চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ সকল বে-সরকারি ব্যাংক ব্যবস্থাপকদের সমন্বয়ে গঠিত ব্যাংকার্স ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আগামী দুই বছর মেয়াদের জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি গঠনকল্পে গত বুধবার বিকেলে সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান চৌধুরী চন্দনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান চৌধুরী চন্দনকে সভাপতি ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক কাজী আবদুল কাইয়ুম খাদেমকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাহী অন্যান্যরা হলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক আবদুর রফিক মিয়া- সিনিয়র সহ-সভাপতি, ডাচবাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আরিফুল হক- সহ-সভাপতি, ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইদুর রহমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম-সহ-সাধারণ সম্পাদক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ জয়নাল আবেদীন মোল্লাকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ হায়দার আলী- কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।
কমিটিতে কার্যকরি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক এম.ইউ শামসুদ্দিন আহমেদ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আবদুল মোকলেছ ভুঁইয়া ও উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ সাজিদুর রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণমানুষের প্রিয়নেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
১৯ নভেম্বর রবিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৮ ব্যাচের রজত জয়ন্তী আজ ১ জুলাই শনিবার দিনব্যাপী বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকাল ৯টায় ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
দুপুরে বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোপাল সূত্রধর।
স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা ইউসিসিএ’র (বিআরডিবি) চেয়ারম্যান আবু কাউছার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মোঃ তাজুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ আবদুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, মামলাজট একটি পুরাতন ব্যাধি। মামলাজট কমাতে গেলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াানোর পাশাপাশি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করতে হবে।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত প্রাঙ্গনে আগত বিচার প্রার্থীদের জন্য নব-নির্মিত বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরো বলেন, মামলা জট এটা নতুন কিছু নয়, এটা একটি পুরাতন ব্যাধি। মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সেজন্য মামলা জট বাড়ছে। মানুষ লেখাপড়া যত শিখছে এতে মনে হয় মানুষ এক ধরনের অস্থির প্রবণ হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে বুঝাতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধু মামলা-মোকদ্দমা করেই সমস্যা সমাধান হয় না। বিকল্প ব্যবস্থা আছে। আগে গ্রামের সালিশ ছিল। আইন করে “বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি” পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটাকে যদি জনপ্রিয় করা যায় তাহলে মামলা জট কিছুটা কমবে। তিনি বলেন, যে পরিমাণ বিচারক সারা বাংলাদেশে থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই। আমাদের দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য একজন বিচারক। তা আবার সহকারী জজ থেকে প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত। এত কম বিচারক দিয়ে মামলা জট কমানো সম্ভব নয়। সেজন্য আমরা প্রতিবছর জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে একশত বিচারক নিয়োগ করতে পারি। এই সংখ্যাটা বাডাতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্টসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বিচারকরা কোর্টে অলস সময় কাটান না। তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও মামলার শেষ হচ্ছে না। মামলা আরো বাড়ছে। তিনি বললেন এক বছর যদি থাকে মামলা ৫০০, পরের বছর দেখা যায় মামলা সংখ্যা ৫৫০ হয়ে যায় ।
তিনি বলেন, মানুষ বাড়ছে। জমি জমার দাম বাড়ছে। খামোখা মামলা হয়। অনেক মামলা এমনিতেই হয়। আমরা যে বিষয়টি পারিবারিকভাবে বা সামাজিকভাবে সমাধান করতে পারি সেটা না করে আমরা আদালতে চলে যাই। সেজন্য মামলা বাড়ছে । বিচার প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। আশা করি এর একটা সমাধান হবে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমি এবং আমরা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে সরকারকে বলবো এ ব্যাপারে যেন আরও নজর দেন। বিচারক সংখ্যা যেন বাড়াানো যায় সে চেষ্টা যেন তারা করেন।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক মোঃ ফারুক, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, জেলা জজকোর্টের জিপি অ্যাডভোকেট ওয়াছেক আলী, পিপি অ্যডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারক সহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের পর প্রধান বিচারপতি সিজিএম কনফারেন্স রুমে বিচারকদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকেলে তিনি আখাউড়া উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামে রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাজুড়ে বিজয় মিছিল ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। আজ ৫ আগস্ট সোমবার দুপুরের পর বিভিন্ন এলাকা থেকে কোটা আন্দোলনকারীসহ সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস শুরু করে।
এ সময় শহরের টেংকের পাড়, বিরাসার, কান্দি পাড়া,শিমরাইলকান্দি, হাসপাতাল রোড, কুমারশীল মোড়, মেড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী, পুরুষ, শিশুসহ সাধারণ জনতা রিকশায় চড়ে, পিকআপ ভ্যানে করে ও মোটরসাইকেলে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে শোডাউন করে আনন্দ মিছিল বের করে। এ সময় একদল উত্তেজিত জনতা সদর থানায় হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়া থানার সামনে থাকা ৩টি পিকআপ ভ্যানে ও একটি ট্রাকে আগুন দেয়। এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের উপর গুলি ছুড়ে। এতে কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল থানা পুলিশদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, ব্যাংক এশিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভাঙচুর করা হয়।
পরে তারা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভন, সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার, রিমো আনসারী, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিনসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় আরটিভির জেলা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান পায়েল গুরুতর আহত হয়।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানা ও আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের বাসভবনে ভাংচুর চালায় হামলাকারীরা। সে সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরেও হামলা চালানো হয়।
এদিকে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিস, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের বাসভবন, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু, আখাউড়া রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানো হয়। এছাড়াও বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন ভবনে ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা।
এছাড়ও বিজয়নগর থানায়ও হামলা করে আগুন দেয়া হয়। এছাড়াও নবীনগর উপজেলা সদরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। সে সাথে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, দুটি পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।