অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার প্রায় ১১৬ ঘণ্টা পর ফের ট্র্যাকে ফিরল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। আজ ৭ জুন বুধবার কলকাতার শালিমার স্টেশন থেকে ফের যাত্রা শুরু করল যাত্রীতে পরিপূর্ণ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। নির্দিষ্ট সময় দুপুর ৩টা ২০ মিনিট থেকে ৬ মিনিট দেরিতে এদিন শালিমার স্টেশন থেকে রওনা দেয় চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে।
ভারতের তিন দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর প্রথমবার ট্র্যাকে ফেরা করমণ্ডল সফরে আতঙ্কই যেন ছিল যাত্রীদের সঙ্গী। যাত্রীদের মধ্যেও চলে শুক্রবারের বিভীষিকাময় দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা। তা সত্ত্বেও যেতে হবেই, বলছেন যাত্রীদের অনেকে। তা প্রিয়জনকে বিদায় জানিয়ে ঈশ্বরকে স্মরণ করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন যাত্রীরা। ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে দুর্ঘটনার পর প্রথম যাত্রায় ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
উদ্বেগের মধ্যেই ট্রেনটি ছাড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সাঁতরাগাছি পৌঁছনোর পর এসি বিকল হয়ে যায় ট্রেনের তাপানুকুল কামরার। সাঁতরাগাছিতে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দমবন্ধ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এরপর দ্রুতগতিতে মেরামত কাজ শুরু করে রেল। বি–১ এবং বি–২ কোচে এসি চালু হলেও বি–৩ কোচে ফের এসি বিভ্রাট দেখা দেয়। তবে প্রায় ৩০ মিনিট পরে অবশ্য ঠিক হয়ে যায় সেটিও।
এদিকে বুধবার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের পরিবারের হাতে চেক বিতরণের পর নেতাজি সুভাষ ইনডোর স্টেডিয়ামের এক অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। ট্রেন দুর্ঘটনার সত্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যাঁরা পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন তাঁরা এঁদের কাছে কৈফিয়ত চান। সত্য সামনে আসুক। কেন দুর্ঘটনা হল? কেন এতজন মারা গেলেন? বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। সিবিআই কী করবে? ক্রিমিনাল কেস হলে সিবিআই করবে। পুলওয়ামা দেখেননি? তৎকালীন রাজ্যপাল তো বলেই দিয়েছেন।’ একইসঙ্গে করমণ্ডল-বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ১০০ ছেলেমেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন মমতা। পাশাপাশি যারা এ দুর্ঘটনায় দায়ী তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজা উপত্যকায় বোমা হামলার মধ্যে ইসরাইলকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করতে মুসলিম দেশগুলোকে ইসরাইলের কাছে তেল ও খাদ্যপণ্য রপ্তানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
খামেনি বলেন, ‘গাজায় বোমা হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইহুদিবাদী শাসকদের কাছে তেল ও খাদ্য রপ্তানির পথ বন্ধ করা উচিত।’
ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে খামেনি বলেন, ‘ধৈর্যধারণের মাধ্যমে গাজার জনগণ বিশ্ববাসীর বিবেককে জাগ্রত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দুনিয়াতে কী ঘটছে দেখুন। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইতালিসহ খোদ যুক্তরাষ্ট্রের বহু মানুষ রাস্তায় নেমে স্লোগান দিচ্ছেন। এসব দেশের নেতারা জনতার কাছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। গাজায় ইসরাইলের হামলাকে সমর্থন করতে পারে না তারা।’
মুসলিম বিশ্বকে উদ্দেশ করে খামেনি বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, শুধু ইহুদিই নয়, গাজার নিপীড়িত সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যও দাঁড়িয়েছে।’
ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা দক্ষিণ ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতিতে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, ‘ইসরাইলের দ্বারা সংঘটিত এসব অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গোষ্ঠী ও আন্দোলনকারীরা নীরব থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। কারও পরামর্শের জন্যও অপেক্ষা করবে না তারা। তাই যুদ্ধ বন্ধে আমাদের অবশিষ্ট রাজনৈতিক সুযোগগুলো ব্যবহার করতে হবে।’
পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে’ বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
৭ অক্টোবরে হামলার পর গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছে ইসরাইল। হামাসের হামলায় ইসরাইলে এক হাজার ৪০৫ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক জিম্মিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছেন। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নজিরবিহীন বোমা হামলা এবং উপত্যকাটিতে অবরোধ আরোপ করেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় আট হাজার ৮০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলের অবিরাম হামলায় ধ্বংসস্তূপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ফলে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এ আগ্রাসন বন্ধ না হলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে তেহরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো পদক্ষেপ নিতে পিছ পা হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের ধর্মীয় নেতারা।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রিটিশ রাজপরিবারের বধূ ছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। প্রেম নিয়ে তার গুঞ্জনের শেষ ছিল না। ভালোবাসা, সংসার ও ত্রিভুজ প্রেমের নায়িকা ছিলেন তিনি। তাই তো মৃত্যুর ২৭ বছর পরেও সংবাদের শিরোনাম হন প্রিন্সেস ডায়ানা।
ডায়ানার একজন প্রেমিক ছিলেন জেমস হিউইট। তাদের মধ্যে সম্পর্কটা ছিল ১৯৮৬–১৯৯১ সাল পর্যন্ত। হিউইটের কাছে ঘোড়া চালানোর প্রশিক্ষণ নিতেন ডায়ানা। সেই থেকে প্রেম।
১৯৯৫ সালে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠানে হিউইটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেন ডায়ানা। বলা যায় ওই অনুষ্ঠানে তিনি বিষয়টি স্বীকার করতে বাধ্য হন। আর এই সম্পর্কের বিস্তারিত উঠে আসে ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত ব্রিটিশ লেখক আনা পাস্তারনাকের ‘প্রিন্সেস ইন লাভ’ বইয়ে। তাতে মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ডায়ানা। বইটির ওপর ভিত্তি করে সিনেমা ও সিরিজও তৈরি হয়েছে। যাইহোক, সে সময় এমন গুজবও রটেছিল যে, প্রিন্স হ্যারির বাবা নাকি এই জেমস হিউইট! যা পরবর্তী সময়ে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডায়ানার সেই প্রেমিক হিউইট এমন তথ্য ফাঁস করেছেন যা আগে কেউ জানতো না। জেমস হিউইট ‘গুড মর্নিং ব্রিটেন’কে এই সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
৬৬ বছর বয়সী হিউইট জানান, ডায়ানা তার দুই সন্তানের (প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি) সম্পর্কের অবনতি হলে কী হবে, সে বিষয়ে দুশ্চিন্তা করতেন (যা সময়ের সঙ্গে সত্যি হয়েছে)।
জেমস হিউইট বলেন, “যেকোনও মায়ের বেলায় সন্তানদের সম্পর্কে চিড় ধরা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা স্বাভাবিক। তিনি (ডায়না) সব সময় দুই সন্তানের সম্পর্ক কীভাবে ভালো, বন্ধুত্বপূর্ণ রাখা যায়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন।”
জেমস হিউইট এখন ইউক্রেনে যুদ্ধাহতদের পুনর্বাসনে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি সর্বশেষ প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে কথা বলেছিলেন ১৯৯৫ সালে বিবিসির প্যানোরামার ওই সাক্ষাৎকারের পর। সে সময় ব্রিটিশ সাংবাদিক মার্টিন বশিরের প্রশ্নের উত্তরে প্রিন্সেস ডায়ানা তাদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিলে হিউইটের ব্যক্তি ও পেশাজীবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেমস তখনও ডায়ানার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে ‘মুভ অন’ করার জন্য ভেতরে ভেতরে সংগ্রাম করছিলেন।
