চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পরীক্ষা চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পাঁচ স্কুলের ২২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তীব্র গরমে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অনেকে আবার ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে যায়।
আজ ৭ জুন বুধবার সকালে উপজেলার গৌরীপুর সুবল আলতাফ, বিলকিস-মোশাররফ, চিনামুড়া, চশই ও তিতাসের নারান্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মিন্টু সরকার বলেন, সারাদেশের ন্যায় একযোগে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হলে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথমে দুইজন শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আরও চার স্কুলের ১৪ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাদেরও হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আলম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আকতার, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর অব. মোহাম্মদ আলী সুমন, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিনুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিয়াউর রহমান, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূঞা। তারা অসুস্থ শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নেন।
ডিসি শামীম আলম বলেন, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারা দেখেছেন। অসুস্থদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছে। বাকিরাও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আকতার বলেন, গৌরীপুর স্কুলসহ আরও পাঁচটি স্কুলের ১৭ জন শিক্ষার্থী তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের দেখে অন্য শিক্ষার্থীরা ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ২২ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন। বাকি পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গৌরীপুর সুবল আলতাফ উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে উম্মে হাবিবা (১২) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে তার।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ ১০ আগস্ট শনিবার সকাল ১১টার দিকে পীরগঞ্জের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে পৌঁছান তিনি। সেখানে কবর জিয়ারতের পর আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন ড. ইউনূস।
এরপর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার ও সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে ড. ইউনূসের।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের আগমন উপলক্ষে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেনা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা সেখানে অবস্থান করছেন। তবে পুলিশের উপস্থিতি বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, তবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না। তার মানে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে তাকে চিকিৎসার করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। ডাক্তার চিকিৎসা করে তাকে সুস্থও করেছেন।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
এর আগে ৬ মার্চ বুধবার বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে আবেদন করেন তার ভাই শামীম ইস্কাদার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা আবেদনে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা। এ ছাড়া স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, বুঝলাম না স্থায়ী মুক্তি মানে কী? এছাড়া, বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছেন। আমার কাছে আজকে সচিব ফাইলটা দিয়েছেন। ওনারা (খালেদার পরিবার) কী আবেদন করেছেন, সেটি দেখে ভালো করে বিবেচনা করে আমি অতিসত্বর নিষ্পত্তি করব। মঙ্গলবার নাগাদ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ফাইলটা আজকেই পেয়েছি। আমাকে বিবেচনা করতে হবে, পড়তে হবে, আমাকে দেখতে হবে। তবে, একটা বিষয় বলতে পারি, সেটি হলো… খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না।
মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আইনিভাবে কিছু করার নেই। কিন্তু এরপরও প্রত্যেকবার দেখা যাচ্ছে, প্রথম যেভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেভাবেই তারা আবেদন করছেন। আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে।
সরকারপ্রধান চাইলে খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ৪০১ ধারায় সরকারপ্রধান মানে প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার যখন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। এখন সেটি পরিবর্তন করার বিধান নেই। এটির পুনঃনিষ্পত্তি করার কোনো অবকাশ নেই। আইনের বাইরে গিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মানবিকতা দেখাতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী মানবিকতা প্রথমবারই দেখিয়েছেন। এই যে বারবার রিনিউ হচ্ছে, সেটাও মানবিক কারণ থেকেই হচ্ছে।
অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, মেয়াদ বাড়ানোর আইনি সুযোগ আছে। অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। খালেদা জিয়া কিন্তু দুটি শর্তে (বিদেশে যেতে পারবে না ও ঢাকায় থেকে চিকিৎসা) মুক্ত। চলাফেরায় তাঁর কিন্তু কোনো অনুমতি নিতে হয় না। তাই তাঁকে আবার মুক্তির কথা বলাটা মনে হয় অপ্রাসঙ্গিক।
অনলাইন ডেস্ক :
