অনলাইন ডেস্ক :
ভূমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন জেলা জজরা। পাশাপাশি প্রয়োজন মনে করলে সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজদেরও সরকার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে নিস্পত্তির জন্য বিচারক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে। এমন বিধান যুক্ত করে ১৯৫০ সালের স্টেট অ্যাকুইজেশন অ্যান্ড ট্যানেন্সি অ্যাক্ট (রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন) সংশোধনরে প্রস্তাব উঠেছে সংসদে। বুধবার সংসদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত ‘স্টেট অ্যাকুইজেশন অ্যান্ড ট্যানেন্সি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
নতুন এই সংশোধনী পাস হলে ভূমি জরিপ সংক্রান্ত মামলা নিস্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতা কাটবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করছেন।
বিদ্যমান আইনে বলা আছে, ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন যুগ্ম জেলা জজেরা। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার এই বিচারক নিয়োগ দেবে। এই বিধানের সঙ্গে নতুন ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এভাবে বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সরকার যুগ্ম জেলা জজদের ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজের ক্ষমতা দিতে পারবে। এছাড়া ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনাল থেকে স্থানান্তর করা মামলা নিস্পত্তির জন্য এক বা একাধিক সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে সরকার নিয়োগ দিতে পারবে।
বিদ্যমান আইনে বলা আছে, ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এই আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি।
আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘২০০৪ সালে আইন সংশোধন করে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান করা হয়। ওই বিধানে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে জেলার যুগ্ম জেলা জজদের মধ্য থেকে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারকদের মধ্য থেকে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগের বিধান করা হয়। পরবর্তীতে মামলার সংখ্যার তুলনায় ট্রাইব্যুনাল কম হওয়ায় মামলা নিস্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগে সমস্যার কারণে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন না হওয়ায় জনগণের বিচার প্রাপ্তি বিঘ্নিত হয়। মামলা নিস্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা দূরীকরণ এবং যথাসময়ে জনগণের বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতমাত নিয়ে আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
পারিবারিক আদালত বিল
পারিবারিক আদালত আইনের অধীনে বিচারিক আদালতে হওয়া মামলার রায়ের বিরুদ্ধে জেলা জজ মর্যাদার অন্যান্য আদালতেও আপিল করা যাবে। এছাড়া পারিবারিক আদালতের মামলার কোর্ট ফি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকার প্রস্তাব করে সংসদে একটি বিল উঠেছে। ‘পারিবারিক আদালত বিল, ২০২৩’ শিরোনামে বিলটি উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
গত বছরের ৩ জুলাই বিলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় ফ্যামিলি কোর্টস অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫ বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে।
আগের আইনে বিচারিক আদালতে হওয়া এ সংক্রান্ত মামলার আপিল শুধু জেলা জজের আদালতে করার সুযোগ ছিল। এতে জেলা জজের ওপর মামলা শুনানির চাপ বাড়ছিল। মামলার চাপ কমাতেই আইনে এই সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, জেলা পর্যায়ে আরও জজ আছেন, নারী-শিশু বা শ্রম আদালত। সরকার গেজেট জারি করে কোনো জেলাতে আপিলের জন্য অতিরিক্ত মামলা আছে, সেক্ষেত্রে জেলা জজ পর্যায়ের অন্যান্য যে জজরা রয়েছেন, তাদেরও আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।
উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, এই আদালতে মামলার কোর্ট ফি বর্তমানে ৫০ টাকা রয়েছে। সেটা বাড়িয়ে ২০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দাম্পত্য কলহ, তালাক, বিয়ে এবং শিশুদের ভরণপোষণের বিষয়গুলো রয়েছে।
এটুআই নামে নতুন সংস্থা করতে সংসদে বিল
পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করা এবং নাগরিকের জীবনমানে সৃষ্ট সেবা অধিকতর কার্যকর ও টেকসই করার জন্য এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) নামে একটি নতুন সংস্থা করা হচ্ছে। এজন্য এজেন্সি টু ইনোভেট বিল ২০২৩ জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। মূলত বর্তমান ‘এসপায়ার টু ইনোভেট’এর প্রতিস্থাপক হিসেবে স্থায়ী কাঠামো হবে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট’। বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি সংসদে তোলেন।
বিলে বলা হয়েছে, এই আইন কার্যকর হওয়ার পর সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে এটুআই নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করবে। এজেন্সি হবে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এই সংস্থার ১৫ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী হবেন এর সভাপতি।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “ডিজিটাল প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার উদ্ভাবন ও উন্নয়ন, উদ্ভাবনী সংস্কৃতির বিকাশ, পাবলিক সার্ভিসের ইনক্লুসিভ ডিজিটাইজেশন ত্বরান্বিতকরণ, জ্ঞানভিত্তিক সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা, জনগণের দোরগোড়ায় বিভিন্ন ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালযে়র অধীন ‘একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ প্রকল্প এবং বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ‘এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)’ প্রকল্প নামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও দপ্তর/সংস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সেবা প্রদানসহ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, ই-নথি, ডি-নথি, শিক্ষক বাতায়ন ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, জাতীয় তথ্য বাতায়ন, জাতীয় কলসেন্টার- ৩৩৩ ইত্যাদির মাধ্যমে স্বল্প সমযে় ও স্বল্প ব্যযে় উন্নত সেবা প্রদানে ‘এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)’ মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিতকরণ এবং নাগরিকের জীবনমানে সৃষ্ট সেবা অধিকতর কার্যকর ও টেকসই করার জন্য ‘এসপায়ার টু ইনোভেট’র প্রতিস্থাপকরূপে স্থায়ী কাঠামো হিসেবে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই)’ নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করা এই আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নকে প্রকারান্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’র পুনর্জাগরণ বলা যেতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) আইন-২০২৩ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
