চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের তৃণমূল ফুটবলের অত্যন্ত পরিচিত এক নাম মোঃ শাহাদাত হোসেন। এক ফুটবল পাগল ও ফুটবল সংগঠক। দেশের ফুটবলের নানা ক্ষেত্রে রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। বিশেষ করে মতিঝিল পাড়ায় বলতে গেলে তাকে এক নামে সবাই চেনে। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও তিনি দেশের ফুটবল সমর্থকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক।
শাহাদাত জানান, ভালোবাসি ফুটবল, ভালোবাসি দেশকে ভালোবাসি নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে। তিনি আরো বলেন, এক সময় আমাদের জাতীয় পর্যায়ে ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি ক্লাব অংশগ্রহন করেছে। সিলেটের বিয়ানীবাজার, কক্সবাজারের কক্সসিটি, নায়ারণগঞ্জের শুকতারা, চট্টগ্রামের আবাহনী-মোহামেডান ছাড়াও আরো বেশ কিছু ক্লাব জাতীয় পর্যায়ে খেলার কারনে উক্ত জেলা ও জেলার ফুটবলের সার্বিক পরিচিতি লাভ করেছিলো। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে আমাদের আশাবাদ হলো এটির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দেশের গন্ডি পেরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নামকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই।
শাহাদাত বলেন, আমার বিশ্বাস ও আস্থা আছে যে, যদি আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকজন এটাকে ভালোভাবে গ্রহন করে আপন করে নিতে পারে তাহলে একদিন এটিই হতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পরিচিতির জন্য অন্যতম মুখপাত্র। আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে। ফুটবলের এ প্রয়াসের মাধ্যমে আমার ইচ্ছা ও আকাংক্ষা এই যে এর মাধ্যমে আমি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নামকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই যেমনি ভাবে আজকে রিয়াল-বার্সাকে সবাই এক নামেই চিনে।
২০১৭ সালে ঢাকা পাইওনিয়ার ফুটবল লিগে প্রথমবারের মতো এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশগ্রহণ করে। এরপর ২০১৯ সালের ওই আসরে অংশ নিয়ে দলটি তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। চলতি ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে অংশ নিয়েছে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এছাড়াও নারী ফুটবল লিগে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ফুটবল দল ২০২১ সালে তৃতীয় এবং ২০২২ সালে দশম স্থান অর্জন করে।
শাহাদাত নিজের ক্লাবের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা জানান, মূলত আমি এবং আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার হাতেগোনা কিছু ফুটবল পাগলদের নিয়ে কোনরকমে দলটি পরিচালনা করে আসছি। আমার নিজের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নামে দলটি হলেও তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পাচ্ছি না। গুটিকয়েক ব্যক্তি এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাত্র একজন ব্যক্তির বদ্যানতায় দলটি পরিচালনা করছি। শাহাদাত আরও বলেন, আমার একান্ত চাওয়া-দলটি বাংলাদেশের ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত হোক। এ লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি, এজন্যই সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমাদের দলটির বিষয়ে যদি দেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে সুন্দরভাবে তুলে ধরা যেত, তাহলে আশা করি অনেকেই এগিয়ে আসতো।
শাহাদাতের জন্ম ও বেড়ে উঠা দুটিই ঢাকাতে হওয়ায় এবং রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় দলটি পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর্থিক সংকটে ভুগছে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শাহাদাতের ভাষ্য একটি ক্লাব দল পরিচালনার জন্য যে ধরনের কাঠামো দরকার তা আমাদের ক্লাবের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। আর্থিক সীমাবদ্ধতাও একটি বড় বিষয়।
ক্লাবের ঘাটতির বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করেন শাহাদাত, দল পরিচালনার ক্ষেত্রে সব সিদ্ধান্ত আমাকে একাই নিতে হচ্ছে। আমাদের কমিটির বেশকিছু সদস্য দেশের বাইরে অবস্থান করেন এবং জেলাভিত্তিক দল হওয়ায় অনেকেই জেলাতে বসবাস করেন। তাদেরকে আমরা ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি মাত্র। আর বাকি যারা ঢাকায় রয়েছেন তাদের নিয়ে চেষ্টা করছি দলটি পরিচালনা করতে। হাতে গোনা কয়েকজন বাদে তেমন কেউই আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে না।