ডায়ানার দেওয়া ওই সাক্ষাৎকার প্রচার হওয়ার পর ব্রিটিশ ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া জেমস হিউইটের পেছনে উঠেপড়ে লাগে। আর এমন সময় আন্তর্জাতিক মিডিয়া তাকে ‘লাভ র্যাট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। তিনি চাকরিচ্যুত হন, সুনাম নষ্ট হয়, মানসিকভাবে বিপন্ন হয়ে পড়েন। এরপর বহু বছর জেমস হিউইট জনসমক্ষে আসেননি। জীবন যাপন করেছেন লোকচক্ষুর আড়ালে।
হিউইট জানান, বিবিসির ওই সাক্ষাৎকারের আগে প্রিন্সেসকে কী কী প্রশ্ন করা হবে, তা জানানো হয়েছিল। তারপর ডায়ানা সাক্ষাৎকার দিতে সম্মত হন। কিন্তু সাক্ষাৎকারে অনৈতিকভাবে ভিউ, টাকা ও শোরগোলের লোভে হিউইটের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্কের বিষয়টি তুলে আনা হয়।
হিউইট বলেন, “এরপর আমি বুলিং, কটাক্ষ আর অজস্র নেতিবাচক মন্তব্যে অত্যন্ত মর্মাহত আর আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।”
হিউইট সে সময় ছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের অশ্বচালনা প্রশিক্ষক। প্রিন্স উইলিয়ামস ও প্রিন্স চার্লসের কাছে ‘ফাদার ফিগার’ ছিলেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে হিউইট তা অস্বীকার করে বলেন, “আমি তাদের সঙ্গে খেলতাম, সাঁতার কাটতাম, ঘোড়া চালানো শেখাতাম। সেটা ছিল পেশাগত দায়িত্বের সম্পর্ক।”
এদিকে ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি তার স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’–এ ‘হিউইট তার বাবা’—এই গুজব সম্পর্কে লেখেন, “এটা খুবই হাস্যকর। গুজবটার একটা কারণ হতে পারে হিউইটের চুল লাল (হ্যারির চুলও লাল, এদিকে চার্লস বা ডায়ানা কারও চুলই লাল নয়)। আরেকটা কারণ হতে পারে মানসিক বিকার।” সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট, টটলার
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২৫) অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় মো. মামুন-অর-রশিদ (২৪) নামে একজন বাংলাদেশিকে আটক করেছে।
আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার সকাল ৬ টা ৩০ মিনিটে হবিগঞ্জের মাধবপুরে সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি ২৫) এর ধর্মঘর বিওপির টহলদল সীমান্ত পিলার ১৯৯৬/২৫-এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সন্তোষপুর হতে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটার সাউ গান ঘুটনটি গ্রামের মো. মোয়াজ্জেম এর ছেলে।
আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভারতের অভ্যন্তরে চেন্নাই রাজমিস্ত্রী কাজের জন্য আনুমানিক ২ বছর পূর্বে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গমন করে।
পরবর্তীতে ৩০ নভেম্বর শনিবার ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ধর্মঘর বিওপির টহলদলের নিকট আটক হন। এসময় এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর নিকট হতে বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী-৪৪ পিছ পাওয়া যায়। এরপর মালামালসহ তার নামে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং আসামি হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে লে. কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বিজিওএম পিএসসি সিগন্যালস বিজিবি-২৫ বলেন, সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধভাবে কোনো প্রকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, এ ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি ২৫) বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি ২৫) এর অভিযান চলমান থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান জোরদার এবং পূর্ণমাত্রার স্থল অভিযান শুরু করায় হতাশা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। ২০ মে মঙ্গলবার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ মন্তব্য করেন। গাজায় রকেট ও বোমা হামলার মাত্রা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে বেসামরিক প্রাণহানিও বেড়েছে।
আজ ২১ মে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
