অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অন্তত ২৫ জন নিহত ও ১৪৫ জন আহত হয়েছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণের জেরে ঘরবাড়ি ধসে পড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
আজ ১১ জুন রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শনিবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বান্নু, লাক্কি মারওয়াত এবং কারাক জেলায় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে দেশটির সিনিয়র উদ্ধার কর্মকর্তা খাতের আহমেদ জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শনিবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে আরব সাগর থেকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। স্থানীয় কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার (ঘণ্টায় ৯৩ মাইল) বেগে বাতাসের গতিবেগসহ ‘গুরুতর এবং তীব্র’ এই ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ দিকে এগিয়ে আসছে।
গত বছর অতিবৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়ে পাকিস্তানের প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং কমপক্ষে ১ হাজার ৭৩৯ জন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে ৬৪৭ জন শিশু।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন শুরু করেছে পাকিস্তান। এর অংশ হিসেবে দেশটির বন্দরনগরী করাচিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ করাচি থেকে ৯১০ কিলোমিটার, দক্ষিণ ঠাট্টা থেকে ৮৯০ কিলোমিটার এবং ওরমারা থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে সুউচ্চ ঢেউ এবং প্রবল বাতাসের কারণে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত গুজরাটের তিথাল সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর শনিবারের সতর্ক বার্তায় জানিয়েছে, বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে এটি ঘূর্ণিঝড়টিকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোথায় আঘাত হানবে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের নাম প্রস্তাব করেছে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বৃহত্তম শরিক পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)। মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও অন্যান্য বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার তাগিদ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএমএলএন।
আজ ২৪ জুলাই সোমবার পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা মনে করছি, আইএমএফ পাকিস্তানের অর্থনীতি সংস্কারে যেসব শর্ত দিয়েছে – সেই অনুযায়ী একটি অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিচালনার জন্য ইসহাক দার সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি। এছাড়া আইএমএফ ও অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আসলে এই মুহূর্তে ইসহাক দারের বিকল্প কেউ নেই।’
দুর্নীতি, অপব্যয় এবং করোনা মহামারিজনিত কারণে ডলারের রিজার্ভ তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানকে গত মাসে ৩০০ কোটি ডলার জরুরি (বেইল আউট) ঋণ দিয়েছে আইএমএফ। তবে এই ঋণ প্রাপ্তির জন্য আক্ষরিক অর্থেই ঘাম ছুটে গেছে দেশটিতে ক্ষমতাসীন সরকারের।
২০১৯ সালে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সময় থেকেই শুরু হয়েছিল আইএমএফের ঋণের কিস্তি। কিন্তু ইমরানের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকার ঋণচুক্তির শর্ত অনুসারে, জ্বালানির ওপর ভর্তুকি প্রত্যাহার না করায় আইএমএফ ঋণের কিস্তি স্থগিত করে।
আইএমএফের কিস্তি স্থগিতের পদক্ষেপে অন্যান্য বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থার ঋণও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে পাকিস্তানের। ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। তার বিদায়ের পর দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হন পিএমএলএনের চেয়ারম্যান শেহবাজ শরিফ।