যদি বিত্তবান কোন ক্রীড়াপ্রেমী থাকেন, তাহলে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন, এটাই শাহাদাতের প্রত্যাশা।
অনলাইন ডেস্ক :
নব্বই দশকের লাস্যময়ী ও সাহসী বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। অক্ষয় কুমার, আমির খান, সালমান খান, গোবিন্দ, সঞ্জয় দত্তের মতো অভিনেতাদের সাথে জুটি বেঁধে পর্দায় ঝড় তুলেছেন। বলিউড থেকে দীর্ঘ দিন ধরে দূরে। এবার আলো ঝলমলে দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে সন্ন্যাসিনী হলেন এই অভিনেত্রী।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ বা এলাহাবাদে গিয়ে মহাকুম্ভে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন শাহরুখের এই নায়িকা।
মহাকুম্ভের কিন্নর আখড়াতে ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ রীতির মাধ্যমে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন মমতা। এদিন পিণ্ডদানও করেন তিনি। এই রীতির মাধ্যমে নতুন নামও গ্রহণ করেছেন। আজ থেকে তার নতুন নাম- শ্রী ইয়মাই মমতা নন্দ গিরি।
কিন্নর আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর অর্থাৎ লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী ও জুনা আখড়ার আচার্য স্বামী জয় আম্বানন্দ গিরির সাথেও দেখা করেন মমতা। আর সেই মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।
এসব ভিডিওতে মমতাকে গেরুয়া রঙের পোশাকে দেখা যায়। তার সাথে অভিনেত্রীর গলায় শোভা পাচ্ছে রুদ্রাক্ষের মালা। পুরোপুরি অচেনা রূপে ধরা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
মমতা কুলকার্নি এখন সন্ন্যাসিনী
২০১৬ সালে থানে পুলিশ ২ হাজার কোটি রুপির একটি মাদক পাচার চক্রের তদন্ত শুরু করে; যেখানে মমতার নাম জড়িয়ে পড়ে। মূলত, মমতা কুলকার্নি ও তার সঙ্গী কথিত মাদক সম্রাট ভিকি গোস্বামীকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। গত বছরের শেষের দিকে এ মামলা থেকে খালাস পান এই অভিনেত্রী। কিন্তু ২৪ বছর এই অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে কাটিয়ে মমতা কুলকার্নি গত বছর ভারতে ফিরেন।
১৯৯২ সালে রাজ কুমার ও নানা পাটেকরের ‘তিরঙ্গা’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেন মমতা কুলকার্নি। নব্বইয়ের দশকে ‘করণ অর্জুন’, ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘সাবছে বড় খিলাড়ি’-এর মতো হিট সিনেমার নায়িকা তিনি।
ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। সেই জয় যে অঘটন ছিল না, বাংলাদেশের মেয়েরা সেটি দেখিয়ে দিলো পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে।
বেনোনিতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে আজ ১৬ জানুয়ারি সোমবার শ্রীলঙ্কাকে ৯ রানে হারিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মেয়েরা। টানা দুই জয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
ম্যাচে টসভাগ্য সহায় ছিল না বাংলাদেশের মেয়েদের। প্রথমে তাদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। তবে টস হারলেও ব্যাটিংটা দারুণ করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২ উইকেটেই গড়ে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
মিষ্টি সাহাকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ রান তোলেন আফিয়া প্রত্যাশা। ৪৩ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় তিনি দুর্দান্ত এক হাফসেঞ্চুরি তুলে ১২তম ওভারে আউট হন ৫৩ করে।
মিস্টি অবশ্য তার মতো খেলতে পারেননি। ২৪ বলে ১৪ রানের ধীরগতির এক ইনিংস খেলে ওই ওভারেই সাজঘরে ফেরেন। কিছুটা চাপে পড়ে দল।
সেখানে দাঁড়িয়ে দিলারা আক্তার আর স্বর্ণা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিং। উইকেটরক্ষক দিলারা আক্তার ২৭ বলে করেন অপরাজিত ৩৬ রান। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন স্বর্ণা। ২৮ বলে তার ৫০ রানের মারকুটে ইনিংসে ছিল ৩ চার আর ২ ছক্কার মার।
রান তাড়ায় নামা শ্রীলঙ্কার ২৪ রানেই ২ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই চাপ সামাল দেন অধিনায়ক বিশ্বি গুনারত্নে আর দেওমি ভিহাঙ্গা। একটা সময় মনে হচ্ছিল, তারা হয়তো বাংলাদেশকে হারিয়েই দেবেন।
১৭তম ওভারে দেওমিকে (৪৪ বলে ৫৫) এলবিডব্লিউ করেন মারুফা আক্তার। একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন অধিনায়ক বিশ্বি। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। ৫৪ বলে ৮ চার আর ১ ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান অধিনায়ক। ৪ উইকেটে ১৫৫ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস।
