অনলাইন ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। তাদের নেওয়া পদক্ষেপের মধ্যে সব দলের নির্বিঘ্ন প্রচার, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা রোধ ও হয়রানিমূলক মামলা না করাসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত।
এছাড়াও সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা এবং কোনো ধরনের হয়রানিমূলক মামলা না করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ৭ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে আগ্রহ ব্যক্ত করে এসেছে। নির্বাচনের ফলাফল যাতে সব ভোটার ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয়, অর্থাৎ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সব কার্যক্রম সংবিধান, আইন, বিধি অনুযায়ী গ্রহণ এবং যথাযথ প্রয়োগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন ও কেবল সংবিধান এবং আইনের অধীন। বর্তমান ইসি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন নানা অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ, সীমানা পুননির্ধারণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন দলের নিবনন্ধনসহ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় আগে থেকেই দৃঢ়তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়েছে।
মন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে সিদ্ধান্ত সংসদকে অবহিত করেন। এর মধ্যে রয়েছে- প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থক দ্বারা প্রার্থী, সমর্থক, তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ না করা এবং এমন হলে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ। নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সভা করে নির্বাচনে তারা যেন আন্তরিকতা ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনাও দেবে ইসি।
এছাড়াও নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার কোনো বিধি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এক্সিকিউটিভ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন, যোগ্য ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণেরে জন্য দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগসহ বিধিসম্মতভাবে প্রয়োজনীয় সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের আরো ৩৪ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উপসচিব পদমর্যাদার এসব কর্মকর্তাকে ডিসি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগের দিন ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার ২৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
৩৪ জেলার মধ্যে অর্থ বিভাগের উপসচিব ড. মনোয়ার মোল্লাকে মানিকগঞ্জ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. সাবেত আলীকে টাঙ্গাইল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারকে সিরাজগঞ্জ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তোষাখানা ইউনিট পরিচালক মোস্তাক আহমেদকে সাতক্ষীরা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশরাফুর রহমানকে ঝালকাঠি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খানকে পিরোজপুর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব বনানী বিশ্বাসকে নেত্রকোনা, আরপিএটিসি উপপরিচালক মনোয়ারা বেগমকে রাজবাড়ী, ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ের উপ-ওয়াকফর প্রশাসক হাছিনা বেগমকে জামালপুর জেলায় পদায়ন করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আব্দুস সামাদকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ভিভাগের সুফিয়া আক্তার রুমীকে লক্ষ্মীপুর, জয়িতা ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোছা. ইয়াসমিন আক্তারকে মাদারীপুর, জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ফৌজিয়া খানকে কিশোরগঞ্জ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমানকে রাজশাহী, নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের পরিচালক মোহাম্মদ দিদারুল আলমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব ফাতেমাতুল জান্নাতকে মুন্সীগঞ্জ, স্বাস্ত্যসেবা বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুল আজিজকে শরীয়তপুর, অর্থ বিভাগের উপসচিব আহমেদ কামরুল হাসানকে বাগেরহাট, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরীক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে পটুয়াখালী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়াকে সুনামগঞ্জ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব মো. আজাদ জাহানকে ভোলা, খুলনা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিফাত মেহনাজকে মেহেরপুর, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানকে পঞ্চগড়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজহারুল ইসলামকে যশোর, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে বরগুনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহানকে নড়াইল, সেতু বিভাগের উপসচিব শরিফা হককে নীলফামারী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার নুসরাত সুলতানাকে কুড়িগ্রাম, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক এইচ এম রকিব হায়দারকে লালমনিরহাট জেলার ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. দেলোয়ার হোসেনকে বরিশাল, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইশরাত ফারজানাকে ঠাকুরগাঁও, জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরীকে নরসিংদী ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মোবাশশেরুল ইসলামকে দিনাজপুরের ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার শুরু হয়। গত ২০ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে ২৫ ডিসিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
