক্তি কামনা করেন। একই সাথে জমিনে মানুষের বসবাসের অনুকূল আবহাওয়া, ফসল-ফসলাধি ও সকল প্রাণীকূলের জন্য স্বস্তির বৃষ্টিসহ মহান আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীর পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ ৩১ জুলাই বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী সাগরিকা পরিবহনের একটি বাস সরাইলের কুট্টাপাড়া এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসটিতে ৪০-৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। আর অটোরিকশাটিতে ছিলেন চালকসহ ছয়জন।
এ ঘটনায় মাহমুদা বেগম নামের অটোরিকশার এক নারী যাত্রীর ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মাহমুদার শাশুড়ি আরজুদা বেগম (৩০), ভাশুর জজ মিয়া (৪২), অটোরিকশার অপর দুই যাত্রী আশেদা বেগম (৫০) ও সামিউল হক (১৮) এবং অটোরিকশার চালক (তাঁর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি)। তাঁদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বাসের অন্তত ১৫ জন যাত্রী কমবেশি আহত হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশীষ কুমার সান্যাল ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সড়ক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন, উপজেলা সদরের নিজ সরাইল গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে লোকমান মিয়া (২৯), একই এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে আমজাদ (১৮) ও জিলুকদারপাড়ার মুজিব মিয়ার ছেলে শরিফ (১৫)।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে তেরকান্দা গ্রামের বরকত আলীর বাড়িতে নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীরে রডের কাজ করছিলেন এই তিন নির্মাণ শ্রমিক। এ সময় বিদ্যুতের তারে রড লাগলে তিনজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তুচ্ছ ঘটনায় সরাইলে দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এসময় দাঙ্গাবাজরা আঞ্চলিক সড়কের ১০/১২টি দোকান ভাংচুর চালায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর সড়কের উচালিয়াপাড়া গ্রামের বাদশা আলমগীরের ছেলে আমান এর মোটর সাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে বড্ডাপাড়া গ্রামের মৃত তাহাজ্জত আলীর ছেলে ভ্যান চালক এরশাদের গাড়ির।
এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায়। প্রায় ৪ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়।
এসময় আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের শুরুতে খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। পরে সেনাবাহিনী এসে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানে হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পুকুরের এক ফুট পানির নিচে ঝুলে রয়েছে পিডিবির বৈদ্যুতিক লাইন। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছেন সেখানকার বিদ্যুৎ গ্রাহক ও স্থানীয়রা।
সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার এলাকায় বিদ্যুতের এ বেহাল দশার অবস্থা। পিডিবির বৈদ্যুতিক লাইন পুকুরের এক ফুট পানির নিছে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পড়ে রয়েছে। প্রায় এলাকাতেই জরাজীর্ণ তার এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ তারে টানানো এই লাইনে মেরামতের অভাবে বৈদ্যুতিক তার ঝুলে রয়েছে। দেখে মনে হয় যেন বৈদ্যুতিক লাইন পানির নিচ দিয়ে টানানো হয়েছে।
এ অবস্থায় পুকুরের পানিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ সৃষ্টি হয়ে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আতঙ্কিত রয়েছেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একাদিকবার অবহিত করা হলেও তেমন কোনো প্রতিকার হচ্ছে না বলে জানান তারা।
এদিকে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার, আইরল, আঁখিতারা ও বছিউড়া এই ৪টি গ্রামের মানুষ বৈদ্যুতিক লো-ভোল্টেজ সমস্যায় চরম দুর্ভোগে আছেন। একদিকে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষ, অন্যদিকে লো-ভোল্টেজের কারণে অচল হয়ে পড়ছে জনজীবন।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক মিয়া বলেন, পুকুরের পানিতে বিদ্যুতের তার পরে রয়েছে। এ বিষয়ে অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা ছেলেমেয়ে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি ভয়ে কেউ পুকুরে গোসল করতে নামছে না।
নাজমুল মিয়া বলেন, লো-ভোল্টেজের কারণে আমার ফ্রিজের মাছ মাংস প্রায় সময় পচে যায়। আর ফ্যান ও বাতি কোনো রকমে চলে। বুঝার উপায় নেই যে বিদ্যুৎ আছে।
এ বিষয়ে সরাইল পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ বিতরণ) মো. আব্দুর রউফ যুগান্তরকে বলেন, নোয়াগাঁও ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় আমি অনেক কাজ করেছি। কাটানিশার ও আইরল এলাকায় বিদ্যুৎ কিছুটা দুর্বল রয়েছে। কাটানিশারে একটা ট্রান্সফরমার দরকার। ট্রান্সফরমার বসানো গেলে বিদ্যুতের লাইন ঠিক হয়ে যাবে। আমি সামনের বাজেটে চেষ্টা করব ট্রান্সফরমার দিতে। আর কোনো পুকুরে বিদ্যুতের তার পড়ে রয়েছে আমার জানা নেই। খবর নিয়ে দেখব।