নতুন সরকার গঠন করার পর থেকেই স্থগিত ঋণের কিস্তি ফের চালুর জন্য দেন-দরবার শুরু করে ইসলাবাদ। আর এক্ষেত্রে নেতৃত্বের পুরোভাগে ছিলেন অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার।
অবশেষে গত ১২ জুলাই পাকিস্তানকে ৩০০ কোটি ডলার জরুরি ঋণ প্রদানে সম্মত হয় আইএমএফ। আইএমএফের অনুমোদনের ২ দিন পর, ১৪ জুলাই রাজধানী ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, আগামী ১৪ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেবে তার নেতৃত্বাধীন সরকার।
অনলাইন ডেস্ক :
বাঙালির ঐহিত্যবাহী পিঠাকে প্রবাস প্রজন্মের সাথে পরিচিত রাখতে মনোজ্ঞ এক উৎসবের আয়োজন করেছিল নিউইয়র্ক অঞ্চলে বহুল পরিচিত ‘বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন’।
জ্যাকসন হাইটসে জুইস সেন্টারে ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর সমাগমে শুরুতেই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। এ সময় পাশে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং আবুল বাশার চুন্নু। হোস্ট সংগঠনের প্রধান ড. সবিতা দাস, শাকিলা রুনা, রুনা রায়, মুনমুন সাহা প্রমুখ।
বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন এলাকার স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান স্টিভ রাগা, কম্যুনিটি লিডার ডা. প্রভাত চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু। বিভিন্ন পর্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশের ফাঁকে হোস্ট সংগঠন এবং নিরন্তরভাবে কর্মরতদের মধ্যে স্টেট অ্যাসেম্বলীর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননাপত্র বিতরণ করেন অ্যাসেম্বলীম্যান স্টিভ রাগা।
বহ্নিশিখার শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তারা সমবেত কন্ঠে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এরপর শুরু হয় বিজয় দিবসের আলোকে শিশু-কিশোরদের নৃত্য, সঙ্গীত, কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি ঐতিহ্য আলোকে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাও।
একক, দ্বৈত, সমবেত সঙ্গীতে অংশ গ্রহণ করেন ড. সবিতা দাস, রুনা রায়, জুলি খাস্তগীর, ইমন বিশ্বাস, পূজিতা দাস, শিলা চন্দ, সুশীল সিনহা, প্লামী দাস, শাকিলা রুনা, মাধু রায়সহ আরো অনেকে।
অনলাইন ডেস্ক :
জনসেবার জন্য সরকারি ক্যাম্প, সাধারণ মানুষের লম্বা লাইন। নিজেদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে হাজির সবাই। বসে রয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। সমস্যা শুনে তা সমাধানের আশ্বাসও দিচ্ছেন। সেই ক্যাম্পে হাজির এক যুবক। পেশায় তিনি কৃষক। কিন্তু কর্মকর্তাদের কাছে যে সমস্যার কথা তিনি বলেন, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়!
কী চেয়েছিলেন যুবক? তার দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে একা। তাকে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজে দিতে হবে। তা শুনে কার্যত হেঁসে লুটোপুটি খাওয়ার জোগাড় সরকারি কর্তাদের। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকে।
জানা যায়, রাজ্যের কোপ্পাল জেলায় ‘জনস্পন্দন’ নামে একটি সরকারি ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল প্রশাসন। জনগণের অভাব-অভিযোগ শুনছিলেন কর্মকর্তারা এবং যথাসম্ভব সমাধানও করা হচ্ছিল।
সেখানেই সঙ্গপ্পা নামে ওই কৃষক তার জন্য পাত্রী খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানান। জেলা কমিশনার নলিনী অতুলের কাছে গিয়ে তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে পাত্রী খুঁজছি। কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না। কেউ আমাকে পাত্রী দিতে রাজি নয়। এতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছি। স্যার, পাত্রী খুঁজে দেন!
