চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সার্ভার জটিলতায় দুর্ভোগে পড়েছে পর্যটকরা। আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে ইমিগ্রেশনে সার্ভার জটিলাতা শুরু হলে ভারত- বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী আটকে পরে। এতে নারী শিশু সহ রোগীরা বেশি কস্ট করে। বেলা ১টার দিকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে বিমান যাত্রী এবং রোগীদেরকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে ভারত ও বাংলাদেশ গামী যাত্রীদের ভোগান্তিতে পরতে হয়। তীব্র গরমের অতিষ্ঠ হয়ে পরে যাত্রীরা। ইমিগ্রেশন এলাকাটি ছোট হওয়ায় ও বসার মত পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বিমান ও ট্টেনের টিকেট কাটা ও ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া যাত্রীদের বিপদে পড়েছে।
ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া ভৈরবের সোহাগ বলেন, আমি সকাল ৮ টার সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে এসে দাঁড়িয়েছি। এখন পর্যন্ত ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারি নাই । আমি আমার ভাবিকে নিয়ে চেন্নাই চিকিৎসার জন্য যাব, আমার বিমানের ফ্লাইট দুপুর ১টায়। আমাদের ফ্লাইট সময় মতে ধরতে না পারলে এই দায়বার কে নিবে।
ভারত থেকে চিকিৎসা শেষ করে আসা আরেক যাত্রী সূবর্ণা শর্মা বলেন, আমি ভারতের চেন্নাই থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন শেষ করে সকালে বাংলাদেশে এসেছি। দুপুর ১২ টা বাজে এখনো ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করতে পারেনি, অসুস্থ শরীর নিয়ে এই গরমের মধ্যে বসে আছি। আরো কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় জানি না।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, সকাল থেকে আমাদের সার্ভার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে ।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রথমবারের মতো আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে চালানো হলো ‘ট্র্যাক কার’। আজ ১৬ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন ইয়ার্ডে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে সফলভাবে এই ট্র্যাক কার চালানো হয়। আগামী ২২ আগস্ট বহুল কাঙ্ক্ষিত এই রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করার কথা রয়েছে।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশি জানান, পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে সন্ধ্যায় ট্র্যাক কার চালানো হয়েছে। পুরো রেলপথ সম্পূর্ণ প্রস্তুত না হওয়ায় গঙ্গাসাগর ইয়ার্ডেই চালানো হয়। তবে রেললাইনের যেটুকু অংশের কাজ বাকি আছে তা ২২ আগস্টের আগে শেষ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে পড়েছে সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ। প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশ বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা। আগামী সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ভারত সীমান্তলগ্ন ঘাঘটিয়া পদ্মবিলে শিক্ষার্থীদের জন্য জেলাপরিষদ থেকে ‘‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি বিনোদন কেন্দ্র” নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় এই সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার যুবক সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য এবং হানাদার বাহিনীর হামলায় বিতারিত হাজার হাজার শরণার্থী ১৯৭১ সালে এই সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাতায়াত করেছে।
কসবা-আখাউড়া নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় মন্ত্রী, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি কসবা-আখাউড়া এলাকার সকল যুদ্ধক্ষেত্র, গণকবর ও শহীদ সমাধি সংরক্ষণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তাঁর অনুকূলে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার বিশেষ বরাদ্দের আওতায় এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। কসবা-আখাউড়ার মুক্তিযুেদ্ধর স্মৃতি বিজরিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে ডাকবাংলোতে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান এই তথ্য অবহিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলমান ইসকন ইস্যুতে আখাউড়ায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, আলেম ওলামা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জয়নাল আবেদীন আব্দু, পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাঃ মোঃ বোরহান উদ্দিন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান, সাব ইন্সপেক্টর মোঃ ওয়াসিম, ইমাম পরিষদের সভাপতি মাঃ কাজী মাইনুদ্দিন, হেফাজতে ইসলামের পনেতা মাঃ বিল্লাল হোসেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা চন্দন ঘোষ, রাধা মাধব আখড়া মন্দিরের আহবায়ক সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল প্রমুখ ।
হিন্দু নেতারা জানান, আখাউড়ায় ইসকনের সাংগঠনিক কার্যক্রম নাই। কিছু সংখ্যক ইসকনের ভক্ত আছে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় আচার পালন করে। তবে ইসকনের নামে কেউ অপরাধ করলে তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচার করা হোক।
বক্তারা বলেন, অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে। সম্প্রীতি রক্ষায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফেক নিউজ শেয়ার না দেওয়ার পরামর্শ দেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। একটি সুযোগ সন্ধ্যানী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আখাউড়াকে নিরাপদ রাখার জন্য সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আইন হাতে তুলে না নেওয়ার আহবান জানানো হয়। বক্তারা চট্টগ্রামে এড. সাইফুল ইসলাম হত্যার বিচার দাবী করেন।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
২৮ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। আজ ২৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদ পাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. পলাশ (৩০), মো. হেলাল মিয়া (৩৫) ও মো. কাউছার (৪৫)। এদের মধ্যে কাউছারের বাড়ি আখাউড়ায় মসজিদ পাড়ায় ও পলাশ এবং হেলালের বাড়ি কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলায়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে আজ মসজিদ পাড়ার ফায়ার সার্ভিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে চাইনিজ রাইফেলের ২৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য এই গুলি কুমিল্লা থেকে আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে রবিবার ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে পিঠা উৎসব হয়েছে। অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকদের মিলন মেলা বসে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবতীর্, জেলা পরিষদের সদস্য সাংবাদিক মোঃ সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন।
কাজী হান্নান খাদেমের সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে ম্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন বাবুল, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোঃ আতাউর রহমান নাজিম, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, উপজেলা যুবলীগের যু্গ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারুক বকুল।
বক্তারা বলেন, বাঙালী ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপুর্ণ অংশ শীতের পিঠা। শীতকালে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে মানুষ নানান রকম সুস্বাধু পিঠা তৈরি করে পরিবার ও প্রতিবেশি নিয়ে আনন্দ করে খায়। পিঠা উৎসবের আয়োজন করায় সাংবাদিকদেরকে ধন্যবাদ জানান বক্তারা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বানিহীর (আরএনবি) চীফ ইন্সপেক্টর মোঃ আবু সুফিয়ান, আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর স্বপন চন্দ্র দাস, পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়ছাল আহমেদ খান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল হান্না, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।