অসুস্থ বোধ করায় এবং নারী সাংবাদিক হওয়ায় চারটি মামলায় গ্রেফতার সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে শর্ত সাপেক্ষে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল ৩০ নভেম্বর শনিবার রাত সোয়া ১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন, পুলিশ তাকে আটক করেনি। কারওয়ান বাজারে জনগণ তাকে আটক করেছে। পরে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। জনগণ যখন তাকে আটক করে তখন তার প্যানিক অ্যাটাক হয়। তিনি অসুস্থ বোধ করায় এবং নারী সাংবাদিক হওয়ায় সব দিক বিবেচনা করে তাকে ৪৯৭ ধারায় পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হচ্ছে। তবে, তাকে শর্ত দেয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে হওয়া চারটি মামলায় জামিন নিতে হবে। এই শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, মুন্নী সাহাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে রাত ১০টার দিকে কারওয়ান বাজারে অফিস থেকে বের হলে স্থানীয় লোকজন মুন্নী সাহাকে ঘিরে ফেলে। পরে তেজগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে হেফাজতে নেয় এবং ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকার বিনিয়োগকারীদের বিশেষ করে আইসিটি, অবকাঠামো, টেক্সটাইল এবং পর্যটন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তাঁর স্বপ্ন বাংলাদেশকে একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা।
তিনি বলেন, ‘আমার একটি স্বপ্ন আছে যা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষেরও স্বপ্ন, আর তা হলো, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ট্রিলিয়ন-ডলারের অর্থনীতি এবং একটি সম্পূর্ণ উন্নত স্মার্ট জাতিতে পরিণত করা।’ তিনি আরো বলেন,স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে তারা সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণে একটি উচ্চাকাক্সক্ষী প্রচেষ্টা শুরু করেছেন।
শেখ হাসিনা আজ ২৩ আগস্ট রেডিসন হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট’ শীর্ষক একটি রোড শো’র অনুষ্ঠানে তাঁর বাসস্থান থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ভাষণে একথা বলেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫ তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শেখ হাসিনা এখানে এসে পৌঁছেন।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য আরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নির্ধারণে বাংলাদেশ তাঁর বাণিজ্যিক পরিস্থিতিকে দৃঢ়তার সাথে শক্তিশালী করে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ^াস আমাদের প্রচেষ্টা শুধুমাত্র আমাদের জন্য সুবিধাই দেবে না বরং যারা আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করে তাদের জন্যও লাভজনক প্রমাণিত হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনা খুঁজে নিতে তারা বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ, এটি বাংলাদেশের প্রস্তাবগুলোর সাথে নিজেকে পরিচিত করার উপযুক্ত সময়।
তিনি বলেন, ‘এটিই সময় বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে জানার এবং এর ভবিষ্যতে এখানে বিনিয়োগ করার আমরা আইসিটি, ইলেকট্রনিক্স, অবকাঠামো, টেক্সটাইল, পর্যটন, ভারী শিল্প এবং ছোট শিল্পের মতো খাতগুলোতে নানা সুযোগ সুবিধার প্রস্তাব করেছি। আমাদের সরকার সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ বাংলাদেশ সম্ভাব্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত উেেল্লখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ যেমন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সর্বোত্তম আয়ের জন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই আপনারা আমাদের উন্নয়ন যাত্রায় অংশ নিন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন; আমরা আস্থাশীল যে আপনাদের বিনিয়োগ সাফল্যের জন্য প্রাধান্য পাবে এবং আমরা একটি টেকসই অংশীদারিত্বের জন্য সম্পূর্ণরূূপে প্রস্তুত।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি নাগরিক একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য প্রবাসীদের ধন্যবাদ। আমরা আপনাকে আমাদের প্রবৃদ্ধিতে আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।’
বাংলাদেশে বিনিয়োগের যৌক্তিকতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আসলে, আমাদের দেশে আপনার বিনিয়োগ সুরক্ষিত রয়েছে অব্যাহত হাই রিটান্স ইনভেস্টমেন্টের(আরওআই) কারণে। এছাড়া, আমাদের সরকার ব্যবসা-বান্ধব এবং স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করে যা আপনার বিনিয়োগের সফলতার নিশ্চয়তা দেয়।’ এছাড়া তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দেয় এবং বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের রয়েছে সবচেয়ে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ নীতি। এর মধ্যে রয়েছে একটি উদারীকৃত শিল্প নীতি, ওয়ান-স্টপ সার্ভিস, ১০০% বিদেশী মালিকানার ভাতা, একটি সহজ প্রস্থান নীতি, ১৫-বছরের কর ছাড় নীতি, আমদানি করা যন্ত্রপাতির জন্য ভ্যাট ছাড়, সুবিন্যস্ত পরিষেবা এবং আরও অনেক কিছু।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে, আমরা টেকসই দীর্ঘ-মেয়াদী অর্থায়নের জন্য প্রস্তুত আছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, এআই ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ‘আর্থিক সংযোগ’ অনুসরণ করছে। বাংলাদেশ ট্রেডিশনাল কাস্টমার ব্যাংকিংয়ের চেয়ে বিনিয়োগ ব্যাংকিংকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’
বাংলাদেশ কেন ‘লুক আফ্রিকা পলিসি’ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, আফ্রিকার জনসংখ্যা ১.৫ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে এবং বর্তমানে দ্রুত নগরায়ণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্মুখীন হচ্ছে- যা বাংলাদেশের জন্য, বিশেষত টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষি পণ্যের মতো খাতে রপ্তানি সম্প্রসারনের জন্য অনুকূল সুযোগ প্রদান করছে।’
তিনি আরো বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ আফ্রিকার নতুন বাজারের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতা উভয়েই আফ্রিকার অর্থনীতির সম্ভাবনা ও শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্কের সুবিধার কথা স্বীকার করে। আফ্রিকায় ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণী, দ্রুত বর্ধিত জনসংখ্যা ও ভোক্তা চাহিদার কারণে অঞ্চলটি বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানির একটি আকর্ষণীয় বাজারে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, একই সাথে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে আফ্রিকান দেশগুলো থেকে প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ ও কাঁচামাল সংগ্রহের উপায় খুঁজছে। এই অন্বেষণের মধ্যে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্প, খনিজ, পেট্রোলিয়াম পণ্য, তুলা, কৃষিপণ্য ও আরো অনেক কিছুর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালও অর্šÍভূক্ত রয়েছে।
