অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়ার ওয়াইন অঞ্চলে একটি বিয়ের বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরো ২০ জন ।
১১ জুন রবিবার রাতে ওয়াইনারিতে বিবাহ থেকে ফিরছিলেন তারা। বাসটি নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়াইন কাউন্টি ড্রাইভে পৌঁছালে উল্টে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। তবে ৫৮ বছর বয়সী চালক অক্ষত আছেন। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার ট্রেসি চ্যাপম্যান জানান, বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা সম্ভবত থাকার জন্য সিঙ্গেলটনের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। এ সময় কুয়াশাচ্ছান্ন আবহাওয়া ছিল। বাসের নিচে কয়েকজন চাপা পড়ে থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্যানবেরায় এক সংবাদ সম্মেলনে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে রেল দুর্ঘটনা যেন আর পিছু ছাড়ছে না। উড়িষ্যার পর এবার পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি হয়ে বাংলাদেশে আসার পথে লাইনচ্যুত হয় একটি মালগাড়ি। এই পথেই ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে আন্তর্জাতিক মিতালী এক্সপ্রেসসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন। এদিন এই ঘটনার জেরে ডুয়ার্সে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে ছিল দীর্ঘক্ষণ। প্রায় ৪ঘণ্টা পরে বিকেলের দিকে লাইনচ্যুত মালগাড়িটিকে সরিয়ে ফেলা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, আজ ১৪ জুন বুধবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে একটি মালগাড়ি ডুয়ার্সের দমদমের দিকে যাচ্ছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি যাওয়ার কথা ছিল ওই পণ্যবাহী মালগাড়িটির। কিন্তু নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দুই কিলোমিটার যাওয়ার পরেই লাইন থেকে নেমে পড়ে ওই মালগাড়ির একটি বগির পেছনের চাকা। বেগতিক বুঝে চালক জরুরি ব্রেক কষে মালগাড়ির সমস্ত র্যাক থামান। এরপরেই খবর যায় রেলের উত্তর বঙ্গের ডিভিশনাল রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের কাছে। তড়িঘড়ি উদ্ধারযান পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। যদিও এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
লাইনচ্যুত মালগাড়ির বগিকে ফের লাইনে প্রতিস্থাপন করা ও ক্ষতিগ্রস্ত রেল লাইন সারাতে কেটে যায় বেশ কয়েক ঘণ্টা। ফলত ওই লাইনের ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পণ্যবাহী বাংলাদেশগামী মালগাড়িটিকে বৃহস্পতিবার সকালে সীমান্ত পার করানো সম্ভব হবে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
লেবাননে শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এটি যুদ্ধাপরাধ হতে পারে বলে ইসরাইলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। ১৩ অক্টোবর রোববার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ মন্তব্য করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর তিন দফা হামলা করেছে ইসরাইল। এতে দেশটির শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রাখা ৪০টি দেশ ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানায়।
কিন্তু ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, অবিলম্বে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী যেনো লেবানন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তার মতে, শান্তিরক্ষীদের মানবঢাল হিসেবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে হিজবুল্লাহ। এ জন্য ইসরাইলের সমালোচনা করা উচিত নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
এমন আবহে জাতিসংঘ এবং ইসরাইল মুখোমুখি অবস্থানে। বিবৃতিতে জাতিসংঘ মুখপাত্র বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী এবং এর প্রাঙ্গণকে কখনই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।’
বিবৃতিতে স্টিফেন ডুজারিক আরো বলেন, ‘লেবাননে নিয়োজিত শান্তিরক্ষীরা তাদের সব অবস্থানে রয়েছে এবং জাতিসংঘের পতাকা এখনও উড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘মহাসচিব পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে ইউএনআইএফআইএলের কর্মী এবং এর স্থাপনাগুলোকে কখনোই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এই আইনের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনও অন্তর্ভুক্ত। এগুলো যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’
দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরাইল সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অন্তত পাঁচ শান্তিরক্ষী আহত হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলের আক্রমণ সত্ত্বেও ইউএনআইএফআইএল তাদের অবস্থান ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাদের মুখপাত্র আন্দ্রেয়া তেনেনতি শনিবার এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ অঞ্চলে জাতিসংঘের পতাকা সমুন্নত রাখা এবং নিরাপত্তা পরিষদে রিপোর্ট করার জন্য এখানে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রায় সাড়ে ৯ হাজার সদস্য নিয়ে গঠিত ইউএনআইএফআইএল মিশন ১৯৭৮ সালে তৈরি হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউইতে সাইক্লোন ফ্রেডির আঘাতে কমপক্ষে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ মার্চ সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে ৯৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালাউইর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার চার্লস কালেম্বা।
কালেম্বার মতে, মালাউইয়ের বাণিজ্যিক রাজধানী ব্লানটায়ারে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৪ মার্চ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
কালেম্বা সোমবার সন্ধ্যায় সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমরা প্রায় সাতটি কাউন্সিলে ৯৯ জনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করেছি। এর মধ্যে ব্লানটায়ার শহরে সবচেয়ে বেশি ৮৫ জন মারা গেছেন এবং এই এক শহরেই প্রায় ১৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।’
এছাড়া নিহত ও আহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সিএনএন বলছে, মালাউইয়ের সরকার দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ‘দুর্যোগময় অবস্থা’ ঘোষণা করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভেরা ‘ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি মালাউইয়ের দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ জেলায় যে ধ্বংসলীলা সৃষ্টি করেছে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ’ জানিয়েছেন বলে সরকারি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকার ইতোমধ্যেই জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দিচ্ছে, সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় জরুরি সহায়তা প্রদান করছে এবং দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারের জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৫ মেঃ টন আদা আমদানি করা হয়েছে।
আজ ১০ জুলাই সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দর হয়ে আদা নিয়ে একটি পিক-আপ আখাউড়া স্থলবন্দর এসে পৌঁছে। আদাগুলো আমদানি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেসার্স মদিনা এন্টারপ্রাইজ।
সিএন্ডএফ এজেন্ট সোয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকার মো: রাজিব উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, মোট ১০ মেঃ টন আদা এলসি করা হয়েছে।
প্রতি টন আদার মূল্য ৪৫০ মার্কিন ডলার করে মোট ৪ হাজার ৫শত মার্কিন ডলার আমদানি করা হচ্ছে। আজ ৫ মেঃ টন আদা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় আরও ২৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। এসব কর্মীরা মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিউলের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে আরও ২৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন।
এদিকে, প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এসব কর্মীদের বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
ঢাকার কোরিয়া দূতাবাসের তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম বা ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী পাঠানো সংক্রান্ত চুক্তি হলো ইপিএস। এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫৬১ জন কর্মী এই পদ্ধতিতে কোরিয়া গেছে। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) তথ্য বলছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৬৯১ জন ইপিএসের আওতায় কর্মী নিয়েছিল কোরিয়া। ইপিএসের প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে অদক্ষ বিদেশী কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে কোরিয়া। করোনা মহামারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশি ইপিএস কর্মী নেওয়া স্থগিত রেখেছিল। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে কোরিয়া সরকার আবার বিদেশি কর্মী নেওয়া শুরু করে।