মারুফা আক্তার ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ২টি উইকেট। দিশা বিশ্বাস এক উইকেটে ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৪ রান।
স্পোর্টস ডেস্ক :
ঘটনাবহুল একটি ম্যাচ। মুশফিকের দুরন্ত ক্যাচ, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের টাইমড আউটের পরও চারিথ আশালঙ্কার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ২৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং এক লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান শ্রীলঙ্কাকে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চারিথ আশালঙ্কার অনবদ্য ১০৮ রানের ওপর ভর করে ৪৯.৩ ওভারে ২৭৯ রান তুলতে অলআউট হয়ে যায় লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম এবং সাকিব আল হাসান। ১ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই কুশল পেরেরার উইকেট নিয়ে শুভ সূচনা করেন শরিফুল ইসলাম। ৫ বলে ৪ রান করে আউট হন কুশল পেরেরা। এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে জুটি বাধার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। কিন্তু ৩০ বল খেলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান কুশল মেন্ডিস।
সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে শ্রীলঙ্কার রান বাংলাদেশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নেয়ার চেষ্টা করেন চারিথ আশালঙ্কা। কিন্তু ২৫তমওভারের দ্বিতীয় বলে সামারাবিক্রমা আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তিনি করেন ৪১ রান।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ টাইমড আউট হয়ে যান। তবে চারিথ আশালঙ্কা ১০৫ বলে ১০৮ রান করে আউট হন তানজিম সাকিবের বলে। ৩৬ বলে ৩৪ রান করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ৩১ বলে ২২ রান করেন মহেশ থিকসানা। দুষ্মন্তে চামিরা আউট হন ৪ রান করে।
চলারপথে ডেস্ক :
বাংলা চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সোহেল রানার ছেলে মাশরুর পারভেজ।
ছেলে মাশরুর পারভেজ বলেন, আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বাবা। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা করা হবে তার। এবার মূলত চোখ দেখাতে যাবেন তিনি। অন্যান্য অসুস্থতার পাশাপাশি চোখের জটিল সমস্যায়ও ভুগছেন। সব মিলিয়ে ১০ দিন সিঙ্গাপুরে থাকবেন বাবা। নিয়মিত চেকআপ শেষে দেশে ফিরবেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালেও তাকে চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরের একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে ওই বছরের ১১ নভেম্বর ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে সুস্থতার খবরটি দেন এই অভিনেতা।
অনলাইন ডেস্ক :
সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে মদপানের পর ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় ক্লাবের পরিচালক ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ এ পরোয়ানা জারি করেন।
পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী জানান, রবিবার মামলায় চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিলো। আমরা আসামিপক্ষে সময় আবেদন করি। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে তার নামে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একইসাথে তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে ২০২২ সালের ৭ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে এ মামলা করেন নাসির। মামলায় পরীমনি ছাড়াও তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে আসামি করা হয়। আদালত পিবিআকে ঘটনা বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।
আরজিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাত পান।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের নামে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
গত বছর এ মামলায় পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরীমনি ছাড়া এ মামলায় তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে তার সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
এরপর গত বছর ১৮ এপ্রিল এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানি শেষে তাদের দু’জনকে হাজির হতে সমন জারি করেন।
এরপর গত বছর ২৫ জুন ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম. সাইফুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।