ওইদিন এক আদেশে ঢাকা, সিলেট, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মাগুরা, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, গাজীপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, খুলনা, গোপালগঞ্জ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পৃথক আদেশে ফরিদপুর, শেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট, চাঁদপুর জেলার ডিসি প্রত্যাহার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সমাজ সেবায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি’’ পরিবর্তিত নাম ‘‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২০’’ গ্রহণ করছেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। গতকাল গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে এই স্বর্ণ পদক পরিয়েদেন এবং রেপ্লিকা ও সম্মাননা সনদ হস্তান্তর করেন। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সে কারণে বিশ্বদরবারে ‘‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’’ বা ‘‘মানবতার মা’’ হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১৯ সালে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা-২০১৮’’ কার্যকর করে।
সমাজসেবায় সর্বোচ্চ অবদানের জন্য আল-মামুন সরকার ২০২০ সালে প্রথমবারের মত এই পদকের জন্য জাতীয় ভাবে মনোনিত হন। পরবর্তীতে নামকরণ জটিলতায় ২০২২ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রী পরিষদ সভায় নামকরণ পরিবর্তন করে, ‘‘জাতীয় মানবকল্যাণ পদক’’ নির্ধারণ করা হয়। এই সম্মাননায় পঁচিশগ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি রেপ্লিকা ও সম্মাননা পত্র এবং নগদ দুই লক্ষ টাকার চেক অন্তর্ভূক্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
নওগাঁর মান্দায় সড়ক দূর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বিজয়পুর মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমহনী এলাকার আবু মুসার ছেলে রবিউল ইসলাম (১৯) ও নাটোরের লালপুর উপজেলার হাজিরহাট ভবানীপুর এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে আরিয়ান খান রকি (২০)।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেপরোয়া গতিতে দুটি মোটর সাইকেল রাজশাহীর দিক থেকে নওগাঁর দিকে যাচ্ছিল। এর মধ্যে একটি বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা চার্জারভ্যানের পেছনের দিকে ধাক্কা লাগে। এতে ওই বাইকে থাকা দুই যুবক গুরুতর জখম হন। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল মালেক বলেন, আহত আরিয়ান খান রকি হাসপাতালে নেওয়ার আগে এবং রবিউল ইসলাম জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মান্দা থানার ওসি-তদন্ত আব্দুল গণি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের পরিবারের লোকজন এখনো থানায় এসে পৌঁছায়নি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সব ধরনের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ২৪ মে প্রধান উপদেষ্টার সাথে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এমন একটি নির্বাচন হবে যেখানে একটি ইতিহাস তৈরি হবে। প্রত্যেকটি মানুষ হাসিমুখে ভোট দিয়ে বের হবে। কেউ গিয়ে দেখবে না যে, একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে এসেছে।
আজ ২৫ মে রবিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আয়োজিত চা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে জামায়াতের পক্ষ থেকে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি আরও বলেন, মানবিক করিডোর না দেওয়ার বিষয়ে আমাদের অবস্থান সরকারকে জানানো হয়েছে।
চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং তাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, এই দেশে সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে। চা শ্রমিকদের দায়িত্বও সরকারকে অন্যান্য নাগরিকদের মতো সমানভাবে নিতে হবে। তারা এখনও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা যদি জনগণের ভোটে দায়িত্ব পাই, তাহলে তাদের সম্মানের সঙ্গে বসবাস নিশ্চিত করব। তাদের সন্তানদের প্রতিভার বিকাশে পাশে থাকব। চা শ্রমিকদের শিক্ষিত করে আধুনিক বাগান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত করার চিন্তা আমাদের রয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে আমরা কাউকে বিবেচনা করি না। আমরা একটি বন্ধুপ্রতিম সমাজ গড়তে চাই। চা শ্রমিকদের উদ্দেশে বলতে চাই- আপনার ডাক দিতে সময় লাগবে, কিন্তু আমাদের পৌঁছাতে সময় লাগবে না। আমরা সবাই এই দেশের মালিক।
উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগরীর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির প্রকৌশলী এম. সায়েদ আলী, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ ইয়ামীর আলী, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির খন্দকার আব্দুস সোবহান ও প্রভাষক হামিদ খান, বর্তমান সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী এবং জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
চা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় ছাড়াও ডা. শফিকুর রহমান দিনব্যাপী বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষা করেনি। ২৮ এপ্রিল সোমবার রাজধানীর উসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ডিএসসিসির নতুন মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষা করেনি ইসি। তাদের সাংবিধানিক অধিকারের মাধ্যমেই তারা তাদের মত প্রকাশ করেছে।
এ সময় ড. আসিফ নজরুল বলেন, মেজর সিনহা হত্যা মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। মন্ত্রণালয়ের সেখানে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। এছাড়া যারা উদ্দেশ্য ও হয়রানিমূলক মামলা করছে তাদের বিষয়ে সরকার নজর রাখছে। কোনো লিগ্যাল ইস্যু না পেলে মামলা থাকবে না। যারা এমন মামলা করে তাদের চেহারা উন্মুক্ত করা করতে হবে।
দেশে প্রতি বছর ৫ লাখ মামলা হয় জানিয়ে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, মামলার জট কমাতে পরিকল্পনা করছে সরকার। ছোট ছোট মামলার জন্য লিগ্যাল এইড সংস্থায় যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। এই সংস্থার নাম পরিবর্তন করে ছোট করে রাখা হবে। খুব সহজে যোগাযোগের জন্য একটা সহজ নম্বর থাকবে। লিগ্যাল এইড সংস্থায় ৪০ শতাংশ মামলা নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। জেলায় থাকবেন তিনজন বিচারক।
প্রসঙ্গত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নাম ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে কমিশন গেজেট জারি করে।