এলাকার অন্যসব বাসিন্দা যখন পানির অভাব, রাস্তা ঠিক করার দাবি জানাচ্ছিলেন; সেখানে ওই যুবকের এ ধরনের দাবি শুনে প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে যান সরকারি কর্মকর্তারা। উত্তর কী দেবেন বুঝতে না পেরে মাথা চুলকাতে থাকেন তারা।
সঙ্গপ্পাকে প্রাথমিকভাবে বোঝানো গেলেও তার পাত্রী খোঁজার আবেদনের কী হবে, এখনো ভাবছেন কর্তারা।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
সিরিয়ার নতুন নেতা আহমেদ আল-শারার সাথে শুক্রবার দামেস্কে সাক্ষাত করেছেন ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তবে সাক্ষাতে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জ্যাঁ-নোয়েল ব্যারোতের সাথে হাত মেলালেও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবকের সাথে হাত মেলাননি আল-শারা। তিনি আগে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত ছিলেন।
রাজনীতির অভ্যর্থনার প্রোটোকলে হাত মেলানো খুব সাধারণ ঘটনা। কিন্তু এটি এড়িয়ে গেছেন সিরিয়ান নতুন প্রশাসনের প্রধান। যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরবের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জার্মান দৈনিক বিল্ড এই ঘটনাটিকে ‘হ্যান্ডশেক কেলেঙ্কারি’ আখ্যা দিয়েছে।
দ্য নিউ আরবের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোপের এই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থনের চিহ্ন হিসাবে সিরিয়া সফর করেছিলেন, যেখানে তারা গত মাসে বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে সাহায্য করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
এছাড়া জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি নারীদেরও সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানাতে এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল।
কিন্তু দামেস্কের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে পৌঁছানোর পর আল-শারা ব্যারোতের দিকে তার হাত বাড়িয়ে দিলেও বেয়ারবকের দিকে দেননি। বরং শারা এই সময় তার হাত বুকে রেখেছিলেন।
ইসলামের কিছু কঠোর ব্যাখ্যা বিপরীত লিঙ্গের লোকেদের মধ্যে শারীরিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ করে যদি তারা বিবাহিত না হয়।
এই অবস্থা দেখে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারোত নিজেও আর আল-শারার দিকে হাত বাড়িয়ে দেননি, কিন্তু আল-শারা যখন হাতে মেলাতে এগিয়ে দেন তখন তিনিও হাত মেলান।
এ নিয়ে বেয়ারবক বলেন, ‘আমি যখন সেখানে যাচ্ছিলাম, তখন আমার কাছে স্পষ্ট ছিল যে স্বাভাবিকভাবেই হাত মেলানোর ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু এটি একইভাবে স্পষ্ট ছিল, শুধু আমি নই, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করতেন। সে অনুযায়ী, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তাঁর হাত (আল-শারার দিকে) বাড়াননি।’
সিরিয়া একটি বহুজাতিক ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষের রাষ্ট্র। এখানে কুর্দি, আর্মেনিয়ান, আসিরিয়ান, খ্রিস্টান, দ্রুজ, আলাউই শিয়া এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি আরবসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী বসবাস করে। শারার দল সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং স্বাধীনতা সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিদ্রোহী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা এক সময় আল-কায়েদার সাথে জড়িত ছিলো। বর্তমানে শারার প্রতিবেশীদের আশ্বস্ত করতে চাইছেন, এটি ইসলামি জঙ্গিবাদের শিকড় থেকে দূরে সরে গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘গুজবকাণ্ডের’ এক সপ্তাহ পর ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা পথে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের বাস আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। বাসে দুই দেশের মিলিয়ে ২৪ জন যাত্রী ছিল।
৩০ নভেম্বর শ্যামলী পরিবহনের ওই বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে ভারতের কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাসটিতে হামলা হয়েছে। ভারতীয় যাত্রীদেরকে গালমন্দ করা হয়। তবে একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাসের চালক মো. আসাদুল হক ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। ঘটনার সময় যাত্রীদের সঙ্গে কারও কোনো ধরনের বিবাদ তো দূরে থাক কথাও হয়নি বলে তিনি জানান। অটোরিকশা চাপার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, বাসটি ৩০ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১টার দিকে আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দুপুর ১২টার দিকে বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুহিলপুর এলাকায় আসার পর একটি ট্রাক উল্টোদিক থেকে অতিক্রম করতে গেলে বাসটি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে থামানোর চেষ্টা করে ও সড়কের একপাশে সরে পড়ে। এসময় পেছনে থাকা পণ্যবাহী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাসের সঙ্গে চাপা খেয়ে সড়ক বিভাজকে আটকা পড়ে। এতে সামান্য ব্যথা পান অটোরিকশার চালক। পরে একটি রেকার এসে বাস থেকে অটোরিকশাটিকে সরিয়ে দেয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বাসটিতে ভারতীয়সহ ২৬ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৬ জন ভারতীয় নাগরিক।
শ্যামলী পরিবহনের ওই বাসের চালক মো. আসাদুল হক আজ শনিবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে বলেন, ওই ঘটনার এক সপ্তাহ পর বাস নিয়ে আগরতলা থেকে এসেছেন। যাত্রাপথে কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। বাসে ২৪ জন যাত্রী রয়েছে।