চলারথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে গতকাল রবিবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সামি আহমেদ নাবিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আজকের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারামুক্ত হয়েছিল বলেই আজ বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশকে পিছিয়ে নেয়ার জন্য এখনো বিএনপি- জামাত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা আবারো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সেজন্য দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভায় জেলা ছাত্রলীগসহ দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৬-১৭ সেশনের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাব্বি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রাব্বির গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার উলচাপাড়া গ্রামে।
গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার নিজ কক্ষের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের বরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, অন্যান্য দিনের মতোই গতকাল রোববার রাতে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান রাব্বি। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্তও রাব্বি ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ জাগে পরিবারের লোকজনের মনে। সাড়াশব্দ না পেয়ে তার ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা।
এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি আমার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হওয়ায় খুব কাছ থেকে চিনতাম। সে খুব অমায়িক ছিল। আমি যতটুকু জানি তার প্রেমঘটিত বা অর্থনৈতিক কোনো সমস্যা ছিল না। একবছর আগে তার বাবা মারা যান। এজন্য তার মন খারাপ ছিল। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি রাব্বির খোঁজ রাখতে। কিন্তু মাঝে সে আর যোগাযোগ করেনি। তার মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
এদিকে রাব্বির এমন মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নিজ বিভাগ ও জেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে। সদর উপজেলার উলচাপাড়া মসজিদে রাব্বির জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার :
অটোরিক্সার ধাক্কায় আনুমানিক ৬০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কুমারশীল মোড়ে অটোরিক্সার ধাক্কায় ওই বৃদ্ধ আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই বৃদ্ধ মারা যান।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আশুগঞ্জ স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চারলেন প্রকল্পের কারণে বিতরণ পাইপ লাইনের ত্রুটি সংশোধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কিছু অংশে এবং সরাইল উপজেলায় ৯ দিন গ্যাস সরাবরাহ বন্ধ থাকবে।
আগামী ২০ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ২৮ নভেম্বর সকাল ৬টা নাগাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা থেকে উত্তর দিকে সরাইল উপজেলা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শঙ্কর মজুমদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ককে চারলেন মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ইউটিলিটি সিফটিংয়ের আওতায় ঘাটুরা টিবিএস থেকে সরাইল বিশ্বরোড পর্যন্ত নির্মিত ছয় ইঞ্চি ব্যাসের চার বার চাপের মূল বিতরণ গ্যাস পাইপ লাইনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
২০ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ ত্রুটি সংশোধনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেজন্য ওই সময়ে ঘাটুরা থেকে উত্তর দিকে সরাইল পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। বিশেষ কারণে নির্ধারিত সময় পরিবর্তন হলে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের নারী নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক উন্নয়নে আলাদা দলীয় তহবিল বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন। নারী নেতৃত্ব বিকাশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে যাতে দক্ষ নারী নেতৃবৃন্দ দলীয় মনোনয়ন লাভ করতে পারে এবং নির্বাচনে দলীয় প্রচারনায় দলীয় তহবিল এর জোগান নিশ্চিত করারও দাবি উত্থাপন করেন।
আজ ১১ মার্চ সোমবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ; এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ এই শিরোনামে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠান থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে আওয়ামী লীগ, জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টির নারী নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ এবং প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করতে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কে গুরুত্বপূর্ন হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। রাজনীতির মাঠে একজন নারী নেতা অর্থনৈতিকভাবে কি কি চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হয় তার বাস্তব চিত্র সকলের সামনে উপস্থাপিত হয়েছে। দেখা যায় দল হতে নারীদের কোন প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকে না , আবার যারা দক্ষ ও যোগ্য স্থানীয় বা জাতীয় নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয় না, এমনকি অস্বচ্ছল কিন্তু যোগ্যতা সম্পন্ন নারী নেতৃবৃন্দ বর্তমান সময়ে নির্বাচন করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, দলের মূল কমিটিতেও তাদের স্থান দেয়া হয় না। ফলে সবক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে যাতে দলের যোগ্যনারী নেতৃত্ব যাতে ঝড়ে না পরে বা প্রতাপশালীদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকটে না পারে , সেজন্য তাদের সুরক্ষা দেওয়া নিজ নিজ দলের দায়িত্ব। পাশাপাশি গনমাধ্যম ও সুশীল সমাজেরও দায়িত্ব রয়েছে এই সকল যোগ্য নারী নেতৃবৃন্দের পক্ষে কথা বলা এবং সমাজে ও দলের কাছে তার ইতিবাচক ইমেজকে প্রচার করা। এ লক্ষ্যে যদিও রাজনৈতিক দলের মধ্যে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক উপকমিটি নিজ দলে অ্যাডভোকেসি করছে, পাশাপাশি এক দলের নারী নেতৃবৃন্দ অন্য দলের যোগ্যতাসম্পন্ন নারী নেতৃবৃন্দ কে সহায়তা করছে পারে সে জন্য মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক উপ-কমিটি সক্রিয় রয়েছে।
ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশন্যাল পরিচালিত স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) প্রকল্প এই উদ্যোগের সহায়তা করেছে।
সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের সহসভাপতি এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, এডভোকেট ইসমত আরা, আবু কাউছার খান, মো, মনির হোসেন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক আশিকুর রহমান পাঠান, মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ, নারীনেত্রী এডভোকেট জেসমিন, আনোয়ারা বেগম, হালিমা মোর্শেদ, মুক্তি খান, রুনাক সুলতানা পারভীন, খালেদা মুন্নী, আফরিন ফাতিহা জুঁই প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষে কেক কেটে আনন্দ উদযাপন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাতে সুমন মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। আজ ২৬ জুন বুধবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন।
সুমন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গোপালগঞ্জ জেলার গোপিনাথপুর এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে নূরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, বেতবাড়িয়া গ্রামের সুরমা আক্তার পাখির সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নূরুল ইসলামের। তাদের মধ্যে প্রায় সময় মোবাইল ফোনে কথা-বার্তা হত। কথা-বার্তার সূত্রে নূরুল ইসলাম প্রায় সময় পাখির সঙ্গে দেখা করতে রাতে তাদের বাড়িতে আসতো। এদিকে সুরমা আক্তার পাখির সঙ্গে তার চাচাত ভাই সুমন মিয়াও প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। কিছু দিন আগে নূরুল ইসলাম পাখিদের বাড়িতে এসে সুমন ও পাখির সম্পর্ক দেখতে পান। পাখির সঙ্গে সুমন প্রায় সময় রাত্রিযাপনও করতেন। গত কিছু দিন আগে নূরুল ইসলাম পাখির সঙ্গে দেখা করতে আসলে সুমন মিয়া বাধা দেন এবং তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বুধবার ভোরে নূরুল ইসলাম পাখিদের বাড়িতে এসে দেখে সুমন পাখির ঘরে ঘুমাচ্ছে। পরে নূরুল ইসলাম ঘরে ঢুকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে সুমনকে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা সুমনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, ঘাতক নূরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।