চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের সার্ভার সচল হয়েছে। ২৭ ঘন্টা পর আজ ৯ জুন শুক্রবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সার্ভারে ত্রুটি দিলে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১টার দিকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করে সংশ্লিষ্টরা। এসময় প্রচুর যাত্রী আটকা পরে। হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করতে অনেক পরিশ্রম হয় ইমিগ্রেশন কর্মীদের। তবে যাত্রীদের মাঝেও স্বস্তি ফিরে আসে।
জানা যায়, আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিসে ৩টি কম্পিউটার ডেস্ক রয়েছে। এরমধ্যে ২টি ডেস্কে বহিঃগমন এবং ১টি আগমনী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে সার্ভারে জটিলতা দেখা দিলে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ভারত- বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী আটকে পরে। এতে নারী শিশু সহ রোগীরা বেশি কস্ট করে। তীব্র গরমের অতিষ্ঠ হয়ে পরে যাত্রীরা। ইমিগ্রেশন এলাকাটি ছোট হওয়ায় ও বসার মত পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় বেশি। পরে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে রাতেই ইঞ্জিনিয়ার এসে সার্ভার মেরামতের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সার্ভারে জটিলতার বিষয়টি অবগতি করি। রাতেই ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে কাজ শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। উল্লেখ্য, আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার পর্যটক আসা-যাওয়া করে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে আজ রবিবার বৈঠক ছিল বলে জানিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তবে সেই বৈঠক আজ হচ্ছে না। বরং আগামীকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রাথমিক বিদ্যালয় কবে খোলা হবে তা নিয়ে বৈঠক করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে সার্বিক দিক আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ ২৮ জুলাই রোববার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ক্যাবিনেট (মন্ত্রিসভা) মিটিং আছে। এটা নিয়মিত মন্ত্রিসভার বৈঠক। কোনো স্পেশাল মন্ত্রিসভার বৈঠক নয়। এ বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সেখানে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া গেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আবার বৈঠক করে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে। তারপর সিদ্ধান্ত জানা যাবে। এটাই হয়ে থাকে, এবারও সেটাই হতে পারে।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘চলতি সপ্তাহে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এর আগে গত ১৭ জুলাই রাতে দেশের ৮টি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু ছিল। ২৪ জুলাই সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে কমেছে গড় পাসের হার ও জিপিএ–৫ এর সংখ্যা। জেলায় এ বছর পাশের হার ৭৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এবার পাসের হার কমেছে ১৩ শতাংশের বেশি। আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো.আসাদুজ্জামান।
ড. মো.আসাদুজ্জামান আরো বলেন, চলতি বছর এক লাখ ৮২ হাজার ৬৩৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছে এক লাখ ৪৩ হাজার ২১৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৬২৩ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৯ হাজার ৯৯৮ জন। এ বছর শতভাগ পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৭৯টি। গত বছর ছিল ২১১টি।
পাসের হার কম হওয়ার বিষয়ে বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, করোনার পর গত দুই বছর চারটি বিষয়, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, অর্ধেক নম্বরের ওপর পরীক্ষা হয়েছিল। এবার সব বিষয়ের ওপর পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা হয়। তাই এবার ফেলের হার বেশি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাঙ্গা-রাজবাড়ি রেলপথের ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নওপাড়া মহল্লায় রেলের এক হাজার ছয়শত স্লিপারের ক্লিপ খুলে ফেলে দুর্বৃত্তরা। ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা আসার পথে ঘটনাস্থলের আগেই ট্রেনটি থামিয়ে দেন রেলওয়ে পুলিশ। ফলে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান ট্রেনের যাত্রীরা।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভাঙ্গার সাথে রাজবাড়ীর রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে, বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ১৮ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। এর দুই ঘণ্টা পর রেল লাইনের স্লিপারের ক্লিপগুলি আবার স্থাপন করার পর রাত সাড়ে নয়টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায় বলে জানায় পুলিশ।
ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান বলেন, রেললাইনের স্লিপারের এক হাজার ছয়শত ক্লিপ খুলে ফেলে দুর্বৃত্তরা। পরে রাজবাড়ী থেকে রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অভিজ্ঞরা এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক করে।
ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, ফরিদপুরের বাখুন্ডা ও পুখুরিয়া পার হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় নিয়মিতই ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারা হয়। মাঝে মাঝে যাত্রীরাও আহত হন। তবে এবারের ঘটনা সুপরিকল্পিতভাবে কোনও সংবদ্ধচক্র করে থাকতে পারে। এঘটনায় রাজবাড়ী রেলওয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ওসি সোমনাথ বসু বলেন, ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় মামলা হবে।খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলে বিয়ের দুই দিনের মাথায় শ্বশুরবাড়ির পুকুরে গোসল করতে নেমে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে মধুপুর উপজেলার ইউনিয়নের ৪ ওয়ার্ডের চাটারবাইদ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত জাহাঙ্গীর ওই ইউনিয়নের আতেক্কার চালা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার মহিষমারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত শুক্রবার জাহাঙ্গীরের সঙ্গে চাট্টাবাইদ গ্রামের সেলিম উদ্দিনের মেয়ের বিয়ে হয়। গতকাল রবিবার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ‘ফিরানী’ তে আসেন জাহাঙ্গীর। মেজবানি শেষে ওইদিন বিকেলেই আবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল জাহাঙ্গীরের। দুপুরে শ্বশুরবাড়ির পাশের পুকুরে শ্যালক-শালিকাদের সঙ্গে গোসলে নেমে হঠাৎ ডুবে যান জাহাঙ্গীর। এ সময় আশেপাশের সবাই এগিয়ে এসে পানিতে নেমে জাহাঙ্গীরকে খুঁজতে শুরু করেন। আধাঘণ্টা চেষ্টার পর জাহাঙ্গীরকে পানি থেকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ সময় দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষণা করেন।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, পুকুরে ডুবে জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়। সাঁতার না জানায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার অব. এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, কার্গো টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে হাব হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। আগে এটি পরিপূর্ণ বন্দর ছিল না। টার্মিনালটি নির্মিত হলে নৌপথে বাণিজ্যের আরো প্রসার ঘটবে। এখানে সাইলোসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠান আছে। এটি বাংলাদেশের একটি হাব। আজ ১১ নভেম্বর সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
বিগ্রেডিয়ার অব. এম শাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নৌবন্দরে নতুন কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করছে বিআইডব্লিউটিএ। নতুন এই টার্মিনালে ৩টি জেটি ও স্টোরেজ সেডসহ বিভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে। আগামী বছর প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, অনেকদিন থেকেই আশুগঞ্জে কার্গো টার্মিনাল করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হচ্ছিল। আরেকটি বিষয় হলো বিশ্বব্যাংক যখন অর্থায়ন করে, তখন তারা না দেখে করে না। তারা যদি মনে করে এটা লাভজনক, তখনই তারা অর্থায়ন করে।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন নৌ উপদেষ্টা।
এ সময় উপদেষ্টার সাথে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা, আশুগঞ্জ কার্গো টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক আইয়ূব আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ জাবেদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।