চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি কৃষক আহত হয়েছেন। আজ ৬ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ধ্বজনগর গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে আরজান আলী ভুঁইয়া (৫৫) ও একই গ্রামের মৃত লোকমান ভুঁইয়ার ছেলে ইকবাল ভূঁইয়া (৪৫)।
সুলতানপুর ৬০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আশেক হাসান উল্লাহ বলেন, সকালে ওই দুই কৃষক ধ্বজনগর সীমান্তের সীমারেখার পাশে গরু চড়াচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে ছিটাগুলি নিক্ষেপ করে। এতে তারা আহত হলে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে তাদেরকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বর্তমানে দুইজনই শঙ্কামুক্ত।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাটির পরপর বিষয়টি বিএসএফ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আজ বিকেলে এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফ পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ১২৫ কেজি গাঁজাসহ একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কসবা থানা পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। এর সকালে উপজেলার পৌরশহরের ইমামপাড়া এলাকা থেকে মাদকগুলো জব্দ করা হয়।
কসবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের আভিযানিক দল পৌরশহরের ইমাম পাড়া এলাকার একটি সড়কে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারী ১২৫ কেজি গাঁজা ও একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কসবায় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমান (১৯) হত্যা মামলায় মো. রানা মিয়া (২২) নামে এক যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ৬ মার্চ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এই রায় ঘোষণা করেন।
নিহত সাইদুর রহমান কসবা উপজেলার কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের হুমায়ূন কবিরের ছেলে। মৃত্যুদন্ড পাওয়া রানা মিয়া একই গ্রামের মো. দানু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি রানা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমানকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ধারীরা যেতে বলেন। পরে সাইদুর রহমান তার মাকে জানায় সে পাশের গ্রামের একটি মাহফিলে যাচ্ছে। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে সাইদুরের মা ঘটনার দুইদিন পর ৩১ ডিসেম্বর কসবা থানায় একটি জিডি করেন।
পরে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মারকাজুল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিত্যক্ত একটি বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সাইদুরের গলাকাটা উদ্ধার করে পুলিশ।
৩ জানুয়ারি পুলিশ সাইদুরের মায়ের জিডিটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। পরে পুলিশ ঘটনার অনুসন্ধান করে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে একই গ্রামের রানা মিয়াকে গ্রেফতার করে। রানা মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এই রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের মা হনুফা বেগম। আদালত প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার রায় পেয়েছি। আমি দ্রুত এই রায় বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দ্বীন ইসলাম জানান, এই রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হত্যা করে যে কেউ পার পায় না এটাই এর সর্বশেষ প্রমাণ।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম জানান, এই মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা এই হত্যাকান্ডের ঘটনার পেছনে পরিকল্পনাকারী হিসেবে শারমিন বেগম নামে এক নারীকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আসামি রানা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৪৭ বোতল বিয়ার এবং ৪৭ বোতল বিদেশী মদসহ মোঃ শফিকুল ইসলাম (২২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাতে কসবা পৌর শহরের কসবা-শান্তিপাড়া পাকা রাস্তায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শফিকুল ইসলাম কসবা উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে কসবা-শান্তিপাড়া রাস্তার পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার সাথে থাকা ব্যাগ ও বস্তা তল্লাশী করে ৪৭ বোতল বিয়ারের ক্যান এবং ৪৭ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেয়া হয়েছে। আজ রবিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সামিউল ইসলাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। আজ ৩ মার্চ সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর তিনি পালিয়ে গেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার গভীর রাতে । তবে কী কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে, এ বিষয়ে স্থানীয় বা পরিবারের লোকজন নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
আজ ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধারসহ বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত শুরু করছে।
নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামের রওশন আলীর মেয়ে স্মৃতি আক্তার ও তিথি আক্তার। স্মৃতির সাথে বছর দেড়েক আগে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে আমীর হোসেনের বিয়ে হয়।
পরিবারের লোকজন জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। রবিবার রাত ১টার পর এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে তারা।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায় পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত সামিউলকে ধরার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের সাতদিন পর চার বছর বয়সী এক শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির নাম আব্দুল্লাহ রহমান। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের খাড়েরা গ্রামের মো. আতিকুর রহমান ও হালিমা খাতুন দম্পতির একমাত্র সন্তান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মে বিকালে শিশু আব্দুল্লাহ হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান না পেয়ে পরদিন ২৪ মে কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং: ১৬৩১) করেন তার মা হালিমা খাতুন। ৩০ মে শুক্রবার বিকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের একটি ধানক্ষেতে স্থানীয়রা একটি পচনধরা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশ্চিত হয় এটি নিখোঁজ শিশু আব্দুল্লাহর মরদেহ। লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় ছিল।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ওইদিন রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়। ৩১ মে শনিবার সকালে ময়না তদন্ত শেষে শিশুটির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি একটি অপমৃত্যু হিসেবে গণ্য করে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।