অনলাইন ডেস্ক :
অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না করতে পারলে রাষ্ট্র নিজেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য একটিই। সেটি হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। আমরা যদি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না করতে পারি, কোনো কারণে যদি আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের রাষ্ট্র নিজেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে যাবে। কারণ আমরা সমগ্র বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব।
সরকারের সাবেক এ সচিব বলেন, কোনোভাবেই এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেওয়া যাবে না। যখন যেখানে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সময়ক্ষেপণ না করে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, মাঠে আমাদের প্রায় তিন হাজার নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন। আমরা তিনটি শব্দের কথা বলে থাকি এগুলো হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, এর কোনো বিকল্প নেই। এ নির্বাচন শুধু ১৮ কোটি মানুষ দেখছে, তা নয়, আমাদের দেখছে সমগ্র বিশ্ব। আমরা কীভাবে নির্বাচন করব, কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, এটি তারা মূল্যায়ন করবে।
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকবেন। তারা কে কোথায় যাবেন, এটি তাদের ইচ্ছা, আমরা কাউকেই ইমপোজ করবো না যে, আপনারা এখানে বা ওখানে যান। তারাই ঠিক করবেন কোথায় যাবেন, আমরা তাদের যাতায়াত ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থবিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খানসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত বন্দেগি আর দোয়ার মধ্য দিয়ে রাতটি যাপন করবেন। মাগরিবের নামাজের পর থেকেই মসজিদে হাজির হতে থাকেন মুসল্লিরা। সারারাত নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন রাতের শেষ প্রহরে।
মসজিদ ছাড়াও বাড়িতে থেকে নফল নামাজ আদায় ও কোরআন তিলাওয়াত করছেন অনেকে। অনেকে আবার কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করবেন।
এদিকে, শবে বরাত উপলক্ষে পাড়া-মহল্লাগুলোতে উৎসবের অমেজ তৈরি হয়েছে। মাংস, হালুয়া, রুটিসহ নানান রকমের খাবার তৈরি হয়েছে বাড়িতে বাড়িতে। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে এসব খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনও দেখা যাচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা। এই সরকারে ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৬ জন উপদেষ্টা রাখা হয়েছে।
আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা হলেন :
১. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ২. ড. আসিফ নজরুল, ৩. আদিলুর রহমান খান, ৪. হাসান আরিফ, ৫. তৌহিদ হোসেন, ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ৭. মো. নাহিদ ইসলাম, ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, ১০. সুপ্রদিপ চাকমা, ১১. ফরিদা আখতার, ১২. বিধান রঞ্জন রায়, ১৩. আ ফ ম খালিদ হাসান, ১৪. নূরজাহান বেগম, ১৫. শারমিন মুরশিদ ও ১৬. ফারুকী আযম।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় এবং একই দিন দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, ইরান, আর্জেন্টিনা, ফিলিস্তিন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেদারল্যান্ডসসহ আরো কিছু দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত আছেন।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে আছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, খাইরুল কবীর খোকন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, তাবিথ আউয়াল ও মিজানুর রহমান মিনু।
বামপন্থি দলের নেতাদের মধ্যে আছেন মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রুহিন হোসেন প্রিন্স ও জোনায়েদ সাকি। এ ছাড়াও আছেন কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না ও নূরুল হক নূর।
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানও আছেন।
তবে আওয়ামী লীগের কাউকে দেখা যায়নি। অনুষ্ঠানে প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের সচিবও উপস্থিত আছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে ডাকাতি ও হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। একইসঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
এসময় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় দুইজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। রায়ের সময় হোসেন প্রকাশ পাটোয়ারী নামে এক আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা পলাতক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কাওছার, আবুল হোসেন, ছোট কামাল, হোসেন প্রকাশ পাটোয়ারী, বেলাল, আনোয়ার হোসেন, রিপন, কবির হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আলমগীর ও আবুল কালাম বাহার। বেকসুর খালাস দেওয়া হয় লিপি ও নূর নাহারকে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মুকবুল হোসেনের ঘরে ডাকাতদল হানা দেয়। পরে ডাকাতির সময় মকবুল বাধা দিলে ডাকাতদল তাকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরদিন নিহতের মেয়ে দেলোয়ারা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
যানবাহন চলাচল চালু হওয়ার পর থেকে চলতি মাসের ৭ জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে ৭৫৮ কোটি ৮ লাখ ৭৫০ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ ১৪ জুন বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এ দিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। ওই মাসের ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করার পরে চলতি মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত ৭৫৮ কোটি ৮ লাখ ৭৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে ৭১ কোটি ১৩ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের উত্তরে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রথম বিআরটি ব্যবস্থা দ্রুত চালু করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গত ৩১ মে পর্যন্ত পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৮৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে বিআরটি সিস্টেমের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।