চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রির অপরাধে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে তিন মাটি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন। এ সময় একটি ভেকু মেশিন জব্দ করা হয়। গত মঙ্গল ও বুধবার উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের চকুরিয়া ও আজগানা ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামে তিনি এই অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, পলাশতলী গ্রামে অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। খবর পেয়ে বুধবার ইউএনও শাকিলা বিনতে মতিন অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মাটিকাটার সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই গ্রামের আজিজ সিকদারের ছেলে জাহিদুল ইসলামকে ১ লাখ ও বেলতৈল গ্রামের হাকিম সিকদারের ছেলে আনোয়ার সিকদারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এর আগে মঙ্গলবার উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের চকুরিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে গুনটিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে রাজীব মিয়ার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন তিনি। ইউএনও শাকিলা বিনতে মতিন জানান, অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে তার এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভবিষ্যতে দেশের সেরা সাঁতারু খুঁজে বের করার লক্ষ্যে গাইবান্ধায় অনুষ্ঠিত হলো সাঁতার প্রতিযোগিতা।
বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ৯ অক্টোবর সোমবার বেলা ১১টায় গাইবান্ধার পৌর পার্কের পুকুরে বিভিন্ন বয়সের নয় টি ইভেন্টে ৫০ জন সাঁতারু অংশগ্রহণ করেন এই সাঁতার প্রতিযোগিতায়।
তাদের মধ্যে ১৮ জন ছেলে ও ৯ জন মেয়েসহ ২৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। তাদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হয়নি।
এর আগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মো. আব্দুল আউয়াল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
এসময় বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহ সভাপতি মে. কামাল হোসেন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যায় ৬টায় সেটি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া পয়েন্টে পানি পরিমাপক কর্মকর্তা নূর ইসলাম।
এ দিকে পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়ায় ব্যারেজের ভাটিতে থাকা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের মানুষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুরের রাজৈরে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসা বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার টেকেরেহাট বন্দরের সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিস থেকে এসব চায়না দুয়ারী জব্দ করা হয়। পরে রাজৈর উপজেলা মৎস্য অফিসে নিয়ে এসব দুয়ারী ধ্বংস করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা আক্তার।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, পাবনা থেকে অপূর্ব নামের প্রেরক টেকেরহাট বন্দরের সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কার্তিক নামক প্রাপকের কাছে চায়না দুয়ারীর ২৪ টি প্যাকেট পাঠায়। যাতে ২৪০ পিচ দুয়ারী রয়েছে। যাদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
পাবনা থেকে টেকেরহাট বন্দরে চায়না দুয়ারী আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাজৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক শুক্রবার দুপুরে সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে এই বিপুল পরিমাণ দুয়ারী জব্দ করেন্। পরে রাজৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা আক্তার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসব দুয়ারী পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।
রাজৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক জানান, এটাই রাজৈর উপজেলার চায়না দুয়ারীর সবচেয়ে বড় চালান ছিল। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি জেলা। ভারত থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে ভেসে গেছে পুরো এলাকা। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে ফেনী জেলা। এই জেলার মোবাইল যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জেলায় ৯২ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্য ১০ জেলার প্রায় ১১ শতাংশ টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে।
আজ ২৩ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে বন্যাকবলিত অঞ্চলের মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্যে বিটিআরসি জানায়, বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকা এবং টাওয়ার এলাকা ডুবে যাওয়ায় নেটওয়ার্ক সচল করা যাচ্ছে না।
বিটিআরসি জানিয়েছে, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার ১৩ হাজার ২৪০টি টাওয়ারের মধ্যে আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১ হাজার ৪৬১টি টাওয়ার অচল ছিল। এর মধ্যে ফেনী জেলার ৯১ দশমিক ৯ শতাংশ টাওয়ারই অচল হয়ে গেছে। এরপর নোয়াখালী জেলার ২১ শতাংশের বেশি, খাগড়াছড়ির ১৫ শতাংশের বেশি ও কুমিল্লার প্রায় ১৪ শতাংশ টাওয়ার অচল।
ফেনী জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার সচল করা কাজ চ্যালেঞ্জিং ও সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়েছে বলে জানায় বিটিআরসি। সংস্থাটি জানায়, সেনাবাহিনীর সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় টাওয়ার সচল করতে সমন্বয়ের কাজ চলছে। তবে যেসব টাওয়ার এলাকা ডুবে গেছে, পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত সচল করার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে ১১টি জেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এই জেলাগুলোয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে আট লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯টি পরিবার।
চলারপথে ডেস্ক :
২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রকাশিত রুটিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর দিন অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল বাংলা ১ম পত্র, ২ মে বাংলা ২য় পত্র, ৩ মে ইংরেজি ১ম পত্র, ৭ মে ইংরেজি ২য় পত্র, ৯ মে গণিত, ১০ মে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ১১ মে ধর্ম শিক্ষার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ১৪ মে পদার্থ বিজ্ঞান, ১৫ মে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, ১৬ মে রসায়ন, ১৭ মে ভূগোল ও পরিবেশ, ১৮ মে জীববিজ্ঞান, ২১ মে বিজ্ঞান, ২২ মে হিসাববিজ্ঞান ও ২৩ মে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সব বিষয়েই নেওয়া হবে। প্রতি বিষয়ে স্বাভাবিক সময় বা তিন ঘণ্টা পরীক্ষা হবে। সৃজনশীল এবং নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন (এমসিকিউ) থাকবে আগের মতোই।
পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ স্কুলে হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
এর আগে গত প্রায় এক দশক ধরে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি আর এইচএসসি এপ্রিল মাসে নেওয়া হচ্ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে গত দুই বছর এই সূচি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। পাশাপাশি সিলেবাসও কাটছাঁট করতে হয়েছে।