অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার রিচমন্ড এলাকায় একটি স্কুলের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে বন্দুক হামলায় দুই জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো পাঁচ জন।
অ্যাটরিয়া থিয়েটারের বাইরে এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানেই গ্রাজুয়েটদের গাউন দেওয়া হচ্ছিল।
স্কুলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হুগেনোট হাই স্কুলের অনুষ্ঠানে এই বন্দুক হামলা চালানো হয়। পুলিশের জানিয়েছে, নিহতদের একজনের বয়স ১৮, তিনি স্নাতক গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। আরেকজনের বয়স ৩৬। এই হামলার ঘটনায় একজন ১৯ বছর বয়সী সন্দেহভাজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের একটি স্থল অভিযান রুখে দেওয়ার দাবি করেছে হামাস।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠীর কাসসাম ব্রিগেড তার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে ঘোষণা করেছেন, তাদের হামলায় উপায় না পেয়ে সেখান থেকে সামরিক যান রেখে পালিয়ে যায় ইসরায়েলি সৈন্যরা।
২২ অক্টোবর রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ ব্যাপারে হামাস বলেছে, ‘ইহুদিবাদী বাহিনীর সেনারা গাজার খান ইউনিসে আল-কাসেম ব্রিগেডসের অতর্কিত হামলার মুখে পড়ে। এরপর সেখান থেকে সামরিক যান রেখে হেঁটে সীমান্ত বেড়ার পূর্ব দিকে পালিয়ে যায়। ’
হামাসের দাবি স্বীকারও করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
তারা বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাজা উপত্যকায় অভিযানের সময় হামাস গুলি বর্ষণ করে। এতে হামাসের নিক্ষেপ করা ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তাদের এক সৈন্য নিহত এবং আরো তিনজন আহত হয়েছে।
ব্যর্থ হওয়া অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল গাজার খান ইউনিস এলাকায় হামাস বন্দীদের শনাক্ত করা এবং হামাসের অবকাঠামোকে ধ্বংস করা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হামলার ঘটনার সময় ইসরায়েলি সৈন্যরা গাজার ভেতর অবস্থান করছিল বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
হামাস-ইসরায়েল সংঘাত ১৬ দিনে পড়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস আকাশ, স্থল ও জল তিন পথেই ব্যাপক হামলা চালায়। প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
এতে গাজায় মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ছাড়িয়ে গেছে। আহতের সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি। তথ্যসূত্র: আলজাজিরা
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে বিতর্কিত মুসলিম ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন মুসলিমরা। শীর্ষস্থানীয় মুসলিম সংগঠন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের উদ্যোগে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদে এই বিক্ষোভ করেন তারা।
এছাড়া সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) দলের প্রধান এবং হায়দরাবাদের প্রভাবশালী রাজনীতিক আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, এই আইনটি বাতিল করতেই হবে, কারণ এটি সংবিধানের চেতনার বিরুদ্ধে।
আজ ২০ এপ্রিল রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সাম্প্রতিক ওয়াকফ আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে ভারতের অন্যতম বৃহৎ মুসলিম সংগঠন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড দক্ষিণ ভারতের হায়দরাবাদ শহরে এক বিশাল প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করে। শনিবার হাজার হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। ইতোমধ্যে ডজনখানেক পিটিশনও সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয়েছে নতুন আইনের বিরুদ্ধে।
ভারতীয় সংসদ সদস্য ও অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম)-এর সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে “ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ঐক্যের প্রতীক” বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি বলেন, “এই আইন ভারতের সংবিধানের মূল চেতনার বিরুদ্ধে, এটি বাতিল করতেই হবে। বহু সংগঠনের নেতৃত্ব এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ।”
ওয়াইসি তার বক্তব্যে জানান, যতদিন না এই আইন প্রত্যাহার করা হয়, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া ওয়াকফ আইনের সংশোধনী নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। এই সংশোধনীর ফলে অ-মুসলিমদের ওয়াকফ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গে হিংসাত্মক সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরো উত্তপ্ত করে তুলেছে।
সরকার সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বাস দিয়েছে, আগামী মে মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। তবে মুসলিম সম্প্রদায় ও বিরোধী দলগুলোর দাবি, এই আইন সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন করছে এবং সংবিধানের মৌলিক নীতির পরিপন্থি।
টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, ওয়াকফ সংশোধনী বিলটি ভারতীয় পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই বিরোধীদের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও পাস হয়ে যায়, যার ফলে হায়দরাবাদ ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের আহ্বানে এবং ওয়াইসির নেতৃত্বে এই আন্দোলন এখন সারা ভারতব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন এই আদেশ আদালত পর্যন্ত গড়াবে।
ট্রাম্প তার অভিষেক শেষে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল ওয়ান অ্যারেনায় ২০ হাজার সমর্থকের সামনে বসে এক রাশ নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেন। পরবর্তীতে তিনি হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে বসে আদেশে সাক্ষর করেন।
ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রেতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, প্রথমেই ট্রাম্প প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জারী করা ৭৮টি আদেশ স্থগিত করেন। বাইডেন তার মেয়াদের শেষ দিকে এই আদেশগুলো জারী করেছিলেন, যেগুলোর বেশ কয়েকটি বাস্তবায়ন হয়নি।
এদিকে এক আদেশের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ‘জাতীয় জরুরী অবস্থা’ ঘোষণা করেন।
অভিবাসন এবং নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আদেশে ট্রাম্প শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচী স্থগিত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া মানুষের আমেরিকান নাগরিকত্ব অধিকার বন্ধ করেন।
আদেশে সাক্ষর করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তার এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একেবারে হাস্যকর এবং তার বিশ্বাস এই বিধান বদলানোর জন্য ভালো আইনগত যুক্তি আছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানে যাতায়াত করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগে পাকিস্তান নতুন ভিসা নীতিমালা ঘোষণা করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশসহ ১২৬টি দেশের নাগরিকগণ ভিসা ছাড়া পাকিস্তানে যাতায়াত করতে পারবে।
আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন হাইকমিশনার। বিগত ১৫ বছরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে শুষ্কতা সৃষ্টি হয়েছে, তার উত্তরণ ঘটিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের সঙ্গে ভিসা সহজীকরণের বিষয়েও সম্মত হয়েছেন তারা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এর প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানেও। সে সময় অনেক পাকিস্তানি নাগরিক বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে আনন্দ-উৎসব করেছে বলেও জানিয়েছেন আহমদ মারুফ। সাক্ষাৎকালে দুুই দেশের মধ্যে বন্যা পুনর্বাসন, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, ভিসা সহজীকরণ, সরাসরি ফ্লাইট চালু, কৃষি গবেষণায় সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। হাইকমিশনারকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ঘটে যাওয়া বন্যার বিষয়ে জানালে তিনি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে উপকরণ দিয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন। বৈঠকে মানবপাচার প্রতিরোধ, সন্ত্রাস দমন ও কৃষি গবেষণা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে ব্যক্তিগত সফরে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা হয়ে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ৪ দিনের ব্যক্তিগত সফরে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন। ঢাকায় ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশনসহ দেশের দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন। এছাড়াও তিনি কয়েকটি সামাজিক অনুষ্ঠানের যোগদানের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশে প্রবেশকালে সীমান্তের শূণ্য রেখায় প্রতিমা ভৌমিক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কখনো বাংলাদেশকে আলাদা মনে করি না, যদিও সীমান্তে একটি রেখা বা কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের নাটক, সিনামা, কথাবার্তা, চালচলন – আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া সব কিছু আমাদের দারুণ মিল রয়েছে।
এসময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।