চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ায় শিশু অধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইয়েস বাংলাদেশের আয়োজনে আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার সকালে শহরের মফিজ পাগলা মোড়ের রোচাস্ রেস্টুরেন্ট অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অপরাজেয় বাংলাদেশ ও প্লান ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ওয়াই মুভস্ প্রকল্পের মাধ্যমে আয়োজিত ডায়লগ সেশনে জেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকর্মীরা কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে তৃণমূলে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগে ভূমিকা রাখা প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনের ২০ জন সাংবাদিক।
ইয়েস বাংলাদেশের মিডিয়া উইংসের সদস্য সাংবাদিক সঞ্জু রায়ের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার মিলন রহমান, দৈনিক ইনকিলাবের বগুড়া ব্যুরো প্রধান মহসিন আলী রাজু, বণিক বার্তার জেলা প্রতিনিধি এইচ আলিম, যমুনা টেলিভিশনের বগুড়া ব্যুরো প্রধান মেহেরুল সুজন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি খোরশেদ আলম, একাত্তর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শাহজাহান আলী বাবু, দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি আসাফ-উদ-দৌলা নিওন, সময় টিভির জ্যেষ্ঠ চিত্র সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, ফটো সাংবাদিক মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে জেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার পরিস্থিতির নানা চিত্র তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, একটি জেলায় বছরে কী সংখ্যক শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে, স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে, কোভিড-১৯ এর পর কতজন শিশু নতুন করে শ্রমের সাথে জড়িয়ে পড়েছে কিংবা তাদের পুনর্বাসনে সরকারি দপ্তরগুলো কি কি ভূমিকা রেখেছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান দপ্তরগুলোতে সহজে পাওয়া যায় না। তথ্যগুলোর সহজীকরণ করতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার বাস্তবায়ন সম্পর্কিত নানা কমিটি থাকলেও সেগুলোর কার্যক্রম চলছে ঢিমেতালে। যে কারণে শিশুরা তাদের অংশগ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদন তৈরিতে জোর দিতে বলেন তারা।
এছাড়াও সভায় হাসপাতালগুলোতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে আরো কাজ করতে হবে। কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরেন সাংবাদিকরা।
অনলাইন ডেস্ক :
লমান রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ইরান-ফিলিস্তিনির যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ এর শিকার হয়ে জীবন পর্যন্ত দিচ্ছে।
আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
যুদ্ধের ভয়াবহতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনও বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডে পৌঁছালে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার এবং ১৯ রাউন্ড গান স্যালুট দেওয়া হয়।
থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর পর শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন, এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে থাকবেন।
এছাড়া আজ জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ। ক্রীড়ার ভেতর দিয়েই শিশুর সামাজিকীকরণ ঘটে। খেলাধুলার মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীরা সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, দলগত প্রচেষ্টা ও নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি অর্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব নিজে খেলাধুলা করতেন। তার পুত্র শেখ কামাল এবং পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের পেশাদার খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক। ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য জাতির পিতা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পথ অনুসরণ করে আমরাও পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রীড়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।’
আজ ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি আয়োজিত ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, মহান মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক, প্রগতিশীল রাষ্ট্রে উন্নীত করার জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত অসাম্প্রদায়িক, মননশীল, মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন, কর্মনিষ্ঠ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী উদ্যোগ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ শিগগিরই একটি বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ, আত্মনির্ভরশীল, আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে শারীরিক ও ক্রীড়া শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে শারীরিক ও মননগত বিকাশের মাধ্যমে সংবেদনশীল, যুক্তিনির্ভর ও পরোপকারী নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে সেজন্য স্কাউটিং এবং গার্লস গাইডকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ক্রীড়াকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলমান আছে। ক্রীড়া নিয়ে উচ্চ শিক্ষার দ্বারও আমরা অবারিত রেখেছি। বিদ্যমান কিছু স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করেছি এবং নতুন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম তৈরি করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি জাগরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় উৎসব জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে। আশা করি, ২৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিনগুলো প্রিয় শিক্ষার্থীদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামীকাল ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সেই হিসেবে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে শবে বরাত পালিত হবে।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
শবে বরাতের পরদিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি পালন করা হয়। তাই এবার ২৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) এ ছুটি পড়ছে।
শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতকে ভাগ্যরজনী বলা হয়ে থাকে। আল্লাহ তার বান্দাদের বিশেষভাবে এই রাতে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানরা শবে বরাতে মহান আল্লাহ ও তার প্রিয় হাবিবের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য নফল রোজা, দান সদকা ও এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন।
মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্ধারিত সময়ে লাইসেন্স নবায়ন না করায় ১৪টি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের (আইএসপি) লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। লাইসেন্স বাতিল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কমিশনের কাছে তাদের লাইসেন্স জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিটিআরসি।
বাতিল হওয়া আইএসপিগুলো হলো- বর্নিল নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড, আইটি নেক্সট টেকনোলজি, সাইবার কমিউনিকেশন, নিউ জেনারেশন ইন্টারনেট সার্ভিসেস লিমিটেড, এশিয়ান সিটি অনলাইন (বিডি) লিমিটেড, আপন এন্টারপ্রাইজ, স্পার্কিং ওয়ার্ল্ড রেইন আইসিটি, সেগুন বাগিচা সেফনেট অনলাইন স্পিড অনলাইন, ভেস্টেল ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কস লিমিটেড, ওয়েব সলিউশন, চাঁদপুর নেট, এয়ারনেট কমিউনিকেশন।
বিটিআরসি জানায়, এসব আইএসপির সব ধরনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অবৈধ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন-২০০১ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এই আইএসপিগুলোর সঙ্গে কোনো চুক্তি বা কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করতে সবাইকে সতর্ক করেছে বিটিআরসি।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি নেই। আজ ২৯ জুলাই সোমবার কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে, এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এই মুহূর্তে সেই পরিস্থিতি (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা) তো নেই। আর আপনারা যেমনটি বলছেন কয়েকজন নেমেছে, কয়জন নেমেছে বা কী হয়েছে সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্য পেলে আমরা জানাতে পারব।’
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পেনশন ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সোমবার মন্ত্রিসভায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে সেটি নিয়ে বাইরে আলোচনা করা যায় না।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।