গত পাঁচ দশকে, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে পারস্পারিক শ্রদ্ধা, অভীন্ন মূল্যবোধ ও বিশ্বাস এবং সংস্কৃতিক বন্ধনের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে- উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই বন্ধন ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সংযোগের মাধ্যমে আরো সুদৃঢ় হয়েছে। উভয় দেশই উন্নয়নের একই পথে আছে- যা পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নকে সম্ভবপর করে তোলে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও গত বছর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র ৩১৬.৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার- যা উভয় দেশের রপ্তানি ও আমদানির পূর্ণ সম্ভাবনার তুলনায় কম। উভয় দেশের জন্য আমদানি-রপ্তানির আরো সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যে-উভয় দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও বাণিজ্য সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্টদের জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতার সুযোগ বিদ্যমান রয়েছে। বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়ার বাইরে আমরা ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি যৌথ কমিটি’ প্রতিষ্ঠা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দ্বৈত কর এড়ানোর চুক্তি নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে আগ্রহী।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এফবিসিসিআই ও দক্ষিণ আফ্রিকার চেম্বারের মধ্যে একটি যৌথ ব্যবসায়িক ফোরামও গঠনেরও বাংলাদেশের পরিকল্পনায় রয়েছে।
তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের সাথে যৌথ উদ্যোগ গ্রহন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানসহ অন্যান্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আফ্রিকার গণপূর্ত ও অবকাঠামো মন্ত্রী সিহলে জিকালালা বক্তৃতা করেন।
বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা ও বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন। বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার বৃহত্তর বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে দেশটির সবচেয়ে বড় নগরী জোহানেসবার্গে এটি হচ্ছে ৭ম রোড শো।
বিডা ও বিএসইসি বাংলাদেশে বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পদক্ষেপের অংশ হিসাবে দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, কাতার ও জাপানে এই ধরণের রোড শো আয়োজন করে। জার্মানি, কানাডা, রাশিয়া, হংকং, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশেও একই ধরনের রোড শো করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেও বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক ও জাতীয় অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে স্বতন্ত্র একটি দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পাঁচ দশকের অবিচল দৃঢ় সংকল্প, নিরলস প্রচেষ্টা এবং আমাদের নাগরিকদের আপসহীন প্রতিশ্রুতির কারণে সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি, অনেকগুলো বৈশ্বিক গবেষণা, সমীক্ষা ও ব্যাপক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের সাফল্যের যাত্রা বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি স্বতন্ত্র উন্নয়নমূলক নজির হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। দারিদ্র্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি এর জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করার সক্ষমতা প্রদর্শন করছে।
তিনি আরো বলেন, সে কারণেই বাংলাদেশকে প্রায়শই উন্নয়নমূলক বিবরণে প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও কল্যাণের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং প্রায়শই অদম্য চেতনার মানুষের দেশ হিসাবেও দেখা হয়। তিনি বলেন, ‘গত এক দশকে, বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত গড় প্রবৃদ্ধির হার বজায় রেখেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মহামারী এবং অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখেও এই স্থিতিস্থাপকতা সুস্পষ্ট রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের একটি ‘স্বল্পোন্নত দেশ’ থেকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশে উত্তরণের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এই অসাধারণ পথচলাকে সুস্পষ্ট করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের জন্য আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, একটি অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথ তৈরিতে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ও শিল্পায়নের সুবিধার্থে বাংলাদেশ সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ১০৯টি হাই-টেক অ্যান্ড সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি পদ্মা সেতু এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের উদ্বোধন বহিঃসংযোগ ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য উভয় ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করবে এবং তা প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় ও শক্তিশালী বেসরকারি খাত ভবিষ্যতে যারা আমাদের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করবে তাদের জন্য প্রচুর সুযোগ প্রদান করবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে সম্পূর্ণ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের শক্তির কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে নিহিত রয়েছে। প্রয়োজনীয় দক্ষতা সম্পন্ন আমাদের প্রায় ৫৫ মিলিয়ন তরুণ-তরুণী ভবিষ্যতে আমাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সংযোগের মাধ্যমে আমাদেরকে সৌভাগ্যের অবস্থানে উন্নীত করেছে। উপরন্তু, একটি ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ বাজার এবং একটি সম্প্রসারিত ভোক্তা শ্রেণী এই জনসংখ্যাগত সুবিধাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রয়োজনীয় দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য তার পুঁজিবাজারকে উন্নত করছে।