অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়ার ওয়াইন অঞ্চলে একটি বিয়ের বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরো ২০ জন ।
১১ জুন রবিবার রাতে ওয়াইনারিতে বিবাহ থেকে ফিরছিলেন তারা। বাসটি নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়াইন কাউন্টি ড্রাইভে পৌঁছালে উল্টে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। তবে ৫৮ বছর বয়সী চালক অক্ষত আছেন। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার ট্রেসি চ্যাপম্যান জানান, বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা সম্ভবত থাকার জন্য সিঙ্গেলটনের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। এ সময় কুয়াশাচ্ছান্ন আবহাওয়া ছিল। বাসের নিচে কয়েকজন চাপা পড়ে থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্যানবেরায় এক সংবাদ সম্মেলনে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ।
অনলাইন ডেস্ক :
আইকন অব দ্য সিস। বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ। ফিনল্যান্ডের শিপইয়ার্ডে জাহাজটি নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরে সম্ভাব্য ডেলিভারির আগেই শেষবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে সাগরে ভাসবে জাহাজটি। যে টাইটানিক জাহাজ বিশ্বে বিস্ময় ও ইতিহাস হয়ে আছে নতুন নির্মিত জাহাজটি তার চেয়ে ১৩ গুণ বড়। সিএনএন।
২০২৪-এর জানুয়ারিতেই যাত্রা শুরু করবে বিশ্বের বৃহত্তম এ ক্রুজ জাহাজ। আইকন অব দ্য সিসের দৈর্ঘ্য ১,২০০ ফুট, ওজন ২ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টন।
এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রুজ শিপ ছিল ওয়ান্ডার অব দ্য সিস। এর চেয়ে আয়তনে ৬ শতাংশ বড় আইকন অব দ্য সিস। ৫,৬১০ জন যাত্রী ও ২,৩৫০ জন ক্রুসহ মোট ৭,৯৬০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করতে পারবে এই বিশাল জাহাজ। এই বিশালত্ব এবং যাত্রীধারণ ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিনোদনমূলক ব্যবস্থা। ওয়াটার স্লাইড, সুইমিংপুল, হ্রোয়ালপুল-সব মিলিয়ে জাহাজটিতে বিনোদনের ৪০টিরও বেশি ব্যবস্থা রয়েছে।
২০২২-এর এপ্রিলে ফিনল্যান্ডের মেয়ার তুর্কু শিপইয়ার্ডে জাহাজটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। সম্প্রতি সেখান থেকেই এটির ট্রায়াল রান হয়। ট্রায়াল রানে আইকন অব দ্য সিস কয়েকশ মাইল পথ ভ্রমণ করেছে। সেই সময় প্রধান ইঞ্জিন, হল, ব্রেক সিস্টেম, স্টিয়ারিং, শব্দ এবং কম্পন ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। ৪৫০ জন বিশেষজ্ঞ চার দিন ধরে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহাজটিকে সমুদ্রযাত্রার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছেন।
চলতি বছরের শেষে আরেকটি ট্রায়াল হবে। তারপর জাহাজটি যাবে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে। ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সেখান থেকেই শুরু হবে আইকন অব দ্য সিসের প্রথম সমুদ্র ভ্রমণ। প্রথম ভ্রমণের টিকিট ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। ক্যারিবিয়ান সাগরের পূর্ব এবং পশ্চিম পথ ধরে নিয়মিত এক সপ্তাহের একেকটি সফর করার কথা ক্রুজ শিপটির। বাহামায়, কোকোকে নামে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান সংস্থার নিজস্ব একটি দ্বীপ আছে। সাত রাতের এক রাতে অতিথিদের সেই স্থানেও নিয়ে যাওয়া হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ অবশ্যই এর ওয়াটার পার্ক। এখানে থাকছে ছয়টি ওয়াটার স্লাইড। এর মধ্যে একটি ‘ওপেন ফ্রি-ফল স্লাইড’, একটি ‘ফ্যামিলি রাফ্ট স্লাইড’ এবং দুটি ‘ম্যাট-রেসিং স্লাইড’। জাহাজটিতে ২৮টি বিভিন্ন ধরনের কেবিন থাকছে। ৮২ শতাংশ কক্ষে তিন বা তার বেশি অতিথি থাকতে পারবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৫৮ জন নিহত হয়েছেন ও ৮৪ জন আহত হয়েছেন। ২২ ডিসেম্বর ভোর থেকে সোমবার পর্যন্ত এসব হামলা ঘটে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ নিয়ে ১৪ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৩১৭ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আরো ১ লাখ ৭ হাজার ৭১৩ জন আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ ভবনের ধ্বংস্তূপের নিচে অনেকে চাপা পড়ে আছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। তাছাড়া, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, যা উপত্যকাটির মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ।
গত মাসে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে এরই মধ্যে অভিযুক্ত হয়েছে দখলদার দেশ ইসরায়েল। নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে আজ ২ অক্টোবর বুধবার সকালে একটি ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে এর ৩ আরোহী নিহত হয়েছে। জানা গেছে
হেলিকপ্টারে ৩ আরোহী ছিল।
এক দমকল কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত মুম্বাইয়ের দক্ষিণ-পূর্বে এবং পুনে শহরের উপকণ্ঠে বুধবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর এতে আগুন ধরে যায়।
মুম্বাইয়ের চিফ ফায়ার অফিসার দেবেন্দ্র পটফোড সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় দুই পাইলট এবং একজন প্রকৌশলী মারা গেছেন।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে গেছে।এতে তিন আরোহী দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে।মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
হেলিকপ্টারটি বিরোধী দল জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির নেতাদের নিয়ে মুম্বাইয়ের দিকে যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনার কারণ এখনও সনাক্ত করা না গেলেও, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ওই সময় এলাকায় ঘন কুয়াশা ছিল।
সূত্র : আরব নিউজ
চলারপথে ডেস্ক :
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা প্রস্তাব পাশ হয়েছে। গাজা উপত্যকায় আরও অধিক মানবিক সহায়তা পাঠানোর এ প্রস্তাবটি ১৩-০ ভোটে পাশ হয়েছে। খবর আলজাজিরা।
২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটির খসড়ায় গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। তবে যুদ্ধবিরতির কথা থাকায় এতে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে যুদ্ধবিরতির কথা বাদ দিয়ে শুধু মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এক সপ্তাহ ধরে ঝুলে থাকা প্রস্তাবটি শেষ পর্যন্ত পাশ হলেও গাজায় যুদ্ধবিরতি বন্ধে এতে কোনো আলোচনা করা হয়নি।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ দেশের মধ্যে ১৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও; যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল। নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য রাশিয়া বলেছে, এই প্রস্তাব একটি ‘দন্তহীন’ ও ‘অক্ষম’ প্রস্তাব।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নিবানজিয়া বলেছেন, এই প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে বলা হয়নি। এর বদলে এটির মাধ্যমে ‘মুক্তহস্তে’ ইসরাইলকে তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
গাজায় ইসরাইলের হামলায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজার পরিস্থিতিকে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা পৃথিবীর নরক বলে মন্তব্য করেছেন।