চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের সার্ভার সচল হয়েছে। ২৭ ঘন্টা পর আজ ৯ জুন শুক্রবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সার্ভারে ত্রুটি দিলে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১টার দিকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করে সংশ্লিষ্টরা। এসময় প্রচুর যাত্রী আটকা পরে। হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করতে অনেক পরিশ্রম হয় ইমিগ্রেশন কর্মীদের। তবে যাত্রীদের মাঝেও স্বস্তি ফিরে আসে।
জানা যায়, আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিসে ৩টি কম্পিউটার ডেস্ক রয়েছে। এরমধ্যে ২টি ডেস্কে বহিঃগমন এবং ১টি আগমনী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে সার্ভারে জটিলতা দেখা দিলে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ভারত- বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী আটকে পরে। এতে নারী শিশু সহ রোগীরা বেশি কস্ট করে। তীব্র গরমের অতিষ্ঠ হয়ে পরে যাত্রীরা। ইমিগ্রেশন এলাকাটি ছোট হওয়ায় ও বসার মত পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় বেশি। পরে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে রাতেই ইঞ্জিনিয়ার এসে সার্ভার মেরামতের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সার্ভারে জটিলতার বিষয়টি অবগতি করি। রাতেই ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে কাজ শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। উল্লেখ্য, আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার পর্যটক আসা-যাওয়া করে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদকরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ‘অন্তত দুই থেকে তিন বছর’ দায়িত্ব পালনের পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ২০ সম্পাদকের মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গত শনিবার রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ে বলেছিল, অন্তর্বর্তী সরকার যেন ‘যৌক্তিক সময়’ পর্যন্ত থাকে। এই যৌক্তিক সময় আসলে কতটুকু? এ বিষয়ে ড. ইউনূস দেশের শীর্ষ সম্পাদকদের কাছে জানতে চেয়েছেন। এই অন্তর্বর্তী সরকারকে কী কী কাজ করতে হবে, ন্যূনতম কতটুকু কাজ করতে হবে- এসব প্রশ্ন রেখেছেন।’ সম্পাদকদের মতামত তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রকম কথা এসেছে, সর্বনিম্ন যে সময়টা এসেছে- ২ বছর যাতে এই অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হয়। অনেকে আবার দুই থেকে তিন বছরের কথা বলেছেন।’ ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপর ৮ অগাস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তবর্তী সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করায় সংবিধানে এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো উল্লেখ নেই। কিন্তু সরকার পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হয়েছে। কিন্তু এ সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে, তা এখনও সুনির্দিষ্ট করা হয়। সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস তার সরকারের কর্ম-পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেছিলেন, ‘কখন নির্বাচন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন।’প্রেস সচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে (সম্পাদকদের) বেশির ভাগই বলেছেন, যেসব এজেন্ডার বাস্তবায়ন বা যে কাজ অন্তর্বর্তী সরকার করবে, সেই কাজটাই আসলে নির্ধারণ করবে এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ প্রসঙ্গে সম্পাদকদের বক্তব্যে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, তাও ব্রিফিংয়ে তুলে ধরেন শফিকুল আলম। ‘অনেক কথা এসেছে, সংবিধান সংশোধন, সংবিধান নতুন করে লেখা, আইন কমিশন, সংবিধান কমিশন, মিডিয়া কমিশন, পুলিশের জন্য কমিশন, পুলিশকে কীভাবে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কথা এসেছে। এই নির্বাচন কমিশনকে পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ এসেছে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এটা একটা মস্ত বড় সুযোগ, বাংলাদেশের জন্য, আমাদের সবার জন্য। রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য। বাংলাদেশকে নতুন শিখরে নেওয়ার জন্য, যা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আমাদের দিয়েছে, এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের দোষত্রুটি নিয়ে লেখার অনুরোধ জানিয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের বলেছেন, ‘আপনারা লিখবেন, প্রচুর লেখেন, আপনারা জানান। আমাদের যদি দোষ-ত্রুটি থাকে এগুলো নিয়েও আপনারা বলেন। আমরা আপনাদের কাছ থেকে শুনতে চাই।’