জাখারোভা বলেন, গত তিন দিনে গাজার বিভিন্ন অংশে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের জন্য নির্ধারিত স্থান ও সামাজিক অবকাঠামোতে চালানো হামলায় প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ, যা অনিবার্যভাবে নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ও নতুন ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনছে। গাজা পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান কেবল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পথে সম্ভব।
তিনি বলেন, এর জন্য পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে এবং গাজা উপত্যকার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করতে হবে। পাশাপাশি, ফিলিস্তিন সমস্যার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইনি ভিত্তিতে একটি ন্যায্য ও দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরুর পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
জাখারোভা জানান, এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে রাশিয়া তার অংশীদার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশেষ করে জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩,৫৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাও চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আইকন অব দ্য সিস। বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ। ফিনল্যান্ডের শিপইয়ার্ডে জাহাজটি নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরে সম্ভাব্য ডেলিভারির আগেই শেষবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে সাগরে ভাসবে জাহাজটি। যে টাইটানিক জাহাজ বিশ্বে বিস্ময় ও ইতিহাস হয়ে আছে নতুন নির্মিত জাহাজটি তার চেয়ে ১৩ গুণ বড়। সিএনএন।
২০২৪-এর জানুয়ারিতেই যাত্রা শুরু করবে বিশ্বের বৃহত্তম এ ক্রুজ জাহাজ। আইকন অব দ্য সিসের দৈর্ঘ্য ১,২০০ ফুট, ওজন ২ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টন।
এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রুজ শিপ ছিল ওয়ান্ডার অব দ্য সিস। এর চেয়ে আয়তনে ৬ শতাংশ বড় আইকন অব দ্য সিস। ৫,৬১০ জন যাত্রী ও ২,৩৫০ জন ক্রুসহ মোট ৭,৯৬০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করতে পারবে এই বিশাল জাহাজ। এই বিশালত্ব এবং যাত্রীধারণ ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিনোদনমূলক ব্যবস্থা। ওয়াটার স্লাইড, সুইমিংপুল, হ্রোয়ালপুল-সব মিলিয়ে জাহাজটিতে বিনোদনের ৪০টিরও বেশি ব্যবস্থা রয়েছে।
২০২২-এর এপ্রিলে ফিনল্যান্ডের মেয়ার তুর্কু শিপইয়ার্ডে জাহাজটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। সম্প্রতি সেখান থেকেই এটির ট্রায়াল রান হয়। ট্রায়াল রানে আইকন অব দ্য সিস কয়েকশ মাইল পথ ভ্রমণ করেছে। সেই সময় প্রধান ইঞ্জিন, হল, ব্রেক সিস্টেম, স্টিয়ারিং, শব্দ এবং কম্পন ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। ৪৫০ জন বিশেষজ্ঞ চার দিন ধরে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহাজটিকে সমুদ্রযাত্রার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছেন।
চলতি বছরের শেষে আরেকটি ট্রায়াল হবে। তারপর জাহাজটি যাবে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে। ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সেখান থেকেই শুরু হবে আইকন অব দ্য সিসের প্রথম সমুদ্র ভ্রমণ। প্রথম ভ্রমণের টিকিট ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। ক্যারিবিয়ান সাগরের পূর্ব এবং পশ্চিম পথ ধরে নিয়মিত এক সপ্তাহের একেকটি সফর করার কথা ক্রুজ শিপটির। বাহামায়, কোকোকে নামে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান সংস্থার নিজস্ব একটি দ্বীপ আছে। সাত রাতের এক রাতে অতিথিদের সেই স্থানেও নিয়ে যাওয়া হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ অবশ্যই এর ওয়াটার পার্ক। এখানে থাকছে ছয়টি ওয়াটার স্লাইড। এর মধ্যে একটি ‘ওপেন ফ্রি-ফল স্লাইড’, একটি ‘ফ্যামিলি রাফ্ট স্লাইড’ এবং দুটি ‘ম্যাট-রেসিং স্লাইড’। জাহাজটিতে ২৮টি বিভিন্ন ধরনের কেবিন থাকছে। ৮২ শতাংশ কক্ষে তিন বা তার বেশি অতিথি থাকতে পারবেন।