চলারথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে গতকাল রবিবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সামি আহমেদ নাবিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আজকের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারামুক্ত হয়েছিল বলেই আজ বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশকে পিছিয়ে নেয়ার জন্য এখনো বিএনপি- জামাত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা আবারো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সেজন্য দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভায় জেলা ছাত্রলীগসহ দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী নিবাসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ২০ অক্টোবর শুক্রবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি ম্যুরালের উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খান রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ ও কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এ জেড এম আরিফ হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ রবিউল হোসেন রুবেল ও সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমেদ খান শ্রাবন।
এছাড়া সভায় জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ম্যুরালটি নির্মাণ ৮ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা যুবদল ও পৌর যুবদলের নেতাকর্মীরা।
আজ ১৪ আগস্ট বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবদল ও পৌর যুবদলের আয়োজনে এ মিছিল হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে শত শত প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে দেশব্যাপী দুই দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর দেশকে অন্ধকারে রেখেই গোপনে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে আজ আমরা সারা দেশের ন্যায় বাঞ্ছারামপুরেও বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল করেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট জিয়াউদ্দিন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি মান্নান, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হারুন অর রশিদ, সদস্য সচিব জিসান সরকার, যুগ্ম আহবায়ক মীর মোশাররফ হোসেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক ভিপি মুজিব, সাধারণ সম্পাদক শুকরি সেলিম, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ছালে মুসা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ওমর ফারুক, সদস্য সচিব আওলাদ হোসেন মোল্লা, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোঃ লিটন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালু থাকা বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা হঠাৎ করে বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত ৩ জুন থেকে চিকিৎসকরা বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে একদিকে দুর্ভোগে পড়েছে জেলার সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় রোগীরা, অন্যদিকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৩ জুন থেকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করেন হাসপাতালের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক প্রয়াত ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নির্ধারিত ফির মাধ্যমে অসহায় রোগীদের সেবাদান শুরু করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রোগীদের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা থেকেও অনেক রোগী এই হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতেন।
বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় মেডিকেল কর্মকর্তার সরকারি ফি ২০০ টাকা, জুনিয়ার কনসালটেন্ট ও আবাসিক সার্জনের ফি ৩০০ টাকা এবং সিনিয়র কনসালটেন্টের ফি ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা চালু করায় সাধারণ রোগীরা অনেক খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত ৩ জুন থেকে এই স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোগীরা এখন অনেক অসন্তুষ্ট। বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় জেলার দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।
হাসপাতালের হিসাব শাখা সূত্রে জানা গেছে, বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবায় বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চালু থাকা প্যাথলজি বিভাগের বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে সরকারি কোষাগারে অনেক টাকা জমা দিতে পেরেছেন। গত বছরের জুন মাসে শুধু পরীক্ষা-নীরিক্ষা থেকে প্রাপ্ত ২১ হাজার ৫৩৫ টাকা, জুলাই মাসে ৮৬ হাজার ৭০ টাকা, আগস্ট মাসে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৬০ টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫ টাকা, অক্টোবর মাসে ১ লাখ ৪ হাজার ৯৩০ টাকা, নভেম্বর মাসে ১ লাখ ৮ হাজার ৪০০ টাকা ও ডিসেম্বর মাসে ৯০ হাজার ৮১৫ টাকার রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা দেন।
আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৯১ হাজার ৩৫৫ টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ৮৬ হাজার ৯৩০ টাকা, মার্চ মাসে ৬৪ হাজার ৭৮০ টাকা এবং এপ্রিল মাসে ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকার রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিকেল তিনটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালুর প্রথম মাসে গত বছরের জুন মাসে চিকিৎসকরা ২৫১ জন রোগী, দ্বিতীয় মাস জুলাই মাসে ১ হাজার ২২৬ জন, আগস্ট মাসে ১ হাজার ৪৫৭ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ১ হাজার ৫২৩ জন, অক্টোবর মাসে ১ হাজার ২১১ জন, নভেম্বর মাসে ১ হাজার ১৪০ জন ও ডিসেম্বর মাসে ৮৯২ জন রোগী দেখেছেন চিকিৎসকরা। চলতি বছরের গত জানুয়ারি মাসে ৯০৫ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ১ হাজার ১১৮ জন, মার্চ মাসে ৬৩১ জন ও এপ্রিল মাসে ৮৫৭ জন রোগী দেখেন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা ১১ হাজার ৩৬০ জন রোগী দেখেছেন, যেখান থেকে আয় হয়েছে ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ টাকা।
গত বছরের জুন মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত আট মাস এসব রোগী দেখার টাকা থেকে নিজেদের প্রাপ্ত সম্মানী ভাগাভাগি করে নিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিভাগের এক সভায় বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় রোগী দেখা থেকে প্রাপ্ত টাকা চিকিৎসকদের না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের এক পরিচালক। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় নিযুক্ত চিকিৎসকদের সম্মানী বন্ধ রয়েছে। এরপর থেকেই হাসপাতালে বিকেলে রোগী দেখায় আগ্রহ হারাতে শুরু করেন চিকিৎসকরা।
চলতি বছরের ৩ জুন থেকে কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় রোগী দেখা বন্ধ করেন চিকিৎসকরা। তবে প্যাথলজি বিভাগ চালু রয়েছে।
হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন জানান, বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় হাসপাতালে রোগী দেখার চেয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখায় স্বাচ্ছন্দবোধ করেন চিকিৎসকরা। কারণ এতে চিকিৎসকদের আয়-রোজগার বেশি হয়। হাসপাতালের এক সভায় চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের এক পরিচালক জানান, বাংলাদেশে যেসব সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু হয়েছে, সেখানকার কোনো হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের সম্মানি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। সেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা সম্মানি উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৩ জুন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে যোগদান করেন মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান। তাঁর যোগদানের পর থেকেই হাসপাতালে যথাসময়ে চিকিৎসকের উপস্থিত হওয়াসহ সকল বিভাগেই স্বাস্থ্যসেবার বিরাট পরিবর্তন হয়েছিল। পাশাপাশি তার সময়ে হাসপাতাল থেকে সরকারি কোষাগারে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব জমা হয়েছে। তার একান্ত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে একমাত্র হাসপাতাল হিসেবে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকালের পর দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত প্যাথলজি বিভাগ চালু হয়। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল হাসপাতালের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবার বিবেচনায় প্রথম হয়েছিল জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কর্মস্থলেই অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। চলতি বছরের ৩ জুন থেকে হাসপাতালের বৈকালিক সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, একটু প্রশাসনিক জটিলতা চলছে। বৈকালিক সেবায় নিযুক্ত চিকিৎসকদের সম্মানী বন্ধ রয়েছে। তাই বৈকালিক সেবার বিষয়ে আলোচনা চলছে। আগে বৈকালিক সেবার সবগুলো বিভাগ খোলা থাকত। কিন্তু এখন বিষয়টি রিশিডিউলিং করা হচ্ছে। এখন প্রতিটা বিভাগ হয়তো চালু থাকবেনা । কাস্টমাইজড করা করে কিছু বিভাগ কমিয়ে আবার চালু করা হবে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে বৈকালিক সেবা চালু হবে।
এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রতন কুমার ঢালী বলেন, কিছু জটিলতার কারণে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ আছে। আমরা সীমিত পরিসরে সেবাটা আবার চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইমাম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে মত বিনিময় করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্ণর র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুরে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তারা রটনা করছে আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে আমার সম্পর্ক ভাল নয়। এটা একবারেই অপবাদ। আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সাথে আমার অত্যন্ত সু-সম্পর্ক রয়েছে। যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে, অন্যায় করে তাদেরকে আমি পছন্দ করিনা।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের কথা উল্লেখ করে বলেন, যারা রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয় ও ভূমি অফিস ভাংচুর করে, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর করে আমি মনে করি তারা অপরাধী। তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া পুলিশের কাজ। তিনি বলেন, আমার বিরোধ আলেম ওলামাদের সাথে নয়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরের কারণে কিছু লোকের সাথে আমার বিরোধ আছে। তবে ওলামা হিসেবে কারো সাথে বিরোধ নেই। যারা মিথ্যা বলেন, তারা যদি তওবা করেন তাহলে তাদের সাথে আমার সম্পর্ক রাখতে কোনো সমস্যা নাই। এই জেলায় প্রায় ১০ হাজারের বেশি আলেম-ওলামা রয়েছেন। তাদের কারো সাথেই আমার কোনো বিরোধ নেই।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়ার জানাযা নিয়েও মিথ্যাচার করা হয়েছে। বলা হয়েছে সেখানে নাকি আমি মোবারকউল্লাহ হুজুরকে আসতে বাঁধা দিয়েছি। তবে আমি তাকে বাঁধা কেন, এ বিষয়ে কিছুই বলিনি। তানভীর ভূঁইয়ার পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার নামাজে জানাযা তার ভাগিনা পরিচালনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে কলাপাতার পানির মধ্যে ধানের শীষ দেখা গেছে, এই রাজনীতি আবারো শুরু হতে পারে। তিনি এ জন্য সকলকে সর্তক থাকার আহবান জানান।
তিনি জেলার প্রতিটি মসজিদে জুম্মা নামাজের খুতবার সময় মাদক, সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বয়ান করার জন্য ইমামদের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় ইমাম ও ওলামা মাশায়েখরা আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নির্বাচিত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আশেকুর রহমান, মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমী, মাওলানা আবদুল্লাহ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলার ৩ শতাধিক আলেম ওলামাগন উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তির ফলাফলে তাহিয়া নামের এক শিক্ষার্থীর নাম ১৪ বার উঠেছে। এর মধ্যে মেধা তালিকায় ১০ বার ও অপেক্ষমান তালিকায় চারবার তার নাম উঠে। একইভাবে ফারিয়া জামান জেসি ও ফারিয়া আরফা নামে এক শিক্ষার্থীর নাম পাঁচবার উঠে। একই ছবি ও জন্মনিবন্ধন নম্বরে ফারিয়া জামান জেসি ও ফারিয়া আরফা নামে পৃথক নাম রয়েছে তালিকায়। এ ধরণের ‘অদ্ভুত’ ফলাফলে নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরাও বিষয়টি নিয়ে হতবাক। তবে কি কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে এ বিষয়ে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গভ. মডেল গালর্স হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১৪১ জন ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়া হয়। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিতদের তালিকা সোমবার বিকেলে স্কুলের ফটকে লাগিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফলাফল দেখতে ভীড় জমে। ফলাফল ঘেঁটে দেখা যায়, তাহিয়া নামে এক শিক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকায় আটবার ও অপেক্ষমান তালিকায় ছয়বার রয়েছে। ফলাফলে তাহিয়ার একই ছবি রয়েছে। তবে একাধিক জায়গায় জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর ভিন্ন। তাহিয়ার বাবার নাম রুবেল মিয়া ও মা লাভলী বেগম। তাহিয়ার নাম মেধা তালিকার ৫, ১৩, ১৭, ২৪, ৩২, ৩৬, ৬৬, ৬৭, ৯৮, ১১৬ তে রয়েছে। অপেক্ষমান তালিকার ৮১, ১০৮, ১১৬ ও ১১৮ তে রয়েছে। একইভাবে ফারিয়া জামান জেসি নামে আরেক শিক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকায় তিনবার ও ফারিয়ার আরফা দুইবার রয়েছে। ফারিয়ার ক্ষেত্রে সব ছবি এক থাকলেও নামের ক্ষেত্রে কোথাও ফারিয়া জামান জেসি, ফারিয়া আরফা রয়েছে। তবে জন্মনিবন্ধন নম্বর ও মোবাইল নম্বর একই রয়েছে।
ফারিয়ার বাবার নাম আবু জামিল ও মায়ের নাম তানিয়া আক্তার। ফারিয়ার জামানের নাম ১, ১০৮, ১৩৩, ফারিয়া আরফা নাম মেধাতালিকার ৯৩ ও ১৩৫ এ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক পারভীন আক্তার বলেন, ‘ফলাফল দেখার সময় বিষয়টি আমাদের চোখে পড়ে। তাহিয়া নামে শিক্ষার্থীর নাম দুই তালিকায় ১৪ বার উঠেছে। তবে কিভাবে কি হয়েছে সেটা আমাদের জানা নেই।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আমাদের কোনো হাত নেই।’