প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বার বার বলেছেন, তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন এবং ‘ভাইব্রেন্ট’ মিডিয়া দেখতে চান। সম্পাদকগণ বলেছেন, মিডিয়াতে যেসব কালা কানুন আছে সেই কালাকানুনগুলো যাতে বাদ দেওয়া হয়; সংশোধন করা হয়।’ মিডিয়া কমিশন করার প্রস্তাব এসেছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যাতে কোনো সাংবাদিক কোনো অসুবিধায় না পড়ে, সে বিষয়ে একটা মিডিয়া কমিশন করার প্রস্তাব এসেছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের বিবেচনাধীন আছে।’
প্রধান উপদেষ্টার আরেক উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীরও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রেস সচিব জানান, মোট ২২ জন সম্পাদককে মতবিনিময়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন বিদেশে থাকায় আসতে পারেননি।
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, ইত্তেফাক তাসমিমা হোসেন, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সম্পাদক ইনাম আহমেদ, কালের কণ্ঠের হাসান হাফিজ, আমাদের সময় সম্পাদক আবুল মোমেন, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, প্রতিদিনের বাংলাদেশের মুস্তাফিজ শফি, দেশ রূপান্তরের মোস্তফা মামুন, কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
এ ছাড়া দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন, দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদও উপস্থিত ছিলেন।
সব কালাকানুন বাতিলের দাবি: রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা মতবিনিময় শেষে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম। তিনি বলেন, বিটিভি, বিএসএস এবং রেডিওর মত যেসব সংবাদমাধ্যম সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার দাবি তিনি মতবিনিময়ে জানিয়েছেন। ‘বলেছি, তারা যেন পেশাগতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সারাবিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা উৎসুক বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চাই।’
মাহফুজ আনাম বলেন, ‘আমরা কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আশা করছি। সেই সংস্কারের মধ্যে সংবিধান পরিবর্তন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করা, বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো, এন্টি করাপশন কমিশন, হিউম্যান রাইটস কমিশন, নির্বাচন কমিশন এগুলোকে সংস্কার করা। ‘সত্যিকার অর্থে গণমুখী সংস্থা আমরা চাই। নির্বাচন কমিশন যাতে ভবিষ্যতে ভোটারদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটান, এরকম একটা সংস্থা চাই। আমরা এমন দুর্নীতি দমন কমিশন চাই, যেন তারা স্বাধীনভাবে দেশের দুর্নীতি দমন করতে পারে।’ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরোধী সব কালাকানুন বাতিলের দাবি করা হয়েছে জানিয়ে ডেইলি স্টার সম্পাদক বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, সাইবার সিকিউরিটি আইনের মধ্যে সাংবাদিক নিপীড়নের যে অধ্যায়গুলো আছে, সেগুলো কার্যকর হবে না- এমনটা যাতে ঘোষণা করা হয়। এটা সংস্কারের জন্য উনারা সময় নিয়ে করতে পারেন।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সূত্র ধরে মাহফুজ আনাম বলেন, ‘তিনি সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করেন। আমাদেরকে বিশেষ আবেদন করেছেন, আমরা যেন আমাদের লেখনীর মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করি। এ সরকারের ভুল ত্রুটি সোচ্চারভাবে, নির্দ্বিধায় সেটা যেন কাগজে ছাপি। এই সরকারকে সাহায্য করি। ‘প্রধান উপদেষ্টা সত্যিকার অর্থে মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন। মিডিয়াবান্ধব যদি কোনো সরকারপ্রধান আমরা পেয়ে থাকি, তাহলে আমরা এখন পেয়েছি। আমরা এর জন্য অত্যন্ত আনন্দিত।’ ডেইলি স্টার সম্পাদক বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা যদি মনে করেন যে, একটা গ্রুপ করে দেওয়া বা একটা বিশেষ কমিটি করে দিয়ে সব ধরনের আইনের যে পরিবর্তন, সেটা করা। আমারও সংবিধান সংস্কার চাই। আমরা গণতান্ত্রিক রিফর্ম চাই।’ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ ধরে মাহফুজ আনাম বলেন, ‘মেয়াদ কতদিন থাকবে সেটা সম্পাদকদের কাছে জিজ্ঞেস করেছেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস। সে বিষয়ে অনেকের মতামত দিয়েছেন। তবে এই সরকারের মূল এজেন্ডা কী? সেটার অনুপাতে সময়। ২, ৩, ৫ বছরৃ উনার নিজস্ব কোনো চিন্তা নেই। জাতি কী চায়? জনতা কী চিন্তা করছেন? সেটা তিনি জানতে চান? তিনি মিডিয়াকে আহ্বান করেছেন। আমরা যেন জনগণের কথা লিখি।’
অনলাইন ডেস্ক :