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে, দেশের স্টক মার্কেট আঞ্চলিক মার্কেটগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে বাজার মূলধন প্রায় ৬১ বিলিয়ন ডলার যা জিডিপির ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘আর্থিক অগ্রগতির জন্য, আমরা আমাদের বন্ড মার্কেটকে প্রসারিত করেছি। বিনিয়োগের সুযোগ বৈচিত্রময় করতে আমরা সুকুক, গ্রিন বন্ড, ইটিএফ, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, প্রাইভেট ইক্যুইটি এবং ইমপ্যাক্ট ফান্ড প্রবর্তন করেছি। শিগগিরই, আমরা আমাদের পুঁজিবাজারে ডেরিভেটিভ পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছি, যা বেড়াজালের মাধ্যমে বিনিয়োগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে বিজয়ীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নারী আসনে বিজয়ীদের নিয়ে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিজয়ী প্রার্থীদের নামে গেজেট প্রকাশের পর তা জাতীয় সংসদের সচিবালয়ে পাঠানো হবে। এরপর সংসদ সচিবালয় এই সদস্যদের শপথ গ্রহণের আয়োজন করবে।
নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ/জোটের মনোনীত ৪৮ জন এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত দুইজন অর্থাৎ মোট ৫০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
তিনি আরো জানান, দাখিল করা মনোনয়নপত্রসমূহ পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে বাছাইপূর্বক ৫০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বৈধ ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। ফলে জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত নারী আসন) নির্বাচন আইন, ২০০৪ এর ধারা ১২ এর উপধারা (১) অনুসারে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হলো।
নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়। জোট শরিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনে ৪৮টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দিয়েছে ২টি আসনে।
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপিরা হলেন-
১. রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), ২. দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), ৩. আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), ৪. রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) – আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক, ৫. কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), ৬. জারা জেবিন মাহবুব (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), ৭. রুনু রেজা (খুলনা), ৮. ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ৯. ফারজানা সুমি (বরগুনা), ১০. খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), ১১. ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), ১২. উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ), ১৩. নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা), ১৪. মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট), ১৫. পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, ১৬. আরমা দত্ত (কুমিল্লা), ১৭. লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), ১৮. মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা) – সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, ১৯. বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), ২০. শবনম জাহান (ঢাকা), ২১. পারুল আক্তার (ঢাকা), ২২. সাবেরা বেগম (ঢাকা), ২৩. শাম্মী আহমেদ (বরিশাল) – আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক, ২৪. নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা), ২৫. ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর), ২৬. ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ) – সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, ২৭. সাহেদা তারেক দিপ্তী (ঢাকা), ২৮. অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), ২৯. শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), ৩০. মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী), ৩১. তারানা হালিম (টাঙ্গাইল) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, ৩২. শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল) – আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক, ৩৩. মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর)- নির্বাচনে পরাজিত, ৩৪. অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল), ৩৫. হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), ৩৬.নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), ৩৭. ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর) – আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক, ৩৮. আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর), ৩৯. কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), ৪০. শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), ৪১. ফরিদা খানম (নোয়াখালী), ৪২. দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), ৪৩. ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), ৪৪. সানজিদা খানম (ঢাকা) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, নির্বাচনে পরাজিত, ৪৫. নাছিমা জামান ববি (রংপুর), ৪৬. নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী), ৪৭. ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম) – আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক, ৪৮. রুমা চক্রবর্তী (সিলেট)। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি থেকে আগেরবারের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন নাহার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।