এপ্রিলের শেষ দিকে উপজেলা নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে খুলনার ফুলতলা রি-ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপজেলার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে প্রথম ধাপের নির্বাচন। সকলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের সকল রাজনৈতিক দল দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করতে চাইলে বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক দল বা স্বতন্ত্র প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচনে কোনো বাধা নেই।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, নাগরিকসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। স্মার্টকার্ডে দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মাধ্যমে নাগরিক সম্পর্কে জানা যাবে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল সেবার ক্ষেত্রে এর প্রয়োজন রয়েছে। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই স্মার্ট কার্ড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এর ডাটাবেজ সুরক্ষিত, ব্যক্তির চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি এবং দশ আঙুলের ছাপ দিয়ে তৈরি।
তিনি আরও বলেন, এই স্মার্ট কার্ড ইতালি, সৌদি আরব, আমেরিকা ও আবুধাবি এই চারটি দেশের প্রবাসীদের বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও ১১টি দেশে বিতরণ করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন করে আলাদা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, খুলনা জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ২০ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ২০ হাজার ভোটার স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। এবার প্রায় ৯ লাখ ব্যক্তির মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে ফুলতলা উপজেলার ২ হাজার ৯২০ জনের মাঝে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন আইডিইএ এর প্রকল্প পরিচালক (২য় পর্যায়) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া প্রকাশ সুজনকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে মারধরের এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নাশকতার অভিযোগ এনে আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুণ অর রশিদ মামলা দায়ের করেন। যদিও সুজনকে দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সামনের সারিতে দেখা গেছে।
আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু সাংবাদিকদের জানান, কাউন্সিলর সুজন নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক হিসেবে সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি কমিটিতে না রাখায় সভাপতির ওপর তিনি হামলা করেছেন।
আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, নাশকতার মামলার আসামি হিসেবে বুধবার বিকেলে কাউন্সিলর সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া সাব্বির নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির ওপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ উঠেনি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (৭০) সড়ক বাজার এলাকায় একটি ওষুধের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় কাউন্সিলর সুজনের এক ছোট ভাইসহ কয়েকজন এসে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে গালমন্দ করেন ও টেনে সড়কে নিয়ে আসেন। এরপর কাউন্সিল সুজনসহ অন্যরা তাকে ব্যাপক মারধর করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতিকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় বলে সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। ঘটনার পর মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বাসায় চলে যান। কিছুদিন আগে স্থানীয় একটি বিষয় নিয়ে মোহাম্মদ আলীর বাসায় যান কাউন্সিলর সুজন। এ সময় পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কাউন্সিলরের বিতণ্ডা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী নিজেকে অসুস্থ দাবি করে মুখ খুলতে না চাইলেও তার স্ত্রী উষা বেগম (৬২) জানান, কাউন্সিলরসহ ৪-৫ জন লোকজন বাড়ির ফটকে আঘাত করতে থাকেন।
ফটক খুলতেই তারা ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর এবং তার স্বামীকে খোঁজ করেন। না পেয়ে তার পিঠে ও পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তারা।
গ্রেফতারের আগে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাউন্সিলর সুজন জানিয়েছেন, একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মূলত উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আরেক নেতাও এখন এতে যোগ দিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি আমিরুল ইসলাম ওরফে রাসেলকে (৪২) গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের উত্তর মাহমুদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমিরুল ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে প্রায় ১৪ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিল।
র্যাব জানায়, ২০০৯ সালে ২৬ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা হয়। ওই মামলার আসামি ছিল আমিরুল। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বর্তমানে আদালতে মামলাটি বিচারাধীন।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি আমিরুল পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭ এর একটি দল। আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।